অস্ট্রেলিয়ানদের প্রিয় বিনোদন হোল স্পোর্টস, বাঙালিদের কী বলুন তো? আড্ডা।
বহুদিন পরে দেশে বেড়াতে গিয়ে দিনে রাতে জমজমাট আড্ডা দিচ্ছি। হরেকরকম বিষয়ে বাগযুদ্ধ। বয়স, স্থান ও জেন্ডার ভেদে আড্ডার বিষয়ও বদলে যায় মাঝে মাঝে। “নারী অধিকার” বিষয়টি ভীষণ জনপ্রিয় এসব আড্ডায় । নারী অধিকারে আমার বন্ধুদের আগ্রহ আমাকে চমৎকৃত করেছে, করেছে আশান্বিত। তবে আমার শিক্ষিত, সুবিধাপ্রাপ্তা বন্ধুরা/আত্মীয়ারা নারী অধিকারের/স্বাধীনতার যে আকাঙ্ক্ষাটা করেন, তা আমাকে বিস্মিত করেছে কিছু সুনির্দিষ্ট কারণেই। পাঠকদের সাথে ভাগ করে নিচ্ছি নারী অধিকার বিষয়ক কিছু আড্ডা, বিস্ময় জাগানিয়া সুনির্দিষ্ট কয়েকটি কারণ এবং আমার নিজস্ব ভাবনাগুলো !
এক:
ডিনার পরবর্তী এক আড্ডায় হঠাৎ এক আত্মীয়া চোখ-মুখ ভয়ঙ্কর করে বলে বসলেন “খেয়াল করেছ তুমি? ইদানীং যে ঢাকায় হিজাবি মেয়ে বেড়ে গেছে”!? প্রবীণ প্রগতিশীল এই মহিলার ত্বক খুব চকচকে, দামি শাড়ী পড়নে, থাকেন গুলশানে, নিজেদের ফ্ল্যাটে। বিয়ে, শপিং, রূপচর্চা, বন্ধু-দর্শন ছাড়া বাসা থেকে বেরন না বললেই চলে। দারুণ রান্না করেন এবং হিন্দি সিরিয়ালে সামান্য আসক্তি আছে। একটু থতমত হলাম প্রশ্নটা শুনে, বুঝে উঠতে পারছিলাম না, তিনি কি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পুত্রসন্তানের সেই বিখ্যাত লেখাটির কোনো রেফারেন্স দিচ্ছেন? নাকি আমিনী এফেক্ট? “অর্থ কী?” প্রশ্ন করাতে জবাব পেলাম “মানে বাংলাদেশে পর্দানশীন মেয়ে অনেক বেড়ে গেছে, কী যে হবে দেশটার, নারী স্বাধীনতা সব গোল্লায় গেলো!” দীর্ঘশ্বাস ফেললেন আত্মীয়া।
ঢাকার রাস্তায় হিজাবি মেয়ে দেখা যায়, সত্য। তবে ডানাকাটা ব্লাউজ আর শিফনের ফিনফিনে শাড়ী পরিহিতা মেয়েদেরও দেখা যায়। সুন্দরী ও সুগঠিত নারী-পুরুষ অন্তরঙ্গ পরিবেশে, প্রায়ই দেখা যায় ক্যাফে অথবা লাউঞ্জগুলোতে। এ প্রসঙ্গে আমার এক বন্ধু, যিনি গুলশানের একটি লাউঞ্জের সত্ত্বাধিকারী – তার একটি উক্তি মনে পরছে ,“বাচ্চালোগ প্রেম না করলে তো লাউঞ্জের ব্যবসা সব চাঙ্গে উঠবে”/আবার উত্তরবঙ্গের পথে দেখেছি শাড়ীর ওপরে ছেলেদের ঢোলা শার্ট পড়া মহিলারা ধান শুকাচ্ছে রাস্তায় (অভিনব পদ্ধতি, চলন্ত গাড়ীর চাকায় ধান মাড়াই)। ক্ষেতে কাজ করছে মেয়েরা মাথায় কাপড় দিয়েই। ওড়নাটা মাথায় তুলে শত শত মেয়ে যাচ্ছে গার্মেন্টসে। জুতার কারখানায় ছেলে মেয়ে এক সাথে কাজ করছে, হাসছে। গ্রামের মসজিদের ভেতরে আমি নিজে গিয়েছি ইমাম সাহেবের সাথে । দেখেছি, মসজিদের সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে ভাই-বোন এক সাথে, পিঠে স্কুলের ব্যাগ। দিগন্ত নামের একটি টিভি চ্যানেলে হিজাবি মেয়েদের চমৎকার শুদ্ধ বাংলায় খবর পড়তে শুনেছি। একই সাথে একুশে টিভিতে দেখেছি, পশ্চিমা পোশাকে দারুণ ফিগারের তরুণীরা উপস্থাপনা করছেন ইংরেজিতে। “ঢাকার রাস্তায় আমারও আছে হাঁটার অধিকার”- এই শ্লোগানে মুখরিত রাজপথে হাত ধরে হেঁটে যেতে দেখেছি হিজাবি এবং অহিজাবি মেয়েদের। চমৎকার সহাবস্থান দুই মেরুর- আমার অত্যন্ত পছন্দের।
তবুও একটা অজানা জুজুর ভয় এই প্রগতিশীল মহিলাদের। গত এক দশকে বাংলাদেশে মধ্যবিত্ত শ্রেণী যখন প্রায় বিলুপ্ত, তখন নতুন উচ্চবিত্তের ধর্ম (ইসলাম!) বিষয়ে উন্নাসিকতা ও আতংক চোখে পড়ার মতো। মজার ব্যাপার হোল, উল্লেখ্য মহিলার বাবা কিন্তু একজন মধ্যবিত্ত সরকারী চাকুরে ছিলেন। মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চ মধ্যবিত্তে উত্থান (স্বামীর বদৌলতে) তার চিন্তা, চেতনায় এনেছে ব্যাপক পরিবর্তন যাতে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে পশ্চিমা বিশ্ব, ভারতীয় মিডিয়া এবং লাদেন। তিনি নিজের অজান্তেই অপছন্দ করছেন নিরপরাধ হিজাবি মেয়েটিকে শুধু মাত্র তাঁর ধর্ম চর্চার কারণে, মনে করছেন নারী স্বাধীনতার প্রতিবন্ধক। আরো একটা কারণ আছে হয়তো: “এই মেয়েরা কেন আমার মতো না!” এটাকে কি “রেসিজম” বলা যায় ? বিস্মিত হই আমি। মহিলা পারিবারিক বন্ধু, তর্কে না যাওয়াই শ্রেয়। তার দীর্ঘশ্বাসের জবাব আর দেয়া হোল না।
দুই:
বন্ধুদের আরেক আড্ডায় এক বিখ্যাত ব্যবসায়ী-কাম-রাজনীতিবিদের মেয়ে বেশ তেজোদ্দীপ্ত হয়েই বলে বসলো; “শুধুমাত্র এই নারী-নীতির জন্যেই শেখ হাসিনাকে আমার ভোটটা দেব”/পশ্চিমে শিক্ষিত মেয়েটির ভোটাধিকার প্রয়োগের তুমুল ইচ্ছাকে শ্রদ্ধা না করে উপায় নাই। তাকে প্রশ্ন করা হোল, তো নারী-নীতির ঠিক কোন বিষয়টি তোমাকে এতটা মুগ্ধ করেছে? উত্তর পাওয়া গেল “ঐ যে উত্তরাধিকারের ব্যাপারটা” (প্রসঙ্গত বলে রাখি, মেয়েটির কেবল একটিই ভাই এবং লোকমুখে শুনি যে তার পিতার সম্পদের পরিমাণ টাকায় বললে কম হলেও কয়েক শ’কোটি)/ আচ্ছা, ব্যপারটা তাহলে অর্থনীতিক। আর কী ভালো লাগলো এই নীতিমালার? “আর কিছু লাগে? ঐ একটাই যথেষ্ট। বাবার সম্পত্তিতে ছেলে-মেয়ের সমান অধিকার ছাড়া সিভিলাইজেশান চলতে পারে”? তা বটে।
তার কিছুদিন আগেই হেনার মৃতদেহে দোররার দাগ নিয়ে হয়ে গেল মৌসুমী হইচই, বগুড়ার একটি মেয়ের মাথা কামিয়ে দিলো ফতোয়াবাজরা। মিজানুরের ওপর মোটর সাইকেল উঠিয়ে দিয়েছিল বখাটেরা, কেননা সে প্রতিবাদ করেছিল ইভ-টিজিং এর। এরই মাঝে আমিনীর মত লোকেরা রাজপথ কাঁপিয়ে তোলে, সরকার তেড়ে যায় আমিনীর দিকে, কেননা বান্ধবীর মতে, নারীর অধিকার রক্ষার ঝাণ্ডা তো তাদেরই হাতে, দায়িত্ব আছে না? ওদিকে গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ গ্রহীতা মহিলারা মানব বন্ধন গড়ে তোলে, ইউনূস সাহেবের মান রক্ষায়। কী আশ্চর্য! “সকল দেশের সেরা সে যে আমার জন্মভূমিতে” গণধর্ষিত হয়ে যেদিন একটি মেয়ে আত্মহত্যা করেছিলো, সেদিন, হ্যাঁ, ঠিক সেদিনই শ্বশুর এবং পিতার বিশাল সম্পদের প্রতিশ্রুতির তলে, “ নারী অধিকার” নিয়ে পরমা সুন্দরী বান্ধবীর আবেগভরা উচ্ছ্বাস রেস্টুরেন্টের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে উপভোগ্যই হয়েছিলো।
তিন:
এক সদ্য বিবাহিতা আত্মীয়া বাসায় এলেন দেখা করতে। জানলাম, তিনি, দেশে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ে চলে গিয়েছিলেন পশ্চিমে উচ্চ শিক্ষার উদ্দেশ্যে। তার পড়নে ছিল ঢাকাই সূতী শাড়ি, স্লীভলেস ব্লাউজ, মাথায় সিঁদুর, হাতে শাঁখা। জানা গেল, খাঁটি বাঙালি সংস্কৃতির অনুরক্ত আমার এই আত্মীয়াটি শেকড়কে শ্রদ্ধা করে সিঁদুর এবং শাঁখা পড়েন। বিয়ের অনুষ্ঠানেও সিঁদুর পড়িয়ে দিয়েছিলো তার স্বামী। এর কারণ বাঙালি মুসলমান আগে সব হিন্দু ছিল, ইসলাম ধর্মপ্রচারকেরা এদেশে এসে জোড়-জবরদস্তি করে তাদের মুসলমান বানিয়েছে। তাই প্রতিটি হিন্দু ঐতিহ্যে আমাদের রয়েছে পূর্ণ অধিকার।
ঘটনাচক্রে কলকাতা থেকে আরেক পারিবারিক বন্ধু (আমার মা’র স্কুলবেলার বন্ধু) এবং তার স্বামী এসেছেন বাংলা নববর্ষ উদযাপন করতে, এই ঢাকায়। অঙ্কে গ্র্যাজুয়েট ভদ্রমহিলা হিন্দু, কিন্তু শাঁখা-সিঁদুর পড়েন না। তার ভাষ্য: শাঁখা-সিঁদুর হিন্দু মহিলাদের জন্য অত্যন্ত অপমানকর! এর সাথে বাঙ্গালিত্বের কোনো সম্পর্ক নেই! কী অদ্ভুত! আমার খাঁটি বাঙালি আত্মীয়াটিকে পরে একদিন পাকড়াও করে যখন ঘটনাটা বললাম, একটু বোধ হয় বিব্রতই হয়ে গেলেন। বললেন, আমরা কেন সব ধর্মের ভালোটা নিতে পারি না, কেন ধর্মে-ধর্মে এতো হানাহানি, কেন আমরা কেবল মানুষ এই পরিচয়টুকুই যথেষ্ট না, ইত্যাদি।
পাঠক! লক্ষ্য করুন, উপরের প্রতিটি আলাপের মূল চরিত্র একজন সচ্ছল শিক্ষিত নারী, সমাজে যাদের “ priviledged” অথবা সুবিধাপ্রাপ্তা বলা হয় । এদের অনেকেই নারীবাদ, আধুনিকতা, বাঙ্গালিত্ব নিয়ে যার পর নাই চিন্তিত যদিও, বাংলাদেশের মেয়েদের আসল সমস্যা উপলব্ধি করার সময় এবং সম্ভবত ইচ্ছেটাও কম। এরা যে অবস্থানে আছেন, ভোগবহুল সে অবস্থান থেকে তার সম্ভাবনাও কম, স্বীকার করছি। আমার আত্মীয়া, যিনি শাঁখা-সিঁদুর পরে মনে করছেন সত্যিকারের বাঙালি নারী হওয়া গেল, তিনি বুঝেই উঠতে পারছেন না, এই বাঙ্গালিত্ব তার নিজের বানানো, ঠিক অথেনটিক না। বাঙালি হতে গিয়ে তিনি কিছু বাঙালি হিন্দু নারীর বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছেন যৌক্তিক কারণেই। ঠিক যেভাবে হিজাবি মেয়েটি বিরক্ত করছে আরেকটি গ্রুপকে! আবার হিজাবি মেয়েটির হিজাব পড়ার অধিকার/স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তোলাটাও কি বিতর্কের অবতারণা করে দেয় না? এই বিচিত্র স্ববিরোধিতার একটি কারণ সম্ভবত আইডেন্টিটি ক্রাইসিস । সম্ভবত এ জন্যই বাংলাদেশী নারীর অশিক্ষা, দারিদ্র্য, বঞ্চনা লাঘবে সুবিধাপ্রাপ্তা শিক্ষিত নারীরা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে পারছে না । নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন তাই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ছে সম্পত্তির সমান অধিকারে অথবা পোশাকের স্বাধীনতায় !
আধুনিকা এই সুবিধাপ্রাপ্তারা একটি সহজ ব্যাপার কি বুঝতে সক্ষম যে আজ তারা যে অবস্থানে আছেন, সেই একই অবস্থানে আসতে দেশের বাকি ৯০ ভাগ নারীর হয়তো কয়েক দশক অপেক্ষা করতে হতে পারে? ১৯৯৫ সালে চীনে আয়োজিত বিশ্ব নারী সম্মেলনে ইরানী নারীদের প্রতিনিধিদের যে দাবী দাওয়া ছিল (নারী স্বাধীনতার লক্ষ্যে), পশ্চিমা স্ট্যান্ডার্ডে সেটা তখনই ছিল অধীনস্ততার লক্ষণ। আমাদের দেশেও এই বাস্তবতাটি বর্তমান। সম্পত্তির সমান অধিকার নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় অত্যন্ত প্রয়োজন, তবে তার আগে আরও বেশি প্রয়োজন, সমাজের প্রতিটি স্তরে, প্রতিটি শ্রেণীতে বাকি ৯০ ভাগ নারীর শিক্ষা এবং উপার্জনের ক্ষমতা নিশ্চিত করা। এটা না করে, সুবিধাপ্রাপ্তারা নারী অধিকারের লঘু বিষয়গুলো নিয়ে চায়ের কাপে ঝড় তুললে সংখ্যালঘু নারীদের সাথে দেশের সংখ্যাগুরু নারীদের মাঝে একটা বিভেদ রেখা তৈরি হয়। এবং তখনি সমাজের ৯০ ভাগ নারীর কাছে এরা পরিণত হয় লাফিং স্টকে । যে “ Freedom of expression” নিয়ে আমার আত্মীয়াদ্বয় অত্যন্ত চিন্তিত ,“Freedom of choice” এবং “Economic freedom” না থাকায় দেশের বেশির ভাগ নারীর কাছে তা “ Cruel joke”।
শুরুটা আসলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকেই হয়, সবখানেই হয়েছে। বাংলাদেশে তথাকথিত আধুনিকাদের ধারণাও নেই যে তারা নয়, বরং সাধারণ খেঁটে খাওয়া, মাথায় কাপড় দেয়া কিংবা না দেয়া, দ্রুত পায়ে হেঁটে চলা পারিপাট্যহীন কৃষ্ণকায় মেয়েরাই এদেশের নারী বিপ্লবের প্রকৃত নেতৃত্ব দিচ্ছে, এই সমাজটাকে বদলে দিচ্ছে। বুঝে হোক না বুঝে হোক তারা যে কাজটি শুরু করে দিয়েছে সেটিই আসল। “সমধিকার” যেখানে আরাধ্য সেখানে ধর্ম হোক, রেস হোক কিংবা জেন্ডার, কেউই ভারসাম্যের ভুল দিকটায় থাকলে আমন্ত্রিত হয় না যতক্ষণ না সে অর্থনৈতিকভাবে নিজেকে অপরিহার্য প্রমাণ করে। আমার পরিচিত কিছু আধুনিকাদের কাছে যে “নারী স্বাধীনতা” শুধুই অনুভব কিংবা আড্ডার বিষয়, বড় জোড় কুড়িয়ে নেওয়ার জিনিষ, সমাজের ৯০ ভাগ নারীর কাছে সেটা বাস্তবতা, খুব কঠিন বাস্তবতা এবং তার চেয়েও ভয়ঙ্কর – প্রতিদিনকার লড়াইয়ের বাস্তবতা। এই লড়াইয়ের কুশলীরা এতোটাই সুযোগ্য ও অসাধারণ যে আমি কিংবা আমার ওইসব আত্মীয়াদের কোনও আড্ডায় অংশগ্রহণ ছাড়াও তারা এগিয়ে যাবে সুনিশ্চিতভাবে। আমি কিংবা আমার আত্মীয়ারা শুদ্ধ বাংলায় নারী অধিকারের বিশাল বক্তৃতা দিয়ে নিজেরা জাতে উঠতে পারি, কিন্তু এদেশটাকে জাতে উঠিয়েছে ওইসব লড়াকু মেয়েরাই। তাঁদের ধন্যবাদ !
(লেখাটি পূর্বে বিডিনিউজ এ প্রকাশিত হয়েছে)
অনেক আগেই বিডি নিউজের মতামত বিশ্লেষণ সেক্টরে পড়েছিলাম।
Interesting way of employing anecdotes for a convincing narrative. Could’ve done without trivializing the modern Urban Woman’s views as naiveté. Like in a tug-of-war, every one is struggling to gain the next yard. And that ‘yard’ is different for women from different backgrounds / social-standing. Interesting read nonetheless.