একটি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি খোলার কথা ভাবছি। ক’দিন পরেই নির্বাচন। পত্রপত্রিকায় খবর বেরিয়েছে আওয়ামী লীগ এবার অন্তত ১০০ নতুন মুখকে মনোনয়ন দেবে। অন্যান্য দল থেকেও নতুন মুখ মনোনয়ন পাবে মোটামুটিভাবে ধারণা করা যায়। তাদের প্রশিক্ষণ লাগবে। তাছাড়া দীর্ঘমেয়াদে দেশের বিভিন্ন স্তরের ভবিষ্যৎ জনপ্রতিনিধিদের লুটপাটে অগ্রিম জ্ঞান দিতে একটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা থাকবেই। সবমিলিয়ে একটি লুটপাট (লার্নিং) ইউনিভার্সিটি খোলার এটি একটি মোক্ষম সময়। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় এখন বড় ধরনের বাণিজ্য।
নির্বাচনের এই ডামাডোলের মধ্যেও বর্তমান সরকার প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি দিয়ে চলেছেন। সরকার গত দুই বছরে ১৮টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি দিয়েছে। নিউ এজ পত্রিকায় ৩ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে সরকার রাজনৈতিক বিবেচনায় আরো সাতটি নতুন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমতি দিতে পারে। নতুন সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যাদের নাম প্রকাশিত হয়েছে তারা হলেন, প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয় শেখ কবির হোসেন, প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, হুইপ মির্জা আজম প্রমুখ। এর আগে গতবছর মার্চে অনুমোদন পাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে যাদের নাম উচ্চারিত হয়েছে তারা হলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা লিয়াকত শিকদার, গোপালগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা ইকবাল আহমেদ খান, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য দুর্গাদাস ভট্টাচার্য এবং শিক্ষা সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান রাশেদ খান মেনন প্রমুখ।
সরকারের শেষ সময়ে রাজনৈতিক বিবেচনায় নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি দেওয়াটা কিছুটা লজ্জা শরমের বিষয় মনে হওয়ায় লজ্জা কমানোর জন্য সরকারি দল থেকে যুক্তি দেখানো হয়েছে যে, বিগত চারদলীয় সরকারের আমলেও কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি শেষ সময়ে দেওয়া হয়েছিল। শিক্ষামন্ত্রী অবশ্য এতো সংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি দেওয়ার ভিন্ন যুক্তি দিয়ে বলেছেন যে, সরকারের লক্ষ্য হলো দেশের প্রতিটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা। সেকারণেই এতো বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
মন্ত্রীর এই কথায় আমি আরো বেশি উৎসাহ বোধ করছি। কারণ আমি জেলা তো বটেই একদম উপজেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করব। জায়গা হিসেবে আমি বেছে নিয়েছি আমার জন্মস্থান খেপুপাড়ার অন্তর্গত বাংলাদেশের দ্বিতীয় জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটাকে। ফলে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের লুটপাট শিখতে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা যেমন মনোরম পরিবেশ পাবে তেমনি লুটপাটে নাম করা বাংলাদেশী ভিআইপিরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি হিসেবে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ পাবেন।
যেহেতু আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফোকাস লুটপাট। সেকারণে কোন ধরনের দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের পদটি সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদকে অফার করার কথা ভাবছি। আমি জানি তিনি আমার প্রস্তাব ফেলতে পারবেন না। কারণ তিনি কবি মানুষ। তার মনও অনেক নরম। তাছাড়া কাজের অভিনবত্বকেও তিনি সবসময় গুরুত্ব দেন। সেই বিবেচনায় আমার কাজটি তার ভালো লাগবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমেরিকান ও ব্রিটিশ ফান্ডের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশ ভারতের ফান্ড থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। সেসঙ্গে সৌদি ফান্ড জোগাড়েরও চেষ্টা করা হবে। সবমিলিয়ে ধরে নেওয়া যায় সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ উপযুক্ত পারিশ্রমিকের বিনিময়ে এমন একটি যুগান্তকারী কর্মকান্ডের সঙ্গে থাকতে আগ্রহবোধ করবেন। সর্বোপরি, সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ এই মুহুর্তে খুব একটা ব্যস্ত নন। তিনি বরং লুটপাট শেখানোর কাজে ব্যস্ত হতে পারলে খুশিই হবেন বলেই আমি মনে করি। ভাইস চ্যান্সেলর পাওয়া সহজ হলেও বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের জন্য শিক্ষক পাওয়া হয়তো সহজ হবে না। অভিজ্ঞ লোক লাগবে। তাদের আবার পড়ানোর মতো যোগ্যতাও থাকার দরকার হবে।
বিভিন্ন বিভাগে কাদেরকে নেওয়া হবে তা বুঝতে পারছি না। কারণ অনেক। প্রথমত, ডিপার্টমেন্টের সংখ্যার তুলনায় সম্ভাব্য শিক্ষকের নামের লিস্ট অনেক বড়। কিন্তু তাদের সবার অভিজ্ঞতা থাকলেও পড়ানোর মতো যোগ্যতা নেই। অন্যদিকে, যারা সব দিক বিবেচনায় যোগ্য তারা আবার এরশাদের সঙ্গে কাজ করতে রাজী হবেন কিনা সেটা নিয়েও সন্দেহ আছে।
কেউ কেউ আছেন যারা ক্ষেত্র বিশেষে এরশাদের চেয়েও বেশি দক্ষ। অন্তত তারা তাই মনে করেন। আবার এদের কাউকে এরশাদের স্থলাভিষিক্ত করার অন্য সমস্যা আছে। সবমিলিয়ে এটা যথেষ্ট জটিল একটা বিষয়। কিভাবে চেক এন্ড ব্যালেন্স করা যায় ভাবতে গিয়ে কিছু উপায় খুঁজে পেয়েছি যাতে সাপও মরবে আবার লাঠিও ভাঙ্গবে না। দেখুন তো আপনারা একমত হতে পারেন কিনা? একটা কথা আমাদের মনে রাখতে হবে- আমাদের মূল লক্ষ্য জাতিকে ধারাবাহিকভাবে লুটপাটে ‘অতিশয়’ দক্ষ নেতা হিসেবে তৈরি করে দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে দেওয়া। মন্ত্রী এমপি বানানো। কিংবা মন্ত্রী এমপিদের লুটপাটে দক্ষ বানানো। কাজটি সহজ নয়। তবে অসম্ভবও নয়। চলুন দেখা যাক আমি কিভাবে ভাবছি।
আমি প্রথমত এমন কতগুলো ডিপার্টমেন্ট খুলব যেগুলো খুব অল্পতেই সকলের নজর কাড়তে পারবে। যেমন, নদী দখলের কৌশল ডিপার্টমেন্ট। নদী মাতৃক এই দেশে আমি নিশ্চিত এই ধরনের ডিপার্টমেন্ট খুবই চাহিদাসম্পন্ন হবে। গত পাঁচ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী এমপিরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নদী দখল করে ঘরবাড়ি ও মার্কেট নির্মাণ করার কাজে বেশ সাফল্য দেখিয়েছেন। মি. গোলাম মাওলা রণি তাদের একজন। তালিকায় আরো অনেকে আছেন। তবে মি. রণি বাকপটু হওয়ায় তাকে আমি হয়তো ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাব। এতে নৌমন্ত্রী মি. শাহজাহান খান হয়তো কিছুটা নাখোশ হবেন। তবে, বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী হওয়ায় তার জন্য আমি প্রো ভাইস চ্যান্সেলর পথটি রাখার পক্ষপাতি। তবে তিনি চাইলে তাকে আমি তার নতুন পছন্দের বিষয় গার্মেন্টস সংশ্লিষ্ট বিভাগ ‘উৎপাদন ছাড়াই গার্মেন্টস থেকে আয়’ ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান করতে পারি। যেখানে তিনি শেখাবেন গার্মেন্টস সেক্টরে অশান্তি তৈরি ও নিরসনের মাধ্যমে টুপাইস কামানোর কৌশল। সেসঙ্গে গার্মেন্টস শিল্পকে ভারতীয় মালিকানাধীন করার কৌশল। এছাড়াও পৃথকভাবে প্রতিটি ডিপার্টমেন্টের সিলেবাস তৈরি করা হবে। যেখানে আরো বিস্তারিত পাওয়া যাবে।
বিদ্যুৎ খাতে চুরির নানান কৌশল শেখানোর জন্য আমি সদা হাসিখুশি অর্থমন্ত্রী মি. আবুল মাল আবদুল মুহিতকে আমার লুটপাট বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বিদ্যুৎ খাতে পুকুর চুরি’ ডিপার্টমেন্টের প্রধান করার কথা ভাবছি। এটার একটা প্রেক্ষাপট আছে। কয়েকদিন আগে রেডিওর খবরে শুনছিলাম বলা হচ্ছে বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে বিদ্যুতের খাম্বা বানিয়ে লুটপাট করা হয়েছিল। খাম্বা কেনা হয়েছে কিন্তু বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন আর টানা হয়নি। সেই খাম্বাগুলো এখনো রাস্তার ধারে পড়ে আছে। যেহেতু রেডিও একমুখী যোগাযোগ মাধ্যম। সেকারণে জিজ্ঞাসা করতে পারিনি যে, কেন জনগণের অর্থে তৈরি করা সেই সময়কার খাম্বাগুলো কাজে না লাগিয়ে এখনো ফেলে রাখা হয়েছে। এবং জনগণের অর্থ খরচ করে বারবার নতুন খাম্বা কেন কেনা হচ্ছে। যাই হোক। গত ১৪ আগস্ট ২০১৩ তারিখে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রী সভার বৈঠকে ১১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬০,৬২৫টি নতুন খাম্বা কেনার অনুমতি দেওয়ার সময় ‘খাম্বা’ শব্দটি উচ্চারণ করে অর্থমন্ত্রী হেসে ফেলেছিলেন। তখনই তাকে আমার পছন্দ হয়েছে। তাছাড়া তার আগে পরের বিভিন্ন দক্ষতার বিবেচনায়ও তিনি অনেক বড় পদ পেতে পারেন। তবে আমি তাকে এখানেই প্রথমে অফার করব। বিদ্যুৎ খাত বড় খাত এবং বিদেশীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ থাকায় আশা করি তিনি এই পদটি নিতে আপত্তি করবেন না।
রেল খাতে চুরি শেখানোর জন্য আমি হয়তো মি. সুরঞ্জিত সেন গুপ্তকে অগ্রাধিকার দেব। তবে চুরি করে গোপন রাখার কৌশল তার ভালো নয়। সেকারণে তারচেয়ে দক্ষ কাউকে পাওয়া গেলে তাকেই ডিপার্টমেন্ট প্রধান করা হবে।
শুধু নদী দখল নয়, আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি শেয়ার বাজার লুট করার নতুন নতুন কৌশল শেখানোর ডিপার্টমেন্ট খুলব। যেখানে শেখানো হবে ১৯৯৬ ও ২০১০ সালের শেয়ার বাজার লুট হওয়ার পরও কিভাবে জনগণকে আবারো ফাঁদে ফেলে লুট করা যাবে। কারণ অনেকে মনে করেন শেয়ার বাজার আর লুটপাট করা সম্ভব নয়। তাদের সেই ধারণা যে ভুল সেটাই প্রমাণ করবে এই ডিপার্টমেন্টের শিক্ষকরা।
আমাদের একটি শক্তিশালী মিডিয়া টিম থাকবে। সেই টিমে আমরা বাছাই করা মিথ্যাবাদীদের নিয়োগ দেব। মিথ্যাবাদী বাছাই করার জন্য আমরা গত পাঁচ বছরের টেলিভিশন ফুটেজ ব্যবহার করব। মিডিয়ার মতো বাঘা ডিপার্টমেন্ট সামালানোর জন্য ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান হিসেবে আমার পছন্দের ব্যক্তি হলেন মি. ইনু কিংবা মিজ মতিয়া চৌধুরী।
লুটপাট শেখার সঙ্গে থানা পুলিশ ম্যানেজ করার বিষয়টি থাকে। এক্ষেত্রে ডিপার্টমেন্ট প্রধান হিসেবে আমার পছন্দের তালিকায় আছেন মি. শামীম ওসমান এবং সাবেক জাদরেল আমলা ও বর্তমানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মি. মহিউদ্দিন খান আলমগীর।
লুটপাট বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিত করা ও বিদেশী শিক্ষার্থীদের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসার জন্য আগ্রহী করে তুলতে একটা ফরেন রিলেশন ডিপার্টমেন্ট করতে চাই। সেখানে চেয়ারম্যান হিসেবে মিজ দিপু মনিকে আমার পছন্দ। হেভিওয়েট বিশ্ব ব্যক্তিত্ব ড. ইউনূসকে যেভাবে তিনি সামলিয়েছেন তাতে আমি অনেক বেশি বেতন দিয়ে হলেও তাকে নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী।
দুর্নীতি কিংবা লুটপাটের প্রথম শর্তটি হলো মিথ্যা বলতে পারা। যেকোন পরিস্থিতিতে নির্বিকারভাবে মিথ্যা বলা শেখানোর জন্য লুটপাট ইউনিভার্সিটিতে আলাদা একটি ডিপার্টমেন্ট থাকবে। এই ডিপার্টমেন্টের প্রধান কাকে করব সেটা আপনাদের জন্য চমক থাকল। আমি লুটপাট বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে পারলে আপনারাও সেই চমক দেখতে পাবেন।
পাঠক, আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন যাতে আমি একটি আন্তর্জাতিক মানের লুটপাট বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে পারি।
পূর্বকথা: প্রতিটি লেখার পেছনে একটা গল্প থাকে। চিন্তা থাকে। কেতাবী ভাষায় যাকে বলা হয় প্রেক্ষাপট বা পূর্বকথা। প্রেক্ষাপট সাধারণত লেখার শুরুতে থাকে। আমি শেষে বলছি।
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার পড়ে আমি সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট হয়েছিলাম অগ্রাধিকারের পাঁচটি বিষয়ে। আর আমাকে সবচেয়ে বেশি টেনেছিল দ্বিতীয় নাম্বারে লেখা – ‘ক্ষমতাধরদের বার্ষিক সম্পদ বিবরণ দিতে হবে।’
আমি ধরেই নিয়েছিলাম শেখ হাসিনা তার কথা রাখবেন। শুরুটা তিনি সেভাবেই করেছিলেন। একদল নতুন মুখ নিয়ে মন্ত্রীসভা তৈরি করেছিলেন। যাদের কেরিয়ারে জনগণের ধনসম্পদ লুণ্ঠণের প্রকাশ্য ও ব্যাপক কালিমা নেই। কিন্তু তিনি নিজেও হয়তো ভাবতে পারেননি তার বাছাই করা নেতাকর্মীরা আসলে সুযোগের অপেক্ষায় সাধু ছিল এতোদিন। সুযোগ পাওয়া মাত্রই তারা নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল। এই তালিকায় শুধু মন্ত্রী নন। উপদেষ্টারাও মহা উৎসাহে যোগ দেন।
তবে লুটপাটের পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকায় এবং দুই তৃতীয়াংশের মেজরিটি নিয়ে ক্ষমতায় বসার কারণে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী এমপিরা ঝানু দুর্নীতিবাজদের মতো লুকিয়ে দুর্নীতি করার দিকে যেতে পারেননি। হয়তো দরকারও মনে করেননি। যেকারণে কখনো কখনো দেখা গেছে তারা পুরো বিষয়টিকে লেজে গোবরে করে ফেলেছেন। যেমন, হলমার্ক কেলেঙ্কারি। এটা খুবই কাঁচা ধরনের কাজ হয়েছিল। সরকারের একজন উপদেষ্টার নাম বারবার এসেছে এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে। সোনালী ব্যাংকের আর্থিক কেলেঙ্কারিগুলোতে পরিচালনা পর্ষদের কয়েকজন নাম বারবার উচ্চারিত হয়েছে। বড় বড় আর্থিক কেলেঙ্কারির পাশাপাশি রাস্তা ঘাট হাট বাজার সবর্ত্রই দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়ায় শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখিত ক্ষমতাধরদের সম্পত্তির হিসেব দেওয়া থেকে বিরত থাকেন।
লুটপাট করতে গিয়ে সবকিছু লেজে গোবরে করার এই অবস্থাই আমাকে আসলে উদ্বুদ্ধ করেছে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার চিন্তা করতে যেই বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন মন্ত্রী, এমপিদের পাশাপাশি ভবিষ্যতে জনপ্রতিনিধি হতে ইচ্ছুক ও লুটপাটে আগ্রহীদের যত্ন সহকারে লুটপাট শেখানো হবে।
২ নভেম্বর ২০১৩; পল্লবী। ঢাকা।
(এটা একটা কাল্পনিক লেখা। স্বপ্ন মাত্র। এখানে প্রকাশিত নামের সঙ্গে কারো মিল থাকলে সেটা কাকতাল মাত্র।)
আবুল হোসেন কি দোষ করল? তার কোন পদ নাই ক্যান?
জামাতের নেতা সাঈদি সাহেবের কোন পদ নাই কেন? বিএনপি নেতা এম কে আনোয়ারের কোন পদ নাই কেন?