আসিফ সিবগাত ভূঞা
আমাদের দেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সবসময়ই একটি বড় রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবে পরিগণিত হয়। বিশেষ করে সেক্যুলার ও বামপন্থি রাজনৈতিক মহলের একটি অভিযোগ যে বিএনপি সমর্থিত জোট – যার সাথে ইসলামপন্থি দলগুলো রয়েছে – ক্ষমতায় এলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সমূহ নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। ২০০১ সালে চারদলীয় জোট ক্ষমতার আসার সাথে সাথে এথনিক ক্লেনজিঙের একটি জোর অভিযোগ উঠেছিলো। বহু পত্রপত্রিকায়, বিশেষ করে ডেইলি স্টারে, সচিত্র কিছু প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিলো।
এখন যখন আরেকটি নির্বাচন দোরগোড়ায় তখন ক্ষমতাসীন দল জনগণের কাছে আবারও দাবী করছেন যে বর্তমান বিরোধী দল ক্ষমতায় এলে সংখ্যালঘুরা আবারও বিপাকে পড়বেন। যেহেতু বিরোধী দল পুনরায় ক্ষমতায় আসার একটি ভালো সম্ভাবনা আছে ভবিষ্যতে এই ব্যাপারটি নিয়ে আরেকটি নোংরা রাজনীতি হওয়ার আশঙ্কা পুরোমাত্রায় বিদ্যমান। হতে পারে ভবিষ্যতে ক্ষমতায় আসলে বিরোধী দলীয় জোটের ইসলামপন্থি দলগুলোর মাঝে থাকা সুযোগ সন্ধানী নীতিহীন একটি মহল আসলেই সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চালাতে পারে। আবার বর্তমানে যারা ক্ষমতায় আছেন তাদের পক্ষ থেকে নাশকতামূলক কিছু হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না। পাঠকদের মনে থাকবে নিশ্চয়ই যে হেফাজতের ওপর মন্দির ভাঙার একটি অভিযোগ আসার পর দেখা গেছে যে মন্দিরটি ভেঙেছিলো একজন লীগ নেতা। মোদ্দা কথা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য সামনে একটি নাজুক সময় আসছে।
যেহেতু আমি রাজনীতিবিদ নই, সংখ্যালঘুদের নিয়ে যে রাজনীতি তাতে আমি অল্পই প্রভাব বিস্তার করতে পারব। তবে ইসলামের একজন একনিষ্ঠ অনুসারী ও পাঠক হিসেবে আমি মুসলিম সমাজে একজন অমুসলিমের নিরাপত্তার নিশ্চয়তার যে বিধান সে বিষয়টি তুলে ধরতে চাই। আমার উদ্দেশ্য সংখ্যালঘু নির্যাতনের যে ঘৃণ্য রাজনীতি সেখানে যেন কেউই ইসলামকে ব্যবহার করার সুযোগ না পান। এটি যে কেবল একটি মানবিক সংকটই নয়, বরং ইসলামি বিধানেরও লংঘন সেটিও মানুষ স্পষ্ট করে জানুক। পরিশেষে যদি আলোচনার রেশ বাস্তবিক অর্থেই সংখ্যালঘু নির্যাতনের পথ বন্ধ করে তবে তার চেয়ে ভালো আর কী হতে পারে? রাজনীতিতে দাবার ঘুঁটি কোনদিকে গেল সেটার চেয়ে নিশ্চিত করেই বেশি জরুরি জনগণের নিরাপত্তা, সে সংখ্যাগুরু হোক বা সংখ্যালঘু।
এই উদ্দেশ্যকে মাথায় রেখে বর্তমান মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ও জনপ্রিয় একজন চিন্তাবিদ ও লেখক য়ূসুফ আল-কারাদাওয়ীর একটি বই “গায়রুল-মুসলিমীন ফিল-মুজতামা’ইল-ইসলামী” (ইসলামি সমাজে অমুসলিমগণ) থেকে একটি অংশ তুলে ধরছি। এখানে মুসলিম রাষ্ট্রে অমুসলিমদের নিরাপত্তা অর্থাৎ রাষ্ট্রের বাইরের শত্রুর হাত থেকে নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রের ভেতরের নির্যাতনের হাত থেকে নিরাপত্তা দুটোই আলোচিত হয়েছে সংক্ষেপে।
আগে থেকে জানিয়ে রাখা ভালো যে লেখাটি একটি ইসলামি রাষ্ট্রের (যেখানে শরি’আ লিগাল সিস্টেম হিসেবে চালু) নিরিখে লেখা। ইসলামি রাষ্ট্রে অমুসলিমদের আহলে জিম্মা (জিম্মায় থাকা মানুষ) বা জিম্মী বলা হয়। বাংলা ভাষায় শব্দটি নেগেটিভ কনোটেশান পেয়েছে বন্দী অর্থে। কিন্তু ক্লাসিকাল ইসলামিক ধারণায় জিম্মি বলতে বোঝায় যিনি জিম্মায় আছেন, অর্থাৎ নিরাপত্তার ভেতরে আছেন, অনেকটা পোলিটিকাল অ্যাসাইলাম পেয়েছেন এমন কেউ। য়ূসুফ আল-কারাদাওয়ী একই বইতে জিম্মা শব্দটির অর্থ ও জিম্মী শব্দটির তাৎপর্য বোঝাতে বলেন:
“জিম্মা শব্দটির অর্থ হোলো চুক্তি মোতাবেক নিরাপত্তা। তাদের এই নামে (আহলে জিম্মা বা জিম্মী) ডাকা হয় কেননা তাদের সাথে আল্লাহ, তার রাসূল ও সকল মুসলিমদের চুক্তি হয়েছে যে তারা ইসলামের নিরাপত্তায় থাকবেন নিরাপত্তা ও নিশ্চিন্ততার সাথে। তারা মুসলিমদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার অন্তর্ভুক্ত – যেহেতু তাদের সাথে মুসলিমদের জিম্মার চুক্তি হয়েছে। এই জিম্মা অমুসলিম ব্যক্তিদের যা দিচ্ছে তা অনেকটা আমাদের সময়ের রাজনৈতিক পরিচয় বা ‘জাতীয়তা’র সাথে তুলনীয় যা রাষ্ট্র তার নাগরিকদের দিয়ে থাকে। এর মাধ্যমে তারা নাগরিক অধিকার পেয়ে থাকেন এবং নাগরিক দায়িত্বসমূহে নিয়োজিত হন”। [পৃ: ৫]
যদিও বাংলাদেশ ঠিক উপর্যুক্ত সংজ্ঞা অনুযায়ী ইসলামি রাষ্ট্র নয়, তবুও এই বিধানগুলো জানা উচিৎ সবারই এবং ব্যক্তিগত ও দলীয়ভাবে এর প্রয়োগ ঘটানো যে বাংলাদেশের জন্য জাতীয়ভাবে মঙ্গলজনক তাতে কেউই দ্বিমত করবেন না বোধ করি। তাছাড়া ইসলাম প্রশ্ন (ফরহাদ মযহারের কয়ন করা টার্ম) যেহেতু এদেশের রাজনীতিতে অতীব গুরুত্বপূর্ণ তাই ইসলামি বিধান, সাংবিধানিকভাবে যদি নাও হয়, রাজনৈতিক পলেমিক্সে যথেষ্টই গুরুত্ব রাখে।
নিচের আইটালিক করা অংশটি য়ূসুফ আল-কারাদাওয়ীর ওপরে উল্লিখিত বইটি থেকে অনূদিত (পৃ: ৭-৯), পুরো আরবি বইটি এখানে পাওয়া যাবে।
ক) বহিঃশত্রুর হাত থেকে অমুসলিমদের নিরাপত্তা
বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার ক্ষেত্রে অমুসলিমদের অধিকার ঠিক মুসলিমদের অধিকারের মতোই। মুসলিম সমাজের নেতা বা ইমামের ওপর দায়িত্ব বর্তায় তার সকল রাজনৈতিক ক্ষমতা ও সামরিক শক্তি ব্যবহার করে তাদের জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা। “মাতালিব ঊলীন-নুহা” গ্রন্থের (হাম্বলি মাযহাবের একটি গ্রন্থ) লেখক বলেন: “ইমামের কাজ হোলো আহলে জিম্মা-দের হেফাজত করা এবং যারা তাদের ক্ষতি করে তাদের বাধা দেয়া, অমুসলিম যুদ্ধবন্দীদের ছাড়িয়ে আনা, [পরবর্তী একটি লাইন বোঝা যাচ্ছে না]”।
কারণ হিসেবে লেখক বলেন: “কেননা (ইসলামি রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে) তাদের ওপর ইসলামি বিধান সাব্যস্ত হয়েছে এবং তাদের সাথে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। ফলে মুসলিমদের জন্য ইসলামি বিধানে যা অধিকার রয়েছে তা অমুসলিমদের জন্যও বর্তাবে”। [মাতালিব ঊলীন-নুহা, খ: ২, পৃ: ৬০২-৬০৩]
মালিকী মাযহাবের আইনজ্ঞ ইমাম আল-কারাফী তার “আল-ফুরূক” গ্রন্থে ইমাম ইবন হাযমের “মারাতিবুল-ইজমা” বইয়ের একটি উক্তি উল্লেখ করেছেন: “যে ব্যক্তি জিম্মায় রয়েছে, তাকে খুঁজতে যদি আহলে হারব (যাদের সাথে মুসলিম রাষ্ট্রের যুদ্ধাবস্থা চলছে) থেকে কেউ আসে, তবে আমাদের দায়িত্ব হোলো সকল শক্তি ও অস্ত্র ব্যয় করে তাকে প্রতিহত করা, নচেৎ আমরা মরব। যাতে করে আল্লাহ ও তার রাসূলের (সা:) জিম্মায় যে আছে তাকে রক্ষা করা যায়। কেননা তাকে সমর্পণ করে দেয়া হবে চুক্তির বরখেলাপ”। (আল-ফুরূক, খ: ৩, পৃ: ১৪ – ১৫), তিনি এব্যাপারে মুসলিমদের ঐকমত্য রয়েছে এটিও উল্লেখ করেন।
আল-কারাফী এর সাথে যোগ করেন: “যে চুক্তি রক্ষার জন্য জীবন ও সম্পদ বিসর্জন দেয়া লাগে সেই চুক্তির গুরুত্ব বিশাল”।
ইসলামের এই নীতির একটি সার্থক বাস্তবায়ন আমরা দেখি শায়খুল ইসলাম ইবন তাইমিয়্যার কাজে। তাতাররা যখন শাম অঞ্চল (সিরিয়া ও সিরিয়ায় সংলগ্ন কিছু অঞ্চল) দখল করে নিয়েছিলো, ইবন তাইমিয়্যাহ কাতলূ শাহের (সম্ভবত তাতারদের সেনাপতি) সাথে কথা বলতে যান যুদ্ধবন্দীদের ছাড়িয়ে আনতে। এতে তাতার নেতা সম্মত হন মুসলিম বন্দীদের ছেড়ে দেয়ার ব্যাপারে। কিন্তু আহলে জিম্মাদের ছেড়ে দিতে রাজি হননি। ইবন তাইমিয়্যাহ বললেন: “সকল যুদ্ধবন্দীদের, খ্রিস্টান ও ইহুদি সমেত, ছেড়ে না দেয়া পর্যন্ত আমরা সন্তুষ্ট হবো না। তারা আমাদের জিম্মায় রয়েছে, তাদের আমরা বন্দী হিসেবে ফেলে যাব না। আমাদের মিল্লাতের (ধর্মের) হোক বা আমাদের জিম্মার, সকলকেই ছেড়ে দিতে হবে”, তার একরোখা ভাব দেখে পরে সেই তাতার নেতা সকলকেই ছেড়ে দিতে রাজি হলেন।
খ) অভ্যন্তরীণ নির্যাতনের হাত থেকে অমুসলিমদের নিরাপত্তা
অমুসলিমদের রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ নির্যাতন থেকে রক্ষা করাটা ইসলাম শক্ত ভাবে আবশ্যক বা ওয়াজিব করে দিয়েছে এবং মুসলিমদের সতর্ক করে দিয়েছে আহলে জিম্মাকে কষ্ট দেয়ার ব্যাপারে বা তাদের প্রতি শত্রুতাবশত হাত বা জিহবা উত্তোলনের ব্যাপারে। নিশ্চয়ই আল্লাহ অত্যাচারীদের পছন্দ করেন না এবং তাদের হেদায়েত করেন না। বরঞ্চ পৃথিবীতেই তাদের শাস্তি ত্বরান্বিত করেন এবং পরকালে তাদের জন্য বরাদ্দ থাকে অধিকতর শাস্তি।
বহু আয়াত ও হাদীস আমরা দেখি যা অত্যাচার ও নির্যাতনকে নিষেধ করে ও এগুলোর কদর্যতা তুলে ধরে এবং আখিরাতে এর নিকৃষ্ট পরিণতির বর্ণনা দেয়। কিছু হাদীস রয়েছে যা নির্দিষ্ট ভাবে আহলে ‘আহদ (অমুসলিম রাষ্ট্র যাদের সাথে শান্তি চুক্তি হয়েছে) ও আহলে জিম্মার অমুসলিমদের অত্যাচার করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা ও সতর্কতা ঘোষণা করেছে।
আল্লাহ্র রাসূল (সা:) বলেন: “যে ব্যক্তি কোনও মু’আহিদকে (শান্তি চুক্তিতে অবস্থানরত অমুসলিমকে) অত্যাচার করবে, তার অধিকার অস্বীকার করবে, তার ওপর সাধ্যের অতিরিক্ত বোঝা দেবে বা তার কাছ থেকে কিছু তুলে নেবে তার মনের সন্তুষ্টি ব্যতীত – আমি সেই ব্যক্তির পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবো বিচার দিবসে”। [আবূ দা’উদ ও আল-বায়হাকী বর্ণিত, আল-খাতীবের মতে এর বর্ণনাসূত্রটি ভালো (হাসান)]
আল্লাহ্র রাসূলের (সা:) আরও বলেন: “যে একজন জিম্মীকে কষ্ট দেবে আমি তার প্রতিপক্ষ, আর আমি যার প্রতিপক্ষ বিচার দিবসে আমি তার বিরুদ্ধে দাঁড়াব”। [আল-খাতীব হাদীসটি বর্ণনা করেছেন একটি ভালো বর্ণনাসূত্র (হাসান) সহ]
তিনি আরও বলেন: “যে কোনও জিম্মীকে কষ্ট দেয় সে আমাকে কষ্ট দিলো আর যে আমাকে কষ্ট দিলো সে তো আল্লাহকে কষ্ট দিলো”। [আত-তাবারানী তার “আল-আওসাত” গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন হাসান বর্ণনাসূত্রে]
নাজরানের (খ্রিস্টান অধ্যুষিত এলাকা) লোকদের সাথে নবীজীর (সা:) চুক্তিতে উল্লিখিত ছিলো: “তাদের একজনের ভুলে অপর কোনও ব্যক্তিকে পাকড়াও করা যাবে না”। [আবূ য়ূসুফ তার “আল-খার্রাজ” গ্রন্থে এটি উল্লেখ করেন, পৃ: ৭২-৭৩]
এসব কারণেই সেই খুলাফা রাশেদীন-দের আমল থেকে মুসলিমরা সচেষ্ট থেকেছেন আহলে জিম্মার ওপর থেকে অত্যাচার প্রতিহত করার জন্য, তাদের কষ্ট লাঘব করার জন্য, তাদের সকল নালিশের সমাধানের জন্য।
‘উমার (রা:) প্রতিটি অঞ্চল থেকে আসা প্রতিনিধিদের আহলে জিম্মার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করতেন – এই ভয়ে যে হয়তো মুসলিমদের কেউ তাদের ব্যাপারে জুলুম করে বসবে। তারা তাকে বলতেন: “আমরা ‘ওয়াফা’ ছাড়া কিছু পাইনি”। [তারীখুত-তাবারী, খ: ৪, পৃ: ২১৮] অর্থাৎ মুসলিমদের সাথে অমুসলিমদের যে চুক্তি তার বিধান মেনে চলা হয়েছে, লঙ্ঘন করা হয়নি। দুপক্ষই সেই চুক্তি অনুযায়ী যা করণীয় তা করেছে।
‘আলী বিন আবী তালিব (রা:) বলেন: “তারা এজন্যই জিয্য়া কর দিচ্ছে যেন তাদের সম্পদ আমাদের সম্পদের মতোই এবং তাদের রক্ত আমাদের রক্তের মতোই (মর্যাদা পায়)”। [আল-মুগনী, খ: ৮, পৃ: ৪৪৫; “আল-বাদাই’”, খ: ৭, পৃ: ১১১]
সকল ইজতিহাদি মাযহাবের মুসলিম জ্যুরিস্টরা এটি পরিষ্কার ভাবে উল্লেখ করেছেন যে মুসলিমদের দায়িত্ব হোলো আহলে জিম্মার ওপর থেকে নির্যাতন প্রতিহত করা এবং তাদের রক্ষণাবেক্ষণ করা। কারণ মুসলিমরা যেহেতু তাদের নিরাপত্তা (জিম্মা) দিয়েছে সেহেতু তাদের ওপর এও বর্তায় যে তারা অমুসলিমদের ওপর আসা নির্যাতন প্রতিহত করবে। এই অমুসলিমগণ ইসলামি রাষ্ট্রের নাগরিকে পরিণত হয়েছে। বরং তাদের (মুসলিম জ্যুরিস্টদের) কেউ কেউ এমনও বলেছেন যে জিম্মীর ওপর করা নির্যাতন মুসলিমের ওপর করা নির্যাতনের চেয়েও গুরুতর। ইবন ‘আবিদীন তার “হাশিয়া” গ্রন্থে এমনটাই বলেছেন। তার কথার ভিত্তি হোলো যে একজন জিম্মী সাধারণত বিচার পাবার দিক থেকে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় থাকে (যেহেতু সে সংখ্যালঘু), এবং দূর্বলের ওপর সবলের অত্যাচার গুরুতর পাপ।
bhalo diyechen dada.
Awesome write-up, masha’allah!
আপনি বলতে চাইছেন ভাইয়া…… আমি আওয়ামী লীগ অথবা বি এন পি সাপোর্টার অথবা কর্মী যাই হই না কেন… অমুসলিমের উপর অন্যায় আঘাত আমার আখিরাহ্ কে ক্ষতিগ্রস্ত করবে… আল্লাহ্ যেন আমাদের সবাইকে এটা বুঝার তাওফীক দেন… আমীন।
“jimme” shobdhotar moddhay jeheto marattok -ve connotation achhay,
etar poribortay bangla-i aaro neutral term use korlay vaalo hoto.
জিম্মী শব্দের নেগেটিভ কনোটেশন তৈরি করা ইসলাম-বিরোধী চক্রের একটি দীর্ঘস্থায়ী চক্রান্ত, যেমনটা জিহাদ শব্দের বেলায় ঘটেছে। আমরা যদি এসব শব্দের বিকল্প শব্দ ব্যবহার করতে শুরু করি, তবে তাদের এই পরিকল্পনা সফল হয়ে যাবে।
এবং অবশ্যই শব্দের মাঝ দিয়ে আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, বিশ্বাস প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে প্রবাহিত হয়। তাই আমাদের কাজ হতে পারে, এসব শব্দ ব্যবহারের সময়ই এসব শব্দের প্রকৃত অর্থ বলে দেয়া। এতে বিরোধীদের চক্রান্ত নষ্ট হবে।
Very nice. Masha-allah.
লেখাটা ভালো লেগেছে। তবে থিওরিটিক্যাল, আর উদাহরণ খুঁজতে গেলে তো শারী’আহ লিগ্যাল সিস্টেম হিসেবে চালু ছিল এরকম অতীত কোন ব্যবস্থার দিকে চোখ ফেরাতে হয়। বর্তমানে কিন্তু কোথাও দারল ইসলাম নেই। আবার দারল হারব ঘোষণা করাও জটিল ব্যাপার। এই সিচুয়েশনে জিম্মী আর জিযয়ার প্র্যাক্টিক্যাল ইন্টারপ্রিটেশন কিরকম হতে পারে?