শাহবাগিরা তখন তুঙ্গে। ট্রাইব্যুনালের রায়কে কেন্দ্র করে সারাদেশে ব্যপক সহিংসতা। দেখতে দেখতে নিহতের সংখ্যা শত ছাড়িয়ে যায়। পুলিশ গুলি করেছে point blank range থেকে। কখনো বা পড়ে থাকা মানুষের গায়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে। মারা পরেছে নারীও শিশু। খালেদা বললেন, “গনহত্যা” বন্ধ করুন। শাহবাগিদের গায়ে আগুন ধরে গেল। কয়েকশত মানুষের মৃত্যুকে বলে “গণহত্যা”/ মুক্তিযুদ্ধের “চেতনাকে” অপমান!!! তখন কষ্ট পেয়েছি। মানুষের জীবনের ক্ষয় যাদের কাছে অপাংক্তেয় তারা কখনো সুবিচারের পক্ষে দাঁড়াতে পারে না। “ফাঁসি” চাওয়া পর্যন্তই এদের দৌড়। গতকাল অগ্নিদগ্ধদের দেখতে যেয়ে হাসিনা বললেন, “গণহত্যা” বন্ধ করুন। এবার ঠিক আছে। হাসিনা যখন বলেছেন, তখন নিশ্চয়ই গণহত্যা হচ্ছে। প্রতিটি অগ্নিদগ্ধ মানুষ আমাদের হৃদয়কে দুমড়ে মুচড়ে ফেলে ঠিক যেমনটি অনুভব করেছি ফেব্রুয়ারি, মার্চ বা মে মাসে রক্তাক্ত মানুষের লাশ দেখে। শাহবাগিরা অন্য প্রজাতি। এদের বোঝা আমার দৌড় নয়। এরা বেশির ভাগ “খাঁটি বাঙ্গালী”/ রবীন্দ্রনাথের ভাষাতে বলতে হয় “রেখেছ বাঙ্গালী করে মানুষ করনি”।