বেগম জিয়ার কাছে জাতির প্রত্যাশা

জনগণ প্রার্থনা করে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের জন্য যে বাংলাদেশ বিভক্ত নয়; যে দেশ অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতমুখী; শুধুই অতীতআশ্রয়ী নয়। যে বাংলাদেশ জনগণের; ক্ষমতাসীনদের লুটপাটের দেশ নয়। যে বাংলাদেশ প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় কিন্তু নতজানু ক্রীতদাস হতে চায় না। জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে জনগণ আপনার কাছ থেকে তেমন রাজনীতিই আশা করছে, যে রাজনীতি বাংলাদেশী নাগরিকদের মাথা উচুঁ করে বাঁচতে সহায়তা করবে।

খালেদা জিয়া

খালেদা জিয়া

বেগম জিয়া একজন মিতভাষী মানুষ। তার শান্ত ও ধীর স্হির বক্তব্য এদেশের কোটি কোটি মানুষের পছন্দ। এমনকি যে মানুষটি বিএনপির রাজনীতি করে না সেই মানুষটিও প্রতিপক্ষের উত্তেজনাময় বক্তৃতার বিপরীতে তার ধীরস্হির ও শান্ত বক্তব্যকে প্রশংসা করে। ২০০১ সালের নির্বাচনে বেগম জিয়ার শেষ মুহুর্তের বক্তৃতা বিএনপির কয়েক শতাংশ ভোট বাড়িয়ে দিয়েছিল। ভাসমান ভোট ব্যাংকের ভোটগুলো তার দলের ভোট বাক্সে পড়েছিল। ফলে আওয়ামী লীগের চেয়ে অনেক বেশি সিট পেয়ে তিনি সরকার গঠন করেছিলেন।

তিনি রাজনীতির সঙ্গে প্রথম পরিচিত হন ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধের মাধ্যমে। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ একটি রাজনৈতিক লড়াইও ছিলো। সেই লড়াইয়ে তার স্বামী লে. জেনারেল (তৎকালীন সময়ে মেজর) জিয়াউর রহমান একজন লড়াকু সৈনিক হিসেবে প্রথমে ১ নং সেক্টর এবং পরে জেড ফোর্সের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। অকুতোভয় এই সেনা কর্মকর্তা জীবন বিপন্ন করে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে পাকিস্তানের কারাগারে স্বেচ্ছাবন্দী নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। বীরের মতো রনাঙ্গনে লড়েছেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু তাকে স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বীর উত্তম উপাধি দিয়েছিলেন।

বেগম খালেদা জিয়া এমনই একজন বীর সেনার স্ত্রী, যিনি শুধু দেশ স্বাধীন করার লড়াইয়ে নিজেকে সপে দেননি, ১৯৭৫ সালে জাতি যখন গভীর সঙ্কটে নিমজ্জিত তখন দেশ রক্ষায় সাহসিকতার সঙ্গে সামনে এগিয়ে এসেছিলেন। দল মত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠনে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছিলেন। যে ঝড় ঝাপটা মোকাবেলা জিয়াকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে হয়েছিল, জেনারেল জিয়ার স্ত্রী হিসেবে সেই ঝড় ঝাপটা থেকে তিনিও রেহাই পাননি। প্রাণপ্রিয় স্বামীর মৃত্যুতে ভেঙ্গে পড়েননি। বরং দেশের প্রয়োজনে নিজেকে প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করেছেন।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে অনেক পরে যোগ দিলেও বেগম জিয়া অনেক ঝানু পলিটিশিয়ানের চেয়েও নিজেকে একজন প্রজ্ঞাশীল রাজনীতিক হিসেবে প্রমাণ করেছেন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে। সেকারণেই ১৯৯১ সালের নির্বাচনে জনগণ তার প্রতি আস্হা রেখেছিল। দীর্ঘ নয়বছরের স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়ে জনগণকে গণতন্ত্র উপহার দিয়েছিলেন তিনি। আর জনগণ তাকে উপহার দিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীত্ব।

একাধিকবার বাংলাদেশ পরিচালনা করার অভিজ্ঞতা থেকে বেগম জিয়া নিশ্চয়ই উপলব্ধি করছেন, দেশ পরিচালনা সহজ নয়। বাংলাদেশ একটি ছোট্ট ভূখন্ড। কিন্তু ১৬ কোটি মানুষ। যখন দেশটি স্বাধীন হয়েছিল তখন লোকসংখ্যা ছিল মাত্র সাড়ে সাত কোটি। সেই মানুষদের চাহিদা পূরণ করতে গিয়েও হিমশিম খেয়েছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চাপ মোকাবেলা করে দেশ পরিচালনা করার ক্ষেত্রে দক্ষতার পরিচয় দিতে ব্যর্থতা এবং স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশে শতাব্দীর ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ হয়েছিল ১৯৭৪ সালে। লাখ লাখ মানুষ না খেয়ে মারা গিয়েছিল। শেখ মুজিব নিজ দলের মধ্যে চরম বিশৃঙখলা আর দুর্নীতির ভয়াবহতায় নিজেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিলেন, আমার কম্বল কোথায়?

স্বাধীনতার পরপর রাজনীতিতে তোষামোদকারীদের প্রাধান্য ও প্রভাব সৃষ্টি হয়েছিল। সেই ধারা জিয়াউর রহমান সততা আর সাহস দিয়ে ভাঙ্গতে চেষ্টা করেছিলেন। রাষ্ট্র পরিচালকের ব্যবস্হাপনাগত ব্যর্থতা ও তোষামোদে বিগলিত হওয়ার ফলে কি হতে পারে বাংলাদেশের মানুষ সেটি দেখেছিল ১৯৭২ থেকে ৭৫ সময়কালে। শুধু নেতার সততা ও সদুদ্দেশ্য দিয়ে যে কাজ হয় না, সৎ প্রশাসন ও ব্যবস্হাপনার যে দক্ষ টিম দরকার হয়, সেটি এই দেশের মানুষ বুঝতে পেরেছিল জিয়ার শাসনামলে। এই দুই ধারা থেকে আমাদের করণীয় জেনে নেয়া প্রয়োজন। আমাদের দরকার একজন সৎ নেতার নেতৃত্বে একটি সৎ, সুদক্ষ ও আধুনিক ব্যবস্হাপনা টিম।

সরকার পরিচালনায় আওয়ামী লীগের কর্মকান্ডে বেগম জিয়ার অসন্তুষ্টির কথা গত পৌনে পাঁচ বছরে অনেকবার আমরা শুনেছি। এখন সময় হয়েছে নির্বাচনকে সামনে রেখে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বকে জনগণের সামনে তুলে ধরার পাশাপাশি প্রতিপক্ষের দুর্বলতাগুলো তুলে ধরার। এ ব্যাপারে বিএনপি এবং এর নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের প্রস্তুতি কেমন জানি না। জনগণ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ওয়াদা বরখেলাপের বড় বড় ঘটনা দেখেছে। কিন্তু তা নিয়ে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে চুলচেরা বিশ্লেষণ দেখতে পায়নি। বিরোধী দল হিসেবে শেয়ার বাজার দুনর্ীতি, হলমার্ক দুনর্ীতি কিংবা এমন আরো বড় বড় আর্থিক দুনর্ীতির বিরুদ্ধে কার্যকর চাপ সৃষ্টি করেনি। জনগণ দেখেনি সংসদে তাদেও সরব উপস্হিতি কিংবা সাগর রুনি হত্যাকান্ডসহ অমিমাংসিত হত্যাকান্ডগুলোর ব্যাপারে সোচ্চার হতে। ভারতের সীমান্ত হত্যার প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির সুনির্দিষ্ট ও কঠোর সমালোচনা জনগণের সামনে ফুঁটে উঠেনি। আরো অনেক বিষয় রয়েছে যেখানে শক্তিশালী বিরোধী দলের ভূমিকা দেখা যায়নি, যা জনগণের একান্ত প্রত্যাশা ছিল।

নির্বাচনের সময় যতো ঘনিয়ে আসছে টেনশন বাড়ছে। সাধারণ জনগণ উদ্বিগ্ন। বিরোধী দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা প্রতিপক্ষ দলের নেতৃত্বাধীন সরকারের কর্মকান্ড মোকাবেলায় প্রয়োজনে জনগণকে ‘দা-কুড়াল’ নিয়ে মাঠে নামার আহ্বান জানিয়েছেন। এই তো সেদিন ২০০৬ সালে যখন বিএনপি ক্ষমতায়, তখন তাদের বিরুদ্ধে লগি-বৈঠা নিয়ে মাঠে নামার আহ্বান জানিয়েছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ের নেতারা। ফলে লাশ পড়েছিল ঢাকার রাস্তায়। সাধারণ মানুষের চোখের সামনে সেদিনের নৃশংস তান্ডব এখনো স্পষ্ট। সেই সূত্রে দেশে দুই বছরের জন্য পরোক্ষ সেনা শাসন এসেছিল। জনগণ তেমন পরিস্হিতির পুনরাবৃত্তি দেখতে চায় না। বিএনপি কি শেখ হাসিনা ও তার দলের দেখিয়ে দেয়া পথে হাটতে চায়?

১৯৮৬ সালে এরশাদ সরকারের অধীনে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিয়ে তার শাসনামল দীর্ঘায়িত করেছিল। বেগম জিয়া সেপথে হাটেননি। নীতি ও আদর্শ বিচ্যুত হননি, যেকারণে জনগণ তাকে ‘আপোসহীন নেত্রী’ আখ্যা দিয়েছিল। ২০০৭ সালে ক্ষমতায় আসা সেনাসমর্থিত সরকার যখন ‘মাইনাস টু থিওরি’ বাস্তবায়নে অগ্রসর হয়, তখন তার অনমনীয় মনোভাবের কারণেই তা সম্ভব হয়নি। আওয়ামী লীগ যখন হাল ছেড়ে দিয়েছিল, তখন বেগম জিয়াই হাল ধরেছিলেন এবং দেশকে গণতন্ত্রের ধারায় ফিরিয়ে এনেছিলেন। এভাবে আওয়ামী লীগের ক্ষমতার স্বাথর্র্ে নীতি ও আদর্শ বিবর্জিত কূটকৌশলের আপসকামী রাজনীতির সাথে তার ও তার দলের পার্থক্য স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। জনগণ দেখেছে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য কিভাবে জামায়াতের সঙ্গে দোস্তি গড়ে তুলেছিল। কিভাবে ধর্মকে ক্ষমতায় যাওয়ার সিড়ি হিসেবে বিভিন্ন সময়ে ব্যবহার করেছে। আবার সুবিধামতো ধর্মের বিরুদ্ধে অবস্হান নিচ্ছে। পক্ষান্তরে, জনগণ বিএনপির মধ্যে বৈপরিত্য কিংবা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য লোক দেখানো কর্মকান্ড নয়, বরং রাজনীতির ধারাবাহিকতা দেখতে পায়। এই প্রেক্ষাপটে বেগম জিয়া যখন কোন কথা বলেন তখন মানুষ সে কথায় আস্হা রাখে; বিশ্বাস করে। দীর্ঘ ৩০ বছরের রাজনীতির মাধ্যমে তিনি মানুষের আস্হা ও বিশ্বাস অর্জন করেছেন। সে কারণেই জনগণ মনে করে, দেশের ক্রান্তিলগ্নে তিনি দেশ রক্ষায় এগিয়ে আসবেন। জনগণ প্রত্যাশা কওে, ২০০৬ সালের মতো কোনো ‘লগি-বৈঠা’ মার্কা রাজনীতিতে তার নেতৃত্বাধীন দল জড়াবে না। বিএনপি কথা বলবে না আওয়ামী লীগের ভাষায়।

জিয়াউর রহমানের মতো একজন তরুণ বীর যোদ্ধা ও সৎ রাষ্ট্রনায়কের হাতে গড়া বিএনপিকে দেশের সাড়ে সাত কোটি কর্মক্ষম তরুণ জনগোষ্ঠীর দল হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রবীণ ও নবীন নেতৃত্বের একটি নতুন কাঠামো নিয়ে ভাবতে হবে এবং সে লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। বিএনপি যে স্বাধীনতার মূল শক্তির বাংলাদেশী দল, সেই বার্তা নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেয়ার এটাই শ্রেষ্ঠ সময়। আওয়ামী লীগের লগি-বৈঠা স্টাইলের রাজনীতির পরিবর্তে জনগণকে নতুন ধারার রাজনীতি উপহার দিতে হবে। এর ইঙ্গিত সাম্প্রতিককালে বেগম জিয়া দিয়েছেন। জনগণ আশা করছে, তিনি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তেমন কর্মসূচিই ঘোষণা করবেন যা জনগণকে সঠিক পথে চালিত করবে। জনগণ প্রার্থনা করে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের জন্য যে বাংলাদেশ বিভক্ত নয়; যে দেশ অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতমুখী; শুধুই অতীতআশ্রয়ী নয়। যে বাংলাদেশ জনগণের; ক্ষমতাসীনদের লুটপাটের দেশ নয়। যে বাংলাদেশ প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় কিন্তু নতজানু ক্রীতদাস হতে চায় না। জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে জনগণ আপনার কাছ থেকে তেমন রাজনীতিই আশা করছে, যে রাজনীতি বাংলাদেশী নাগরিকদের মাথা উচুঁ করে বাঁচতে সহায়তা করবে।

দুর্নীতির চেক এন্ড ব্যালান্স করার জন্যে এই প্যাটার্ন টাকে ভাঙ্গা – বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অস্তিত্ব রক্ষার একটা বড় প্রশ্ন

1

জিয়া হাসানঃ  তত্ত্বাবধায়ক এর সাথে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অস্তিত্বের একটা বড় সংকটের সমাধান বা মেনেজমেন্ট ইস্যু জড়িত |

আমার উভয় দল দুর্বৃত্তায়িত –তাদের হাতে খাওয়ার সুযোগ ছিল কিন্তু খায় নাই এমন কোনো রাষ্ট্রীয় সম্পদ আমাদের দেশে আর অস্তিত্ব নাই | এইটা স্বাধীনতার পর থেকেই ঘটে যাচ্ছে এবং গত বিশ বছরের এই খাওয়া খাওয়ির সিস্টেমটা একটা নির্দিষ্ট প্যাটার্নে চলছে |

সেইটা হইলো পাচ বছরে একটা দল রাষ্ট্রীয় সম্পদের সম্ভব সর্বোচ্চ পরিমান লুটপাট করে এবং সর্বোচ্চ পরিমান স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে পরবর্তী ইলেকশনটাকে তার নিজের ইচ্ছামত করার একটা আয়োজন করছে |

জনগণ রিয়ালায়জ করছে, এই দুর্বৃত্তায়িত প্রশাসন কে ভেঙ্গে যদি নতুন করে কনস্ট্রাকট না করা যায় এবং যদি আরো পাচ বছর একই স্ট্রাকচারটা বহাল থাকে তো তাদের দুর্বৃত্তায়নের ফাউন্ডেশন এত শক্ত হবে যে তারা একটা ভয়ঙ্কর রূপ নিবে এবং তাদেরকে আবার ভাঙ্গা অসম্ভব হবে | এই চেতনা থেকে ১৯৯৬ সাল থেকে শুরু করে প্রতিটা সরকার পরিবর্তন এর সময় বাংলাদেশ রাষ্ট্রের নির্দলীয় জনগণ যারা ভোটারদের সব চেয়ে বড় অংশ তারা বিরোধী দল এর সাথে সহমর্মিতা প্রকাশ করছে এবং সাথে থাকছে | এবং তাদের নিজের হাতে গড়া প্রশাসনের হাতে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে এই প্যাটার্ন টা ভাঙ্গা অসম্ভব চিন্তা করে তারা নির্দিধায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাইছে |Continue Reading

দেশের মানুষের বাঁচা মরা শেখ হাসিনার হাতে

পাহাড়ের নিচের বসবাসকারী বুদ্ধিমান ব্যক্তির হাতে ধরা পাখি জীবিত না মৃত সেই প্রশ্নের উত্তরের মতোই শেখ হাসিনার হাতেই রয়েছে বাংলাদেশের মাটিতে আরো রক্ত ঝরবে নাকি রক্ত ঝরা বন্ধ হবে সেই প্রশ্নের উত্তর।

এক জ্ঞানী ও পাখির গল্পটা কজন জানেন? হাত তুলুন। যারা জানেন তারা গল্পটা বাদ দিয়ে বাকিটুকু পড়ুন। অন্যরা আমার সঙ্গে থাকুন।

গল্প

গল্পটা হলো এমন। এক পাহাড়ের গোড়ায় এক দুষ্ট প্রকৃতির বুদ্ধিমান লোক বাস করতেন। লোকজন তার কাছে বুদ্ধি পরামর্শ নিতে আসত। তাকে শ্রদ্ধা সম্মান করত। টাকা পয়সা, সোনা দানা উপহার দিত। এভাবেই দিন কাটছিল। একসময় তিনি লক্ষ্য করলেন, তার ওখানে লোকজনের আসা কমে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, লোকজন তারই ঘরের পাশ দিয়ে পাহাড়ে উঠে যাচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানতে পারলেন, পাহাড়ের উপরে নতুন এক জ্ঞানী ব্যক্তির আগমন ঘটেছে। সবাই সেখানেই যায়। লোকজন বলাবলি করে পাহাড়ের উপরের লোকটির জ্ঞান নাকি তার চেয়ে বেশি। পাহাড়ের গোড়ায় বাস করা লোকটির একথা শুনে হিংসে হলো। মনে মনে ঠিক করল যেভাবেই হোক পাহাড়ের উপরের লোকটাকে শায়েস্তা করতে হবে। এবং প্রমাণ করতে হবে যে, পাহাড়ের উপরের লোকটা জ্ঞানী তো নয়ই বরং একটা আস্ত বোকা। তাকে অপদস্থ করতে হবে। যেভাবেই হোক লোকজনকে আবার তার কাছে ফিরিয়ে আনতে হবে।Continue Reading

নেত্রী, অডিও লীকটা খালেদা জিয়ার দেয়া গোল নয়, আপনার ওউন গোল

sheikh-hasina-own-goal

কেমব্রিজ, ৩০ অক্টোবার ২০১৩

এইচ.টি. ইমামের বার্ধক্যে জর্জরিত স্টান্ট সত্ত্বেও শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপিই টেলি কনভার্সেশনের অডিও ফাঁস করেছে।

নেত্রী, গোলটা দিয়েছে আপনার টীমেরই প্লেয়ার, কিন্তু নিজেদের, দ্যাট মিনস আপনার নেটে। এটাকে ওউন গোল বলে। ওউন গোলের স্কোর সব সময়ে “বিরোধী” পক্ষেই কাউন্ট হয়। এটা এত প্রচার করে বলার কিছু নেই।

আর আপনি ওউন গোল খাবেন না বা কেন? আপনার এক প্লেয়ার বলেছিল আপনার বাবার জার্সি খুলে ডুগডুগি বানাবে। আরেক প্লেয়ার আপনার বাবাকে রেড কার্ড দেখানো সেলিব্রেট করতে ট্যাংকের উপর নেচেছিল। আরেক প্লেয়ার যারা রেড কার্ড দেখিয়েছে তাদের শপথ অনুষ্ঠান কনডাক্ট করেছে। এসব লোকজন আজ আপনার ফার্স্ট টীমের প্লেয়ার। এদের দেয়া গোল অপনেন্টের জালে না পড়ে আপনার জালে পড়বে, তাতে আশ্চর্যের কী আছে?
Continue Reading

দুই শীর্ষ নেতার রেকর্ডকৃত টেলিফোন আলাপ প্রকাশ করার ফলে যা হলো…

z

নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবীতে বাংলাদেশের বিরোধী দলগুলো আন্দোলন করছে। তাদের এই আন্দোলন যে যৌক্তিক, এই বিষয়টি কুটনৈতিক পর্যায়ে দৌড়-ঝাঁপ, সংবিধান থেকে সরে এসে সরকার দলীয় নেতার নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার সংক্রান্ত প্রস্তাব এবং বিরোধী দলীয় নেতার নির্দলীয় সরকারের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে সরকারী নেতা ও বুদ্ধিজীবীগণ কর্তৃক জীবিত নির্দলীয় ব্যক্তি খোঁজার প্রচেষ্টার মাধ্যমেই প্রমানিত হয়েছে।
Continue Reading

The answer -my friend – is blowin’ in the wind

20131028-204159.jpg

1. Why Mrs. Khaleda Zia did not withdraw the hartal after the meeting invitation from Sheikh Hasina?

2. Why PM Hasina would invite Khaleda Zia for a face to face meeting after refusing to even think of it for the last five years?

3. Why Mrs. Zia is taking an aggressive stand and showing a position of advantage?

4. Why PM Hasina and her administration seem a bit in a compromising position?

5. Why PM Hasina fired Mahbubul Alam Hanif from the job of ruling party spokesperson?

6. Why ambassador Mozena is visiting India?

Continue Reading

এখন ১৯৯৬ নয়, ২০০৬ ও নয়, এই সময়টা ১৯৭০

by Shafiq
অক্টোবরের শেষ যতই ঘনিয়ে আসছে, রাজনৈতিক আলাপ, উপদেশ, বিশ্লেষন ততই বিভিন্নমাত্রায় জমে উঠছে। সৌভাগ্যবশত বছরের প্রথম অর্ধের তুলনায় এখনকার কয়েক মাসে রাজনৈতিক উত্তাপ রাস্তায় সংঘাতের চেয়ে কথার সংঘাতেই মোটামুটি সীমাবদ্ধ থাকছে। কিন্তু সবার আশংকা যে অচিরেই এই অভাবিত বাগ্বযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে আবার রাস্তার সংঘাতই রাজনীতির নিয়ন্ত্রক হয়ে দাড়াবে। সামনের দিনগুলিতে কি ঘটতে পারে তা অনুমান করার জন্যে বিশ্লেষকরা বার বার সাম্প্রতিক ইতিহাসে একই রকম নির্বাচন-পূর্ব অচলাবস্থাগুলির শরনাপন্ন হচ্ছেন। এটি স্বাভাবিক, কারন বর্তমান বুঝতে হলে ইতিহাসের প্রতি পিছে ফিরে দেখা আবশ্যকীয়।Continue Reading

The Unscientific truth

By Rumi

The following image shows the result of the online opinion poll of the readers of leading  Bangla Daily Prothom-alo. This kind of polls definitely are not scientific polls. Scientific polls are discussed here.  But if you look at these unscientific online polls – poll after poll – day after, month after month – there is no reason to believe that what lies beneath this unscientific truth is the real truth.

Continue Reading