এই হত্যার দায় আমাদের রাজনীতির। বি এন পি কে স্পষ্ট করে বলতে হবে তারা সন্ত্রাসকে বিন্দুমাত্র প্রশ্রয় দিবে না আর আওয়ামিলীগ কে দেখাতে হবে তারা মৃত্যুকে ভোটের বাজারে বিক্রি করবে না। সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রদান যেমন অধিকার, ঠিক তেমনি হরতালকে বর্জন করাও অধিকার। রাষ্ট্রীয় বা রাজনৈতিক সন্ত্রাস দিয়ে আপনি কোনভাবেই সেই অধিকার হরণ করতে পারেন না।
সন্ত্রাস দিয়ে যদি হরতালকে ‘কার্যকর’ করতে হয়, তাহলে সেটা আর হরতাল থাকে না, জুলুমে পরিনত হয়- এতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয় হরতাল আহবানকারী দল। অন্যদিকে হরতাল কে ব্যর্থ করার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো নিরীহ মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করা আর সেই লাশের অজুহাতে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরা। আমাদের বিরোধী দল কি এতই নির্বোধ যে নিজেদের হরতাল নিজেরাই অকার্যকর করার সুযোগ করে দিবে? আমাদের সরকারী দল কি এত বড় জানোয়ার যে দেশের নাগরিকদের পুড়িয়ে মারবে? দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, উপরের দুটি প্রশ্নের উত্তরী ইতিবাচক হতে পারে।
নতুন প্রজন্মকে এই দুটি দলের উপর আরো প্রভাব বিস্তার করতে হবে আর সতর্ক থাকতে হবে যেন তারা নিজেরা উল্টো প্রভাবিত না হয়। মানুষের ক্ষমতায়নের জন্য রাজনীতি, রাজনীতিবিদদের ক্ষমতায়নের জন্য মানুষ না। আমাদের আগের প্রজন্ম এটা ভুলে গেলেও, আমাদের দায়িত্ব তাদের মনে করিয়ে দেয়া।
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/67717/%E0%A6%B8%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A6%A4%E0%A6%BE_%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B7%E0%A7%87_%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%B0_%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%87_%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A0%E0%A6%BE%E0%A6%B2_%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8B%E0%A6%B0_%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%87