খালেদা ঠিক কি কি বললে ফোনালাপ ফলপ্রসূ হতে পারতো : পলিটিকাল স্যাটায়ার

Image

হাসিনাঃ আপনার রেড ফোনে অনেক বার কল দিয়েছি। আপনি ইচ্ছা করে রেড ফোন নষ্ট করে রেখেছেন। আমার কল ধরেননি।

খালেদাঃ জি, ঠিক বলেছেন। আসলে হয়েছে কি, সাদেক হোসেন খোকা দা-কুড়াল নিয়ে আমার বাসায় এখন লুকিয়ে আছে। তো কোরবানির দিন খোকা আমার রেড ফোনটাকে গরুর মাংসের দলা ভেবে কোপ মেরেছে। তাই ফোনটা এখন নষ্ট। সুস্থ আলোচনার স্বার্থে আমার ফোনটা মেরামত করে দিলেই পারেন।

হাসিনাঃ আপনার লোকজন তো মানুষ খুন করে।

খালেদাঃ জি, ঠিক বলেছেন। ওরা ভালো গানও গায়। দেখেননি ওরা চৌ-রাস্তার মোড় দখলে নিয়ে গান ধরে, সকাল বিকাল লীগার ধর, ধরে ধরে জবাই করো, তারপড়ে নাস্তা করো। আমি এগুলো টিভিতে দেখি আর ভাবি, ইস, আমিও যদি চৌ-রাস্তার মোড়ে গিয়ে বসে যেতে পারতাম! ঠিক আছে, সুস্থ আলোচনার স্বার্থে আপনার পরবর্তী কমেন্টটি ছাড়ুন।

হাসিনাঃ আপনি তো আমার আব্বা, আমার ছোট ভাইকে দেখছেন। ওদের নির্মম মৃত্যুর দিনে আপনি জন্মদিনের কেক কাটেন।

খালেদাঃ জি, আসলে আমি ভুল করেই কেক কাটি। যান, আর কেক কাটবো না। পাউরুটি কাটবো। আর ভবিষ্যতে কোনদিন ক্ষমতায় গেলে যেসব শিশু ১৫ই অগাস্ট-এ জন্মাবে, তাদের বার্থ সারটিফিকেটে ১৬ই অগাস্ট প্রিন্ট করে দেবার ব্যাবস্থা করে দিব। এখন সুস্থ আলোচনার স্বার্থে মিষ্টি গলায় আপনার পরবর্তী কমেন্টটি করুন। আমি না রেগে উত্তর দিতে চেষ্টা করবো।

হাসিনাঃ আপনারাতো আমাকে গ্রেনেড মেরে মারতে চেয়েছিলেন।

খালেদাঃ জি, ঠিক বলেছেন। তবে আপনি পুরো ঘটনাটা জানেন না। আসলে আমার নিজেরই ঐদিন গ্রেনেড মারতে যাবার কথা ছিল। পায়ের সমস্যা থাকায় নিজে যেতে পারিনি। এখন সুস্থ আলোচনার স্বার্থে আপনার পরবর্তী কমেন্টটি করুন।

হাসিনাঃ আপনার লোকজন কোরআন পুড়ায়।

খালেদাঃ জি, ঠিক বলেছেন। আসলে আমাদের দলে মিতা হক ও শাহারিয়ার কবিরদের মতো মেধাবি, সুন্দর, সুশীলদের অনেক অভাব। তাই ওদের মতো মেধাবীদের কাছে টানতেই আমরা মাঝে মাঝে এসব কাজ করি। এখন সুস্থ আলোচনার স্বার্থে আপনার পরবর্তী কমেন্টটি করুন।

হাসিনাঃ আপনি তো ক্যামেরা রেডি করে ফোন ধরেন।

খালেদাঃ না আমার সাথে কোন ক্যামেরা ট্যামেরা নেই। আমি কোন রেকর্ডার ছাড়াই কথা বলছি আপনার সাথে।

হাসিনাঃ আচ্ছা। তবে আমার সাথে কিন্তু ৭১ টিভির ক্যামেরা, রেকর্ডার সব আছে। দেখেছেন না আমি কি সুন্দর মিডিয়া ফ্রেন্ডলি টোনে কথা বলছি?

খালেদাঃ জি, ভালো করছেন। আপনার কথা আসলেই অন্যরকম মিষ্টি শুনাচ্ছে। কিন্তু আসল কথা কি বলতে চান এখন বলেন।

হাসিনাঃ শুনেন, আমি নিজে আপনাকে ফোন দিলাম, দাওয়াত দিলাম। তাই আপনি এখন হরতাল ক্যান্সেল করে যতজন ইচ্ছা খাওয়াইয়া পার্টী নিয়ে আমার বাসায় চলে আসেন। আমি খাওয়াবো আর আলোচনা করবো।

খালেদাঃ জি, অবশ্যই। তবে আমি হয়তো বেশি লোক আনবো না। একাই আসবো। তো আগে এখন বলুন আমাদের আলোচনার বিষয় বস্তু কি হবে?

হাসিনাঃ বিষয় বস্তু একটাই। কিভাবে আমাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বহাল রেখে, আমার পছন্দের সব কিছু ঠিক ঠাক রেখে, আপনার সাইডের কিছু লোমহীন নেতাকে মন্ত্রী বানিয়ে , আমার অধীনে নির্বাচন করে, কিভাবে আমাকেই আবার প্রধানমন্ত্রী বানানো যায়। এটাই আলোচনার বিষয়বস্তু। আপনি এসবে রাজী হয়ে আমার রান্না খেতে চলে আসেন।

খালেদাঃ জি, ঠিক আছে। সুস্থ আলোচনার স্বার্থে আপনার সব কথা আগে থেকেই মেনে নিলাম। ইনশা আল্লাহ দেখা হবে কালকে। আপনি তাহলে খাওয়া রেডি করেন। আর আমি হরতাল ক্যান্সেল করি।

বিঃ দ্রঃ আবারও বলে নিচ্ছি উপরের কথোপকথনটি একটা পলিটিকাল স্যাটায়ার। কেউ কোনদিন, কোথাও একথাগুলো বলেননি। এসব নিতান্তই কাল্পনিক। তবে তারপরও যদি কেউ ভাবেন যে উপরের কাল্পনিক কথোপকথনে একজন এমন সব বিষয়ের অবতারণা করেছেন যেগুলো পরিস্থিতি মোতাবেক সঠিক হয়নি, তাহলে বুঝে নিন আপনি একটা জিনিয়াস।

8 thoughts on “খালেদা ঠিক কি কি বললে ফোনালাপ ফলপ্রসূ হতে পারতো : পলিটিকাল স্যাটায়ার

  1. (Y) (Y) (Y) ”আসলে আমাদের দলে মিতা হক ও শাহারিয়ার কবিরদের মতো মেধাবি, সুন্দর, সুশীলদের অনেক অভাব। তাই ওদের মতো মেধাবীদের কাছে টানতেই আমরা মাঝে মাঝে এসব কাজ করি। “

    -সুপার হইছে…… 🙂

  2. আমি খুবই হতাশ খলেদা হাছিনার ফোন বিষয়বস্তু শুনে। জাতির এই সংকট মূহুর্তে এসব কথা পুরানো কথা আলাপ না করে আসল কথা নিয়ে আলাপ করা উচিত ছিল।
    খালেদার উচিত ছিল কথা না বাড়ায়ে প্রশ্ন করা যে আগামী নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অনুষ্টিত করতে দিবেন কি না এ ব্যপারে রাজি হলে কিভাবে তা করা যায় সে বিষয়ে সংলাপে বসব।

Leave a Reply

Fill in your details below or click an icon to log in:

WordPress.com Logo

You are commenting using your WordPress.com account. Log Out /  Change )

Facebook photo

You are commenting using your Facebook account. Log Out /  Change )

Connecting to %s