একজন আকরাম খান, ক্রিকেট এবং আমাদের নব্য রাজাকারি

 বিসিসিবি যখন ভারতীয় আনুগত্য স্বীকার করে বাংলাদেশের ক্রিকেট কে ধ্বংস করার প্রস্তাব নিল, সেই প্রস্তাবে যেই সব  ডিরেক্টর সমর্থন জানাইছে তাদের মধ্যে আকরাম খান এর নাম দেখে অনেকেই অবাক হইছে।সুইট, কাডলি, পছন্দনীয় ব্যক্তিত্ব আকরাম খান যার হাত ধরে আইসিসি  সহযোগী দেশ থেকে ওয়ার্ল্ড কাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করলো এবং সেই পথ ধরে টেস্ট স্ট্যাটাস পেলো –সেই আকরাম খান বাকি ২০ জন ডাইরেক্টর এর সাথে দেশের পেটে ছুরি মারবে সেইটা অবিশ্বাস্য লাগছে অনেকের কাছে।

download (6)

আমার  শহরের প্রোডিগাল সান হিসেবে আকরাম ভাই এর আকরাম খান হয়ে ওঠা নিজের চোখে দেখেছি।

উনার মত এত মিষ্টি-ভাসি এবং এত  চমৎকার মানুষ হয় না। শুধু উনি না, উনার পুরো ফ্যামিলিটারই ব্যবহার, চলন, বলন অনুসরণ করার মত । মৃদু ভাষী, খেলা ধুলার ব্যাপারে অসম্ভব প্যাশনেট  এই এই পরিবার থেকে বাংলাদেশের সেরা সেরা  প্রতিভা উঠে আসছে এবং দেশ এই পুরো পরিবারটার কাছ থেকে অনেক পেয়েছে । এবং খেলা পাগল এই মানুষটা দেশের ক্রিকেটকে ধ্বংস করে দেয়ার একটা প্রস্তাবে বিনা বাধায় সম্মতি দিছে সেইটা মানতে উনাকে যারা চিনে তাদের অনেকেরই অবিশ্বাস্য লাগবে।

তার প্রজন্মের অনেকের মতই আকরাম খান  উঠে এসেছে চিটাগাং এর স্টার যুব ক্রিকেট থেকে।

এক সময় জাতীয় দলে ১১ জনের মধ্যে ৭ জন ছিল চিটাগাং এর। সেইটা বলতে গেলে স্টার যুব ক্রিকেটের অবদান।

আমাদের যখন কৈশোর তখন শীত আসলে হই হই রই রই পরে যেত। তখন ক্রিকেট খেলা হত শীত কালে। এবং এই টুর্নামেন্টের এক একটা খেলায় কি পরিমাণ প্যাশন থাকত সেইটা বলে কেও বোঝাতে পারবেনা। তখন অনেক গুলো লেয়ারে খেলা হতো।

স্কুল পর্যায়ে নির্মাণ স্কুল, নবীনদের জন্যে স্টার যুব, তারপর ফার্স্ট ডিভিশন। ফার্স্ট ডিভিশনের  বেশির ভাগ দলের একটা জুনিয়র টিম থাকত যারা স্টার যুবতে খেলত। এবং স্টার যুবতে ভালো খেললে সিনিয়ার টিমের সাথে প্রাকটিসে এর সুযোগ। এবং সেইখানে পারফর্ম করতে পারলে ফার্স্ট ডিভিশন।

একদম অতিরিক্ত ন্যাকা গুডিবয়  স্বভাবের ছেলেরা বাদে মধ্যবিত্ত পরিবার প্রতিটা ছেলে তখন বিকেলে খেলতে বেরোত।

নাম বেটে বা  ইট দিয়ে  নাম্বার লিখে  ব্যাট দিয়ে ঢেকে লটারি করে। কেও যদি ভালো খেলতো তো সে চাইলে স্টার যুব টিমের নেটের পাশে  গিয়ে রিকুয়েস্ট টিকুয়েস্ট করে, একটু বোলিং বা ব্যাটিং করার সুযোগ পেত।   এবং ভালো দেখলেই কোচেরা তাকে সুযোগ দিত।  তারপর আরো ভালো খেললে ফার্স্ট টীমে সুযোগ। এবং এইটা ছিল বিশাল কুল ব্যাপার।

আমার কৈশোরের  বড় একটা সময় গ্যাছে, স্টার যুবতে পাড়ার দলে চান্স পাওয়ার আশায় বাসার সামনের মাঠে ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাত ঘুরিয়ে লেগ ব্রেক আর গুগলি প্রাকটিস করতে গিয়ে। কিন্তু গুগলিটারে  কখনোই কন্ট্রোল করতে পারি নাই। ফলে আমার শিকে ছিড়ে নি। কিন্তু বড় ভাইরা সবাই স্টার যুবতে খেলেছিল। আমি ন্যাচারাল স্পোর্টস-ম্যান না। আর  ভাল না খেললে চান্স পাওয়া অসম্ভব ছিল।

কিন্তু, আবেগের অভাব ছিলনা।  স্কুল শেষে ভাত খেয়েই বিছানায়, লেপ এর মধ্যে লম্বা বালিশ ঢুকিয়ে একটা মানুষের অবয়ব সৃষ্টি করে পেছনের দরজা দিয়ে আউটার স্টেডিয়ামে দৌড়। কি সব দারুন খেলা হত ? এনভায়রনমেন্টটা ছিল নেশার মত। দুইটাকার সি বিখ্যাত ওভালটিন আইসক্রিম  যেটায়  একটা কিসমিস থাকতো। আর আব্বাসের বিখ্যাত  গালি ? হায়রে কি সব স্মৃতি। “কোক খাই নাইম্মোস  না ?”  । ফ্রেন্ডস ক্লাবের সাথে মোহামাডান ব্লুজের ঐতিহাসিক দ্বন্দ্ব।

আকরাম খান  সেই ভাবেই উঠে আসে। উনি চিটাগাং এর প্রোডিগাল সান ।

উনি নামলে ছক্কা নিশ্চিত।  “আকরাম!! বাংলা হোটেল পঞ্চাশ “ ।  মানে ছক্কা যদি বাংলা হোটেলে গিয়ে লাগে, তাইলে ৫০ টাকা। আউটার স্টেডিয়াম প্রস্থে ছোট। উনি খুব কমই মিস করেছেন। উনাকে দেখতাম সারা দিন টুকটুক করে একটা রশিতে বল ঝুলিয়ে নক করত, বারান্দায়। চিটাগাং  এর ভাল প্লেয়ারদের ঢাকায় নিয়ে যেত রেলওয়ে টিমে খেলার জন্যে । পেপারে দেখতাম রেলওয়ে টিম কেমন করছে, আকরাম ভাই কত রান করেছে।  উনি এই শহরবাসীকে নিরাশ করেন নি। উনি আকরাম খান  হয়েছেন। আইসিসি ট্রফি জিতে বাংলাদেশকে ওয়ার্ল্ড কাপে এনেছেন।

সেই স্টার যুব ক্রিকেট বন্ধ হয়ে গেল কেন জানিনা।

শুনেছিলাম, আজগর ফ্যামিলির, ইস্পাহানী, আর আবেদিন ফ্যামিলির গ্যাঞ্জামে  – আমি এত ডিটেল জানিনা। শুধু জানি হটাত  বন্ধ হয়ে গেল। তারপর দেখলাম, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা শুরু  হলো। ডিসেম্বর এর ১ তারিখ থেকে ১৬ তারিখ পর্যন্ত বাঁশ দিয়ে খুড়ে বারোয়ারী মেলা। মাঠ নষ্ট করে দিল, পিচ নষ্ট করে দিল, অসংখ্য মানুষের পদতলে আউটার স্টেডিয়াম এর চমৎকার সবুজ ঘাস নষ্ট হয়ে গেল – চট্টগ্রাম এর অসাধারণ সুন্দর ক্রিকেট কালচার নষ্ট হয়ে গেল, কিশোর আর তরুণদের খেলা বন্ধ হয়ে গেল, পরিচিত অনেকেই ফেন্সি আর গাঞ্জায় ঢুকে গেল। আউটার  স্টেডিয়ামকে আর ভাঙ্গা   হোল ইনার সটেডিয়ামকে দুই তলা করার জন্যে। অদ্ভুত সিদ্ধান্ত। শুধু বছরে এক কি দুইবার ইন্টারনাশ্নাল  খেলায় একটু বেশি দর্শকের জন্যে, শহরের তরুনদের খেলার মাঠ ধ্বংস করা হোল। বিশাল বিশাল ফ্লাড  লাইট দিয়ে মাঠের বসার জায়গা নষ্ট করা হোল। চট্টগ্রাম এর ক্রিকেট থেকে   সত্যিকার এর প্রতিভা আসা বন্ধ হয়ে গেল। অথচ  এই চট্টগ্রাম এক সময় জাতীয়  দলে এক সাথে ৭ জন ক্রিকেটার ফার্স্ট টিমে খেলতো।

2012-05-08__sp04

আমি বিশ্বাস করি, শুধু  মাত্র স্টার যুব ক্রিকেট যদি ঠিক মত চালু থাকত বাংলাদেশের ক্রিকেট  এখন  ভারত পাকিস্তান অস্ট্রেলিয়ার লেভেলে থাকতো।

কিন্তু, সেই ক্রিকেট এখন চেঞ্জ হয়ে গ্যেছে। এখন পুরো দেশের ক্রিকেট ইনফ্রাস্ট্রাকচার জাতীয় দলের ১১ জন খেলোয়াড় তৈরী করার জন্যে ডিজাইন করা। এইটা আমার অদ্ভুত লাগে।

কারণ আমি সব সময় মনে করছি, একটা স্পোর্টস হচ্ছে পাবলিক আর পোলাপানের খেলার জিনিস। মাস  পিপল  স্পোর্টসে পার্টিসিপেট করবে,সেই খান থেকে ফিজিক্যাল ফিটনেস হবে, কম্পিটিটিভনেস শিখবে, হারতে শিখবে। এবং সেই মাস পার্টিসিপেশানে যারা ভালো করবে তারা  কম্পিটিটিভ লিগ খেলবে। এবং লেয়ারে লেয়ারে এগিয়ে এক সময় দেশের প্রধান  লিগে সারা দেশের সব চেয়ে প্রতিভাবানরা খেলবে। এবং তাদের মধ্যে সেরা ১১ জন ন্যাশনাল টীমে   খেলবে।

এইটা একটা বটম আপ ইস্যু। টপ ডাউন না।

এবং এই জন্যে আবার ক্রিকেটকে  অনেকে সমালোচনা করত এই বলে,  এই খেলায় যেহেতু ব্যাট প্যাড এত কিছু লাগে, তাই

এইটা কখনই দেশের প্রধান খেলা হইতে পারবেনা। শুধু মিডল ক্লাস বা আপার মিডল ক্লাস এর খেলা হবে। কারণ, আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষের সেই সামর্থ্য নাই।

সারা পৃথিবীতে সব স্পোর্টস এর মোজেজা এই। আমাদের দেশেও  এই রকম ছিল । আসল ইস্যু হইলো, দেশের ম্যাক্সিমাম মানুষের পার্টিসিপেশান । জাতীয় দলের জন্যে খেলা না, খেলার জন্যে জাতীয় দল।

কিন্তু এখন বিসিসিবি আর তার ইনফ্রাস্ট্রাকচার এবং বাংলাদেশের ক্রিকেট এমন  ভাবে সাজানো হইছে তাতে এখন আছে কিছু ট্রেনিং ইন্সটিটিউশন আর ক্লাব।  সেই খানে বড় লোকের পোলা পাইন মাঞ্জা মেরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে পার্ট দেখাইতে দেখাইতে গিয়ে নেট প্রাকটিস করবে, এবং সেই প্রাকটিসে করে তারা এক সময় বিসিসিবির এলিট প্রোগ্রাম, এই প্রোগ্রাম সেই প্রোগামে আরো প্রাকটিসে করে জাতীয় দলে যাবে। কিন্তু দেশের ব্যাপক জনগোষ্ঠীর খেলার দরকার নাই।

আমি ঢাকায় বিকেলে ঘুরতে গিয়ে শুধু আনমনেই  খুঁজি  খোলা মাঠ। কেও  ক্রিকেট খেলছে কিনা । কেও বোলিং করতে দেখলে, একটু থমকে দেখি বলটা কেমন করলো। তার ডেলিভারি টা কেমন, ব্যাটসম্যান এর স্টান্স টা কেমন। প্রায়ই হতাশ হই, দেখি টোক্কা বোলিং করতে। এবং কষ্ট লাগে যখন দেখি,  সারা শহরে হাতে গোনা কিছু জায়গা ছাড়া – তেমন কেও খেলছে। সারা শহরে ১ হাজার ছেলেও বোধ হয় খেলার  সুযোগ পায় না।    অথচ এই শহরে ১ কোটি মানুষ। দুঃখ তার  মধ্যে ১ হাজার কিশোর ক্রিকেট খেলার মাঠ পায় না। তাহলে কিসের জন্যে জাতীয় দল ? আর সেই জাতীয় দল কেমনে  ভালো খেলবে ? মানুষ যদি খেলার সুযোগ না পায় তো জাতীয়  দল দিয়ে কি হবে ?  সেই দল ভালো খেলবে কেমনে ? নেট প্রাকটিসে করে করে ? ফুহ। খেলা শুরু করতে হয় , নাম বেটে। ইট দিয়ে, দাগ দিয়ে। হারতে শিখে, জিততে শিখে, বাপের টাকায় ট্রেনিং একাডেমীর পিচে নেট প্রাকটিস করে কখনোই খেলা শিখা  যায় না- টেকনিক শিখা যায়। খেলা আর টেকনিক একই জিনিস না।

এইটা আমরা মেনে নিছি। ক্রিকেট এখন হয়ে গ্যাছে, বিসিসিবি সিজেকেপি এবং অন্যান্য সংস্থা গুলোর টাকা বানানোর মেশিন।

বিভিন্ন জেলার ধান্দাবাজ টপ রাজনীতিবিদেরা এখন সেই জেলা ক্রীড়া সংস্থার  চেয়ারম্যান। তারা চিন্তা করে, স্টেডিয়াম এর মাঠে কেমনে একটা মার্কেট করা যায়। কেমনে খোলা মাঠের পাসে দুইটা চেয়ার বসায় দিয়ে চটপটি-ওয়ালাদেরকে দিয়ে ধান্দা করা যায়। বিসিসিবি এখন আইসিসি থেকে টাকা পায়, বিভিন্ন টুর্নামেন্ট করলে, স্পন্সর এবং টিকেট বেচা থেকে টাকা পায়। এবং বিভিন্ন ভাবে বিশাল টাকা  কামানোর মামলা আজকে  বিসিসিবি।  সেই মেশিন চালু রাখতে তাদের জাতীয় দল লাগে।

আজকে বিসিসিবির চেয়ারম্যান যখন সরকারী পলিসি হিসেবে ভারতের দাস থাকার ধারাবাহিকতায় দেশের ক্রিকেটের পেটে ছুরি মারার সিধান্ত নিল তখন আকরাম খানের প্রতিবাদ করতে পারেনা। কারণ, এইযে আকরাম খান – উনি যে ওই খানকার ডাইরেক্টর উনি এই টাকা বানানোর মেশিনের একটা পার্ট।

এই বিসিসিবি ভিত্তিক যে টাকা কামানোর ধান্দা এইটা অনেক বড় ধান্দা। এবং বিসিসিবির সব ডাইরেক্টর এবং আকরাম খানের সেই ভিত্তিক অনেক স্টেক আছে। আমি বলছিনা দুর্নীতি। কিন্তু হয়ত দেখেন, উনার যে ব্যবসা আছে সেইটা তে উনার এর ওর হেল্প লাগে। বাংলাদেশের আজকে কানেকশনের দেশ। আকরাম খান যে বিসিসিবির একজন ডাইরেক্টর সেইটার ভিত্তিতে উনার আজকে এদিক ওদিকে  প্রবলেমে পড়লে মুস্কিল আসান সহজ হয়ে যায়। বা ব্যবসা বাণিজ্যে সুবিধা হয়। প্রধান মন্ত্রীর সাথেও প্রয়োজনে কথা বলা যাবে।

সুইট কাডলি আকরাম খান এখনো সুইট কাডলি আছে। কিন্তু উনি এই নষ্ট যন্ত্রের একটা খুঁটিতে পরিনত হইছেন ।

একজন বিসিসিবির ডিরেক্টর হিসেবে উনার যে ইনফ্লুয়েন্স সেইটা ব্যবহার করে উনার চলতে হয়। বাকি অনেকের মতই। তাই এই পজিশন উনি ছাড়তে পারবেনা।

আমি নিশ্চিত কেউ যদি এই বিষয়ে যদি কেউ উনার সাথে কথা বলেন, আমি নিশ্চিত উনি বলবেন  – দেখো  আমার হাত পা বাধা । আমাদেরকে প্রেশার দিছে। বোর্ড চেয়ারম্যান এর সাথে লাগতে যাবে কে ? আপনিও চিন্তা করে দেখবেন। আসলেই তো কি আর করা ? ভারতের দালাল আওয়ামী লিগ সব দখল করে নিয়ে যাচ্ছে। চেয়ারম্যান যা বলে সেইটা না শুনে কি  টিকতে পারবে কেউ ?আসলেই কিছু করার নাই।

কিন্তু একজেকটলি এই খানেই আসে একজন বিশ্বাস ঘাতকের সাথে দেশ প্রেমিকের পার্থক্য।

আমি বোর্ড এর ইনার মেকানিজম জানিনা। কিন্তু, এইটা জানি। তিনটা মানুষ কিন্তু ছাড় দেয় নাই। প্রতিবাদ করছে। প্রেশার অবশ্যই ছিল। কিন্তু এর মধ্যেই তিনটা ডিরেক্টর কিন্তু সেই প্রেশার উপেক্ষা করছে। বাকি ২০ জন ডিরেক্টর এবং আকরাম খান প্রতিবাদ করতে পারে নাই। দালাল হইছে। যে সন্তানকে উনারা জন্ম দিছেন, নিজের ব্যক্তি স্বার্থ এবং সুবিধাবাদের কারণে সেই সন্তানের পেটে চুরি মারতে উনারা দ্বিধা করেন নাই। যেই তিন জন ডিরেক্টর বোর্ড চেয়ারম্যান এর ইচ্ছার বিরুদ্ধে দাড়াইছে আমি তাদেরকে চিনিনা। তারা হইল এই দেশের ট্রু হিরো। আমি নিশ্চিত তারাও বিসিসিবি  কেন্দ্রিক ধান্দাবাজি করে। কিন্তু দেশের স্বার্থ যখন বিঘ্নিত হইছে তখন তারা প্রতিবাদ করছে, নিজের ধান্দার দিকে তাকায় নাই।

শুধু আকরাম খান বা বাকি ২২ জন ডাইরেক্টর নয় দেশ মাতা না ব্যক্তি স্বার্থ এই ধরনের প্রশ্নের মুখোমুখি আপনি আমি সবাই নিয়ত মুখোমুখি হই। এবং এই ধরনের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে  কে সুবিধাবাদের পথ ধরি এবং কে দেশের পক্ষ নেই, তাতেই  নিয়ত নির্ধারিত হয় কে ২০১৪ সালে এসে কে  নব্য রাজাকার কে নব্য মুক্তিযোদ্ধা।

দুঃখ জনক ভাবে আমাদের দেশে এখনো প্রতি ২৩টা মানুষের মধ্যে ২০ টা মানুষ দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।

এবং আমরা সবাই মিলে  এই ছোট একশন গুলোতে সম্মিলিত ভাবে দেশকে বাঁশ দেই । কিন্তু মুখে আমাদের পিরিতির অভাব থাকেনা। আমরা সবাই, নিজের জায়গা থেকে এই সব যুক্তি দেই। আমাদের তো অসুবিধা আছে, আমার তো পরিবার আছে, আমি যদি ছাড় না দেই তাইলে ক্ষতি হয়ে যাবে এই সব বলে – দেশের পেছন দিয়ে যখন আমরা ঢুকায় দেই তখন যেই ভাঙ্গা দেশটা দাড়ায় সেই দেশটাই হয় বাংলাদেশ।

Leave a Reply

Fill in your details below or click an icon to log in:

WordPress.com Logo

You are commenting using your WordPress.com account. Log Out /  Change )

Facebook photo

You are commenting using your Facebook account. Log Out /  Change )

Connecting to %s