প্রথমেই বলে রাখি এই লেখাটি মূলত আওয়ামী লীগের রাজনীতি যারা সমর্থন করেন তাদের জন্য কিন্তু আমি নিজে সেসব সমর্থকদের একজন নই। সম্ভবত আওয়ামী লীগের রাজনীতির সমর্থক না হওয়ার জন্যে আমার পক্ষে আউট অফ দা বক্স চিন্তা করাটা যতোটা সহজ, অন্য অনেকের জন্যে ঠিক ততোটা সহজ নাও হতে পারে।
Continue Reading
Featured
খালেদা ঠিক কি কি বললে ফোনালাপ ফলপ্রসূ হতে পারতো : পলিটিকাল স্যাটায়ার
হাসিনাঃ আপনার রেড ফোনে অনেক বার কল দিয়েছি। আপনি ইচ্ছা করে রেড ফোন নষ্ট করে রেখেছেন। আমার কল ধরেননি।
খালেদাঃ জি, ঠিক বলেছেন। আসলে হয়েছে কি, সাদেক হোসেন খোকা দা-কুড়াল নিয়ে আমার বাসায় এখন লুকিয়ে আছে। তো কোরবানির দিন খোকা আমার রেড ফোনটাকে গরুর মাংসের দলা ভেবে কোপ মেরেছে। তাই ফোনটা এখন নষ্ট। সুস্থ আলোচনার স্বার্থে আমার ফোনটা মেরামত করে দিলেই পারেন।
Continue Reading
সংখ্যালঘু নিরাপত্তা প্রসঙ্গ: ইসলাম কী বলে?
আসিফ সিবগাত ভূঞা
আমাদের দেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সবসময়ই একটি বড় রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবে পরিগণিত হয়। বিশেষ করে সেক্যুলার ও বামপন্থি রাজনৈতিক মহলের একটি অভিযোগ যে বিএনপি সমর্থিত জোট – যার সাথে ইসলামপন্থি দলগুলো রয়েছে – ক্ষমতায় এলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সমূহ নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। ২০০১ সালে চারদলীয় জোট ক্ষমতার আসার সাথে সাথে এথনিক ক্লেনজিঙের একটি জোর অভিযোগ উঠেছিলো। বহু পত্রপত্রিকায়, বিশেষ করে ডেইলি স্টারে, সচিত্র কিছু প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিলো।
“উইল ডু” জেনারেশান
ভূমিকা
পশ্চিমের সোশাল এলিটদের একটি গ্রুপকে ’৫০ এর দশকে “জেট সেট” বলা শুরু হয়। এদের দেখা মিলত ইউরোপের সব বড় এয়ারপোর্টে, উড়ালের অপেক্ষায়। তখনকার এয়ার ফেয়ার সাধারণদের জন্য অকল্পনীয় রকমের ব্যয়সাধ্য ছিল বলে জেট প্লেনে ভ্রমণ কেবল অতিধনীদের জন্যই বরাদ্দ ছিল (লন্ডন-নিউ ইয়র্ক এখন যেখানে ৬০০ ডলারে ঘুরে আসা যায়, ’৫০ এর দশকে সেখানে আজকের হিসেবে ৫ থেকে ৬ হাজার ডলার খরচ হতো) । অঞ্জন দত্ত তার ‘মালা’ গানটি যে গানের অবলম্বনে/অনুকরণে রচনা করেছেন, পিটার সার্সটেটের সেই “Where do you go to (my lovely)” গানটিতে জেট সেটদের তীক্ষ্ণধী বিবরণ আছে। সে বর্ণনার সাথে বাংলাদেশের অতিধনীদের মিলিয়ে দেখার ইচ্ছা থেকেই এ লেখার শুরু। সাংস্কৃতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে জেট সেটদের সমার্থক কোনও শ্রেণী বাংলাদেশে আছে কি না, থাকলে তাদের কী নামে ডাকা যায়, কতো সম্পদ কিংবা ঠিক কী ধরনের আচরণ এদের বিশেষায়িত করে – এ ধরনের বহু প্রশ্ন নিয়ে আমি বাংলাদেশের কিছু অতিধনীদের সাথে কথা বলা শুরু করি, যাদের বয়স ২৫ থেকে চল্লিশের মধ্যে। নিজেরা অতিধনী না বাবা অতিধনী এই পার্থক্যে আমি যাই নি যেহেতু সামগ্রিকতার খোঁজ দেয়া আমার পক্ষে সম্ভবপর না, আমি কেবল নির্মোহভাবে এদের কয়েকজনকে দেখতে চেয়েছি। প্রথমে পরিকল্পনা ছিল যাদের সাথে কথা বলছি তাদের ছবিও জুড়ে দেবো, যেহেতু এই মানুষগুলোকে বোঝার জন্য তাদের চেহারা দেখা খুব জরুরী। সমস্যা হোল, লেখালেখির কথা শুনলে হয় তারা নিজেদের গুটিয়ে নেন, নয়তো বানিয়ে বলা শুরু করেন। একজন বাদে (যিনি নিজেকে অতিধনী মনে করেন না) প্রত্যেকেরই শর্ত, পরিচয় দেয়া চলবে না। তাই আসল পরিচয় ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নাম বদলে দেয়া হোল।
Recent Comments