by: Aman Abduhu
তথাকথিত গণজাগরণের শাহবাগিরা টাকার ভাগ নিয়ে মারামারি শুরু করছে। এবং এতে আমরা আনন্দ প্রকাশ করছি। কিন্তু, হাড্ডি নিয়ে কুকুরদের কামড়াকামড়ি দেখে আসলেই কি অ-শাহবাগি অথবা বাংলাদেশর সুস্থ মানুষদের খুব বেশি আনন্দিত হওয়ার কিছু আছে?
যে কোন আন্দোলন বা সম্মিলিত কাজ করতে গেলে টাকার দরকার হয়। এটা কোন অপরাধ না। অপরাধ হলো টাকাটা যে কাজে খরচ করার কথা, তা না করে আত্মসাৎ করা। যে কাজটা খুব স্বাভাবিকভাবে করেছে গাজামঞ্চ।
তো? তাদের এই দুর্নীতি কি খুব বেশি অপ্রত্যাশিত ছিলো? বাংলাদেশে এ কাজ কি শুধু শাহবাগিরাই করেছে?
শাহবাগিরা একটা জায়গায় গিয়ে এখনো নিজেদের পরিচয় অস্পষ্ট রেখে দিয়েছে। এটা কি কোন রাজনৈতিক দল? না কি গাঁজাখোর হতাশাগ্রস্থ সুযোগসন্ধানীদের ক্লাব, এটা তারা পরিস্কার করেনি। দু’ নৌকাতে পা দিয়ে যতদিন চালানো যায়। আরেক শাহবাগি সাংবাদিক খালেদ মহিউদ্দিন যখন ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভিতে এ প্রসঙ্গে চেপে ধরেছিলো, মঞ্চের পান্ডারা এ প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছে। কথা ঘুরিয়ে দিয়েছে।
তবে বাংলাদেশে সব শ্রেণীতেই দুর্নীতি আছে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় পার্টি থেকে শুরু করে জাগপা, ন্যাপ, সিপিবি সব রাজনৈতিক দলেই এটা কম বেশি আছে। অথবা এফবিসিসিআই থেকে শুরু করে মহল্লার দুর্বার ক্লাব পর্যন্ত।
সর্বব্যাপী এ অসততা আর শয়তানি বন্ধ করার, নিদেনপক্ষে কিছুটা চেক দেয়ার, বড় একটা উপায় হলো জবাবদিহীতার ভিত্তিতে হিসাব রক্ষণ। পুরো পৃথিবীর মানুষ এটা মানে, শুধু বাংলাদেশের না। আর এখানে এসেও শাহবাগিরা তাদের চরম পশুসুলভ চরিত্র প্রকাশ করেছে। একজন সুস্থ মানুষ যদি কোন খারাপ কাজ করে, তাকে বুঝানো যায়। কিন্তু একটা পশু যদি কোন খারাপ কাজ করে, তাকে বুঝাতে গেলে উল্টা কামড় খেতে হয়।
শাহবাগিদের বড় একটা বৈশিষ্ট্য হলো, তারা যে কোন খারাপ কাজ করে পুরোপুরি নির্দ্বিধায়, খোলা গলায় সে খারাপ কাজটাকে ভালো ও গ্রহণযোগ্য হিসেবে বলে যেতে থাকে। এটা তারা তাদের অবৈধ জন্মদাতা আওয়ামী লীগ থেকে জেনেটিকালি পেয়েছে।
শাহবাগি এক পান্ডা, ঘৃণ্য যৌনকর্ম সম্পর্কিত লেখক ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসবিদ তার স্ট্যাটাসে লিখেছে “একটা সময় শেখ রেহানা আপার কাছ থেকে টাকা পয়সা নেওয়া হতো আমার ব্লগের খরচপাতি দেখায়া যে অনলাইনে এইটা আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করতেছে। এখন আর কে কে দেয় কে জানে। দিন বদলাইছে, এখন অনুদান দিলেও সেইটা আবার ফেরত চাওয়ার নিয়ম শুরু হইছে। লোকজন মালিকানার কাগজ দাখিল এবং অনুদানের হিসাব চাওয়া শুরু করলে খেলাটা কেমন হবে ভাবতেছি”।
কথা দীর্ঘ না করে, তিনটা অনুসিদ্ধান্ত।
১. শাহবাগ আন্দোলন প্রসব হওয়ার আগেই, গর্ভে থাকাকালীন সময় থেকে শেখ পরিবার সরাসরি এর পরিচর্যা করে আসছে।
২. হাসিনা রেহানা বোনদ্বয়ের এতোই টাকা আছে যে, কিছু লাফাঙ্গা কুকুরের সামনে হাড্ডি হিসেবে থোক থোক টাকা দেয়া কোন ব্যাপার না।
৩. শাহবাগিরা যেখানে সরাসরি বাংলাদেশের রাজপরিবারের সদস্য থেকে টাকা নিতে পেরেছে, সেখানে বিভিন্ন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান, শিল্প কারখানা, অফিস আদালত, সংগঠন আর ব্যাক্তির কাছ থেকে টাকা আদায় করা তাদের জন্য কোন ব্যাপার না।
এ তিনটা অনুসিদ্ধান্তের পর শেষ একটা শাহবাগি মোরাল।
টাকা দিবেন, কিন্তু কোন জবাবদিহীতা আশা করলে আপনি স্বাধীনতা বিরোধী। স্বচ্ছতা ও সততা প্রত্যাশার অর্থ হলো আপনি চেতনাগুরু স্যার জাফর ইকবালের ফিল্টার পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ।
ষাঁড়ের আদর্শ আসলেই ব্যাতিক্রমী, অভূতপূর্ব। যুদ্ধ যেমন অস্ত্র দিয়ে হয়না, অমিত সাহস দিয়ে হয়। এই বাংলাদেশে চেতনার বাস্তবায়নও তেমনিভাবে সততা দিয়ে হয়না, লাল পর্দার আড়ালে পকেট ভর্তি করা দিয়ে হয়।
Omi Pial’s complete Status 4/10/2014
“
Omi Rahman Pial
নীতিমালার এই পরিবর্তনটা চোখে পড়ছে শাহবাগে গণজাগরণ শুরু হওয়ার পরপর।হঠাৎ আইজু খেইপা উঠলো এই জাগরণের বিরুদ্ধে। আর রাতারাতি দেখি সুশান্তের টোন চেইঞ্জ। এইটা আরো শক্ত হইলো যখন সামু ব্লগ সরকারের তোপে, সচল নেহাতই এক সুশীল ব্লগ, ছাগুদের আশাভরসার সোনার বাংলা ব্লগ বন্ধ। ওইসময় আমার ব্লগের ট্রাফিক ভালো। ব্লগের দুই কোর ব্লগার আমি আর আরিফ জেবতিক শাহবাগে। তো যেইখানে আমার একটা পোস্টের সার্বিক হিট এদের সবার (আইজু সুশান্ত আমার ব্লগের মঞ্চবিরোধী মোর্চা এবং ঘ্যাং) মোট হিটের থেকেও বেশী থাকে আমার একটা প্রিভিলেজ তো পাওয়ারই কথা এই বিষয়ে। আইজুরে বললাম এইসব বালছাল বইলা আমাদের বিব্রত না করতে। বাহ, আমার ব্লগে দেখি আমারই এক্সেস ব্যান। তখন বুঝলাম সত্যিই মালিকানা বদলাইছে।
এখন শিয়াল পন্ডিত এবং কুমীরের সাতটি ছানার গল্পটার কথা নিশ্চয়ই মনে আছে সবার? ছয়টারে খাইয়া সে একটারেই সাতবার দেখাইছিলো কুমীররে। আমি এইখানে তেমনই একটা গন্ধ পাইতেছি। কারণ আইজু বাকোয়াজ দেয় আমার ব্লগ এখন তার, শারুণ আমারে আগে বলছে আমার ব্লগে তার শেয়ার আছে, কয়দিন আগে শুনলাম মাসকাওয়াথ ভাইও আমার ব্লগ কিনছেন, কানাডার এক এ টিমারও শুনছি আমার ব্লগ কিনছে. আবার ব্লগারদের একটা জোটও নাকি আমার ব্লগের মালিক, শোনা যায় আওয়ামী লীগের দুইজন মন্ত্রী নাকি আমার ব্লগের মালিক। লন্ডনের নাস্তিক জোটও নাকি আমার ব্লগ কিনছে। হোয়াট দ্য ফাক ম্যান। আমার ব্লগ তুমি আসলে কার? তাইলে ওইখানে আমার লেখা পোস্টগুলা কার? আমার নাকি তাগো? যে যার খুশী মতো কোনো এক এএসপিরে বেইচা দিবো কোনো ডিলের বিনিময়ে!!!
পুনশ্চ: একটা সময় শেখ রেহানা আপার কাছ থেকে টাকা পয়সা নেওয়া হতো আমার ব্লগের খরচপাতি দেখায়া যে অনলাইনে এইটা আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করতেছে। এখন আর কে কে দেয় কে জানে। দিন বদলাইছে, এখন অনুদান দিলেও সেইটা আবার ফেরত চাওয়ার নিয়ম শুরু হইছে। লোকজন মালিকানার কাগজ দাখিল এবং অনুদানের হিসাব চাওয়া শুরু করলে খেলাটা কেমন হবে ভাবতেছি … — feelingcurious.