দূর্নীতি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্লেষণ

2
বার্লিনভিত্তিক দুর্নীতিবিরোধী অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ট্র্যান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের ওয়াবসাইট থেকে দেখা যায় তাদের প্রকাশিত Corruption Perception Index-এ বাংলাদেশ প্রথম ব্যাপক আলোচিত হয় ২০০১ সালে প্রকাশিত ২০০০-২০০১ সালের CPI তালিকায়।
সেই হিসাবে এই তালিকায় বাংলাদেশ গত এক যুগ ধরে বিভিন্ন স্কোর পেয়ে বিভিন্ন অবস্থানে ছিলো।
এই তালিকায় আমাদের গত একযুগে কখন কি অবস্থা ছিলো তা নিয়ে কিছু বিশ্লেষণ প্রয়োজন, কারণ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কথা বলে বিভিন্ন ভাবে বিভ্রান্ত করা হয়।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল যে তালিকা প্রকাশ করে থাকে তা হচ্ছে মূলত জরিপের উপর জরিপ।
অন্তত তিনটি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানের তথ্যের উপর জরিপ করে স্কোর নির্ধারণ করে এই তালিকায় তা উল্লেখ করাহয়।
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আছে ERC (Ethics Resource Center), EIU (Economics Intelligence Unit)-সহ আরও বেশ কয়েকটি সংস্থা।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের ওয়েবসাইটে যেকয়টা CPI-এর হদিস পাওয়া গেছে সেই সবকয়টা মিলিয়ে এখনপর্যন্ত সবচেয়ে কম স্কোর উঠেছে ২০০১ সালে প্রকাশিত রিপোর্টেই- ০.৪ (বর্তমানে ১০০-এর স্কেলে যা ৪)।
এই বিরল সৌভাগ্যের অধিকারী বাংলাদেশ।বলাই বাহুল্য নিচের দিক থেকে প্রথম অবস্থানটাও আমাদেরই ছিল।আমাদের নিকটতম দেশ ছিল নাইজেরিয়া, যাদের স্কোর ছিল আমাদের চেয়ে আড়াইগুণ বেশি (১.০)।
CPI2001

তখন মহাপরাক্রমশালী আওয়ামীলীগ সরকারের শেষ বছর চলছিলো। তৎকালীন অর্থমন্ত্রী মরহুম এস এম কিবরিয়া এই রিপোর্ট সরাসরি প্রত্যাখান করেছিলেন, যদিও দেশে দুর্নীতির অবস্থা আসলেই খারাপ ছিলো।

১৯৯৬সালে ক্ষমাতায় এসেই ১৯৯১ থেকে বন্ধ কালোটাকা সাদা করার বিধানকে চালু করে দেন কিবরিয়া সাহেব তাঁরপ্রথম বাজেটেই। দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে চর দখলের মতো দখল করে সভাপতির পদে বসে পড়েন নেতারা।শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারীর রেশ তখনও কাটেনি। এই স্কোর তাই অনুমিতই ছিলো।

২০০১ সালের নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট সরকার।

এই সরকারকে মানুষ অনেক আশা নিয়ে ক্ষমতায় বসালেও এদের সময়ও দুর্নীতি খুব একটা কমেনি, তবে বাড়েনি তা নিশ্চিত। প্রমাণ দেয়া হবে।

কিছু সংস্কারমূলক পদক্ষেপের কারণে ২০০২ সালে প্রকাশিত তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থানের কোন পরিবর্তননা হলেও স্কোর বেড়ে দাঁড়ায় ১.২-এ (বর্তমান স্কেলে ১২)।

নিকটতম রাষ্ট্র ছিল দুর্নীতি জর্জরিত নাইজেরিয়া ১.৬ পয়েন্ট নিয়ে। বাংলাদেশের সাথে ব্যবধান ছিল ০.৪ পয়েন্টের, আগেরবছর যা ছিল ০.৬ পয়েন্ট।

২০০২ সালে দুর্নীতি দমন কমিশনকে সম্পূর্ণ স্বাধীন করা হলে বাংলাদেশের স্কোর ২০০৩ সালের তালিকায় সামান্য বেড়ে ১.৩-এ দাঁড়ায়(বর্তমান স্কেলে ১৩)।

এবছরও নিকটতম রাষ্ট্র ছিল নাইজেরিয়া ১.৪ পয়েন্ট নিয়ে। এবছর বাংলাদেশের সাথে নিকটতম রাষ্ট্রের ব্যবধান কমে দাঁড়ায় ০.১-এ।

২০০৪ সালের প্রকাশিত তালিকায় দেখা যায় আমাদের স্কোর সামান্য বেড়ে দাঁড়ায় ১.৫-এ (বর্তমান স্কেলে ১৫)। আগের বছরের তুলনায় যা ছিল ০.২ বেশি। এবছর আমাদের সাথে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ‘গৌরবে’ ভাগ বসায় হাইতি। নিকটতম রাষ্ট্র ছিল নাইজেরিয়া, যাদের স্কোর ছিল ১.৬।

অর্থাৎ আমাদের সাথে নিকটতম রাষ্ট্রের ব্যবধান আগের বছরের মতই ০.১-এই আটকে ছিলো।

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে ইফতেখারুজ্জামানের নালিশ

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে ইফতেখারুজ্জামানের নালিশ

২০০৪ সাল থেকে শুরু হয় প্রশাসনে ব্যাপক রদবদল। অর্থের বিনিময়ে কাজ দেয়ার কিছু ঘটনাও বের হয়ে আসা শুরু করে। জ্বালানীমন্ত্রীকে জিপ কেলেঙ্কারী নিয়ে সরে যেতে হয়। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে আরও অনেকের বিরুদ্ধে। এর প্রভাব পড়ে ২০০৫ সালের রিপোর্টে। বাংলাদেশের অবস্থান অপরিবর্তিত থাকে। স্কোরের বৃদ্ধি ছিল আগের মতই। তবে আমাদের সাথে আগের বছর একই অবস্থানে থাকা হাইতি কিছুটা উন্নতি করে নিকটতম রাষ্ট্রের কাতারে চলে যায় ০.১ পয়েন্টের ব্যবধান নিয়ে। হাইতির জায়গায় আসে চাদ। ২০০৫ সাল মিলিয়ে বাংলাদেশ পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়।

২০০৫-২০০৬ সাল ছিল রাজনৈতিকভাবে টালমাটাল একটা বছর। অবশ্য বিরোধীদলের প্রবল আন্দোলনের কারণে এ বছর মাঠপর্যায়ে সরকারি কাজও ছিল কম, তাই দুর্নীতিও কম হয় যার ফলে ২০০৬ সালের জোট সরকারের আমলের শেষ রিপোর্টে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে শীর্ষস্থান থেকে বেরিয়ে আসে।

তবে এই বছরের টিআইবি রিপোর্টের সাথে টিআইবির কর্তাব্যক্তিদের কথায় মিল ছিল কম। অনেকের অনেক কাজ ছিল সন্দেহজনক। টিআইবির ইফতেখারুজ্জামানকে বিএনপি সরকারের শেষ সময়ে বাংলাদেশের দুর্নীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের কাছে রীতিমত নালিশ করতে দেখা যায়। তিনি খালেদা জিয়া এবং তাঁর দুই ছেলেকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে বিভিন্ন খতিয়ান দেন যা পরবর্তীতে উইকিলিকসে প্রকাশিত হয়।

ইফতেখারুজ্জামান নিজেই পরে একে নীতিমালা বহির্ভুত কাজ হিসেবে স্বীকার করেন

কিন্তু ২০০৬ সালের টিআইবির প্রতিবেদন ছিল এর উলটো। ২০০৬ সালে প্রকাশিত তালিকায় বাংলাদেশের স্কোর বেড়ে দাঁড়ায় ২.০-তে। অবস্থানও হয় তৃতীয়। যা ইফতেখারুজ্জামানকে ভুল প্রমাণিত করে। যদিও damages were done, বাংলাদেশ সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রে একটি নেতিবাচক তাঁরবার্তা পাঠানো হয়।

শুধু তাই নয়, তারেক রহমান এবং কোকোর ব্যাপারে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির অন্যতম কারণ ইফতেখারুজ্জামানেরা।

এই ছয় বছরের টিআই’র খতিয়ান দেখলে দেখা যায় বাংলাদেশের স্কোরে উন্নতি হয় ১.৬ (বর্তমান স্কেলে ১৬) পয়েন্ট। বাংলাদেশ দুর্নীতি কমিয়ে এনেছে, তথা বাংলাদেশে ২০০০ সালের তুলনায় ২০০৬ সালে দুর্নীতি কম হচ্ছে এমন মত প্রকাশ করে ট্র্যান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল। অন্তত তাদের প্রতিবেদনের স্কোর এবং অবস্থান তাই নির্দেশ করে।

তবে বাংলাদেশের অতি উৎসাহী একটি শ্রেণী ঠিকভাবে রিপোর্ট না দেখেই বিভিন্ন মন্তব্য করে থাকেন যা অনভিপ্রেত। টিআই’র রিপোর্টে শুধুই একটা দেশের অবস্থান দেয়া থাকে না; একই সাথে সেই দেশের গত বছরের অবস্থান, দুর্নীতির ক্ষেত্রে দেশটির স্কোর- এগুলোও থাকে, যা অনেকেই খেয়াল করেন না। করলে অবশ্যই বুঝতেন বাংলাদেশ কিভাবে দুর্নীতি কমে এসেছিল।

এরপর দেশের পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে গেলে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারী ক্ষমতা নেয় সেনা সমর্থিত সরকার। এই সরকার দুর্নীতি দমনের নামে বেশ কিছু অভিযান চালায়। তবে এই সকল অভিযানের একটা বড় অংশই ছিল লোকদেখানো। এই সময় দুর্নীতির তেমন কোন হেরফের ঘটেনি। বরং জোট সরকারের আমলে বাংলাদেশের স্কোর বৃদ্ধির যে ধারা বজায় ছিল তাও থেমে যায়। জোট সরকারের শেষ বছরের স্কোর ২.০ থেকে এক দশমিক পয়েন্টও বাড়েনি ২০০৭ সালের টিআই’র দুর্নীতির ধারণাসূচকে। যেখানে ছিল সেখানেই থাকে।

উলটো সেনা সমর্থিত সেই সরকারের সময় ব্যবসায়ীদের ধরে এনে চাঁদাবাজির সাথেও জড়িয়ে পড়ে অনেক সেনা কর্মকর্তা। দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক কর্মযজ্ঞের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ২০০৮ সালের টিআই’র সূচকে বাংলাদেশ মাত্র ০.১ শতাংশ যোগ করতে সক্ষম হয়।

পরবর্তীতে ২০১৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারী ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের বাংলাদেশ চ্যাপ্টার এক সংবাদ সম্মেলনে দাবী করে তখন সেনাদের একাংশ দুর্নীতিতে লিপ্ত ছিল। টিআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৭ সালের এগারোই জানুয়ারির পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুবছরের শাসনামলে সশস্ত্র বাহিনীর একাংশ ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিপুল অর্থ ও সম্পদ অর্জন করে এবং গণমাধ্যমের ওপরও তারা নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে।

এরপর ক্ষমতা নেয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট। মহাজোট মন্ত্রীসভার অধীনে প্রথম বছর যথেষ্ট ভালো কাটে বাংলাদেশের। এছাড়া ঐ বছর কিংবা তার পরের বছরও কোন রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা যায়নি। এছাড়া বড় ধরণের দুর্নীতির অভিযোগও ওঠেনি। যার প্রভাব পড়ে টিআই’র সূচকেও। ২০০৯ সালে বাংলাদেশের স্কোর বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ২.৪ এ (বর্তমান স্কেলে ২৪)।

পরের বছর, ২০১০ সালেও অবশ্য এই স্কোরের কোন পরিবর্তন হয়নি। যদিও তেমন কোন বড় ঘটনা ঘটেনি। কিংবা সরকারও কোন বিশেষ ব্যবস্থা নেয়নি নিজেদের দুর্নীতির মামলাগুলো প্রত্যাহার করা ছাড়া।

২০১১ সালে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ২.৭, যা এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। তবে ২০১১ সালে কিছু মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা বাদে দুদক তেমন কোন কাজই করেনি। তবে উল্লেখ্য যে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী-সাংসদের বিরুদ্ধে এই বছরে অভিযোগ উঠতে থাকে। এদের কয়েকজনকেই দুদক তলব করে।

২০১২ সাল ছিল এক বোমা ফাটার বছর। একের পর এক দুর্নীতি উন্মোচিত হতে থাকে। পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধ করে দেয় বিশ্বব্যাংক। বের হতে থাকে বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর কেলেঙ্কারী। যার সামান্য প্রভাব পড়ে টিআই’র সূচকেও। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) ধারণা সূচকে সর্বাধিক দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায়বাংলাদেশের অবস্থান ২০১১ সালের মতো ২০১২ সালেও ১৩তম অবস্থানে থাকলেও কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশেরতালিকায় (উচ্চক্রমে) বাংলাদেশের অবস্থান ২৪ ধাপ পিছিয়েছে। স্কোর কমে দাঁড়ায় ২.৬-এ, বর্তমান স্কেলে ২৬।

সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য এবং ভীতিকর বিষয় হচ্ছে গত প্রায় এক যুগের মধ্যে এই প্রথম বাংলাদেশের স্কোরে নেতিবাচক প্রবণতা দেখা গেল। যার অর্থ হচ্ছে বাংলাদেশ যেভাবে গত এক যুগে ধীরে ধীরে হলেও দুর্নীতি কমিয়ে আনছিল তা এই বছর বৃদ্ধি পেয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর তুলনায় এই অবস্থা আরও হতাশাজনক।

এক যুগের মধ্যে সূচকে বাংলাদেশের প্রথম পয়েন্ট খোয়ানো

এক যুগের মধ্যে সূচকে বাংলাদেশের প্রথম পয়েন্ট খোয়ানো

এ অবস্থার ব্যাখ্যা দিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল-বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড.ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন,
এই অবস্থান প্রমাণ করে, গত বছরের তুলনায় দুর্নীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থার অবনতি হয়েছে।বাংলাদেশের অবস্থানের অবনতির কারণ সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপন করা লিখিত মূল্যায়নে বলা হয়, দুর্নীতি দমনে সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ক্রমবর্ধমান ঘাটতি, পদ্মা সেতু, রেলওয়ে কেলেঙ্কারি, শেয়ারবাজার, হলমার্ক কেলেঙ্কারির মতো বহুল আলোচিত দুর্নীতির অভিযোগ, ক্ষমতাবানদের নির্বিচারে জমি ও নদীর জলাশয় দখল, ক্ষমতাশালীদের সম্পদের হিসাব প্রকাশ না করা, দুর্নীতি দমন কমিশনের স্বাধীনতা ও কার্যকারিতা হ্রাসের উদ্যোগ, উচ্চ পর্যায়ে দুর্নীতির ব্যাপারে দুদকের বিতর্কিত ভূমিকা, রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্যাপকসংখ্যক ফৌজদারি ও দুর্নীতির মামলা প্রত্যাহার, বয়কট ও স্বার্থের দ্বন্দ্বে জর্জরিত সংসদ, প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর রাজনীতিকীকরণ, কালো টাকা সাদা করার সুযোগ অব্যাহত রাখা এবং সরকারি ক্রয় বিধিমালা দুর্বল থেকে দুর্বলতর হওয়ার ঘটনা সার্বিক সূচকে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
এক যুগে বাংলাদেশের স্কোরের তুলনাচিত্র

এক যুগে বাংলাদেশের স্কোরের তুলনাচিত্র

সার্বিক বিবেচনায় দেখা যায় জোট সরকার যেখানে স্কোরের হিসেবে ১.৬ বা বর্তমান স্কেলে ১৬ উন্নতি করেছিল, মহাজোট সরকার করেছে মাত্র ০.৫ বা বর্তমান স্কেলে ৫ পয়েন্ট।
তাই দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়নের গান যারা শোনায় তাদের জন্যে একটাই কথা। আপনারা দুর্নীতি করে স্কোর কুয়ার মধ্যে ফেলে গেছিলেন। কোন কিছু কুয়াতে ফেলা যত সহজ তোলা তত সহজ না। যা এখন সম্ভবত হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। কারা আসল চ্যাম্পিয়ন তাও এখন বোঝা যাচ্ছে।
কটা কথা মনে রাখা দরকার, বাংলাদেশ তথা টিআই’র ইতিহাসে সর্বনিম্ন স্কোর আওয়ামী লীগেরই কীর্তিস্তম্ভ।

2 thoughts on “দূর্নীতি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্লেষণ

  1. I think there is a mistake here. CPI of 2001 is mainly for the vast part of 2000. Therefore 2009 jump in CPI score is not due to AL’s good governance, rather it was an success of indication Caretaker Govt’s anti- corruption drive.

  2. “However, with the score remaining below the threshold of 3, the country continues to be in the league of those where corruption continues to be pervasive,” said Transparency International Bangladesh (TIB) Executive Director Dr Iftekharuzzaman while presenting the CPI at Dhaka Reporters Unity.

    “The anti-corruption drive and institutional reforms made by the last caretaker government had an impact even after the political government came to power,” he said.

    http://archive.thedailystar.net/newDesign/news-details.php?nid=114506

Leave a reply to Kaiser Hashim Cancel reply