বিএনপির – দাবি নির্দলীয় নির্বাচনকালীন সরকার আবার এখানে মাঝে মাঝে বলা হয়, আওয়ামী লীগের অধীনে কোন নির্বাচনে তারা অংশ গ্রহণ করবেন না। দরকষাকষিতে এখন যদি একজন নির্দলীয় ব্যক্তিকেই নির্বাচন কালীন সরকার হিসাবে মনে নেওয়া হয় , আর মন্ত্রীপরিষদ যদি সর্বদলীয় করে সাজানো হয় , তাহলেই কি নিরপেক্ষ ও ফেয়ার ইলেকশন অনুষ্ঠিত হয়ে যাবে ??
আমি, তা মনে করি না ঐ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বর্তমান দলীয় প্রশাসনকে পূর্ণ-বিন্যাস করা সম্ভব না । এ জন্য সেই অবিশ্বাস থেকেই যাবে !!
আবার, শেখ হাসিনা এই রকম ছাড় দিতে রাজি হবেন না ।
যে বিষয়টি নিয়ে আমি সবচেয়ে কনসার্ন তা হচ্ছে এই নির্বাচন কমিশন । এটা তার নিরপেক্ষতা সম্পূর্ণ ভাবে হারিয়েছে । সরকারের ফ্রেমেই তারা চলতেছে।
অথচ, বিএনপির এ বিষয়ে কোন কনসার্ন নেই ।
আমার ক্ষুদ্রজ্ঞানে যতটুকু বুঝি, দলীয় সরকারের আন্ডারে যে কারণগুলোর জন্য ফ্রি ও ফেয়ার ইলেকশন সম্ভব না তা হলোঃ
১ /জনপ্রশাসন
যাদের সম্পূর্ণ দলীয় আনুগত্যের ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে , এদের সবাই এই সরকার দ্বারা সুবিধা প্রাপ্ত , তাই তারা এমন কোন সরকারকে জিততে দিবে না , যারা ক্ষমতায় আসলে তাদের জন্য অসুবিধা হয় ।
২/ পুলিশ প্রশাসন
ব্যাপক দলবাজ রাষ্ট্র যন্ত্রের এই প্রতিষ্ঠান বিরোধীদলকে নিপীড়নের এ যাবৎ কালের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে দিয়েছে । বৃষ্টির মত গুলি ছোঁড়ে মানুষ হত্যা তাদের স্বভাবে পরিণত হয়েছে । তাই প্রশাসনের এই অফিসারদের দ্বারা বিরোধীদল জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আসা অনেক কষ্টকর । এরা কখনোই চাইবে না , তাদের সুবিধা প্রদানকারী দলের পরাজয় ।
তাই, আমি বিরোধীদলের মতই বিশ্বাস করি । একটি ফ্রি ও ফেয়ার ইলেকশনের জন্য নিরপেক্ষ সরকার প্রয়োজন যারা , ক্ষমতাসীনদের বর্তমান প্রশাসনিক বিন্যাস ভাঙ্গতে পারে । কিন্তু আমারা জানি সরকার অন্যায়ভাবে সংবিধানকে নিজেদের ফেবারে নিয়ে কাটছাঁট করেছে আর এখন এর দোহাই দিচ্ছে , গণতন্ত্রে স্পিরিটের কথামালা শুনানো হচ্ছে “ অনির্বাচিত কেউ দেশ চালাতে পারে না, এটা গণতন্ত্রের সাথে যায় না ” ।
তাই, বিরোধীদলকে আমার অনুরোধ, চূড়ান্ত বর্জনের আগে, সরকারকে দুইটি প্রস্থাব দেওয়ার জন্য ।
১/ সর্বদলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং সম্পূর্ণ নতুন নির্বাচন কমিশন ।
সংসদ সম্পূর্ণ রূপে ভেঙ্গে দিতে হবে । সেই সাথে নির্বাচনকালীন সময়ে এই কমিশনের হাতে সম্পূর্ণ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় দিয়ে দিতে হবে, সকল প্রকার নিয়োগ ও বদলির ক্ষমতা প্রদান করে যাতে নির্বাচন কমিশন প্রশাসনকে ঢেলে সাজাতে পারে । এখানে উল্লেখ্য এই ঢেলে সাজানোর প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশন ছাড়া আর কোন ডিপার্টমেন্ট এর আমলাতান্ত্রিক ঝামেলা জড়িত থাকবে না , কমিশন সরাসরি প্রজ্ঞাপন জারি করবে এবং তা প্রয়োগ হবে ।
এখন হয় সরকারকে এই প্রস্থাবে রাজি করাতে হবে , যা একটা স্থায়ী স্যলুয়েশন এবং তা আমাদের গণতন্ত্রকে নিয়ে যেতে পারে নতুন উচ্চাতায় ।
আর, যদি সরকার রাজি না হয় , তাহলে তো এটাই প্রমাণিত হয়ে যায় , সরকার ফেয়ার ও ফ্রি নির্বাচন যায় না ।
বিকল্প প্রস্থাব হচ্ছে , ক্লিয়ার এবং সোজা ।
২ নির্দলীয় সরকার ।
সরকার যদি দুইটার কোনটাই না মনে , তাহলে তো আর কিছু করার নাই , আন্দোলন ও বর্জন ব্যতিত ।
একটা কথা বিএনপির ভাল করে মনে রাখা প্রয়োজন “ এই নির্বাচন কমিশন এবং এই সরকারের পুলিশ ও প্রশাসনের মাধ্যমে ফ্রি ও ফেয়ার ইলেকশন সম্ভব না ” ।
তাই, যে সমঝোতায় যে পদ্ধতিতেই ইলেকশনে যান না কেন ?? সেই পদ্ধতিতে যেন এই সাজানো প্রশাসন পূর্ণ-বিন্যাস্ত হওয়ার নিশ্চয়তা থাকে ।