কার্ল ফন কোজেল আমাদের সমস্যায় ফেলেন, গভীর সমস্যায় ফেলেন – দিনরাত নষ্ট করা অস্বস্তি এক।
তার গল্পের প্রথম অংশটুকু শুনতে খারাপ লাগবে না। কান পাতি আসুন।
প্রথম দেখায় মনে হবে যে সত্যজিৎ রায় এই লোককে দেখেই প্রফেসর শঙ্কুর ছবি এঁকেছিলেন। প্রফেসর শঙ্কুর মতো এই জার্মান শাদা দাড়িও বিজ্ঞানী – তবে সেটা কেবল তার নিজের দাবী। ১৯২৬ এ ফ্লোরিডায় চলে আসেন। বলে রাখা ভালো যে ফ্লোরিডা পৌঁছানোর আগে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় ছিলেন এবং তার আগে সম্ভবত ভারতেও ছিলেন (১৯২২ এ জন্ম হয় নেয়া মেয়ে আয়েশা ট্যানজলারের নামের বানান – Ayesha। আমার ধারণা তিনি ভারতে সত্যিই ছিলেন – নৈলে বানানটা হতো Aisha অথবা A’isha) আমেরিকায় এসে চাকরির জন্য কি না জানি না – অনেক মিথ্যা বলতে শুরু করেন। ৯টা কলেজ ডিগ্রী আছে, আগে সাবমেরিনে কাজ করতেন এই জাতীয় গপ্পোবাজি। নামটাও বদলে ফেলেন – আগে ছিলো কার্ল ট্যানজলার (Carl Tanzler) এখন কার্ল ফন কোজেল (Carl von Cosel)। বন্ধুরা বলে ‘কাউন্ট’ কার্ল ফন কোজেল – এলাহী কারবার। চাকরি শুরু করলেন কী ওয়েস্ট হসপিটালের টিউবারকিলোসিস ওয়ার্ডে এক্স-রে টেকনিশিয়ান হিসেবে।
তখনও যক্ষার চিকিৎসা আবিষ্কার হয় নি। জানা আছে যে দরিদ্রদের মধ্যে যক্ষার প্রকোপটা বেশী। এমনি এক গরীব ঘরের মেয়ে মারিয়া এলেনা মিলাগ্রো ডি হোয়োস। কিউবান-আমেরিকান, বয়স মাত্র ২১, অনিন্দ্য সুন্দরী এবং মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছে। প্রেমে পড়ে যান ফন কোজেল। শুরু হোলো উপহারের পালা – আজ এটা তো কাল সেটা। কিন্তু হোয়োস কোনো সাড়া দেয় না; ২১ বছরের মেয়ের মৃত্যু নিশ্চিত জেনে ৫২ বছরের “বুড়ার” প্রেমে পড়ার কথাও না। কিন্তু ফন কোজেল তরফে ভাবনা: রোগটা সাড়ানো গেলে নির্ঘাৎ প্রেমের দাবী তৈরী হবে।
ফন কোজেল নিজে ডাক্তার ছিলেন না কিন্তু ওস্তাদী করতে পিছপা হলেন না। হোয়োসের গরীব পরিবার সম্মতিও দিলো। এলেকট্রিক শক, রেডিয়েশন থেরাপি, বিচিত্র সব কেমিকেল আর গাছগাছড়ার – সবেরই প্রয়োগ হোলো কিন্তু বাঁচানো গেলো না মেয়েটাকে। ১৯৩১ এ মারা গেল হোয়োস।
যারা মনে করছেন যে গল্পের শেষ এখানেই তারা ভুল করলেন। গল্প সবে শুরু।
পশ্চিমে ফিউনেরাল খুব শস্তা জিনিস না। এ ব্যয়ভার বহন করলেন প্রায়-অপরিচিত জন ফন কোজেল। শুধু তাই না, তিনি একটা বিশাল স্মৃতিসৌধও তৈরী করলেন। লালবাগে পরীবিবির স্মৃতিসৌধটা যে রকম। বড় একটা ঘর, মাঝখানে শুধু সার্কোফ্যাগাস। একটু বুঝতে হবে ব্যাপারটা। কফিনে দাফন করলে জমিনের পানির জন্য লাশ পচে যায় তাড়াতাড়ি। কিন্তু বন্ধ পাকা ঘরে সার্কোফ্যাগাসের মধ্যে ময়শ্চার কম। তাই লাশ গলবে দেরীতে।
সময় পাওয়া গেলো।
সারাদিন অফিস করে রাতে কবরে চলে যান ফন কোজেল। হোয়োস পরিবার জানে যে এ লোক হোয়োসের প্রেমে পড়েছিলো সত্যিই। তাই তারা ভদ্রলোকের মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়াটাকে ভালোবাসার স্বাভাবিক পরিণতি হিসেবেই নেয়। যে ঘরে হোয়োসের কবর সে ঘরের দুটো চাবি। অন্যটা হোয়োসের বোনের কাছে। কিন্তু পরিবার জানে না রাতে গিয়ে ফন কোজেল কী করে? ফন কোজেল আসলে সার্কোফ্যাগাসের মধ্যে ফর্মালডিহাইড আর অন্যান্য মশলাপাতি দিয়ে লাশটাকে সংরক্ষণ করতে চাইছিলো কাউকে না জানিয়ে।
তখনকার দিনে আরো একটা চল ছিলো। মারা যাওয়ার পরপরই ডেথ মাস্ক বানানো হতো – মানে প্লাস্টার অফ প্যারিস জাতীয় কিছু দিয়ে মুখের একটা ছাচ বানানো হতো এবং এই ছাচ অনুযায়ী আবক্ষ মূর্তি। রাজা রামমোহন রায়েরও ডেথ মাস্ক বানানো হয়েছিলো। ফন কোজেল ডেথ মাস্কও তৈরী করেছিলেন হোয়োসের।
দু বছর ধরে সংসার করতে থাকলেন ওই ছোট্ট স্মৃতিসৌধে। রোজ যান, কথা হয় হোয়োসের সাথে। একটা ফোনও লাগালেন প্রিয়তমার সাথে কথা বলার জন্য – ঠিক কবরের মধ্যে। এভাবে চললো দু বছর।
তারপর হুট করে আর তাকে দেখা যায় না। চাকরিও গেলো চলে হাসপাতাল থেকে – প্রেম খুব ঘন বলে কথা। একদিন দুইদিন করতে করতে দশ বছর চলে গেলো মারা যাওয়ার কিন্তু ফন কোজেলের দেখা নেই। হোয়োসের বোনের কেন যেন সন্দেহ হোলো, বুড়োর তো কবরে আসার কথা। স্মৃতিসৌধে গিয়ে খোঁজ লাগাতে গিয়ে যে ভয়টা সবাই পাচ্ছিলো সেটাই সত্য হোলো। সার্কোফ্যাগাসে হোয়োসের লাশ নেই।
ফন কোজেল বহু আগেই লাশটা ওখান থেকে সরিয়ে ফেলেছে। চাকরি চলে যাওয়ার পর সে দূরে ছোট্ট একটা বাসায় ওঠে এবং সেখানে সে নিয়ে যায় হোয়োসের মৃতদেহ। বড় একটা বিছানার এক পাশে সে আর অন্য পাশে হোয়োস। দশ বছর ধরে লাশ নষ্ট না করার জন্য বিশেষ ধরনের চেম্বার এবং টেকনোলজি প্রয়োজন, বাড়ীতে সে ব্যবস্থা করা অন্তত আশি বছর আগে সম্ভব ছিলো না। তাই লাশটা নষ্ট হয়ে যাচ্ছিলো। প্রচুর পারফিউম, নানান ধরনের তেল ও কেমিকেল ব্যবহার করে ফন কোজেল চেষ্টা করছিলেন প্রিয়তমাকে রক্ষা করার জন্য। মারা যাওয়ার পরপরই তার চুল কেটে রাখা হয়। সেই চুল আর গলে ঝড়ে পড়া চুল দিয়ে তৈরী করা হয় উইগ। আর ডেথ মাস্ক ব্যবহার করে তৈরী হয় মোমের মুখোশ। চোখের কটোরে ঢোকানো হোলো মার্বেলের চোখ। হাড়গুলো জোড়া রাখা হোলো পিয়ানোর তার দিয়ে। নষ্ট হয়ে যাওয়া চামড়ার জায়গায় সিল্ক আর মোমের জগাখিচুড়ি – ভয়াবহ এক পুতুল। পরিয়ে রাখা হয় বিয়ের গাউন।
ফন কোজেলের মতে এটা তার সুখের সংসার। প্রিয়তমাকে সে গান শোনায়, পিরীতের কথা বলে – সংসার হয়ে ওঠে সাবলীল।
এদিকে হোয়োসের বোন মুখোমুখি হয় ফন কোজেলের। জিজ্ঞেস করলো তার বোনের লাশের কথা। ফন কোজেলের গলায় কোনো ভয় কিংবা ক্ষোভ ছিল না। সম্পূর্ণ ঠাণ্ডা মাথায় তিনি বললেন হোয়োসের সাথে তার সুখের সংসারের কথা। দেখাতেও নিয়ে গেলেন ওপর তলায় এবং বললেন আবার আসতে তার বোনের সংসার দেখার জন্য।
ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। কল্পনা করুন আপনার বোনের দশ বছরের পুরোনো লাশ আরেকজনের বিছানায় এবং আপনি তার সামনে দাড়িয়ে। ভয়ার্ত বোন ছুটে গেলো পুলিসের কাছে। এরপর রাষ্ট্র হোলো পুরো ঘটনা। সেন্সেশেনাল ঘটনা, পুরো দেশের মনোযোগ ফ্লোরিডা কীতে। ময়না তদন্ত হোলো হোয়োসের শরীর, জিজ্ঞেস করা হোলো বুড়োকে। বিচার বসলো। সবাইকে অবাক করে দিয়ে সায়ক্রিয়াটিস্টরা জানালো যে ফন কোজেল মানসিক ভাবে অসুস্থ নন।
১৯৫২ সালে ৮৩ বছর বয়সে ফন কোজেল স্বাভাবিকভাবে মারা যান নিজের ঘরে। মারা যাওয়ার সময় একটা লাইফ সাইজের পুতুলকে তিনি জড়িয়ে ধরে ছিলেন। পুতুলের মুখে ডেথ মাস্ক দিয়ে বানানো মুখোশ। তার ডায়েরীর শেষ কথা ছিলো: Human jealosy has robbed me of the body of my Elena ……. yet divine happiness is flowing through me …… for she has survivied death for ever ….. for ever she is with me.
বলে রাখা ভালো যে সে সময়ে ফন কোজেলের প্রেমের এই ঘটনাকে খুবই রোম্যান্টিক বলে ভাবা হতো। ব্যাটা পাগল কিন্তু ভালোবাসায় কোনো খাদ নেই। কিন্তু এখন আর ফন কোজেলকে সেভাবে দেখা হয় না।
হোয়োসের ময়না তদন্ত যারা করেছিলো তারা ১৯৭০ এর দিকে বোমা ফাটান। সময় এবং সমাজটা ভিন্ন বলে সে সময়ে একটা সত্য তারা চেপে গিয়েছিলেন। ফন কোজেল হোয়োসের যোনিপথে একটা টিউব বসিয়েছিলেন এবং টিউবের শেষ প্রান্তে তারা তুলার মধ্যে সীমেন খুঁজে পেয়েছিলেন।
ফন কোজেল হোয়োসের মৃত দেহের সাথে যৌনসঙ্গম করতেন, তিনি ছিলেন নেক্রফিলিয়ায় আক্রান্ত।
আসলেই তিনি হোয়োসের সাথে সেক্স করতেন কি না সেটা নিশ্চিত হওয়ার উপায় নেই যেহেতু সমসাময়িক কোনো প্রমাণ নেই এই দাবীর। তবে মানুষ হাজার হাজার বছর ধরে এই বাজে কাজটা করে আসছে এবং ফন কোজেলের বাকী কাজ নেক্রফিলিয়ার ইঙ্গিত দেয় সত্যিই। বিশ্বাস-অবিশ্বাস আপনার ওপর। এই হলো পাঠক; ফন কোজেলের গল্প।
আপাত দৃষ্টিতে খুবই ডিস্টার্বিং এই ঘটনা – অস্বীকার করবো না – তবে সেটা গল্পের একটা লেয়ার। অন্য অনেক লেয়ারে গল্পটা আমার কাছে খুবই খুবই ফ্যাসিনেটিং।
কেন?
কারণ ফন কোজেল আমাদের এমন সব গুরুতর দার্শনিক প্রশ্নের মুখোমুখি করেন যার কোনো সহজ ব্যাখ্যা নেই। আমার মনোযোগ এই গল্পের খুটিনাটিতে না বরং মানুষ এই ঘটনায় কীভাবে রিএক্ট করেছে যুগ যুগ ধরে – সেখানেই আছে এলেম।
আমাদের প্রথম প্রশ্ন: who owns death?
যারা দর্শন পড়ান তারা মোরালিটি এবং ইথিক্স এর ফারাক নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা আলাপ করেন – সে পথ আমাদের না। তবে খুব মোটা দাগে – মানে অশ্লীল রকমের মোটা দাগে মোরালিটিকে বলা যেতে পারে ব্যক্তি পর্যায়ের নৈতিকতা আর ইথিক্স হোলো ব্যক্তি সমাজ পর্যায়ে যে নৈতিকতার প্রয়োগ করে। আপনি ঘুষ খান না – এটা মোরালিটির প্রশ্ন কিন্তু বিশাল একটা প্রতিষ্ঠানের কর্তা হিসেবে আপনি কর্মরত মেয়েদের মা হওয়া জনিত ছুটি দেবেন কি না – সেটা ইথিক্সের প্রশ্ন।
একটা ছোটো কিন্তু আছে। আমরা মানুষ ইথিক্সের প্রশ্ন তখনই তুলি যখন সে প্রসঙ্গে আমাদের ওনারশিপ থাকে। অপ্টামাস প্রাইম অটোবট এলিটার সম্পত্তি মেরে খেলে আমাদের মনে কোনো ইথিক্সের প্রশ্ন জাগে না কারণ সাইবাট্রন গ্রহকে আমরা ওন করি না।
মৃতের সৎকারের সাথে পরিচ্ছন্নতার সম্পর্ক প্রত্যক্ষ মানি কিন্তু মূলত এটা ইথিক্সের প্রশ্ন। তাই যদি হয় তাহলে মৃত্যু অর্থাৎ এক্ষেত্রে মৃতদেহকে ওন করছে কে?
মৃত ব্যক্তিটি, মৃতের পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, প্রকৃতি না আল্লাহ?
যাকেই আপনি ফন কোজেলের গল্প বলবেন সেই প্রথমে বলবে য়াক, ডিজগাস্টিং। মন বলে, ফন কোজেল কাউকে বা কিছু একটা ভায়োলেট করেছে। এই “কেউ”টা কে? বেশীরভাগ মানুষ প্রথমেই বলবেন যে ফন কোজেল হোয়োসের শরীরকে ভায়োলেট করেছেন যেহেতু হোয়োসের শরীর ব্যবহার করা হয়েছে অনুমতি ছাড়া। এই কাজটা আমরা বছরের পর বছর ইজিপশিয়ান ফারাওদের মমি প্রদর্শন করে (ফারাওরা কি অনুমতি দিয়েছিলেন তাদের মৃতদেহ জাদুঘরে রাখার?)। মানুষ কি তাহলে মৃত্যুর পর তার দেহের ওপর অধিকার হারিয়ে ফেলে?
অন্তত ত্রিশ বছর মানুষ জেনেছে যে ফন কোজেল দশ বছর ধরে একটা লাশের সাথে ঘর-বসতি করেছিলো – এতে তারা প্রশ্রয় সূচক বিস্ময়ে অস্বস্তি প্রকাশ করেছে মাত্র। কিন্তু যখন জেনেছে যে তিনি হোয়োসের মৃত শরীরের সাথে যৌনতাও সম্পন্ন করতেন তখন তারা ক্ষোভে ফেটে পড়েছে – ব্যাটা একটা অসুস্থ দানব। কথা হোলো – কারো তো অজানা ছিলো না যে ফন কোজেলের নিজের মতে সে সংসার করছিলো হোয়োসের সাথে (আদালতেও তিনি এ সাক্ষ্য দিয়েছিলেন)। যে মানুষ একটা লাশকে বিছানার পাশে রেখে দশ বছর ঘর করতে পারে তার জন্য সে লাশের ওপরে ওঠা আর এমন কি?
আমরা মানুষ যে নৈতিকতা নির্ণয়ে কোনো যুক্তি মানি না – সম্ভবত এ ঘটনাও তার একটা প্রমাণ।
আবার
পশ্চিমের মানুষেরা নৈতিকতার প্রশ্নকে “ক্ষতি” দিয়ে মাপে। অর্থাৎ কোনো কিছু যদি কারো কোনো ক্ষতি না করে তাহলে তা অনৈতিক না (আমরা আবার এরকম না। কেউ বাংলাদেশের পতাকার ডিজাইনের আন্ডারওয়ের পরে এবং কাউকে সে যদি তা নাও দেখায় তাহলেও তা অনৈতিক)। কিছুক্ষণের জন্য চিন্তা করুন যে হোয়োসের বোনটি যদি ‘৪২ এ মারা যেত তাহলে হয়তো কেউই কোনদিন জানতো না যে বুড়া মৃত শরীরের সাথে সেক্স করে। সেক্ষেত্রে কিন্তু কারো কোনো “ক্ষতি” হয় না। মনে রাখতে হবে যে ফন কোজেল ঠিক টেড বান্ডী না – মানে তিনি মৃতের সাথে সেক্স করার জন্য জীবিতকে হত্যা করেন নি। একটা মৃত মানুষের সে যদি সেক্স করে এবং কেউ যদি তা জানতে না পারে এবং আরেকটা শর্ত যদি আমরা কল্পনায় যোগ করে নিই যে এই সঙ্গমে কোনো রোগ বাহিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই – তাহলে পিওর রিজনের দিক থেকে এই বন্দোবস্তে কারো কিন্তু কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। সেক্ষত্রেও কি এই বন্দোবস্ত অনৈতিক?
আমার ধারণা যারা হার্ম প্রিন্সিপাল ধরে নৈতিকতার শুমার করেন তাদের অধিকাংশও এ কাজটাকে অনৈতিক বলবেন। মানুষ যে নৈতিকতার প্রশ্নে প্রথমে ইন্সটিংটিভলি সিদ্ধান্তে আসে তারপর সুবিধামতোন যুক্তি দিয়ে তার পেছনের সিদ্ধান্তকে জাস্টিফাই করে এ ঘটনা হয়তো তার আরো একটি প্রমাণ দেবে।
আমার সবশেষ পর্যবেক্ষণ: মানুষ এক অদ্ভূত কারণে জীবিতের শরীরের প্রশ্নে পবিত্রতাকে প্রাসঙ্গিক মনে করে না কিন্তু মৃতের শরীর – যা নিথর এবং পচনশীল – তাকে মনে করে পবিত্র। ফন কোজেল কোনো নিথর মরদেহ না, পবিত্রতা প্রসঙ্গে আমাদের যে অলংঘনীয় উচ্চ ধারণা – সম্ভবত তার ওপরেই সওয়ার হয়েছিলো।
অনেক ধন্যবাদ ফাহাম ভাই। আমি নেক্রোফিলিয়া নিয়ে বেশ কয়েকপর্ব লিখেছিলাম মাস তিনেক আগে। আপ্নার এই বিস্তৃত এনালিসিস ব্যাপারটাকে আরো পরিষ্কার করে দিলো।
http://aurnabarc.wordpress.com/2013/05/14/%E0%A6%AA%E0%A7%88%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BE/