উত্তর: সুশীল পাঁচ প্রকার। নিম্নে প্রত্যেক প্রকার সুশীলের বিষয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো:
১) ক্যুশীল: সেনাসমর্থিত সরকারের পক্ষে কাজ করা সুশীল। সাধারণত ঘাপটি মেরে থাকেন। রাজনৈতিক অচলাবস্থায় সক্রিয় হয়ে ওঠেন। ক্ষমতা হস্তান্তরের পর থেকে আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে আসেন। সাধারণত প্রায় পাঁচ বছর পরপর টিভিতে এবং মাঝেমধ্যে বাংলা দৈনিকে এদের দেখা যায়। দেশের ৯০% (অনিরপেক্ষ) মানুষ সম্পর্কে ওনাদের কোনও ধারণা নেই। সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করেছেন ভেবে নার্সিসিজমে ভোগেন।
২) ন্যুশীল: নিউ এইজ সুশীল। আর্বান ইয়াপি সম্প্রদায়ের প্রতিভূ। বাংলার চেয়ে ইংরেজিতে স্বচ্ছন্দ। ওয়েল গ্রুমড্। সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা ইংরেজি দৈনিকে এদের দেখা মেলে। মোটামুটি সর্বদাই সক্রিয় থাকেন। জাতির ক্রান্তিলগ্নে এরা এডিটোরিয়াল অথবা অপ-এড লিখতে পছন্দ করেন। দেশের ৯০% (দরিদ্র) লোক সম্পর্কে তাদের কোনই ধারণা নেই। আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখে নার্সিসিজমে ভোগেন।
৩) ফুঁশীল: হুইসল্ব্লোয়ার টাইপ। প্রত্যেক ইস্যুতে খুঁত বের করাই তাদের একমাত্র কাজ। খারাপ/ভালো যেকোন বিষয়ের পক্ষে/বিপক্ষে তারা মতামত দেবার অনন্য ক্ষমতা রাখেন। তবে খারাপ কেন খারাপ এবং ভালো কেন আরো ভালো না – এই দুই বিষয়েই তারা সাধারণত মনোনিবেশ করেন। সব ধরনের মিডিয়াতেই এক্টিভ তবে সোশ্যাল মিডিয়াতে ইদানীং তাদের উপদ্রব ভীষণ বেড়েছে। দেশের ২০০% (১০০% এর ভালো এবং ১০০% এর মন্দ) মানুষ সম্পর্কে ধারণা রাখেন। ইন্টেলেকচ্যুয়াল সুপিরিয়রিটি থেকে নার্সিসিজমে ভোগেন।
৪) খুশীল: মিশুক, আমুদে সুশীল। যেকোন বিষয়ে স্মিতহেসে বক্তব্য দিতে পারেন। প্রতিপক্ষের গায়ে জ্বালা ধরানোতে সিদ্ধস্ত এবং এতেই তার তৃপ্তি। বাকি সুশীলদের চেয়ে রসবোধ সম্পন্ন। টিভি এবং বাংলা দৈনিকে নিয়মিত। দেশের ১০% (তাত্ত্বিক জ্ঞানধারী) মানুষ সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখেন। বিপক্ষকে ক্ষেপিয়ে দিয়ে শেষ কথাটি উনিই বলেছেন ভেবে নার্সিসিজমে ভোগেন।
৫) ঢুঁশীল: আক্রমণাত্মক, যেকোন ইস্যুতে কনফ্রন্টেশন খোঁজেন। কোনটা খারাপ কিংবা ভালো তা বের করা নয় বরং একটা বিতর্ক তৈরি করার লক্ষ্য নিয়েই তারা আলোচনা করেন। কেউ কোন বিষয়ে তাদের সাথে এগ্রি করবে এইটা তারা চিন্তাও করতে পারেননা। টিভিতে সবচেয়ে বেশি এক্টিভ। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে তারা কোনও না কোনও সময়ে রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। দেশের ১০০% মানুষের সম্পর্কে কোনও ধারণা রাখেন না। তাদের কারণেই লোকজন আলোচনা উপভোগ করে ভেবে নার্সিসিজমে ভোগেন।
লেখকঃ নায়েল রহমান
ভাই, ব্রিলিয়াণ্ট হইছে, তবে আমার মনে হয় একটা ক্যাটাগরি বাদ গ্যাছে।
চুষিল (উইথ হ্রস ই কার): ৪ বছর ক্ষমতাসীন দলের উপচে পর উচ্ছিষ্ট মধু চুষে খায়, ইলেকশানের বছরের প্রথম ৬ মাস হাওয়া বুঝে বাকি ৬ মাস ভবিষ্যতে সরকার গঠনের সম্ভাবনা যে দলের প্রবল, সেই দলকে চোষা শুরু করে। এই ক্যাটাগরির একটা একটা স্ট্রিট নেম’ও আছে, ‘আলু ক্যাটাগরি’।
বাই দ্যা ওয়ে… ভাই, কমেন্ট’টার জন্য দয়া করে আমাকে ফুঁশীল ক্যাটাগরি তে ফেইলেন না আবার, প্লিজ।
আমরা কিছু সুশীল তত্ত্বাবধায়ক উপদেষ্টা খুজতে রইসি, এরমধ্যে বিএনপি সুশীলগো গালি দেয়। আকবর আলী খানরে কয় ‘তথাকথিত’ সুশীল। শ্রেনীভেদ কইরা সুশীল সমাজরে উঠতে বসতে গালি পাড়ে। আর আওয়ামী লীগ কয় অনির্বাচিত সানাফেবিচ। হেহে। এখন না পুন্দিলেও পরে কিন্তু সুশীলদের কেই ফুন্দিতে হবে। স্যার আসেন, কেয়ারটেকার সর্কারটা চালান। দেশটা বাচান আর আমাদের ক্ষেমতার লেজিটেমেসি দেন।
নায়েল ভাই’র এই সিরিজ টা অসাধারন।