অনেকে বলেন ২৯ ডিসেম্বর বিএনপি জনসভা করতে পারে নাই, বিএনপি ব্যর্থ হইছে। কিন্তু ফলাফলটা দেখেন, ঠান্ডা মাথায়।
সবার কাছে, জনগনের কাছে, বিদেশীদের কাছে কী মেসেজ গেছে-
১ ) বিএনপি কে শান্তিপূর্ন কর্মসূচি করতে দেয়া হয় নাই।
২ ) বিএনপি জনসভা করলে মানুষ আসত, মানুষ আসলেই কী? মানুষকে কিসের ভয়। এত জনাতঙ্ক কেন ?
৩) যেই জনসমুদ্র হবে, তাঁকে আওমি লীগ কী মোকাবিলা করতে পারবে না?
৪) সবচেয়ে ভয়ের ব্যপার, বিরোধী দলকে ঠেকানোর জন্য জনগণকে, এমনকি কূটনীতিকদের জিম্মি করে রাখা হইছে।
৫) ৬ মিনিটের অগ্নি বৃষ্টি।
সবাই, জনগন, বিদেশীরা কী বুঝল-
১) আওমি লীগ একটা ফ্যাসিস্ট দল।
২) যারা প্রেস ক্লাব, সুপ্রিম কোর্টে নারকীয় আক্রমন করতে পারে।
৩) বিএনপি-এর জন্য হরতাল বা অবরোধ ছাড়া কোন স্পেস এই সরকার খোলা রাখে নাই ।
৪) মুল তান্ডব কারিরা , আওমি লীগ, এক্সপোজড।
৫) পুলিশ খুব পারটীজান রোল প্লে করে।
বিবেচনা করলে দেখা যাবে, এই জনসভা না করা , কিংবা না করতে পারা , বিএনপির জন্য লাভজনক হইছে।
এখন দেখা যাক,
আমি আপনি যে কোন সিধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে পজেটীভ, নেগেটীভ দুইটাই ভেবে নেই-
এই জনসভা ঘোষণার ব্যাপারেও দুইটা অনুসিধান্ত নেয়া হইছে –
১) পজেটীভ।- জনসভা করতে দিলে তো ভালই ।
২) নেগেটীভ ।
বিএনপির থিংক-টেঙ্ক কি আশা করছিল আওমি লীগ এই জনসভার ব্যাপারে একটুও ছাড় দিবে? গত ৫ বছরের, বিশেষ করে ২০১৩ এর অভিজ্ঞতা একটুও বিবেচ্য হইলে বিএনপির থিঙ্ক ট্যাঙ্ক এই আশা করে নাই । এই জন্যই পাতানো সংলাপের ফাদে বিএনপি পা দেয় নাই।
আর বিএনপির থীঙ্ক ট্যাঙ্ক জনসভার ঘোষণা দিয়ছিল দুই অনুসিধান্ত কে মাথায় রেখেই, বিশেষ করে আওমি লীগ যে কোন উপায়ে জনসভা আটকাবে- এই চিন্তা মাথায় রেখেই।
হাসিনার গেস্তাপো বাহিনী ঠিক পাতানো ফাদেই পা দিয়ে দিছে।
যা যা কাহিনি করছে সব অসাধারণ । ইতিহাসের সবচে ন্যাক্কারজনক কাজ গুলা । ঠিক অনেক ইভেণ্ট না , কিছু দারুন হাইলাইট – আওমি লীগ কি চিজ -একদম এক্স পোজড।
এবং আউটকাম ইজ মাচ মোর দেন এক্সপেক্টেড ফ্রম দ্য ট্র্যাপ ।
হাসিনা , কট বাই ছাত্রলিগ যুবলীগ বোল্ড খালেদা ।