#রাষ্ট্রযন্ত্র দখল রেখে ভোটের আগেই অর্ধেক পার্লামেন্টারিআন বাছাই ছিল ভোটের অধিকার হরণ ও ক্ষমতার চিরস্থায়িত্ব প্রতিষ্ঠার একটি নির্লজ্জ উদাহরন। একটি রাষ্ট্রের কাঠামো যখন তার সর্বশক্তি ও মেধা শুধু ক্ষমতা ধরে রাখা আর বিরুধী মত নিশ্চিহ্ন করায় ব্যাস্ত থাকে তাকে ফ্যাসিজম ছাড়া আর কিই বা বলা যায়।এই ফ্যাসিস্ট শাসন ব্যবস্থার দুটি বড় মহীরুহ হল মিডিয়া ও দলীয় আজ্ঞাবাহী দ্বিমুখীশাসন যন্ত্র প্রতিষ্ঠানসমূহ।
* বর্তমানে মিডিয়াতে বিরোধী মতের অপর নিপীড়নের সিকিভাগও উঠে আসছেনা।নিজস্ব মিডিয়া চ্যানেল, অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকা দ্বারা হলুদ সাংবাদিকতার রাজত্ব প্রতিষ্ঠা বিপরীতে বিরধি মত প্রচারের জন্য চ্যানেল ১, দিগন্ত, ইসলামী টিভি বন্ধ এবং আমারদেশ পত্রিকার অফিস ও প্রকাশনা বন্ধ করা হয়েছে । *যেখানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সামনে বিশ্বজিৎকে কুপিয়ে মারা হয়েছিল তার দম্ভোক্তি আমার কিছুই হবে না আর বিপরীতে সারা দেশের বিরুধী দলের নেতা পর্যায়ে যারা ছিলেন তারা হয় জেলে বন্দি নতুবা খুন হয়েছেন নতুবা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন অথবা গ্রেফতার আতঙ্কে গৃহবন্দি হয়ে আছেন।
#তারপরও বর্তমানে বিরুধী দলের নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন থেমে নেই কেননা জনসমর্থন এই দলের প্রতি দিন দিন বাড়ছে যার প্রমান সর্বশেষ ৫ টি মেয়র নির্বাচন।এই নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবী মেনে নেয়া হয়েছিল আওয়ামীলীগের দাবীর প্রেক্ষিতে ১৯৯৬ সালে এবং সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত ৩ টি নির্বাচনের দুটিতেই (গত নির্বাচন সহ) বিএনপি পরাজিত হয়েছে।অর্থাৎ বিএনপির এই আন্দোলন যে ক্ষমতার দখল নয় বরং আপনার আমার ভোটের প্রয়োগের ওপরই ভরসা করছে টা অনেক্তাই স্পষ্ট।আবার এই নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাংবিধানিক বৈধতা কেড়ে নিয়েছে এই আওামিলিগই সকল মতকে অগ্রাহ্য করে আর কেন করেছে সেই উদ্দেশ্য তো এখন পরিষ্কার। আওয়ামীলীগ আজ যে সংবিধানের দোহাই দিচ্ছে তারা কি কখনো বিএনপির অধিনে নির্বাচনে যেত? যে বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে তা হল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাটা পুরো দেশ মেনে নিয়েছিল আর এতে জবাবদিহিতা ও ক্ষমতার এক ধরনের চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স হত। আমরা যারা নিজেদের নিরপেক্ষ দাবী করি তাদের উচিত সবার আগে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবী নিয়ে সোচ্চার হওয়া কেননা আমাদের নিরবতা আওয়ামী ফ্যাসিজমের পক্ষালম্বনেরই সামিল।