//আওয়ামী সুশীলঃ বিএনপি জামাত আবার ক্ষমতায় আসবে, দেশ পাকিস্তান আর আফগানিস্তান হয়ে যাবে।
জনৈক ব্যক্তিঃ হ্যাঁ ঠিক আছে, আওয়ামীলীগ আসলে দেশ ভারতের অঙ্গরাজ্য হবে, আমরা সবাই ভারতীয় হবো! তাজমহল, গোয়া, কাশ্মীর, কন্যাকুমারী, দার্জিলিং সব জায়গায় বিনা পাসপোর্ট যখন তখন ঘুরতে পারবো। বলিউডের সুন্দর সুন্দর মুভিগুলা ভারতের অন্যান্য জায়গার সাথে আমাদের পূর্ব বাংলায় ও একযোগে মুক্তি পাবে। কি মজা!
আমি চাই আওয়ামীলীগই ক্ষমতায় আসুক!
পাকিস্তান আফগানিস্তানের চাইতেও ভারত ভাল তো! ভালো না? মেরা ভারত মহান!
আওয়ামী সুশীলঃ (ধরা খাইসে, এখন আমতা আমতা করে বলতেসে)
না না! ঐরকম কেন বলছেন? দেশ ভারত হবে কেন? বাংলাদেশই থাকবে? ঐসবে কান দেবেন না! কথাতো ঐ একটাই শিখছেন, ভারতের অঙ্গরাজ্য! ভারতের অঙ্গরাজ্য! আপনি কিভাবে বুঝলেন দেশ ভারতের অঙ্গরাজ্য হবে?
জনৈক ব্যক্তিঃ তো *** **(!) তুই কিভাবে বুঝলি দেশ পাকিস্তান আর আফগানিস্তান হবে?//
* (সংগৃহীত একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস)
চেতনার হোলসেলার লীগ এবং শাহবাগিরা দীর্ঘদিন ধরে ব্লগ-ফেসবুক-পোস্ট-কমেন্টে বিরোধীমতের যত লোককে ভার্চুয়ালি ‘ফাকিস্তানে’ পাঠিয়েছেন তার মোট সংখ্যা বোধকরি বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যার চেয়ে বেশি না হলেও খুব কম হবে না ! রাজনৈতিক একটি ধর্মমতকে তারা প্রায় একটি ধর্মের মর্যাদায় নিয়ে গেছে, সামাজিক-সাম্প্রদায়িকভাবে বিভিন্ন ধর্মের অনুসারী হলেও মূলতঃ তাদের মূল ধর্ম হিসেবে ‘চেতনা’ কেই তারা বার বার তুলে ধরে থাকে। ভিন্নমত হওয়া বা যূথবিচ্ছিন্ন হওয়ামাত্রই তারা ‘বঙ্গবীর’ কে মূহুর্তে রাজাকার বানিয়ে দিতেও কসুর করে না, স্বাধীন সংবিধান রচয়িতাকেও ‘বিভীষণ’ তকমা দিয়ে দেয় _ এই ২য় প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধারা ‘৭১ না দেখেও প্রয়োজনের সময় হয়ে ওঠেন ‘৭১ এর আসল মুক্তিযোদ্ধাদের চেয়েও অনেক বড় মুক্তিযোদ্ধা !
বাংলাদেশে ইসলামের ইতিহাস প্রায় হাজার বছরের পুরনো। এর মাঝে মুহাম্মাদ-বিন-কাসিমের সময় থেকে আজ পর্যন্ত বহু শতাব্দী গত হলেও দেশ আজ পর্যন্ত কখনো পাকিস্তান বা আফগানিস্তান হয় নি। এমনকি খোদ পাকিস্তান আমলেও এই জাতি ঠিক ‘পাকিস্তানি’ হতে পারেনি, ‘৫২ র ভাষা আন্দোলনের সময় উর্দুকে রাষ্ট্রীয় ভাষা ঘোষণার প্রতিবাদে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে এসে অকাতরে গুলির মুখে গর্জে উঠে রক্তদান করা জাতি এই জাতি, আজ ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে সারা বিশ্বে আমাদের ২১ ফেব্রুয়ারীই পালিত হয় _ পৃথিবীর কোন জাতি মাতৃভাষার জন্য এত প্রগাঢ় আবেগ দেখাতে পারেনি। পাকিস্তান আমলেও কিন্তু কোলকাতায় তথা বিভক্ত ভারতে, এবং এই বাংলায় ‘পূর্ব বাংলা’ ‘পূর্ববঙ্গ’ ‘এপার বাংলা’ বলা হত। ‘৭১ এ মুক্তিযুদ্ধ করে হানাদারদের নারকীয় শোষণ-নিপীড়ন থেকে সুদীর্ঘ ৯ মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীন হওয়া এই জাতি ‘৭১ এর আগে হাজার বছরে কিংবা ‘৭১ পরবর্তী ৪২ বছরে কখনো পাকিস্তান বা আফগানিস্তান হয় নি। শুধু গত কয়েক দশকেই তো ইসলামের বিরাট বিরাট নানান আওয়াজ এই বদ্বীপ প্রকম্পিত করেছে। সারা দুনিয়া থেকে আগত প্রায় কোটি-অর্ধকোটি লোকের সমাগমে ঢাকার টঙ্গীতে ‘বিশ্ব ইজতেমা’ হয় _ দেশ কি ‘পাকিস্তান’ বা ‘আফগানিস্তান’ হয়েছে ?
এর মাঝে চেতনার হোলসেলাররা যদি ২ বার(যে করেই হোক না কেন) ক্ষমতায় এসে থাকে তাহলে তাদের অভিযুক্ত ‘বিএনপি-জামাত গং’ ৩ বার ক্ষমতায় এসেছে _ তখনো দেশ ‘পাকিস্তান’ বা ‘আফগানিস্তান’ হয়নি। তাহলে আজ কেন এই অভিযোগ ?
অভিযোগ এজন্য যে তারা নিকৃষ্টতম ঘেঁটুপুত্র হিসেবে যাদের সেবাদাসত্ব করে যাচ্ছে সেও ভারতীয় বর্ণবাদি সাম্রাজ্যবাদি গোষ্ঠির ‘প্রেসক্রিপশন’-‘ব্লুপ্রিন্ট’ অনুযায়ী যা প্রদত্ত সিলেবাস তার বাইরে যাওয়ার মত ব্যক্তিত্ব-সৎসাহস-দেশপ্রেম কোনটাই তাদের নেই। ক্রীতদাসসম ঘেঁটুপুত্রদের অবশ্য তা থাকার কথাও নয়। যাদের প্রভুরা হচ্ছে রাজা লক্ষণ সেনের বংশধর, যিনি বখতিয়ার খিলজির মাত্র ১৭ জন অশ্বারোহীর হ্রেষাধ্বনি শুনে বিচলিত হয়ে মধ্যাহৃভোজন অসমাপ্ত রেখেই রান্নাঘরের দরজা দিয়ে পত্রপাঠ পলায়ন করেন _ তার বংশধর, ইসলাম তথা মুসলিমবিদ্বেষ-মুসলিমভীতি যাদের রক্তে জেনেটিক্যালি শত শত বছর ধরে প্রবাহিত হচ্ছে, তার থেকে আলাদা কিছু কিভাবে হবে ?
ব্যক্তিগতভাবে আমি সাঈদি বা শেখ মুজিব কারোরই ভক্ত-টক্ত না বা কারোর ব্যাপারেই মোহাচ্ছন্ন না _ কিন্তু সামান্য রিংটোনের মত একটা মামুলি বিষয় নিয়ে বৃদ্ধ একজন মানুষকে একদল তরুণ যে চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বীরদর্পে বেদম পিটিয়ে থানায় সোপর্দ করে _ সেই ‘চেতনা’ সম্পর্কে চিন্তিত হতেই হয়। একই যুক্তিতে আগামী দিনে ৭ ই মার্চের ভাষণ কারো রিংটোনে বেজে উঠলে একইরকম ঘটনা রিভার্স হওয়াও কি খুব বিচিত্র কিছু ?
ফ্ল্যাশব্যাকে মনে পড়ে যায় ৬ ই এপ্রিল জাগরণমঞ্চের কর্মীদের একটা ছবি প্রকাশিত হয়েছিল রমনা পার্কে একদল তরুণের একজন পক্ককেশ বৃদ্ধকে প্রচন্ড মারধর করে রক্তাক্ত করে পাঞ্জাবির কলার ধরে বীরদর্পে এগিয়ে যাওয়ার বিরল দৃশ্য। আসল বীরপুরুষ আসলে ছিলেন ‘৭১ এর আসল মুক্তিযোদ্ধারা, যাদের বুকে ছিল আগুন, যারা অমিতবিক্রমে বুকে মাইনে বেঁধে ট্যাংকের সামনে নির্দ্বিধায় ঝাঁপিয়ে পড়তেন, তারা আসলেই অকুতোভয় ছিলেন। কারণ কি ? কারণ ‘৭১ কে নিজের চোখে দেখার কারণে, সে আগুনের সাথে ‘ইনভলভড’ হবার কারণেই সেই আগুণের পরশমণি হৃদয়ে ধারণ করতে পেরেছিলেন। তারা নিজেরাই পশ্চিম পাকিস্তানীদের শোষণ-বঞ্চনা-অত্যাচার-স্বজন হারানোর বেদনার প্রত্যক্ষ অংশীদার ছিলেন _ সেজন্যে ‘৭১ এর মহান চেতনাকে ‘কল্পনা’ করে তাদের ধারণ করতে হয় নি, রীতিমত এক অনিবার্য প্রাকৃতিক অবশ্যম্ভাবীতায় তা তাদের রক্ত-অস্থিমজ্জায় মিশে গিয়েছিল, যেতে বাধ্য হয়েছিল। ওনাদের জন্য আক্ষরিক অর্থেই ‘৭১ এর চেতনা ‘ন্যাচারাল’ একটি বিষয়, যা অপরিহার্য-অবিচ্ছেদ্য একটি প্রত্যঙ্গের মত।
আজকের শাহবাগিদের চেতনা মোটেই সেরকম বা তার ধারেকাছে কিছু নয় ! শাহবাগি চেতনা একটি টকসিকেটেড ভালগার রোমান্টিসিজম। ৪২ বছর আগের একটি সময় যার সাথে আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক-ভৌগোলিক-সমাজতাত্ত্বিক-সাংষ্কৃতিক কোন রকমের কোন সাযুজ্যতা নেই, কোনরকম কোন সংযোগ নেই, কোনরকম কোন ‘সংশ্লিষ্টতা’ বা ‘ইনভলভমেন্ট’ সরাসরি নেই _ নিতান্ত রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যে একটি সাম্রাজ্যবাদি গোষ্ঠি ও তাদের ‘প্রাদেশিক’ তাঁবেদার শ্রেণীর ঘটানো একটি কৃত্রিম অভ্যুত্থান _ যাকে আসল বিপ্লব না বলে ‘উৎপ্লব’ বলে অভিহিত করা যায়। অতিমাত্রায় কৃত্রিমতা এবং অন্তঃসারশূণ্যতার কারণে গৃহপালিত মতলববাজির ফসল অস্বাভাবিক এক ‘উৎপ্লব’।
প্রথম কয়েকদিন চমক সৃষ্টি করলেও অচিরেই এই উৎপ্লব এক ঐতিহাসিক তামাশায় পরিণত হয়, না হয়ে উপায়ও অবশ্য ছিল না। কারণ এই ‘২য় মুক্তিযুদ্ধ’ এর মহান বিপ্লবীরা ছিলেন ‘৭১ এর সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থায়। ‘৭১ এর আসল মুক্তিযোদ্ধারা যে ভীষণ পরিস্থিতিতে বিশ্বের প্রথম সারির একটি পেশাদার সেনাবাহিনীর মুখোমুখি হতে বাধ্য হয়েছিলেন অনন্যোপায় হয়ে, নারকীয় বঞ্চনা আর অগ্নিগর্ভ ক্ষোভের যে আগুন তাদের বুকে ছিল তার কিছুই শাহবাগিদের দেখতে হয়নি, ফেস করতে হয়নি। অনাহারে-অর্ধাহারে নিরস্ত্র হয়েও সে আগুন তাদের তাড়িয়ে নিয়ে বেড়িয়েছিল বাংলার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে বিক্ষুব্ধ ঝঞ্ঝার মত।
শাহবাগি প্রেক্ষাপটে শহরের সুবিধাভোগী পেটি বুর্জোয়া শ্রেণীর একপাল বালকবালিকা, ক্ষমতাসীন সরকারের পরম পৃষ্ঠপোষকতায় চোখের সামনে ৩ স্তরের সশস্ত্র পুলিশি নিরাপত্তা বেষ্টনী/ ব্যক্তিগত গানম্যান/ সরকারি খরচে মঞ্চ/ প্রচুর অর্থ/দেশবিদেশ থেকে আসা বিপুল পরিমাণ চাঁদা/ বিভিন্ন সুযোগসুবিধা/ রেগুলার গরমাগরম বিরিয়ানির প্যাকেট/ মোবাইল টয়লেট/স্লিপিং ব্যাগ লেপতোষক/ অবাধে নারীসঙ্গে দিনরাত নাচে-গানে-স্লোগানে নরক গুলজার করার জন্য উম্মুক্ত রঙ্গমঞ্চে মুক্তকচ্ছ উল্লম্ফনের জন্য ৩ মাসব্যাপী নিশ্চিন্ত আবাস ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি। আসল মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহতার কিছুই শাহবাগিদের ফেস করতে হয় নি _ ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। ফার্মের মুরগি দিয়ে আর যাই হোক _ বিপ্লব হয় না।
ফার্মের মুরগিকে দানা, মানে এক জায়গায় বসিয়ে দীর্ঘকাল ধরে অনবরত পোলট্রি ফিড খাওয়াতে খাওয়াতে যেমন সেগুলো নির্জীব একদল স্বাস্থ্যবান মুরগিতে পরিণত হয়, যা শুধুমাত্র জনজীবনে মাংসের ৩য় শ্রেণীর চাহিদা মেটাতে বিস্বাদ একটি বিকল্প _ শাহবাগিরা তার চেয়ে বেশিমাত্রায় লীগদের শুধু হতাশই করেনি, ৬৫ বছরের পুরনো একটি রাজনৈতিক দলকে দীর্ঘকালস্থায়ী বিপদের মধ্যে নিপতিত করেছে। যে কারণে প্রথমদিকে মঞ্চে ওঠার জন্যে লীগ নেতারা পাগলপারা হলেও আজ ভুলক্রমেও তাদের শাহবাগের নাম নিতেও শোনা যায় না, শাহবাগ এখন চেতনার হোলসেলারদের কাছে একটি অব্যক্ত দুঃস্বপ্নের মত। একদল ফার্মের মুরগিকে দিয়ে লড়াকু বিপ্লবের দুঃস্বপ্ন দেখার অশুভ ক্ষণটিকে আজ হয়তো শুধু অব্যক্ত গালাগালি দিয়ে যাচ্ছে, তবে আগামী দিনে চেতনার হোলসেলাররা বছরের পর বছর ধরে আসল ভুক্তভোগী হতে হতে অবিরাম অভিশাপ-শাপশাপান্ত করে যাবে শাহবাগিদেরকে।
২০১৩ প্রজন্ম ‘৭১ দেখেনি, কিন্তু তারা চোখের সামনে দেখছে কিভাবে শক্তিশালী প্রতিবেশী ভারত সুন্দরবন গ্রাস করতে চাচ্ছে, ট্রানজিটের নামে দেশের সড়কগুলোর ১২টা বাজিয়ে ভারী ভারী লরি নিয়ে বেনাপোল থেকে ত্রিপুরা বিনামূল্যে নির্বিঘ্নে চলে যাচ্ছে ত্রিপুরায় বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য, বাংলাদেশকে সেজন্যে মূল্য বা বিদ্যুতের পরিবর্তে দেয়া হচ্ছে শুকনো ‘ধন্যবাদ’, চড়া মূল্যে ভারত ঠিকই বিক্রি করছে বিদ্যুত আলাদা চুক্তি করে, ১০ হাজার কোটি টাকার ব্যান্ডউইডথ ভারতকে ২০ বছরের নবায়নযোগ্য চুক্তিতে মাত্র ৮০ কোটি(!!) টাকায় দিয়ে দেয়া হচ্ছে, প্রতিদিন সীমান্তে ৩য় শ্রেণীর নোংরা বিএসএফ হত্যা করছে বাংলাদেশি নাগরিকদেরকে, ফেলানির লাশ ঝুলে থাকছে কাঁটাতারের বেড়ায় বেকসুর খালাস পাচ্ছে ফেলানির খুনি _ আরো হাজার ঘটনা কিন্তু এই প্রজন্ম নিজের চোখে দেখছে, দেখে যাচ্ছে। তারাই শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ বেকুব _ যারা মনে করে এই ‘দেখে যাওয়া’ র কোন প্রতিক্রিয়াই বাংলাদেশের ২০১৩ প্রজন্মের যুবকদের থেকে কখনো হবে না।
তারা যদি মনে করে সমস্ত অপকর্ম ‘চেতনা’ নামতা শুনিয়ে এভাবেই চালিয়ে যাবে _ তার মূল্য বড় মর্মান্তিকভাবে তাদের অচিরেই শোধ করতে হবে, একইভাবে তাদের উত্তরসূরীদেরকেও এর দায় বহন করে যেতে হবে। সত্যি বলতে কি এর প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে বাংলাদেশে।
এখন ঘটনার উত্তাল পালাবদলে না হোক, কালক্রমে তারা বুঝতে সমর্থ হবে যে কি কুক্ষণেই না অভিশপ্ত এক ইডিয়সীর শিকার হয়ে তারা ৮৫% মুসলমানের দেশে ‘সেকুলারগিরির’ এর প্যাকেজে শয়তানের মুত্র ভরে অমৃতজ্ঞানে আকন্ঠ পান করেছিল !
Recent Comments