প্রথমেই বলে রাখি এই লেখাটি মূলত আওয়ামী লীগের রাজনীতি যারা সমর্থন করেন তাদের জন্য কিন্তু আমি নিজে সেসব সমর্থকদের একজন নই। সম্ভবত আওয়ামী লীগের রাজনীতির সমর্থক না হওয়ার জন্যে আমার পক্ষে আউট অফ দা বক্স চিন্তা করাটা যতোটা সহজ, অন্য অনেকের জন্যে ঠিক ততোটা সহজ নাও হতে পারে।
আমার ধারণা আজকে এই মূহুর্তে খুব নিরাসক্ত ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ না করলে কোনো ওয়ে আউট খুঁজে বের করা সম্ভব না এবং প্রথম যে প্রশ্নটি করা প্রয়োজন সেটা হোলো আওয়ামী লীগের জন্য আগামী নির্বাচন কি জেতা আদৌ সম্ভব?
স্ট্যাটিসটিক্স বলে অসম্ভব। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে প্রায় ১৪% সুইং দেখা গিয়েছে সেপ্টেম্বরে। শুধু বাংলাদেশ কেন, পৃথিবীর কোনো জনবহুল দেশে সরকারের শেষ তিন মাসে নিয়ম-মাফিক এমন কিছুই করা সম্ভব না যা দিয়ে এতো বিশাল সুইং নিজের দিকে টানা যায়। বরং এই সুইং কিছুটা হলেও বাড়বে (বলে আমার ধারণা) যদি নির্বাচনে বিরোধী পক্ষ খুব স্ট্র্যাটেজিকভাবে অংশ নিতে পারে।
কিন্তু নির্বাচনে হারা মানে এন্ড অফ দা ওয়ার্ল্ড না। পৃথিবীর ইতিহাসে বহু দেশে বহু রাজনৈতিক দল আনউইনাবেল এলেকশানে অংশ নিয়েছে এবং নিচ্ছে হরহামেশা। সমস্যা হোলো আওয়ামী লীগের টপ ব্রাস মনে করছে যে এই এলেকশানটা তাদের অস্তিত্বের প্রশ্ন। আগামী এলেকশানে লীগ ৩০টার চেয়েও কম সীট পেতে পারে কিন্তু তারা অন্তত ৩০% ভোট অবশ্যই পাবে। ৩০% ভোট পাওয়া কোনো রাজনৈতিক দল কখনোই অস্তিত্বের সংকটে পড়ে না। কিন্তু আওয়ামী লীগ যে পথে হাটছে সে পথে অন্য একটা ভয়াবহ সংকটে পড়তে পারে। সে কথায় আসছি।
প্রথমেই বলা যাক আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য রাস্তাগুলো-
প্রথম রাস্তা হোলো কম্প্রমাইজের রাস্তা। হয় বিএনপির তত্ত্বাবধায়কের দাবী মেনে নিতে হবে নয়তো শেখ হাসিনার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা এমনভাবে রিভিউ করা যেটা বিএনপি মেনে নেয়।
দ্বিতীয় রাস্তা হোলো মিলিটারী অথবা মিলিটারী/সুশীলদের রাস্তা। এই পথে দেশটা এমন পর্যায়ে চলে যাবে যে মোটামুটি আনগভর্নেবল হয়ে যাবে এবং মিলিটারী ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে।
তৃতীয় রাস্তা হোলো একলা চলোরে রাস্তা। “আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নির্বাচন করে বিজয়ী হোলো আওয়ামী লীগ” হোলো এই রাস্তার মূলমন্ত্র।
চতুর্থ একটা রাস্তা আছে যেটা মূলত সংঘাতমূলক কিন্তু এখানে আলোচনা করার সুযোগ নেই।
লীগ ক্ষমতায় যেতে পারবে তৃতীয় ও চতুর্থ রাস্তা দিয়ে। বলাই বাহুল্য তৃতীয় রাস্তায় ক্ষমতায় যাওয়াটা টেকসই নাও হতে পারে এবং দেশের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক হতে পারে এই পথটিই। লীগের জন্য সম্মানজনক এগজিট রুট হোলো হয় বিএনপির দাবীটা মেনে নেয়া নয়তো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা রিভিউ করা। মনে রাখতে হবে দেশের ৮২ ভাগ মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির সাথে একমত। কিন্তু শেখ হাসিনার অতীত বিশ্লেষণ করলে অনুমান করা কঠিন না যে তিনি ক্ষমতা ছাড়বেন না এবং ছাড়লেও সেটা কেবল মিলিটারীর হাতেই ছাড়বেন। তার হিসাবটা হোলো মিলিটারীর হাতে ক্ষমতা ছাড়লে তিনি দুই বছর সময় পাবেন দলকে গুছিয়ে নেয়ার জন্য।
তবে এই ক্ষমতা না ছাড়ার প্রতিক্রিয়া কী এ বিষয়ে লীগের সমর্থকদের স্পষ্ট ধারণা থাকাটা জরুরী। ক্ষমতায় থাকতে হলে লীগকে আন্দোলন মোকাবেলা করতে হবে। যার মানে হোলো গুলি করতে হবে এবং মানুষ মারতে হবে – এর কোনো বিকল্প নাই। এর একটা সুদূরপ্রসারী প্রভাব আছে। ছোট্ট একটা উদাহরণ দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করি: শাপলা চত্বরে ৫ই মে রাতে ঠিক কতোজনকে হত্যা করা হয়েছিলো এটা কোনদিনও জানা যাবে না কিন্তু পাবলিক পারসেপশন বোঝাটা খুব জরুরী। আওয়ামী লীগের এক টপ ব্রাস নেতার খুবই কাছের আত্মীয়ের কথা (হাসিনা যদি দাবী করেন যে গতকাল রাতে বারোটা পঞ্চাশে মেরাজে গিয়েছেন তাও এই ভদ্রলোক মেনে নেবেন বিনা বাক্যে। তামাশা করছি না, উনি সত্যিই বিশ্বাস করবেন এবং পরের রাত বারোটা পঞ্চাশে এও বিশ্বাস করা শুরু করবেন যে কেউ যদি হাসিনার মেরাজ গমন নিয়ে দ্বিধা পোষণ করেন তিনি সন্দেহাতীতভাবে কোনো গভীর ষড়যড়ন্ত্রের অংশীদার, হয়তো পাকিস্তানী) – গ্রাম থেকে ফিরে তার পর্যবেক্ষণ হোলো, ভাই সমস্যা হোলো গ্রামের দশজনের নয়জনই মনে করে যে ঐরাতে মারা গেসে হাজারে হাজারে আর দশ নম্বর লোকটা মনে করে যে মারা গেসে লাখে।
এই নক্সাটা বোঝা খুব দরকার। ৮৫ ভাগ মুসলমানের দেশে মুসলমান হত্যাকারী খুবই বিপজ্জনক লেবেল। ২০০৬ সালে বিএনপি সম্বন্ধে মূল পাবলিক পারসেপশন ছিলো দুর্নীতিবাজদের দল। দলের জন্য সেই বিভীষিকাময় দিনগুলো এখন অতীত কেননা দুর্নীতিবাজের ট্যাগ কাটিয়ে ওঠা কঠিন হলেও অসম্ভব না। কারণ আগামী সরকারটিই আরো বেশি দুর্নীতিবাজ হবে এটা মোটামুটি জানা। বাংলাদেশের মানুষের কাছে দুর্নীতি হোলো সিগারেটের মতো। সবাই জানে জিনিসটা খারাপ তবে প্রয়োজন আছে। কিন্তু মুসলমান-হত্যাকারী কিংবা এন্টি-মুসলিম একটা ভয়ঙ্কর ট্যাগ (মনে রাখতে হবে যে আমাদের সময়ে ২১ বছর ধরে চেষ্টা করেও আওয়ামী লীগ এন্টি-মুসলিম এই ট্যাবলেট খাওয়ানো যায় নাই। আমাদের জেনারেশনে যতোটুকু কনভিন্স করা গিয়েছিলো তা হোলো লীগ মূখ্যত প্রো-ইন্ডিয়া এবং গৌনত প্রো-হিন্দু পলিটিকাল পার্টি – কিন্তু এন্টি-ইসলাম না) এবং খুব সম্ভব একটা জেনারেশনাল ট্যাগ। এই লেবেল থেকে বের হয়ে আসার জন্য ৫ বছর যথেষ্ট সময় নাও হতে পারে (কারণ আগামী সরকার দুর্নীতিবাজ হলেও মুসলমান মারবে এমন কোনো নিশ্চয়তা নাই)। মনে রাখতে হবে যে ৩০% ভোট অনেক ভোট কিন্তু বাংলাদেশে এলেকশানে জেতার জন্য চাই ৪০% এর কাছাকাছি ভোট। এই যে বাকী ১০% ভোট – এমন মনে করার কোনই কারণ নেই যে এমনি এমনিই সেটা ৫ বছরে লীগের দিকে চলে যাবে।
এই বিপদটাকে আন্ডার এস্টিমেট করার কোনো উপায়ই নেই। লীগের সমর্থকদের উপলব্ধি করতে হবে যে শেখ হাসিনা কিংবা অন্য কেউই এতো বড় একটা দলের জন্য আক্ষরিক অর্থে ইনএভিটেবল না। তাছাড়া শেখ হাসিনা একদিন মারা যাবেন অথবা তিনি অন্য দেশেও স্থায়ী হতে পারেন (বাংলাদেশে একাধিক মূখ্য সম্পাদক এই প্রসঙ্গে বাজি ধরতে রাজি যে শেখ হাসিনা আগামী এলেকশানে হারলে অন্য একটি বড় দেশে চলে যাবেন) – তখন কি দল চলবে না?
এই পর্যায়ে আমি আওয়ামী লীগ যেভাবে খেলাটা দেখছে সেটা আলোচনা করতে চাই।
লীগ মনে করছে যে মিলিটারী আসলে দলের টপ ব্রাস জেলে যাবে কিন্তু মাঠের নেতারা মোটের ওপর আনটাচড থাকবে। শেখ হাসিনা দলের ভেতর ভীষণ ক্যারিজম্যাটিক। দু বছর পর মানুষ তাদের অপকর্ম সব ভুলে যাবে এবং মাঠের নেতারা সাথে থাকলে তিনি দলকে তিনি রিভাইভ করতে পারবেন। কিন্তু নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে যে অত্যাচার ও অপকর্ম তারা করেছেন গত ৫ বছরে, কড়ায় গণ্ডায় তার জবাব পাবেন। বলাই বাহুল্য সেক্ষেত্রে ওয়ার্ড পর্যায়েও লীগের রাজনীতি করা মুশকিল হয়ে যাবে। মিলিটারীর পক্ষে ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাদের দাবড়ানোর লজিস্টিক্স নাই – যেটা আছে কেবল আওয়াম লীগ বিএনপির।
কিন্তু এই রাস্তায় খুব বড় দুটো ঝুঁকি আছে।
মিলিটারী যদি ২০০৭ এর মতো না হয়ে পুরো আগের তত্ত্বাবধায়কের মত আচরণ করে অর্থাৎ তিনমাস পরে নির্বাচন দিয়ে বসে – সেক্ষেত্রে যে লাউ সে কদুই থাকবে মাঝখান দিয়ে আম ছালা দুটোই যাবে।
আর তারা যদি ইমাম মেহেদীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে চায় সেক্ষত্রে সবার আগে তাদের প্রয়োজন হবে একজন দজ্জালের। এটা সারা পৃথিবীর ক্ষমতা গ্রহণে ইচ্ছুক জেনারেলদের করতে হয়েছে। মিলিটারীর তো কোনো ম্যান্ডেট নেই, তাদের লেজিটিম্যাসির একমাত্র রাস্তা হোলো প্রমাণ করা যে আগের সরকার দেশটাকে শেষ করে দিয়েছে এবং সে মতে তাদের শায়েস্তা করা।
আওয়ামী লীগেরই একদল নেতা আছেন যারা চাইছেন যে সত্যিই এই পর্যায়টি আসুক কেননা এই পথেই কেবল শেখ হাসিনাকে মাইনাস করা সম্ভব। খেয়াল করেছেন হয়তো যে লীগের টপ একজন নেতা সংলাপের ব্যাপারে সম্পূর্ণ অনমনীয়। এরা জানেন যে, যে আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে এটা চলতে থাকলে আলটিমেটলি স্টেপ-ডাউন করতেই হবে এবং সেক্ষেত্রে শেখ হাসিনা দেশের বাইরে চলে যাবেন এবং তখন তারা নেতৃত্ব গ্রহণ করবে। আমার ধারণা শেখ হাসিনা তার চরিত্রের সাথে সম্পূর্ণ বেমানানভাবে যে ফোনালাপ শুরু করেছেন তার একটি কারণ তিনি এই বিপদটির কথা জানেন।
মিলিটারী আসলে দলের ওপর হাসিনার গ্রিপ কমে যাবে এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।
আশ্চর্যের বিষয় হোলো এই পুরো খেলায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে প্লেয়ার তার দিকে শেখ হাসিনা একবারের জন্যেও ফিরে তাকাচ্ছেন না আর সেটা হোলো জনগণ। এটা খুবই বিপজ্জনক।
লীগের সমর্থকরা বুঝতে পারছেন না যে হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগে এক সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয় রূপান্তর ঘটেছে। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে সেন্টার-লেফটে একটা বড় দলের দারুণ উপযোগিতা আছে। আওয়ামী লীগ দাবী করতে চায় যে তারা লেফট-লীনিংপলিটিকাল পার্টি কিন্তু আসলে তারা কী বোঝা মুশকিল। একেনমিক পলিসির দিক থেকে খুব ছাড় দিলে বলা যায় যে বড়জোড় তারা সেন্টার-রাইটের দল এবং সোসিও-পলিটিকাল দিক থেকে তারা সন্দেহাতীতভাবে কট্টর-পন্থী দল।
যে কোনো মূল্যেই হোক এই প্রবণতা থেকে লীগের বেরিয়ে আসা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।
২০০৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসের সর্বাধিক এপ্রুভাল পাওয়া দু-তিন জন প্রধানমন্ত্রীর একজন কেভিন রাড ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হন। মাত্র আড়াই বছরের মধ্যে তিনি জনপ্রিয়তা হারান এবং রাতারাতি ইন্টারনাল পলিটিকাল কু এর মধ্যে দিয়ে তাকে সরিয়ে জুলিয়া গিলার্ড কে ক্ষমতায় বসানো হয়। এবং সত্যিই গিলার্ডকে আনার পর ২০১০ এর নির্বাচনে লেবার পার্টি সরকারে বসতে সক্ষম হয়।
প্রশ্ন হোলো শেখ হাসিনা কি লীগের জন্যেই ঠিক এতোটাই টক্সিক? যারা লীগ সমর্থন করেন (~৩০%) তাদের জন্য অবশ্যই না কিন্তু এই ৩০% সমর্থক আওয়ামী লীগের মাথা ব্যথা না, তারা শেখ হাসিনার মাথায় খালেদার ব্রেন ট্রান্সপ্লান্ট করলেও হাসিনাকেই ভোট দেবেন। ওই যে বাকী ১০% যারা না আসলে নির্বাচনে জেতার জন্য ক্রিটিকাল মাসটা সম্পন্ন হয় না তাদের কাছে আওয়ামী লীগ সত্যিই টক্সিক এবং এর মূল কারণ শেখ হাসিনা (আমার এই মতটি ভুলও হতে পারে – বোঝা যাবে আগামী কয়েক মাসেই).
আমি জানি যে লীগের সমর্থকরা আমার সাথে একমত হবেন না। আমি তাদের অনুরোধ করছি রাষ্ট্রভার নামানোর ছয়মাস পরে এ লেখাটি একবার পড়ে দেখার জন্য এবং তখন প্রশ্ন করবেন আমি ঠিক ছিলাম কি না?
“শেখ হাসিনার অতীত বিশ্লেষণ করলে অনুমান করা কঠিন না যে তিনি ক্ষমতা ছাড়বেন না এবং ছাড়লেও সেটা কেবল মিলিটারীর হাতেই ছাড়বেন.” — অতীত বিশ্লেষনের এই তথ্যটি ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিমূলক। গত বিশ+ বছরের গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় একবার-ই শুধু সমস্যা ছাড়া ক্ষমতা হস্তান্তর হয়েছে আর সেটি হচ্ছে ২০০১ সালে। ১৯৯৬ সালে বিএনপি ক্ষমতা ছাড়তে চায়নি এবং একক ইলেকশন করেছে। ২০০৭-এও বি-এন-পি ক্ষমতা ছাড়তে চায়নি এবং শুধুমাত্র মিলিটারীর হাতেই ছেড়েছিল।
শেখ হাসিনার জায়গায় খালেদা জিয়া বসালে বক্তব্যে কিছুটা সত্যতা পাওয়া যাবে।
অনামিকা, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ তত্ববধায়ক সরকার ছাড়া যেকোন নির্বাচনে যাবে না বলে ঘোসনা দিয়েছিল। আর তত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংবিধান সংশোধন করতে হতো, যা করার মতো একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা সেসময়ের বিএনপি সরকারের ছিলনা। আর আওয়ামী লীগ তখন সংসদে যাওয়ার প্রয়োজন বোধ করেনি। ফলাফল স্বরুপ বিএনপি একক নির্বাচন করতে বাধ্য হয়। তারপর আওয়ামী লীগের চাহিদামতো অনির্বাচিত তত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে।
Sheikh Hasina leave power because Begum Khalida Zia not like her demand to get all in hand this reason leave the power and she never thought she will never get power .In Bangladesh BNP and Awameleeg always look their fevorate man who can support them .They are not looking for the people. I agreed with the Author 80% with his concern.
Awesome Analysis
Awami League of 1996 to 2001 was not same as 2008 to 2013. Many incident happened at this time which was irreparable.Formally Awami League will never handover her power like before. Because the platform and scenario’s different then (1996 -2001).
Many time i heard from SK Hasina voice that “She did wrong by avoiding USA and India and her commitment with them” her beliefs ,that is the reason she not got back the power in 2001 again and now she reconciled herself and doing the right things with Usa and India according to commitment”.
Her beliefs are straight. USA and India government have the vital role in the power play in Bangladesh.(In the mean time Usa and India is working also)
My say its her wrong path.
Exit route:
1:Only accept the dialogue for neutral caretaker government. It will be easy and smooth.
2:All parties government but Chief is Neutral “It also
3:Keep power and do a election like 15th February. But reinstate caretaker by their ultimate majority it also(Same like BNP)
Other any exit route will be vulnerable for not only Awami League but also Bangladesh too.
(Inspite of India and America working behind to raise any situation or change different platform secretly, Bangladesh people will never allow or accept it for long run)
From another perspective, Your wrote this focusing mass people’s perception. But, what about the “Green” peoples’? What are they thinking? they have plenty of issues regarding BDR massacre!
পর্যালোচনাটি খুব ভালো।
Why do people think bringing in Army will go against AL? At present, most senior (if not all) officers are pro-AL. There are several signs that shows our Army is not the same Army we have always thought of. First in 2007, there was a coup which removed a legally legitimate government and after which AL came to power. In this case not only the senior officers gave tacit support to the General Moin, the junior officers remained quite ( I have seen lot of officers gave support to then Chief of Stuff. Either they lack the far sightedness or they really believed blindly that the Army should interfere in this matter). Second, after the BDR incident, there were lot of Armed force officers lost their jobs (right word should be “purged”) and yet we didn’t see much reaction from the officer core. Now people might argue, people the officers are acting professionally and don’t want to interfere into the government process. But just think for a moment just few years back the supported a coup against a legitimate government and now they are acting professionally (they lost some of their best officers during and after BDR carnage).
I really hope my analysis is proved wrong.
যে প্রক্রিয়ায় অতীতে দলগুলি তাদের দূর্নীতিবাজদের রক্ষা করসে, সেই একই প্রক্রিয়াতে রক্ষা করবে। সময় দিয়ে ক্ষত সারানো আরকি। আর ইসলামবিরোধী কার্ড খেলতে হলে উস্কানি লাগে। আমারদেশ বন্ধ হবার পর উস্কানি কমে গেছে। ক্ষমতা হারানোর পরে উস্কানি আরো কমে যাবে। বিনা উস্কানিতে হুজুররা পথে নামেন না, তারাতো টেররিস্ট না।
Ekdom sohomot.
চমৎকার বিশ্লেষণ। ১০% এর কাছে আওয়ামী লীগ সত্যিই টক্সিক এবং এর মূল কারণ শেখ হাসিনা। সহমত।
Why do you spent so much time in writing this type of garbage? you had better join in politics and see how much you can do for the country.
Execllent writing