বুয়েট ভ্যানটেইজ পয়েন্টঃ তিন

1

By: Aman Abduhu
মিশকাত আজ বেশ উত্তেজিত, এইমাত্র জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের ফাঁসি হয়ে গেছে। ফেইসবুকে উত্তেজনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। তার পূর্বসূরী বাংলা ব্লগাররা দশ বছর আগে যে কথা কল্পনা করতে শুরু করেছিলো, আজ বাংলাদেশে তাই ঘটছে। অসম্ভবকে সম্ভব করেছে সরকারী শক্তি, নিজেদের ট্রাইবুনাল আর পুলিশ। বিভিন্ন গ্রুপে প্রচুর মেসেজ আসছে, আপডেট আসছে।

সে ভাবলো এখন ল্যাপটপটা শাটডাউন করে একটু বেড়িয়ে পড়া ভালো হবে। রাস্তায় ঘুরে বন্ধুদের সাথে সেলিব্রেট করার সময় এখন। শাহবাগ নিশ্চয় জমজমাট হয়ে উঠেছে। যাওয়া দরকার। এমন সময় হঠাৎ সে দেখলো তাদের বুয়েটিয়ান গ্রুপে এক স্যার মন্তব্য করেছে। মন্তব্যটা কামারুজ্জামানের ফাঁসির বিপক্ষে।

এই স্যারটাকে তারা চেনে, ইনি বেশ কট্টর জামায়াতের লোক। শাহবাগিদের তো প্রশ্রয় দেয়ই না, উল্টা নিয়মিত নামাজ কালাম পড়ে। স্যারের বউটা বোরকা পড়ে, নন্দিতা নিউমার্কেটে দেখেছিলো স্যারের সাথে। সিনিয়র ভাইরা বলেছেন, ইনি স্টুডেন্ট লাইফেও শিবির করতেন। সুতরাং এটাই সবচেয়ে সেরা সুযোগ। মিশকাত বাকি সব ভুলে গেলো আপাতত।

একই সাথে ঠিক একই মিথস্ক্রিয়া ঘটে গেলো বিভিন্ন হলের রুম থেকে ফেইসবুকে একটিভ থাকা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি কিছু ছাত্রের মাথায়। আরো ঘটলো কিছু প্রাক্তণ ছাত্র, যারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আছে, তাদের মাথায়। উপর্যুপরি আক্রমণ শুরু হয়ে গেলো মন্তব্যে। আর নতুন নতুন পোস্টে। গ্রুপের বাইরেও পাবলিক পোস্ট আসা শুরু হলো। অন্য বেশিরভাগ বুয়েটিয়ান চুপ করে দেখে গেলো। নীরব থাকা ছাড়া উপায় নেই, কিছু বলার অর্থই হলো বিপদে পড়া। ট্রাইবুনালের সাথে, যুদ্ধাপরাধ কিংবা মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারের এ আওয়ামী কাজের সম্পর্কে দ্বিমত করার অর্থ হলো নিজেকে স্বাধীনতাবিরোধী বানিয়ে ফেলা। কেউ কেউ ভাবতে থাকলো, কোন দরকার ছাড়া জাহাঙ্গীর স্যার এখন এসব মন্তব্য করে কেন বিপদে পড়তে গেলেন? কি দরকার ছিলো, চুপ করে থাকলেই তো হতো।

মিশকাত দ্রুত অন্য এডমিনদের সাথে মেসেজ থ্রেডে আলাপ সেরে নিলো। আমেরিকা কানাডা থেকে বড়ভাইরা গ্রিন সিগনাল দিলো। সবাই একমত। রাত সাড়ে এগারোটার দিকে বুয়েট শিক্ষক প্রফেসর জাহাঙ্গীরকে ছাগু গালি দিয়ে বুয়েটিয়ানদের গ্রুপ থেকে ব্যান করে দেয়া হলো।

অনেক উত্তেজনা হলো সব মিলে। এড্রেনালিন রাশ থাকতে থাকতেই গভীর রাতে বন্ধুরা সবাই সেলিব্রেট করতে বের হয়েছে। সবাই অনেক ফুর্তিতে আছে। লাবিব একটা স্টিক বানিয়েছে খুব জবরদস্ত করে। এক টান দিতেই পিনিক এসে গেছে। রুবেল গলা খুলে গান ধরেছে, মুক্তির মন্দির সোপান তলে কত প্রাণ হলো বলিদান। বাকিরাও গলা মেলাচ্ছে, ওদের অনেক আবেগ এসে গেছে। মুক্তিযুদ্ধ বিজয়ের একটা অনুভূতি সবার মাথায়।

নীরব নির্জন চানখারপুলের রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতেই ওদের মাঝে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্লগার আরিফ বললো, দোস্ত সবাই একটা জিনিস ভেবে দেখ, এইসব রাজাকারদের ফাঁসি দিয়ে আসলে লাভ নেই। ধর্মভিত্তিক রাজনীতির শেকড় তুলে ফেলতে হবে। এখনো এই রাজাকারি মানসিকতার লোকজন আমাদের ক্লাশমেট আছে, টিচার আছে। সমাজের সব স্তরে এরা অনেক শক্তিশালী। এদের শিক্ষা দিতে হবে। বুঝিয়ে দিতে হবে, বাংলাদেশে এদের জায়গা নেই।

তখন দীপক বললো, এক কাজ করা যায়। ছাত্রলীগের পোলাপানকে লাগিয়ে দিতে হবে। এরা জাহাঙ্গীর স্যারকে গিয়ে সামনাসামনি থ্রেট দিলে তা ক্যাম্পাসে বিশাল ইমপ্যাক্ট করবে কিন্তু। সবাই একমত হওয়ার পর আর দেরী করার অর্থ হয়না। দীপক ওখান থেকেই কল করলো শুভ্রজ্যোতি দাদার নাম্বারে। দাদা তখন সেলিব্রেশনে, তবু মন দিয়ে শুনলেন সব। বললেন ব্যাবস্থা নেবেন। এরপর দীপক ফোন করে জানিয়ে রাখলো ছাত্রলীগের সেক্রেটারী কনককেও। কনক ভাই বললেন তিনি ফেইসবুকে সব দেখছেন। সব কিছু তিনি জানেন। চিন্তা করার কিছু নেই।

এরপরের ঘটনা ইতিহাস। পরদিন দুপুরে ডিপার্টমেন্টের বারান্দায় দাড়িয়ে মিশকাত-দীপকরা দেখলো, শুভ্রজ্যোতি আর কনকের নেতৃত্বে লীগের ছেলেরা জাহাঙ্গীর স্যারের কলার ধরে টেনে তাকে অফিস থেকে বের করে আনছে। লাথি আর চড় দিতে দিতে পাঁচতলা থেকে নামানো, পঁচা ডিম আর মিষ্টি মাখিয়ে তাকে পুরো ক্যাম্পাস ঘুরানো, শেষে পিটিয়ে ভিসি অফিসের সামনে রেখে যাওয়া। সবকিছু দেখলো পুরো ক্যাম্পাসের ছাত্রছাত্রীরা, শিক্ষকরা।

বাংলাদেশের নামকরা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন হলো প্রকাশ্য দিবালোকে ছাত্রদের হাতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের মার খাওয়ার মাধ্যমে। অপরাধ রাজনৈতিক মতাদর্শের ভিন্নতা। সুতরাং জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে গায়ের জোরে আগে বাড়লো বুয়েট, মগজের জোর পরাজিত হলো উচ্চশিক্ষার আঙিনায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পর ডাকাতদের গ্রাম হিসেবে দ্বিতীয় স্থান দখলে বুয়েট স্বার্থক ও সফল।

ফিরে যাওয়া

আবুধাবীতে ছোটখাটো একটা যাত্রাবিরতী – মনে মনে প্রস্তুত ছিলাম – আবুধাবী ঢাকা রুটের যাত্রীরা উপচে পড়া বাক্স পেটরা নিয়ে বিমানে উঠবে এবং সাথে থাকবে ডিউটী ফ্রী শপ থেকে কেনা গোটা চারেক ব্যাগ ভরা সিগারেট কার্টুন, দুধ, পারফিউম, কম্বল ইত্যাদি। একটা বেশ কেওস এর জন্য রেডী হয়ে থাকা। ঈদ মাত্র তিনদিন পরে –

বিমানে বসে কিছুটা অবাক ই হলাম – ওভারহেড কম্পার্টমেন্ট গুলো গড়ের মাঠের মত খালি – সীট ও প্রায় অর্ধেক এর উপর খালি। তবে প্লেন ছাড়ার একেবারে আগে আগে – হুড়মুড় করে হাজির হোল শতের উপর যাত্রী। তবে এরা কিভাবে জানি কিছুটা ভিন্ন – কোথায় জানি কিছু একটা মিলছে না। প্রথম যা চোখে লাগল – এরা সবাই ঘরোয়া পোষাক পড়া – স্যান্ডেল, দু একজন তো লুঙ্গি পড়া। এদের কারো হাতেই কোন বাক্স পেটরা নেই – এমনকি একটি হাত ব্যাগ ও নেই। সবার হাতে স্ট্যেপল করা দু পাতা কাগজ। আমার পাশেই একজন, আশে পাশে এরা সবাই।

এর পর পরই প্লেন ছাড়ার সব আনুষ্ঠানিকতায় – ওদিকে আর মন দেয়া হয় নি- ক্রুইসিং লেভেল এ যাবার ঘোষনা শোনার পরই ল্যাপটপ খুলে ওদিকে মন দেবার চেষ্টা করছিলাম। আমার সারির উইন্ড সীটের তরুনের সাথে মাঝের সীটের যাত্রীটির কথা বার্তা শুনে আবার ভালো করে তাকালাম ওদের দিকে।

এই মিডল ইষ্ট ঢাকা রুটের ফ্লাইট গুল অভিভাসী বাংলাদেশীদের এক মিলন মেলায় পরিনত হয় – উইন্ডো সীটের তরুনটি লন্ডনে একটি কলজে প্রকশৌল বিষয়ে পড়াশোনা করে যুক্তরাজ্যেই কোথাও চাকুরী করছে। সে তীব্র আবেগ নিয়ে হৃদয় এর সবটুকু সহমর্মিতা নিয়ে মাঝের সিটের যাত্রীটির কথা শুনছে।

 

এই এয়ারক্রাফটে তারা ১১৭ জন আছে – ওদের সবাই মাত্র দুবাই জেল থেকে ছাড়া পেল, জেল থেকে বাসে করে বিমানবন্দরে নিয়ে এসে ওদের কে প্লেনে তুলে দেয়া হয়। সবাই ই আরব আমীরাতে বিভিন্ন শহরে আবৈধ ভাবে কাজ করছিল – কেউ ধরা পরেছে এক মাস আগে – কেউ ছয় মাস কেউ আরো বেশী সময় ধরে জেলে আছে।

একেক জনের একেক ধরনের গল্প। পাশের আইল সীটের তরুনের দিকে তাকালাম- শিশুর মত আগ্রহ নিয়ে অনভ্যস্ত হাতে সামনের এন্টারটেইনমেন্ট রিমোট নিয়ে দেখছে – এক হাতে মুখ মোছার টাওয়েল টা, মুখ না মুছে, খুব যত্ন করে ধরে আছে – আমি ই কথা শুরু করলাম –

ওর নাম কাদের – ভিসা আছে ওমানের- ওমানের ভিসা পাওয়া যায় – কিন্তু ওমানে চাকুরী নাই – আর আমিরাতে অনেক চাকুরী – কিন্তু আমীরাত ভিসা দেয় না। আগে বাংলাদেশে টঙ্গির কাছে এক বাজারে সবজী বিক্রি করত। আট মাস আগে সহায় সম্পদ সব বিক্রী করে ওমান এসেছিল – পরে টাকার বিনিময়ে অবৈধ ভাবে গভীর মরুভুমি দিয়ে দুবাই এসেছে – এবং এসে একটা কাজ ও করছিল। “ওই দিন কি যে হইল – কাম থিকা বাসায় ফিরতাছি – রাস্তার মধ্যে দেশী ভাই দাড়াইয়া আছে – আমারে ডাক দিল – গেলাম – গপ্প সপ্প শুরু করলাম – আর কোথা থিকা পুলিশ আইসা ধইরা লইয়া গেল আমাগো সবাইরে”।

এরা একেকজন একেক ভাবে এরেষ্ট হয়েছে – এক প্রৌড় ভদ্রলোক প্রায় ত্রিশ বছর আছে মধ্যপ্রাচ্যে – বললেন- “রাত তিনটার সময় যহন দরজায় জোরে জোরে ধাক্কা শুনলাম – তখনই বুইঝা ফালাইলাম দেশে যাওয়ার সময় হইছে” । আমীরাত পুলিশ ইদানিং খুব এগ্রেসিভ ভাবে রাস্তা ঘাটে, বাসা, কাজে রেইড দিয়ে অবৈধ অভিভাসী শ্রমিক গ্রেফতার করছে। কেউ মাত্র দুশপ্তা হল প্রথম বারের মত বিদেশে এসেছে – এসেই ধরা পড়েছে ভুয়া ভিসার জন্য, কেউ ধরা পড়েছে তিন মাসের মাথায়, কেউ ত্রিশ বছর থাকার পর এমনিতেই পাততারি গুটাচ্ছিলেন।

 

বিমানের প্রতিটি যাত্রী গভীর সহমর্মিতার সাথে  ওদের কথা শুনছে – টুক টাক এটা সেটা জিজ্ঞেস করছে – “জেলে কেমন ব্যাবহার করত” – আমি জিজ্ঞেস করি জনে জনে। কারো মাঝেই এই উত্তরের খুব একটা আগ্রহ নেই। এক জন একটু বিরক্ত ভাবেই বলে- “ আরে ওই গুলা মানুষ নি?”

 

জানা গেল – যেহেতু এরা মুসলমান দেশের ওবৈধ অভিভাসী – হিন্দু মুসলমান নির্বিশেষে এই রোযার মাসে ওদেরকে সেহেরী আর ইফতারের সময় রুটী দেয়া হত। জিজ্ঞেশ করি জেল এর ভিতরের অবস্থা কেমন।

পাশের তরুন খুব আগ্রহ নিয়ে বলা শুরু করে – “ ভাই দুবাই জেল হইল পৃথিবীর দুই নম্বার জেল, এক নম্বার হইল অস্ট্রেলিয়ার জেল – আর দুবাই র টা দুই নাম্বার।“ ওর কথা শুনে মনে হচ্ছিল পৃথিবীর দুই নম্বর জেলে থাকতে পেরে সে খুব ই গর্বিত।

 

জানতে চেষ্টা করি কেন আমিরাত পুলিশ এগুল করছে – একেক জন একেক কথা বলে- ওরা বড় পলিসি বঝে না। কেউ বলে “হাসিনা রাশিয়া রে ভোট দিছে, আমিরাত রে ভোট দেয় না- এইটা শুইনা আমিরাতীরা রাইগা গেছে”। আমি বলি ভারতীয় দের ও তো গ্রেফতার করছে – ওরা কোন ব্যাখ্যা দিতে পারে না।

একজন জানায় জেল ভরা পাকিস্তানী, ভারতীয় আর বাংলাদেশী। সে খুব সরল ভাবে ক্লাসিফাই করে – “ইন্ডিয়ান রা জেলে গেছে ব্যাঙ্ক, শেয়ার, টাকা পয়সা ঘাপলা করার লাইগ্যা, পাকিস্তানীরা জেলে গেছে চুরি, যচ্চুরী, খুন, জখম, রাহাজানী, বদমাইশী করার লাইগ্যা অ্যান্ড বাংলাদেশীয়া জেলে গেছে ভিসা না থাকার লাইগ্যা”।

 

বাংলাদেশের এম্বারকেশন ফর্ম ফিলআপ করে দিলাম অনেকের। ওদের সম্বল দুটি মাত্র কাগজ। একটা বাংলাদেশ দুতাবাসের এক কর্মকর্তার প্রত্যয়ন পত্র যে এরা বাংলাদেশী নাগরিক ( ওদের কারুর ই পাসপোর্ট নেই) – আরেকটি ছোট আরবী লিখা চিরকূট- সম্ভবত জেল কর্তৃপক্ষের রিলিজ লেটার।

 

এর মাঝে এয়ার হোস্টেস রা খাবার নিয়ে আসে- অনেকে রোযা- অনেকে বুভুক্ষের মত চেটে পুটে খেল একটু “ভাল” খাবার – অনেক দিন পর।

ওদের গিজ্ঞেস করলাম দেশে ফিরে যাবার টিকেট কিনে দিয়েছে কে। ওদের কোন ধারনাই নেই। বললাম “বাংলাদেশ সরকার নিশ্চয়?” –  দু তিন জন সমস্বরে থামিয়ে দিল “ হুর ভাই” – “বাংলাদেশ সরকার আমরার টিকেট কিনা দিত?  – আপনের মাথা খারাপ হইসে?”। “তাহলে নিশ্চয় আমিরাত সরকার” – আমি বলি। “ না না – ওগুলা তো জালীম। হেরা আমাগো টিকেট কিনা দিত না”। তাহলে কে কিনল এই টিকেট? কেউ জানে না। একজন ব্যাখ্যা দেয়- “এইদা সৌদি গো মিসকীন ফান্ড এর টাকা”। আমি বলি “ আমিরাত অবৈধ বাংলাদেশী ফেরত পাঠাচ্ছে – সৌদি আরব কেন খরচ দেবে”। কারো উত্তর নেই।

 

কেউ একজন সাথের জনকে জিজ্ঞেস করে – “ আপনারা যে দেশে ফিরছেন আজ – দেশে কেউ কি জানে”। না কেউ জানে না- ওরা জেলে ছিল – ওরাই জানত না যে ওরা আজ সকালেই প্লেনে চড়বে। আর একজন অনেক সঙ্কোচের সাথে জিজ্ঞেস করে “ আপনাদের সাথে টাকা পয়সা কি কিছু আছে?” – কারো কাছেই একটা কপর্দক ও  নেই।

“ঢাকা বিমানবন্দরে নেমে কি করবেন?” – “কিভাবে বাড়ী যাবেন? “ – কারো বাড়ী নোয়াখালী, কার চট্টোগ্রাম, কেউ টাঙ্গাইল। “ব্যাবস্থা একটা হইব”। এইটাই কমন উত্তর। কাদের সাহেব বলনে – আমার টঙ্গি বাজার পর্যন্ত পৈছাইতে পারলেই হইল – তাইলে আর সমস্যা না।

 

উইন্ডো সীটে বসা যুক্ত রাজ্য প্রবাসী তরুন ভাঙ্গা গলায় জিজ্ঞেস করে –

“ দেশে গিয়ে কি করবেন” – “জানি না”।

সে খুব অপরাধীর মত – যতটা গোপনীয়তা ধরে রাখা যায় – পকেটে থাকা বাংলাদেশী সব গুলো টাকা মাঝের সীটে বসা যাত্রীর হাতে ধইয়ে দেবার চেষ্টা করেন । আমাদের তিন জনের চোখ ই জ্বলে ছল ছল।

 

“দেখি যাই দেশে , কিছু একটা ব্যাবস্থা হইব – জীবন দিসে আল্লা – রিজিক দিব আল্লা”। আবার পর মুহুর্তেই মত বদলায় – “ধার কর্জ কিছু পাইলে আবার আমু- দেশে কি করতাম? কি আছে দেশত?”

 

ইতিহাদ এয়ারলাইন্সের পি এ সিস্টেমে গম গম করে ভেসে আসে ঘোষনা – পাইলটের কন্ঠে ভেসে যায় আমাদের টুক টাক কথপোকথন –

“২১, ২২, ২৩ নভেম্বর আবুধাবীতে ফর্মুলা ওয়ান ইতিহাদ আবুধাবী গ্রান্ড প্রিক্স – আমাদের সবার সাদর আমন্ত্রন –“

গণজাগরণ মঞ্চে প্রথম-আলোর অর্থ সহায়তা: মতিউরের হাতে তরুনের লাল রক্ত

1

যাযাবর পর্যটক

প্রথম আলো ওয়েব সাইটে গণজাগরণ নামের মঞ্চ নাটকের অভিনেতা মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারের একটা ভিডিও ইন্টারভিউ আছে। ইন্টারভিউটার মিনিট ৮ থেকে মিনিট ১৩র মধ্যে ইমরান এইচ সরকার বলছেন প্রথম আলো আমাদের টাকা দিয়েছে। এখান থেকে ভিডিওটা দেখে নিন: http://www.prothom-alo.com/video/watch/192747/ইমরান_এইচ_সরকার
সংবাদপত্রের কাজ কি? সংবাদ পরিবেশন করা, তৈরী করা নয়। অর্থাৎ ঘটনা ঘটানো সংবাদ পত্রের কাজ না। কিন্তু প্রথম আলো সংবাদ তৈরী করে, ঘটনা ঘটায় এবং ঐ ঘটনার প্রচারকাজে লিপ্ত হয়। এত জনপ্রিয় পত্রিকার এই ধরনের কাজ জাতির সাথে বেইমানী। শুধু তাইনা এই হলুদ সাংবাদিকতার জন্য বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনকারী দৈনিক আমার দেশের সম্পাদক আজ জেল এ।

 

যখন গণজাগরণ নামের নাটক পরিবেশন করার জন্য শাহবাগে মঞ্চ তৈরী হয়, তখন থেকে আজকে পর্যন্ত প্রথম আলো লিখে যাচ্ছে গণজাগরণ মঞ্চ এদেশের মানুষের প্রানের মঞ্চ। আসলে কি তাই? আমরা জানি যে এটা মিত্থ্যা কথা।

 

এখন প্রথম আলো কেন এটা লিখছে? কারণ হচ্ছে প্রথম-আলো গণজাগরণ মঞ্চে অর্থ সহায়তা দিয়েছে। মানে হচ্ছে প্রথম-আলো এই মঞ্চ নাটকে টাকা লগ্নি করেছে। এখন অন্য যেকোনো ব্যবস্যার মত বিনিয়োগকারী হিসেবে প্রথম-আলো চালিয়ে যাচ্ছে তার বিনিয়োগকৃত ব্যবসার পক্ষে মিথ্যাচার। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পত্রিকা হিসেবে প্রথম আলো এই কাজটা করে অনৈতিকতার আশ্রয় নিয়েছে। আরো হচ্ছে যে লাখো পাঠকের সাথে বেইমানী করেছে।

 

পৃথিবীর অন্যকোনো উন্নত দেশে হলে প্রথম-আলোর মতিউর এখন জেল এ থাকত। সংবাদপত্র হচ্ছে গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ। এর মানে হচ্ছে সংবাদপত্র রাজনীতিকে সমালোচনার সাথে দেখবে। এর ভুল ত্রুটি ধরায় দিয়ে একটা চেক এন্ড ব্যালান্স তৈরী করবে। বিশ্বের সব দেশেই কোনো না কোনো রাজনীতির ভাবাদর্শের সাথে সংবাদপত্রের যোগসাজশ থাকে। কিন্তু প্রথম আলোর মত এইভাবে মঞ্চ নাটকে টাকা লগ্নি করে মঞ্চ নাটককে বাংলাদেশের মানুষের কাছাকাছি নিয়ে যাওরার প্রেরণাকে মানসিক বিকৃতি ছাড়া অন্য কিছু বলার নাই।

 

আমরা জানি গণজাগরণ মঞ্চ নাটকটি আমাদের জাতির জীবনে এই বিপর্যয়গুলো বয়ে এনেছে :

১. মহান ৭১কে রাজনৈতিক ব্যবসার মূলধনে পরিনত করা হয়েছে।
২. ৭১ এর মানবতার বিরুদ্ধে বিচারকে রাজনৈতিক হাতিয়ারে রূপান্তর করার একটা চেষ্টা দেখা গেছে। (বিচারাধীন বিষয় নিয়ে কথা বলা মানার কারণে এর চেয়ে বেশি কিছু বলার নাই এই মুহুর্তে)
৩. জনগনের প্রানের দাবি নিরপেক্ষ নির্বাচনকে যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচালের দাবির সাথে মিলিয়ে ফেলা হয়েছে।
৪. স্বাধীন বাংলাদেশের অনেক তরুণ যারা ৭১ এ জন্ম নেয় নাই কিন্তু জামাত এবং বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত তাদের তাজাপ্রানের ঝড়ে যাওয়াকে ৭১এর দোহাই দিয়ে সমর্থন করা।

 

এর প্রত্যেকটি ঘটনার সাথে প্রথম আলোর সমর্থন আছে. কারণ প্রথম আলো এই মঞ্চে অর্থ বিনিয়োগ করেছে এবং ‘তরুনদের আকুতি’ ইত্যাদি মিথ্যার আশ্রয় নেয়া ধারাবাহিক সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে দেশে একটা জালিমের রাজনীতি কায়েম করেছে। আমি একজন তরুণ রংপুর থেকে এই লেখা যখন পাঠাচ্ছি তখন গায়ের লোম ভয়ে কাটা দিচ্ছে। এজন্য নিজের নাম লুকিয়ে লিখছি ছদ্মনামে। ধন্যবাদ প্রথম আলোর মতিউর রহমানকে তার হটকারী এবং অনৈতিক সিদ্বান্তে আজকে স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক হিসেবে নিজের মত প্রকাশে প্রচন্ড ভয় আমার।

লেখাটি সবার মাঝে ছড়িয়ে দিন এবং বজ্র কন্ঠে আওয়াজ তুলুন মতিউর তোর হাত আমাদের তরুণ সমাজের লালরক্তে রঞ্জিত।

মারুফ কামাল সাহেব – আপনের কাজটা কি ? পদত্যাগ করেননা কেন?

নুর হোসেন

গত ২বছরে মিডিয়া বিএনপির বিপক্ষে এবং আওয়ামীলীগের পক্ষে যেভাবে কাজ করেছে তাতে একটা ব্যাপার পষ্ট। সেটা হচ্ছে বিএনপির মিডিয়া উইং সম্পূর্ণ ভাবে ব্যর্থ। সাহসী সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান একা চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকার তাকে জেলে ভরে বিএনপির পক্ষের মিডিয়া বন্ধ করে দিয়েছে।

এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে যে দলের পক্ষে কথা বলার মতো মিডিয়া না থাকলে বিএনপির মিডিয়া উইংয়ের উপর ব্যর্থতা কতটুকু বর্তায়? আমার মতে পুরোটুকুই। এইব্যাপারে একটা ছোটখাটো বিশ্লেষণ দেয়ার আগে বলে নেই মিডিয়ার কাজ কি? মিডিয়ার কাজ হচ্ছে পারসেপশন তৈরী করা. হ্যা! পারসেপশন মানে ধারণা। মিডিয়া পারে ধারণা তৈরী করতে। আর আমাদের দেশের ইতিহাস বলে ,একসময় ধারণা সত্যে রুপান্তরিত হয়. যেমন ধরেন মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লক্ষ শহীদ। একটু হিসাব করেনতো নয় মাসে ৩০ লক্ষ শহীদ করতে হলে দিনে কতজন মরতে হয়? ঠিকই ধরসেন। ৩০ লক্ষ লোক নয়মাসে শহীদ হওয়া আজগুবি ব্যাপার। এবং এই ৩০ লক্ষ শহীদের ধারনাকে স্পষ্ট করেছে বাঙালী জাতীয়তাবাদের ধারণা দেয়া দৈনিক পত্রিকাগুলো।

এখন আসেন দেখি গত ১ বছরে বিএনপির সবচেয়ে বড় মিডিয়া ব্যর্থতা কোন গুলা ? অনেকগুলোর মধ্যে আমার মনে হয় এক নম্বর হচ্ছে বিএনপি যে একটা মুক্তিযোদ্ধাদের দল, এই দলটা যে একজন বীরসেনানী শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, সে মেসেজটা পরিষ্কার ভাবে বাংলাদেশের তরুণ জনগনের কাছে দিতে বিএনপি ব্যর্থ হয়েছে। ২ নম্বর ব্যর্থতা হচ্ছে দলটি ক্রমাগত ‘মিডিয়া আক্রমন’ সয়ে গেছে। মিডিয়াতে প্রায় রক্ষনাত্মক ছিল দলটির পজিশন। মামলা-হামলা-গুম-অত্যাচার- রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস করলো আওয়ামিলিগ আর মিনমিন করে গেলো বিএনপি। কি তামাশা! গ্রামে-ঘাটে-গঞ্জে কুকুরের মত মারা হলো বিএনপির নেতা কর্মীদের, আর পত্রিকা/ টিভি গুলা “বিএনপি সন্ত্রাস করে বিএনপি সন্ত্রাস করে’ গেল.

এতে বিএনপির জনসমর্থন কমে নাই. কিন্তু তা বলে মারুফ কামাল যে তার পদে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ তাতে কারো দ্বিমত থাকার কথা না. আধুনিক যুগে প্রেস সচিবের দায়িত্ব শুধু প্রেস রিলিজ লেখা না. মিডিয়াকে দলীয় কেমপেইনের সাথে চতুরতার সাথে যুক্ত করা, প্রতিপক্ষ সম্পর্কে একটা নেগেটিভ ধারণা তৈরী করা, বিভিন্নভাবে মিডিয়াস্পিন তৈরী করা, দলের অফিসিয়াল লাইন অব পাবলিক কমিউনিকেশন কি হবে তা ঠিক করা. আওয়ামিলিগ এর মিডিয়া উইং প্রত্যেকটিতে সক্ষম হয়েছে। মিডিয়া উইংয়ের একটা ব্যাপক কাজ হচ্ছে প্রতিপক্ষকে কুপোকাত করা. এর মানে হচ্ছে পাবলিক ডোমেইন -এ কোন মেসেজ যাবে, মানুষ কি নিয়ে কথা বলবে, পত্রিকা রাজনীতির কোন বিষয় নিয়ে বেশি গুরুত্ব সহকারে ছাপবে, টিভি কোন বিষয় নিয়ে টক শো করবে তা ঠিক করে দেয়া।

আমি একজন সাধারণ বিএনপির সমর্থক হিসেবে মারফ কামালের ফেসবুক ফলো করি. উনার চিন্তা-ভাবনা বোঝার চেষ্টা করি. এবং প্রায় বছর খানেক ধরে উনাকে ফলো করার পরে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে উনার বিনেপির কেনো আধুনিক যুগে কোনো সমবায় সমিতির প্রেস সচিব হবার যোগ্যতা নেই. গত বছরের একটা বিরাট সময় যখন তরুণ সমাজের একটা বিরাট অংশ বিএনপির মুক্তিযুদ্ধের অবস্থান নিয়ে বেওয়াকুফি করছে মারুফ কামাল সেই সময় একটা জিন্নাহটুপি মাথায় দিয়ে ফেসবুকের প্রফাইল ফটো দিয়ে রেখেছেন।

মারুফ কামালের ইদানিং কালের স্টেটাস দেখলে মনে হয় উনি বিধবা নারী! স্বামী মারা গেছে এখন অকুল পাথারে পড়েছেন। ভালো মতো ঠাউর করে উঠতে পারছেননা চারিদিকের পরিবেশ। এখনো তিনি আওয়ামীলীগের ধরায় দেয়া ইসু বুঝতে পারেননা । একটা উদাহরণ দেই:

“দীর্ঘদিনের গলাগলির পর গজাম ও ছালীর মধ্যে আচানক গালাগালি ও পুলিসের “নিরপেক্ষ লাঠিচার্জ” একটি সেমসাইড ড্রামায় খানিকটা ক্লাইমেক্স সৃষ্টি করেছে। এখন গল্প কোন দিকে মোড় নেয় তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।ব্যাপারটা কি সুপরিকল্পিতভাবে সাজানো? নাকি কাজ ফুরানোয় গজামকে ছুঁড়ে ফেলা? অথবা ভাগাভাগির দ্বন্দ? কিংবা আরো বড়ো কোনো অপরাধ বা ঘটনা আড়াল করার উদ্দেশ্যে তৈরি মক-ফাইট? ভালো করে না বুঝে কিছুই বলা যাচ্ছে না।
প্লিজ, ওয়েট এণ্ড সি।

ফুটনোটঃ গজাম=গণজাগরণ মঞ্চ।
ছালী=ছাত্রলীগ”

বিএনপির প্রেস সচিবের স্ট্যাটাস এটা !! উনি ‘ভালো করে বুঝতে পারছেননা গণজাগরণ মঞ্চের’ নতুন ধারাবাহিক নাটক। এটা উনি না বুঝতেই পারেন। কারণ আধুনিক যুগের ‘মিডিয়া স্পিন ‘ বোঝার ধারণা উনার নাই. কিন্তু আমাদের বোঝার বাকি নাই যে উনি যোগ্য লোক নন. উনি বিএনপির রাজনীতিতে নেমে পড়তে পারেন। কিন্তু প্রেস উইংয়ের মত সফিস্টিকেটেড বিষয়ে উনার কোনো ধারণা নাই. এটা উনি বুঝে সরে যাওয়াই শ্রেয়। ভাই আপনি পদত্যাগ করেন।

Human Rights, Human Wrongs: The Case of the European Union and Bangladesh

By Surma:

“Do not trust the horse, Trojans. Whatever it is, I fear the Greeks even when they bring gifts.”

Virgil’s Aeneid, Book 2.

Much sifting through tea leaves and midnight oil burning has been going on in Bangladesh and the diaspora over the recent European Union (EU) parliamentary resolution on the recent (s)elections in Bangladesh, from the apocalyptic visions of the disenfranchised, to gloating from supporters of the AL government. I have always argued with my fellow Bangladeshi nationalists, that we should not invest much hope in outside powers, and that real change will only come internally, from the Bangladeshi people themselves. For the European Union as well other international powers, economic and security interests as well as domestic political ideologies will trump the human rights violations and the democracy deficit of the current Awami League regime.

This argument is reinforced by the resolution in the EU Parliament, and requires reference to remember historical experiences and discourses. The Bangladeshi public should be weary of anything which is done in their interests by an outside power, especially the European Union, as the saying goes, ‘beware of Greeks bearing gifts’.

Two Continents Apart

On the week following the 5th of January elections, I was contacted by a distraught human rights researcher. She was just on the phone with a teenage daughter of an English Literature teacher. Her father was involved in Islamic student politics. The family thought themselves immune from the current government crackdown on the political opposition.

A few days after the election, the family’s world was torn asunder when their house was raided by the security forces. The teenage girl along with her father were dragged out of their houses, then for four hours the girl was forced to watch as the security forces took shifts in beating her father to a pulp. The researcher recounted her conversation the girl, who intermittently broke down into tears, could not understand the motivation or the roots of hatred the security forces had for her father, nor the impunity in which they were operating.

Fast forwarding to Strasbourg just a few days later, and the European Union Parliament on Thursday 16th of January debated on the issue of the Bangladesh elections and the violence surrounding those elections. A moot mention of brutality by state security forces, but all the the blame on the violence seemed to be laid squarely at the feet of the opposition, especially its Islamist wing, Jamaat and more bizarrely the qawmi (community) madrassa students of Hefazote Islam who were victims of the 6th of May Massacre.

Many fellow Bangladeshis were surprised by this parallel universe in which the European Union Parliament seemed to reside, of blaming the victims of state brutality, while simultaneously absolving the state of any responsibility of such violence. But for me, as a Bangladeshi European Union citizen, it was the prejudicial reversion to type, that I expected of my fellow continentals.

Encounters at the Heart of the Dark Continent

The historian Mark Mazower, argues in his book Dark Continent: Europe’s 20th Century, that for much of the 20th century liberal democracy was not the European norm but the European exception. He further argued that the current triumph of democracy in Europe was not inevitable but rather the result of chance and political agency on the part of citizens, subjects and leaders. Thus the spectre of fascism is always lurking beneath the surface in Europe, as witnessed by the growth of the far right in many European countries, in particular the 2011 Norway massacre

My first encounter with this dark European reality was as a law school undergraduate, in the late 1990s I attended a seminar titled ‘Muslims and Human Rights’. The seminar was delivered by an English barrister, himself a convert to Islam. He opened his speech with the statement, “… as far as Muslims are concerned in Europe, they have no Human Rights”, he then proceeded to relate an anecdote to a stunned audience to illustrate his point.

He was invited to the annual dinner of an European association of Muslim lawyers.  Amongst the dignitaries were sitting judges of the European Court of Justice (ECJ) and European Court of Human Rights (ECHR). The dinner was hosted soon after the the ECHR upheld the Turkish government’s ban on headscarves in universities so some of the lawyers approached the ECHR judges to justify their reasoning. One of the judges answered that, ‘we will not tolerate in the school rooms of Europe a religion which asks its women to cover up and cuts the hands of thieves’.

Alas, two decades on, things have not progressed all that much for immigrants in Europe and for Muslims in particular if we note the minaret bans, face veil bans and head scarf bans, as well as the increasing frequency and ferocity of attacks on Muslims. This current prejudice is illustrated by the European Union’s refusal to allow majority Muslim, but deeply secular, Turkey to become a member, despite negotiations dating back from 1959. In this light, it was not surprising to see a rendition of the anti-immigrant Muslim bogeyman being replayed in the European Union parliament’s make believe resolution of madrassah students burning the homes of Hindu families in Bangladesh.

Gay Imperialism and the Progressive Empire

Picture 4 (http://imgur.com/dY6ZF) CAPTION A British merchant being carried by a Sikkimese lady on her back. West Bengal circa 1903.

This European position was also mirrored by the pronouncements and activities of the British High Commissioner, Robert Gibson. In a meeting a few days after the election, he squarely laid the blame of political violence on the door of the opposition leader Khaleda Zia, laying a false equivalence and conveniently forgetting her virtual house arrest and the disproportionate use of force by security services.

Around about the same time as the dead bodies of political activists were appearing all over the countryside in Bangladesh, Robert Gibson was providing progressive window dressing to the Bangladeshi government, he was proudly launching an LGBT magazine in Dhaka.

1535553_10152180597937673_548202387_n

 

Instead of addressing the pressing human rights concern of people being killed for their political beliefs, we find Britain’s ‘our man in Dhaka’, providing a smoke screen and legitimacy to the current, questionably elected Awami League regime. Thus following in the footsteps of his 19th century colonial predecessor’s discourse for justifying oppression, the British High Commissioner has taken mission civilisatrice to new levels, where higher races have a duty to civilize the inferior races. Perhaps it would have been more fitting for Gibson to have a recited Kipling’s White Man’s Burden to his captive audience.

As Professor Mahmood Mamdani of Makarere University puts it , ‘power can instrumentalise free speech (and human rights) to frame a minority and present it for target practice’. In the Alice Through The Looking Glass world of Bangladeshi politics, the minority is the powerless and vote less majority.

Looking for Silver Linings

In times of adversity new alliances are formed and experiences are shared. Both in Europe and in Bangladesh in the face of overwhelming odds, bigotry, the shared injustices suffered are compelling communities and political factions to come together to fight a common enemy. For example in Europe, rising prejudices have brought Muslims and Jewish communities together, from fighting bans on kosher and halal meat at a European level, to joining forces to protect each other’s places of worship as in Stamford Hill, North London.

The same can be seen emerging in Bangladesh, where secular nationalists, religious conservatives and political Islamists, are beginning to work together to combat the increasing autocracy of the Awami League government. One also see’s the shining example of the LGBT and development activist Shawn Ahmed, who in the aftermath of the 6th of May massacre of the Hefazot protesters, courageously ventured out and interviewed survivors of the massacre at a Dhaka hospital. This act of bravery has opened new avenues of discourse and has earned him respect from religious conservatives.

Edward Said

Edward Said

 

Liberal Rhetoric versus Liberal Realities

I remember an interview with the Palestinian public intellectual and literary theorist Edward Said in which he said that one had to distinguish between liberal rhetoric and liberal reality. He cited the examples of Alexis De Tocqueville and John Stuart Mill. Tocqueville lamented the plight of the Cherokees in his Democracy in America, but was a staunch supporter of the brutal French colonisation in Algeria. Mill advocated equal rights for women in the United Kingdom, but supported the Imperial British subjugation of the Indian Subcontinent.

The same argument applies in the context of Bangladesh. Bangladeshi activists have to distinguish between the rhetoric and realities of outside powers. Real and enduring reform of the political situation and order will have to result from internal processes not external pressure. The European Parliament resolution is an affirmation of this reality.

What has galling for me was not the resolution itself, but the sight of Awami League supporters working with politicians harbouring open and closet anti-immigrant/Islamophobic views, to lobby for the resolution. If white skinned, deeply secular Turks are not accepted as part of the European Project by these politicians what chance do our brown skinned ‘Joy Bangla’ brigade have. To paraphrase Lenin, they were nothing but mere ‘useful idiots’.Or does the incident in the European Parliament illustrate a deeper and more troubling question. Are our irreligious (nastik) Bengali Nationalists and the European Far Right, two sides of the same bigoted, intolerant, Islamophobic coin?

খালেদা কি চাইলেই তারেক কিংবা জামাতকে ছাড়তে পারবেন?

2

শাফকাত রাব্বী অনীকঃ

খালেদা জিয়া বাংলাদেশের রাজনীতির দুর্গম পথের একজন যাত্রী। ওনার দুই হাতে দু’টা ওভার সাইজ ব্যাগেজ আছে। ব্যাগেজ গুলো অনেক ভারী। একটার নাম তারেক রহমান। আর একটার নাম জামাত-ই-ইসলাম।  এই ব্যাগেজ সঙ্গে করেই খালেদা জিয়া হেঁটে চলেছেন। ফিজিক্স  এর সুত্র অনুযায়ী, ভারী লাগেজ গুলো সরিয়ে দিলে, ওনার হাঁটতে আরাম হবার কথা। কিন্তু নিজের বিবেচনা অনুযায়ী এই ব্যাগেজ গুলো হাতে নিয়েই খালেদা হাঁটছেন।

অনেকেই খালেদাকে বিগত বছরগুলোতে বলেছেন এই ব্যাগেজ গুলোর কোন না কোনটা হাত থেকে সরানোর জন্যে।  পৃথিবীর যে কোন বস্তুর মতো, এই ব্যাগেজ গুলোরও উপকারিতা ও অপকারিতা উভয়ই নিশ্চয়ই আছে। সেই আলোচনায় না যেয়ে, ধরে নেয়া যাক যে এই ব্যাগেজ গুলো সরিয়ে দিতে খালেদা জিয়া রাজী হবেন। এখন দেখা যাক সরানোর প্রক্রিয়াটা কি হবে?

প্রথমেই আসা যাক তারেক রহমান প্রসঙ্গে। উনি গত অনেক বছর সপরিবারে লন্ডনে আছেন। উনি  বিএনপির নীতিনির্ধারণ করার মতো কোন কাজ করেন কি না সেটা বিএনপির ভিতরের মানুষ ভালো বলতে পারবেন। কিন্তু বাইরের মিডিয়া, সাধারণ সমর্থক, ও সমালোচকরা অনেকে এখনও ভাবেন যে তারেক রহমান বিএনপিতে অনেক ক্ষমতাবান। এক্ষেত্রে বাস্তবতা হচ্ছে যে  যতদিন খালেদা জিয়া বিএনপির চেয়ারপারসন থাকবেন, তারেক রহমান সম্পর্কে এই পাবলিক পারসেপশোন সরানো যাবে না।  মা ও তার বড় ছেলের সম্পর্ক ঘোষণা দিয়ে অন্তত পাবলিকের মনে দুর্বল করা যায় না ।

আরও একধাপ বাড়িয়ে বলা যেতে পারে যে, ব্যাক্তি তারেকের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত, যতদিন তার মা চেয়ারপারসন থাকবেন, ততদিন কেউ না কেউ বলতেই থাকবেন তারেক রহমান পিছনে থেকে কল-কাঠি নাড়ছেন। তারেক রহমানের জন্যে একেবারে মরে যাওয়া ছাড়া এই পারসেপশোন থেকে মুক্তি পাওয়া অনেক কঠিন।

বাংলাদেশের বড় দুটো দল থেকেই পরিবারতন্ত্র একেবারে শেষ হয়ে যাবার সম্ভাবনা এখনও অনেক কম। সেক্ষেত্রে, যদি খালেদার অবর্তমানে তার পুত্রবধু জোবাইদা রহমান হাল ধরেন (সোনিয়া গান্ধী স্টাইলে), তাহলেও দেখা যাবে যে তারেক রহমানকে নিয়ে একই কথাই হচ্ছে। তারেক তখন সমালোচিত হবেন আসিফ জারদারি (প্রয়াত বেনজির ভুট্টোর স্বামী) হিসেবে।

অর্থাৎ, মা , বউ, কিংবা পরিবারের অন্য কোন  সদস্য যেই বিএনপির প্রধান হোক না কেন, তারেক রহমান জীবিত থেকে কোনদিন প্রমান করতে পারবেন না যে তিনি পিছনে থেকে কল কাঠি নাড়ছেন না।  এটা ওনার জীবনের একটা বাস্তবতা। তারেক রহমানকে সরাতে হলে, হয় তাকে মরে যেতে হবে, কিংবা তার পুরো পরিবারকে বিএনপি থেকে সরে যেতে হবে। এর মাঝামাঝি কিছু নেই। উনি বিএনপি থেকে সত্যিকার অর্থেই ৪ হাজার মাইল দূরে থাকলেও, মানুষ বলতেই থাকবে উনিই বিএনপি চালান।

এরবার আসা  যাক জামাত প্রসঙ্গে। ইদানীং শোনা যায় যে কে-বা-কাহারা খালেদা জিয়াকে জামাত ছাড়তে বলেছেন। এধরনের কথা এই মুহূর্তে উনাকে  কেউ  বলছেন কিনা জানি না। কিন্তু একটি প্রতাপশালী দেশ একসময় খালেদা জিয়াকে জামাত ছাড়তে বলেছিল বলে শুনেছি। কিন্তু সে অবস্থান থেকে প্রতাপশালী দেশটি আপাতত সরে এসেছে বলে ধারণা করা হয়।

তর্কের খাতিরে ধরে নেয়া হোক যে খালেদা জামাত পরিত্যাগের কথা জানিয়ে আসলেই প্রকাশ্য একটা ঘোষণা দেবেন।  এখন দেখা যাক ঘোষণা দেবার পরে, কিভাবে জামাত ত্যাগ করার ব্যাপারটি বাস্তবায়ন করা হবে।

জামাত ভবিষ্যতে ইলেকশন করতে পারবে না। কেননা ওদের রেজিষ্ট্রেশন নেই। এছাড়া ভবিষ্যতে  জামাতের উপর আরও নানা ধরণের আইনি ঝামেলাও আসতে পারে। জামাতের সমর্থন ৫% থেকে ১০% বলে ধারণা করা হয়। একারণে ১৬ কোটি মানুষের দেশে ৮০ লক্ষ থেকে দেড় কোটি  জামাত সমর্থক আছে বলে ধারণা করা যেতে পারে।

জামাতের রেজিষ্ট্রেশন যদি  না থাকে, ইলেকশন করার উপায় না থাকে, সরকারের অশেষ করুনায় যদি এতগুলো মানুষকে গণহত্যা করে মেরে না ফেলা হয়, কিংবা তাদের ভোটাধিকার কেড়ে না নেয়া হয়, তাহলে এই মানুষরা কাউকে না কাউকে ভোট দিবেন। এই মানুষগুলো কারও না কারও রাজনীতিক সভায় যোগ দিবেন। কারও না কারও ডাকা হরতালে পিকেটিং করবেন।

বর্তমান রাজনৈতিক সমীকরণ যদি অটুট থাকে এবং জামাতের রেজিস্ট্রেশন যদি না থাকে, তাহলে জামাতের সমর্থকরা খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন কোন জোটকে সমর্থন দেবার সম্ভাবনা বেশি, যতদিন তারা নতুন কোন পার্টি না বানাচ্ছে।

আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন আছে, যেটা খুব কম মানুষ করছেন। সরকার নিজে জামাতকে নিষিদ্ধ না করে, কেন খালেদা জিয়াকে জামাত ছাড়তে বলছেন? সরকার নিষিদ্ধ করে দিলে তো আর খালেদা জিয়ার জামাত ছাড়া না ছাড়ার ব্যাপার থাকে না !!

খালেদার দু’হাতের দুটো ব্যাগেজ নিয়ে কথা বলে শুরু করেছিলাম।  সেই ব্যাগেজ গুলো ছাড়া উচিত কি উচিত না সেটা আজকের আলাপ ছিল না। আজকের আলাপ হলো, তারেক কিংবা জামাতকে ছেড়ে দেবার মতো কোন ফুল-প্রুফ উপায় খালেদার আছে কিনা।

দুই ব্যাগেজ যদি কনক্রিট কোন উপায়ে সরিয়ে দেবার উপায় না থাকে, তাহলে এই প্রস্তাবের চটকদারী মুল্য থাকলেও, বাস্তবিক কোন মুল্য থাকার কথা না।  দুর্ভাগ্যজনক ভাবে বলতে হচ্ছে যে, চটকদারী বিষয়েই মানুষের আগ্রহ সবচাইতে বেশি।

অভিনন্দন, বেগম খালেদা জিয়া!

2

২৩ বছর পর বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ি থেকে পতাকা নেমে গেছে। এতে কষ্টের কিছু নাই। আশাহত হওয়ারও কোনো কারণ দেখিনা। মানুষের পোড়া মাংসের গন্ধ, বারুদে দীর্ণ হয়ে যাওয়া খেটে খাওয়া শরীর কিম্বা রাতের আঁধারে-দিনের আলোতে ইজ্জত হারা নারীর কাছে এই ‘গণতন্ত্র’ ও ‘সংবিধান’ রক্ষার ‘নির্বাচনে’র কোনো মূল্য নাই। এ রকম নির্বাচনে অংশ নিয়ে নিজের জন্য সরকারি গাড়ি, বাড়ি আর পতাকা বরাদ্দ না নিয়ে ইতিহাসে অনন্য উচ্চতায় স্থান করে নিয়েছেন বেগম থালেদা জিয়া। অর্জন করেছেন মানুষের ভালোবাসা। 

তারেক মোরতাজা:

গণতন্ত্র’, ‘সংসদ’, ‘সংবিধান’ এবং ‘নির্বাচন’ নিয়ে ৪২ বছর বয়সী যে দেশটির মানুষ দ্বিধা বিভক্ত। যে দেশে জামায়াত শিবিরের গুটি কতক মানুষের ভয়ে আওয়ামী লীগের মত একটা দল এক তরফা ‘নির্বাচন’ নামের একটা জুয়াখেলাকে নিজেদের জন্য ফরজ করে নিয়েছে। সে দেশেও আমাদের আশা আছে!

কারণ এ দেশটা এখন নতুন প্রজন্মের হাতে যাচ্ছে, ধীর লয়ে। যখন পুরোপুরি দ্বৈত নাগরিক ও দ্বৈত আদর্শের লোকরা রাজনীতি থেকে অবসরে যাবেন কিম্বা বয়সের কাছে হার মানতে বাধ্য হবেন- তখন নতুন, ভালো এবং উদার কিছু আশা করা সম্ভব।

২৩ বছর পর বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ি থেকে পতাকা নেমে গেছে। এতে কষ্টের কিছু নাই। আশাহত হওয়ারও কোনো কারণ দেখিনা। মানুষের পোড়া মাংসের গন্ধ, বারুদে দীর্ণ হয়ে যাওয়া খেটে খাওয়া শরীর কিম্বা রাতের আঁধারে-দিনের আলোতে ইজ্জত হারা নারীর কাছে এই ‘গণতন্ত্র’ ও ‘সংবিধান’ রক্ষার ‘নির্বাচনে’র কোনো মূল্য নাই। এ রকম নির্বাচনে অংশ নিয়ে নিজের জন্য সরকারি গাড়ি, বাড়ি আর পতাকা বরাদ্দ না নিয়ে ইতিহাসে অনন্য উচ্চতায় স্থান করে নিয়েছেন বেগম থালেদা জিয়া। অর্জন করেছেন মানুষের ভালোবাসা।

বাংলাদেশের সৃষ্টির সাথে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মেজর জেনারেল জিয়া সরাসরি জড়িত ছিলেন। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে বেগম জিয়া ছিলেন আপসহীন। মানুষ মনে রেখেছে। রাজনীতি মানে কেবলই ক্রমাগত বল প্রয়োগ কিম্বা মানুষ হত্যা নয়। অনেকে বলবেন বেগম জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী অভিযুক্ত করছেন। এ রকম অভিযুক্ত অনেকেই হযেছে। এথেন্সে সক্রেটিসকেও অভিযুক্ত করে হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু সত্য টিকে গেছে।

জামায়াত বিএনপির সাথে আন্দোলনে আছে। আগে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের সাথে ছিল। যে সময় সরকারি অফিসগামি কর্মীকে রাস্তায় ন্যাংটা করা হয়েছে সে সময় আওয়ামী লীগ-জামায়াত সখ্য দেখেছে মানুষ।
এখন যেহেতু জামায়াত বিএনপির সাথে, তাই এটাকে অপরাধ বিবেচনা করা হচ্ছে- কারণ জামায়াত আওয়ামী লীগের সাথে নেই। আওয়ামীলীগের সাথে থাকলে আমরা সবাই চুপ করে থাকাটা কর্তব্যমনে করতাম। যে রকম হাসিনার এরশাদ প্রাপ্তিকে জ্ঞান করি।

আওয়ামী লীগ এত জামায়াত বিরোধি মনোভাব দেখায় তো তারা জামায়াতকে নিষিদ্ধ করছে না কেনো? উত্তর একটাই তাইলে যুদ্ধাপরাধী আর স্বাধীনতা বিরোধি তাবিজের বিক্রি বন্ধ হয়ে যাবে। তবে এইবার নাকি নিষিদ্ধ করবে!

এখন যা জরুরি

খোমেনী ইহসান 

যেখানে পরিস্থিতি এমন যে সরকার বিরোধীদেরকে সমূলে নির্মূল করতে পারবে না আবার বিরোধীরাও গণঅভ্যুত্থান করতে পারবে না সেখানে সমঝোতা জরুরি।

৫ জানুয়ারির নির্বাচন হয়ে গেছে। যে যেভাবেই দেখিনা কেন হিংসাত্মক রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে নিয়মরক্ষার এ নির্বাচন করেছে সরকার। এতে সংবিধানে স্পিরিট, গণতন্ত্র ও জনগণের কল্যাণ চিন্তা কতখানি কাজ করেছে তা নিয়ে তর্ক করলে অনেক করা যাবে।
তবে বাংলাদেশে যে ধরনের জাতীয় পরিস্থিতি বিরাজ করছে তাতে করে সংবিধান সম্মত আইনত বৈধ এ নির্বাচন করার বাইরে যাওয়ার সুযোগ ছিল না আওয়ামী লীগের। আমাদেরকে এটা মানতে হবে।

জরুরি অবস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশ যে অন্ধকূপে পতিত হয়েছে, তার ব্যাপকতা আমরা কোনোভাবেই উপেক্ষা করতে পারি না। সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ভেঙে পড়েছে। দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্তকারী সুশীল সমাজের কারো বিচার হয়নি। দুর্নীতি বেড়েছে। বিরোধী দলও টাকার বিনিময়ে দলের পদ-পদবী বিক্রি করলো। জনগণের পক্ষে কথা বলার মতো লোক কোথাও নাই। বিরোধী দলও গণবিরোধী রাজনীতি করেছে।

এ অবস্থায় আমরা শুধু প্রতিশোধের কথা শুনেছি। সরকারি দলের লোকেরা বলছে এখন প্রতিশোধ নিতে হবে। বিরোধীরা বলছে ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গেলে তারা প্রতিশোধ নেবে। দুই পক্ষের এই প্রতিশোধ ‍উন্মত্ততা কতো জঘন্য তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারদলীয় ক্যাডারদের তরফে করা হত্যাযজ্ঞ আর বিরোধীদের বোমা-ককটেলবাজির নিষ্ঠুরতার মধ্যে দৃশ্যমান হতে দেখেছি।

সব মিলিয়ে এখন যা পরিস্থিতি তাতে পরষ্পরকে দোষ দেয়া ও ঘায়েল করাটা মেনে নেয়া যায় না। কে জিতলো বা হারলো তার হিসাব কষে পুলকিত হওয়াটা কোনো সংবেদনশীল মানুষের কাজ হতে পারে না। এখন খুব জরুরি দরকার হলো রিকন্সিলিয়েশন বা সমঝোতার পথটি উন্মোচিত করা। সমঝোতার কাজটি দ্রুত করতে হবে। এখন দেশের সার্বিক স্থিতিশীলতা খুব বেশি দরকারি হয়ে পড়েছে।

আশা করি প্রধানমন্ত্রী শেখ আগামী কাল যে নির্বাচনোত্তর সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন তাতে তিনি পষ্ট করে সমঝোতার প্রক্রিয়া সম্পর্কে আমাদের আশ্বস্ত করবেন। আমি চাই প্রধানমন্ত্রী পরিস্থিতির ব্যাপারে নির্মোহ থাকবেন। নিজের স্বার্থের হিস্যা মাথায় রেখে হলেও তিনি সমঝোতার ব্যাপারে আমাদের আশ্বস্ত করবেন।

সমঝোতার জন্য শেখ হাসিনার কাছে আমি কিছু প্রস্তাব তুলে ধরছি-

১. দশম সংসদ বসবে শুধু তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল করার জন্য। এ সংক্রান্ত বিল পাশের পরপরই সংসদ ভেঙে যাবে। এ ব্যাপারে শেখ হাসিনা কালকের সংবাদ সম্মেলনে তার ওয়াদার কথা রাখঢাক ছাড়াই জানাবেন।

২. কম সময়ে একাদশ সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে কতদিন সময় নেবেন প্রধানমন্ত্রী তা পষ্ট করে বলবেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি অবশ্যই বিরোধী দলকে লক্ষ্য করে কোনো দমনাভিযান পরিচালনা করবেন না। তার দলের নেতাকর্মীদেরও এ ব্যাপারে নিবৃত্ত করবেন।

৩. দ্রুত ইনক্লুসিভ নির্বাচনের ওয়াদা করার পর শেখ হাসিনা বিরোধী দলকে অবশ্যই সহিংস আন্দোলন বন্ধ করতে বলবেন। বিরোধী নেতাকর্মীদের মুক্তি দেয়ার ঘোষণা দেবেন। যৌথবাহিনীর অভিযান বন্ধ করবেন। গুলি বন্ধ করতে বলবেন। খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেবেন।

৩. জামায়াত নেতাদের বিচারের বিষয়টিকে প্রতিশোধপরায়ণতার জায়গা থেকে না দেখার ওয়াদা করবেন। স্বচ্ছ বিচার প্রক্রিয়া ও প্রাপ্য সব মানবাধিকার সংরক্ষণ করে তাদের বিচার স্বাভাবিক গতিতে করতে দেবেন। জামায়াতের নেতাকর্মীদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরার সুযোগ দেবেন। তাদের নাগরিক অধিকার ও মানবাধিকার রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। জামায়াতকে একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ব্যবস্থা করবেন।

সব শেষ কথা হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবশ্যই এটা নিশ্চিত করতে হবে যে তার সরকার নাগরিকদের প্রাণ রক্ষা, সাংবিধানিক নাগরিক অধিকার ও মানবাধিকারের ব্যাপার যথেষ্ট সংবেদনশীল থাকবে।

শেখ হাসিনা নিশ্চয় এটা বুঝবেন যে এখন খুব জরুরি হলো দেশকে স্থিতিশীল করার করণকর্তব্য পালন করা। এ জন্য নতুন করে দমনাভিযান বন্ধ করতে হবে এবং বিরোধীদেরকে সমঝোতা করতে বাধ্য করতে হবে। এক্ষেত্রে তাকে এটা বুঝতে হবে যে, জামায়াতকে নির্মূল করা স্থিতিশীলতা আনবে না। কাজেই তাকেই ঠিক করতে হবে কিভাবে সবাইকে নিয়ে সমঝোতা করা যায়।

স্থিতিশীলতার বদলে সহিংস পরিস্থিতি তৈরি করলে আমরা মেনে নেব না। সব পক্ষকেই আমরা জবাবদিহি করতে বাধ্য করবো।

মেরুদণ্ড!!! ভারত ও বাংলাদেশ-আম্লীগ, জঙ্গি ও মৌলবাদ তর্ক

1

তারেক মোর্তাজা” 

 

বাংলাদেশে ‘র’র স্টেশন থাকা এবং ‘র’ এত সহমর্মি ও সহযোদ্ধা থাকার পরেও তারা সম্ভবত ইচ্ছেকৃতভাবে কিছু ভুল ধারণা লালন করে থাকে। যেমন বাংলাদেশে মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদের উত্থান এতটাই বেড়েছে যে, এটা দমন করা এবং দিল্লিতে নাকে সর্ষের তেল দিয়ে ঘুমানোর সুবিধার্থে আওয়ামী লীগকেই ক্ষমতায় রাখতে হবে। সে জন্য যা যা করার দরকার, দিল্লি তাই করবে এবং সেটিই করা উচিৎ বলে সাবেক ইনডিয়ান কূটনীতিকরা খোলাসা করেই বলছেন!

অথচ বিএনপিই প্রথম বাংলাভাই , শায়খ রহমানকে গ্রেপ্তার ও বিচার শুরু করেছিল, মইন-ফখর সরকারের সময় তাদের ফাঁসি হয়। অনেকে বলবেন, এদের উত্থানও বিএনপি জামায়াতের হাত ধরে- সেটি স্বীকার করেই বলছি, বিম্পি-জমাতের ৫ বছর, মইন ফখরের ৩ বছর এবং আম্লীগের ৫ বছর মিলিয়ে এদের সংখ্যা কত হতে পারে? ৫০, ১০০, ৫০০, ১০০০?

এর বেশি কি হতে পারে! আমি নিশ্চিত এর বেশি হওয়ার সুযোগ নাই। আমি জানি এবং বিশ্বাস করি বাংলাদেশের মাটি, সংস্কৃতি, মানুষের মন এ সবকে সমর্থন করেনা। এখানে ধর্মী আচার-রীতি অনুসর করা হয় মানবতার জন্য, প্রতিহিংসার আগুনে পোড়ার জন্য নয়।

২০০৫ সালে নয়া দিল্লির সায়েন্স সেন্টারে অনুসন্ধানী সম্বাদিকতার ওপর ট্রেনিং নিতে গেছিলাম। সেইখানে একজন সিনিয়র নারী সাংবাদিক বলিছলেন, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের প্রসার নিয়ে। তার আলামত হিসাবে জানালেন, তিনি ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাচ্ছিলেন। পথে চট্টগ্রামে দেখলেন টুটি আর টুপি, পাঞ্জাবী আর পাঞ্জাবী পরা লোক। ভয়ে তার আত্ম শুকিয়ে যায়। এ লোকগুলো কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে, সেটি ভেবেই তিনি আঁতকে উঠেছেন।

আমার দেখা গ্রামীন জনপদের এ সহজ সরল মানুষগুলোর টুপি, পাঞ্জাবী পরলেও এরা আদতে মৌলবাদী নন। আমরা যারা নগরে অনেক কথার খই ফোটাই তারা তাদের পরিবারের দিকে তাকান, অন্তত এক জেনারেশন আগেও আমাদের পরিবারে দাঁড়ি , টুপি ও পাঞ্জাবী পরা লোক ছিল, এখনো আছে। এদের সামনে রেখে বাংলাদেশের ‘জঙ্গি’ পরিস্থিতি বিবেচনা করলে সঠিক বিচার হবে না।

আমরা কিন্তু ভারতে গেলে ধুতি, পাঞ্জাবী দেখে ভয় পাই না। স্থানীয় আচারকে সম্মান করার একটা বড় শিক্ষা আমাদের পরিবার ও সমাজ থেকে পাওয়া। এটাকে অজুহাত করে আসলে ফায়দা তোলা যায়, সেটি পারে ইনডিয়া।

‘জঙ্গি’র মূল কারখানা মনে করা হয়, কাওমি মাদ্রসাকে। আমি যদি ভুল না করি- এ পদ্ধতির শিক্ষাটা ইনডিয়ার দেওবন্দে চালু হয়েছিল। সেখানে জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা মওদুদীও পড়েছিলেন। জঙ্গি, উগ্র বা অন্য যে সব অভিধা দিয়ে বিবেচনা করা হয় মুসলমানদের সে সব কিন্তু ইনডিয়া থেকে উৎপত্তি। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে দেওবন্দ বড় ভূমিকা রেখেছিল, এটা জানার সুযোগ হয়েছির দিল্লির বন্ধুদের কাছে।

ইনডিয়া থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশে কাওমি শিক্ষার প্রসার। এখনো কাওমি শিক্ষার কেন্দ্রবিন্দু ইনডিয়া। মজার ব্যাপার হলো ইনডিয়া তার স্বার্থে এদের কখনো জঙ্গি বলে, কখনো সাম্প্রদায়িক বলে , কখনো মৌলবাদের উত্থানে আতঙ্কিত হয়।

হিন্দু মৌলবাদের উত্থানে আমরা আতঙ্কিত হই না। কারণ হলো ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় আমাদের দেখবার বিষয় নয়। আমাদের উদ্বেগেরও কারণ নয়। আমরা অতি অল্পতে তড়িতাহত হই না। তবে আমরা তাদের দেশের সংখ্যায় কম যে সব সম্প্রদায় তাদের নিরাপত্তার কথা বলি। মুসলমানদের নিরাপত্তার কথা বলি। তাও বলি তখন যখন দেখি অকাতরে প্রাণ হারাচ্ছেন তারা, ধর্ষিতা হচ্ছেন।

তবে আমি এই ওকালতি কখনোই করবোনা যে বাংলদেশে উগ্র, চরমপন্থী লোক নেই। অবশ্যই আছে। বিশ্বেবর সব দেশেই কম বেশি ‘জঙ্গি’ আছে। বরং বাংলাদেশের উগ্রপন্থীদের ‘ম্যানেজ’ করা সহজ। ক্ষমতার কাছে তারা হার মানে। খুব সহজেই মানে। যে রাজনৈতিক দলটি নিয়ে ভারতরে সবচেয়ে বেশি ভয়, সে দলটি সবার আগে মানে!

তবে খোলাসা করেই বলি- গুটি কতক জনবিচ্ছিন্ন হুজি, বাংলা ভাই টাইপের লোকের জন্য বাংলদেশের আপামর সহজ সরল মানুষকে জঙ্গি, উগ্রপন্থী, মৌলবাদী হিসাবে অভিহিত করার যে কাজটি ইনডিয়া করছে, সেটাকে আমরা কোনোভাবেই সমর্থন করতে পারি না।

আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সহযোগি ইনডিয়ার ইদানিংকালের আচরণে সবচেয়ে বেশি প্রমাণিত যে, বাংলাদেশ তার চাওয়া অনুযায়ী চলবে। মানে প্রভুভক্ত প্রাণীর মত। হচ্ছেও তাই। বিএনপি, জামায়াত সরকারের সময়ও কিন্তু ভারত তার স্বার্থ হাসিল করেছিল। তাতে কোনো সমস্যা হয়নি। তবুও আওয়ামী লীগে তাদের ভরসা, বিশেষ দূর্বলথা এখানে কাজ করতেই পারে। কিন্তু সেটি বাংরাদেশের জনগণের চাওয়ার বিপরীতে দাঁড়িয়ে হাসিল করা কতটা শোভন এবং শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে সেটি বিবেচনার সময় কারো নেই। সবাই প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার চেষ্টা করতে গিয়ে নিজের ছায়ার সাথে লড়ছি।

সেভেন সেস্টার নিয়ে ভারতের একটা উদ্বেগের কথা আমাদের দেশের জ্ঞানী বিশ্লেষখরা বলে থাকেন, সেটি এখন নেই। ভারত এটাকে কব্জা করতে পেরেছে। আমরা দেখেছি দশকের পর দশক ধরে ভারত আমাদের দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনকে কীভাবে মদত দিয়েছে। এটা নিশ্চয় কেউ ভুলে যাননি বা যাবার মত ঘটনাও তা নয়। সীমান্তে হত্যা কিম্বা বাংলাদেশের ভূমিতে তাদের অবাধ বিচরণ আমাদের উদ্বেগ নিয়ে আমরা নিজেরাই যথেষ্ট রকমের সচেতন নই। তাদের দোষ দিয়ে লাভ কি।

কথা না বাড়িয়ে শেষ করি, ভারত আওয়ামীলেগের সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনের পরও আওয়ামী লীগের পামশ থাকবে বলে বিবিসি বাংলায় যে খবর প্রকাশ করেছে সেটি উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় কেবল বাড়াচ্ছে না, সেই সাথে এ দেশের মানুষের অস্তিত্বকেও প্রশ্নের মুখে ফেলছে।

বলি- মাওবাদ, গেরিলা দমনে ভারত যে কঠোর নীতি অবলম্বন করছে, কাশ্মীরে যে নিপীড়ন, গুন হত্যার সমরনীতি অনুসরণ করছে, সেখানে বাংলাদেশে তাদের প্রকাশ্য ভূমিকা স্পষ্ট হচ্ছে। ভারতের আর আট দশটা রাজ্যের মত এখানকার বিষয় নিয়ে তাদের নিয়মিত ফাইল ওয়ার্ক হয়, এখন মাঠ পর্যায়ে ওয়ার্ক হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য উদ্বেগের হলেও করার কিছু নেই। কারণ আমাদের মেরুদণ্ড নেই।

পাবলিক কি নিয়ে গুগলে সার্চ করে?

4

শাফকাত রাব্বী অনীকঃ

উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর জনগণ কি ধরনের বিষয়বস্তু নিয়ে গুগলে সার্চ করে তার নিয়মিত এনালাইসিস হয়। এ থেকে মানুষের সাম্প্রতিক উৎসাহ, উদ্দীপনা, শংকা, আগ্রহ ইত্যাদি সম্পর্কে জানা যায়।

এই মুহূর্তে  বাংলাদেশীরা কি কি বিষয়ে গুগলে সার্চ করছেন তা জানতে পারলে খুব ভালো হতো। কিন্তু তা জানার উপায় আমার নেই। নুরালদীন ব্লগ খুলা হয়েছিল ৩ মাস আগে। এই তিন মাসে নুরালদীনের পাঠকরা কি কি বিষয় সার্চ দিয়ে নুরালদীনের ওয়েব সাইটে এসেছিলেন, তার একটা তালিকা হাতে পেয়েছি। মন্দের ভালো হিসেবে এই তালিকাটা খারাপ না। 

এই সার্চ তালিকায় এমন কিছু বিচিত্র সার্চ আইটেম ছিল, যা বেশ চমকপ্রদ। কোন কোন সার্চ ওয়ার্ড কেন নুরালদীনের ওয়েবসাইট খুঁজে পেয়েছে তাও আমার অজানা। যাহোক, পাঠকদের পড়ার সুবিধার জন্যে সার্চ আইটেমগুলোকে কয়েকটা ক্যাটাগরিতে ভাগ করে নিচে তুলে দেয়া হলো। প্রতিটি ক্যাটাগরির জন্যে আমার ব্যাক্তিগত পছন্দের উইনার ও রানার্স-আপ ঘোষণা করে দিলাম। আপনাদের পছন্দের গুলো কমেন্টসে জানাতে পারেন। আঠারো প্লাস আইটেমগুলো সব শেষ আকর্ষন হিসেবে নিচের দিকে দেয়া হলো।

—————————–
রাজনইতিকঃ এই কেটাগরিতে সরকার বিরোধিতা, সাম্প্রতিক ইসু, ইত্য়াদি বিষয় প্রাধান্য পেয়েছে।
——————————

আওয়ামীলিগ এর বিরুদ্ধে লিখা
এমপির রক্ষিতা
জামাতের ভুল
awami league terrorism picture against another party
গীতা রানী শেখহাসিনা
নির্বাচন এর পরে যুদ্ধাপরাধ এর ফাসি
সেনা শাসনের আভাস
সামরিক হস্তক্ষেপের
আওয়ামী লীগ সত্যিই অনেক বেশী বেশী করতেছে (Winner)
ম্যাডাম বের না হলে
বর্তমান অবস্থানে খালেদার আচরন
হায়রে গণতন্ত্রের লড়াই (Runners-Up)
দাদাগিরি
গোলাম মাওলা রনির নির্বাচিত কলাম
গোপালগঞ্জ জেলা উঠে যাবে
এই বছরের নির্বাচিত হাস্যকর রাজনৈতিক উক্তি
বাংলাদেশের রাজনীতিতে “র” ও ভারত
বাংলাদেশের রাজনীতিতে “র”
late pri mister ziaur rahman
কসাই কাদের
আওয়ামী লীগের মন্দির তৈরি ৫ বছরের তালিকা
চুপ থাকো, বেয়াদব কোথাকার video youtube khaleda zia

————————————–
ঐতিহাসিকঃ এই ক্যাটাগরিতে সিকিম ও সিকিমের লেন্ডুপ দর্জি সম্পর্কে মানুষের মাত্রাতিক্ত জানার আগ্রহ দেখা গেছে।
————————————–

মুক্তিযুদ্ধে জামাতের ভুমিকা
৭১ বনাম ২০১৩
pilkhana tragedy shocking pics
ভারত ১৯৭১ সালে কী বাংলাদেশের সম্পদ লুঠ করেছিল? (Runners-Up)
সিকিম ও চীন
বসনিয়ার ইতিহাস
ভারত
লেন্দুপ দোরজি’র ইতিহাস
casandra moment
বাংলাদেশ 1971 ইতিহাস
bangladesh rifles mutiny pictures
দর্জি সিকিম
in pilkhana tragedy how many were raped
শেখ মুজিব বামপন্থি
সিকিম বিভ্রান্তি
1971 মুসলিম মেয়ে ধর্ষন
সিকিম অসম্ভব
বাংলাদেশ সিকিম হবে না (Winner)
মিলিটারিদের বেতন
সিকিম দর্জি

———————
সামাজিকঃ
———————

দেশের উন্নতির ক্ষেত্রে কিশোরদের অবদান
চালেন ২৪ সংবাদ পাঠকের বেতন
want to know about anjan roy tv conductor bangladesh
আবাসিক হোটেল কতটা নিরাপদ
বাংলাদেশের 2013- এর j.s.c ফলাফল দেহা
ধুমপান থেকে মুক্তি পেতে
কিভাবে বাড়িতে খেলনা হেলিকপ্টার তৈরী করা যায় (Runners-Up)
ইসলামিক sms
শীত কালে গরিবদের কস্ট নিয়ে কবিতা
লোকের উচ্চতার পেছনে কারন কী
সেবা দাসী
এ বছরটা আমার ভালো গেলনা
কত দুঃখে যে একটা বছর চলে গেল পোস্ট
এক মাইয়ার স্ট্যাটাস
আলেম পরীক্ষার পর কী করব
বুদ্ধিমান হওয়ার কৌশল
ফেন্সিডিল কি দিয়ে তৈরি হই
একটি মহিলার রাক্ষসের বাচ্চা হয়েছে তার ফটো চাই (Winner)
ঠোট ঝুলে গেলে কি করা উচিত
মেয়ে হওয়ায় দোষ কি
ইসলামে লিঙ্গের চুল কাটা

———————–
আঠারো প্লাসঃ
———————–

বাংলা নতুন চটি গল্পের তালিকা 2013
শাহাবাগি উলঙ্গ ছেলে মেয়ের ছবি (Winner)
বাংলার হট মাল
নাটোরের মেয়ে
পাতলা শাড়ী পড়া মেয়েদের ছবি
হোল এর সাইজ কত হওয়া উচিত ?
জামাই শাশুরী চটি
দেশি মেয়েদের বর দুত
কীভাবে আমার বাড়া বড় করব
নগ্নতা
যৌনাঙ্গ মুখে নেওয়া কি জায়েজ আছে
প্রথমে ধর্ষণ করেছিলাম
নগ্ন chobi keno
গ্রামের মেয়েদের নগ্ন ছবি
কাপড় ছাড়া female
বাবার আমেরিকান বন্ধু জোর করে মায়ের ইজ্জত নষ্ট করে দিল
মিলার খারাপ ছবি ও দৃশ্য
bangladeshi meyeder sex vabna 18
ষাটের দশকে মেয়ে সিগারেট
থার্টি ফার্স্ট নাইটের নগ্নতা
ঢাকার সুন্দরী মাগিদের নগ্ন ছবি
ইউরোপে নগ্ন মেয়ে
opu ukil awami hot picture (Runners-Up)
হিন্দু মেয়ে ধর্ষণ চটি গল্প
http://www.bd army ledy offcers.com
নেত্রিদের নগ্ন ছবি

২০১৩ ছিল লজ্জার বছর, বিভাজনের বছর, নতুন মেরুকরনের বছর

1

by শাফকাত রাব্বী অনীকঃ 

“আনলাকি থারটিন” কথাটি একটা কুসংস্কার। কিন্তু কোন একটা বিচিত্র কারণে এই ১৩ সংখ্যাটি অনেক ক্ষেত্রে আসলেই আনলাকি হয়ে যায়। বাংলাদেশের জন্যে ২০১৩ ছিল ঠিক তেমন একটা সংখ্যা। মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে ২০১৩ এর চাইতে বেশি মানুষ এর আগে  কোনদিন পুলিশের গুলি খেয়ে মারা যায়নি। ২০১৩ সালে যতো রাউন্ড গুলি বিভিন্ন বাহিনী নিরস্ত্র জনগণের উপরে ছুঁড়েছে এতো রাউন্ড গুলি যুদ্ধ ব্যাতিত এর আগে কোনদিন ছোড়া হয়নি।

২০১৩ সালে রাজনৈতিক প্রতিবাদের বিচিত্র প্রয়োগে গাছ কাটার রেকর্ড হয়েছে, গাড়ি পুরানোর রেকর্ড হয়েছে, বাসে আগুন দেয়ার রেকর্ড হয়েছে (যে পক্ষই দিক), পুলিশের উপর সরাসরি আক্রমনের ও পুলিশ খুনের রেকর্ড হয়েছে। মানুষ গুমের রেকর্ড হয়েছে, কোন ব্যাক্তিকে ধরতে না পেরে মা-বাবা-শশুর-শাশুরি-ছেলে-মেয়ে ধরার রেকর্ড হয়েছে। রানা প্লাজায় একটি বিল্ডিং ভেঙ্গে, কোন একক দুর্ঘটনায় সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ মারা যাবার রেকর্ড হয়েছে। ৫ই মের হেফাজতের রাত্রে কোন একক অভিযানে পুলিশের গুলির রেকর্ড হয়েছে, সিভিলিয়ান অপারেশনে গ্রেনেড ফাটানোর রেকর্ড হয়েছে। হেফাজতের এক রাত্রে সর্বাধিক সংখ্যক মিডিয়া বন্ধ করে দেয়ার রেকর্ড হয়েছে, অভিযান চালানোর অভিপ্রায়ে শহরের বাতি নেভানোর রেকর্ড হয়েছে।

ফেব্রুয়ারির মাত্র দু’দিনে ১৫৬ জন মানুষকে গুলি করে মারা হয়েছে, দেলোয়ার হোসেন সাইয়িদির রায় পরবর্তী প্রেক্ষাপটে। স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে কোন একক ঘটনায় এতো অল্প সময়ে এতো মানুষকে গুলি করে মারা হয়নি। ২০১৩ এর শেষের দিকে এসে স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিকদের বাসা-বাড়ী বুল্ডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া শুরু হয়েছে। আমাদের ৪২ বছরের ইতিহাসে এই ঘটনার কোন প্রতিদ্বন্দ্বী নেই।

২০১৩ সালে যতোজন মানুষের গুলি খেয়ে কিংবা লাঠির বাড়ি খেয়ে লুটিয়ে পড়ার লাইভ ভিডিও পাওয়া গেছে, তার কোন তুলনা এর আগে কোন ইতিহাসে নেই। যতোগুলো ক্যামেরা ডেথ হয়েছে, যতো মানুষকে ক্যামেরার সামনে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে গুলি করার ভিডিও কিংবা ছবি পাওয়া গেছে, আমাদের ৪২ বছরের ইতিহাসে এতোগুলো ক্যামেরা-রেকর্ড নেই। দেশে মিডিয়া কিংবা ক্যামেরার সংখ্যা বৃদ্ধি এই রেকর্ডে কিছুটা ভুমিকা রাখলেও, রেকর্ড ব্রেকিং হানাহানির ঘটনাই এক্ষেত্রে মুখ্য ভুমিকা পালন করেছে।

অর্থাৎ সহজ বাংলায় বলতে গেলে, ন্যাক্কার জনক রাজনৈতিক নিপীড়নের ও হানাহানির রেকর্ডের পর রেকর্ড হয়েছে ২০১৩ সালে, যার লিস্ট উপরে প্রদত্ত রেকর্ডের থেকে আরও অনেক বড়।

উপরের রেকর্ডগুলো সারাটা বছর জুড়ে ধীরে ধীরে গড়েছে। স্বাভাবিক ভাবে চিন্তা করলে, দেশের মানুষকে অনেক বিচলিত করার কথা ছিল উপরের রেকর্ডগুলোর। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে, দেশের শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ উল্লিখিত খুনাখুনিকে মেনে নিয়েছেন, অনেক ক্ষেত্রে প্রকাশ্য উল্লাস প্রকাশ করেছেন। ২০১৩ সালে বিভিন্ন ঘটনায় যতো মানুষ মৃত্যু-উল্লাস করেছেন, আমার দেখা গত ৩০ বছরে, মৃত্যু-উল্লাসের এতো অধিক সংখ্যক পারটিসিপেশনের কোন রেকর্ড আমার জানা নাই।

একটি বড় জনগোষ্ঠীর উপরে সরকারী বাহিনীর আগ্রাসন, আর পুরো ঘটনায় সরকার সমর্থকদের নিদারুণ বিনোদন ২০১৩ সালকে ইতিহাসের পাতায় নিয়ে যাবে পুরো জাতিকে পরিপূর্ণভাবে বিভাজিত করে রাখার বছর হিসেবে। সেই ১৯৫১ সাল থেকে বাংলাদেশী-বাঙ্গালি জাতিকে একটি বিশেষ বিভাজনে বিভাজিত করার প্রবল প্রচেষ্ঠা চলে আসছিল। সেটা হচ্ছে ইসলাম বনাম ইসলাম বিদ্বেষের বিভাজন। সকল প্রচেষ্ঠাকে ভেস্তে দিয়ে, বাংলাদেশী বাঙ্গালিদের এই বিভাজনে বিভাজিত করা যায়নি গত ৫০টি বছর। ব্রিটিশরা পারেনি, পাকিস্তানিরা পারেনি। কিন্তু ২০১৩-এ এসে, মাত্র হাতে গোনা কিছু ছেলেমেয়ে এই অসাধ্যকে  সাধন করেছে। বাংলদেশিদের আস্তিক-নাস্তিকের বিভাজন কমপ্লিট হয়েছে, চেতনা বনাম ধর্মের লড়াইয়ের আড়ালে।

তবে এতো হতাশার মাঝেও ২০১৩ নিয়ে এসেছে অনেক আশার আলো, যা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে ও স্বাধীনতাকে করবে সুসংহত অদুর ভবিষ্যতে। এই পজিটীভ বিষয়গুলোকে নিচে তুলে ধরছিঃ

– ২০১৩ সালে এসে গত ৪২ বছরের অনেক মিথ ভেঙ্গে গেছে। চেতনা চর্চার আড়ালে গত ৪২ বছরে বাংলাদেশে গড়ে উঠেছিল ঘৃণার ব্যাবসা, প্রতিহিংসার ব্যাবসা, ধর্মীয় অনুভুতিকে ভোতা করবার ব্যাবসা, আর একটি বিশেষ দেশের নির্লজ্জ স্বার্থ রক্ষার ব্যাবসা। এই কথাগুলো এতোদিন ডানপন্থীদের কন্সপিরেসি থিউরি হিসেবে উড়িয়ে দিতেন অনেকেই। ২০১৩ এর নানান ঘটনাবলী দেশের বিশাল বড় একটি অংশের মনে এই উপলব্ধিটুক জাগ্রত করেছে, প্রমাণিত করেছে।

– দেশের মেইন স্ট্রিম থিঙ্কিং-এ অনেকগুলো টাবু বা নিষিদ্ধ বিষয় ছিল, যা নিয়ে শংশয় পোষণ করার, কিংবা নির্দোষ তাত্ত্বিক বিতর্কে জড়ানোরও কোন উপায় আগে ছিল না। ২০১৩ এ এসে এধরনের অনেক মেইন স্ট্রিম ডগমাই প্রকাশ্য চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেক ডগমাই ভেঙ্গে চুরে চুরমার হয়ে গেছে।

– জাতির থিঙ্কিং জগতে চেইঞ্জ ওব গার্ড বা প্রহরীর পরিবর্তন হয়েছে। গত ৩০-৪০ বছর ধরে রাজত্ব করা থিঙ্কারদের আড়াল করে দিয়ে, নতুন নতুন অনেক লেখক ও কমেন্টেটর এসেছেন, যাদের অনেকের পাঠকের সংখ্যা অতীতের অনেক রথি মহারথির পাঠকের সংখ্যার চাইতে বেশি। রাজনৈতিক মতাদর্শের উভয় পার্শ্বেই নতুনদের এই ভিড় চোখে পড়ার মতো। সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে দেশে চিন্তা-চেতনা বিকাশের সত্যিকারের গণতান্ত্রিকায়ন হয়েছে ২০১৩-তে এসে। এই গণতন্ত্রায়নে, মেসেঞ্জারের চাইতে মেসেজের গুরুত্ব অনেক বেশি হয়ে গেছে। আগে মেসেঞ্জারের গুরুত্বই বেশি ছিল, উনারা যা বলতেন মানুষ তাই শুনতো। যার ফলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ মানুষের কাছে আড়াল করা যেতো। ২০১৩ পরবর্তী গণতান্ত্রিক মেধা ভিত্তিক মার্কেটে এখন আর কোন ভ্রান্ত মিথলজিকে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। একারণে ইতিহাসের খাতায় ২০১৩ হয়ে যাবে একটা গুরুত্বপূর্ণ জংশন।

– শাহবাগ আন্দোলন নিয়ে কোন কথা না বললে ২০১৩ এর রিভিউ সম্পূর্ণ হবে না। ২০১৩ এর সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ছিল শাহবাগ আন্দোলন। সারা বছর জুড়ে অসংখ্য মানুষের মৃত্যু, জেল, জুলুম, ও পালিয়ে থাকার চিয়ার লিডার ছিল এই শাহবাগ। জাতীয় জীবনকে বিভাজিত করার এবং মানুষে মানুষে ঘৃণার যে লালন-পালন শাহাবাগ আন্দোলন করেছে, তার ফল আরও অনেকদিন ধরে পেতে হবে বাংলাদেশকে।

তবে শাহবাগ যদি হয় একটি বিপ্লব, তাহলে এর প্রতিক্রিয়ায় যে প্রতি-বিপ্লব হয়েছিল, আমার মতে তা ছিল মূল বিপ্লবের চাইতে অনেক বেশি শক্তিশালী ও কার্যকরী। এ বিষয়ে উল্লখ্য, প্রথম আলোতে প্রকাশিত একমাত্র বৈজ্ঞানিক জরিপ অনুযায়ী দেশের ২২ শতাংশ মানুষের সমর্থন ছিল শাহবাগ আন্দোলনে। মজার কথা হলো, শাহাবাগিরা বুঝে হোক আর না বুঝে হোক, তাদের ২২ শতাংশের সমর্থনের তিন গুন বেশি মানুষকে তারা একত্রিত করে ফেলেছেন তাদের প্রতি-বিপ্লবে। দেশের মানুষের মাঝে ৩০-৭০ কিংবা ৪০-৬০ এর একটি ঐতিহাসিক বিভাজন আগে থেকেই ছিল। গত ৩০ বছরের ইলেকশন রেজাল্ট ঘাটা ঘাটী করলে এই বিভাজন স্পষ্ঠ হয়ে যাবে। এই বিভাজনের বৃহৎ অংশটির লোকেরা এর আগে কোনদিন একত্রীত হতে পারেনি, সব সময় বিভাজিত থেকেছেন। শাহাবাগ আন্দোলন তার ম্যাজিক দিয়ে সেই ৬০ কিংবা ৭০ শতাংশ মানুষের বিভাজন দূর করেছে। শাহবাগ এই ৬০ কিংবা ৭০ শতাংশ মানুষকে একটি “মাদার অব অল এলাইন্সের” দারপ্রান্তে এনে দাড়া করিয়েছে। এই অসাধ্য সাধিত হয়েছে ২০১৩ সালে, তাও আবার মাত্র নয় মাসে।

এই “মাদার অব অল এলাইন্স” — যা ২০১৩ সালে সৃষ্টি হয়েছে, তার সুদীর্ঘ সুফল পাবে বাংলাদেশ। আর এই গ্র্যান্ড এলাইন্স-ই হলো শাহাবাগের বুমেরাং, যার কারনে ভেস্তে যাবে একাধিক দেশের কূটনীতি ও তাদের দেশীয় ক্রিড়ানকদের গেইম প্ল্যান।

সরি জাফর স্যার, ২০১৩ সালে আপনাদের স্বল্প সময়ের জন্যে চৌরাস্তা ছেড়ে দিয়েছিল মানুষ। কিন্তু তাদের সত্যিকারের স্বাধীনতার স্পৃহা, স্বাধীন ও মুক্ত বাংলাদেশের বাসনা আপনাদের হাতে দিয়ে দেয়নি। আর একারণেই বলতে হচ্ছে, ২০১৩ সালে আপনাদের বিজয় নয়, পতনের শুরু হয়েছিল। প্লিজ, “মাদার অব অল এলাইন্স” এই শব্দটি মনে রাখবেন।

 

 

Is this a party of Liberals?

3

By Shafquat Rabbee:

Bangladesh Awami League is the de-facto choice of Bangladesh’s liberal political class. This write up will seriously question how this party is currently manifesting clear attributes of intolerance, and often fascism. Despite its ever-growing authoritarian tendencies, how the party still maintains the loyal support of educated liberals, should be a topic for an academic undertaking.

To explore whether the Awami League is demonstrating fascist tendencies, one has to read the following excerpt from Wikipedia defining the term “fascism”:

“….Fascists sought to unify their nation through a totalitarian state that promoted the mass mobilization of the national community and were characterized by having a vanguard party that initiated a revolutionary political movement ……. fascist movements shared certain common features, including the veneration of the state, a devotion to a strong leader, and an emphasis on ultra-nationalism …. Fascism views political violence, war, and imperialism as a means to achieve national rejuvenation….

Fascist ideology consistently invokes the primacy of the state. Leaders such as Benito Mussolini in Italy and Adolf Hitler in Germany embodied the state and claimed indisputable power….”

Source: http://en.wikipedia.org/wiki/Fascism

Please check the appropriate references provided in the Wikipedia page on fascism for further theoretical queries and for ascertaining the validity of the above characterization. Now, as per the above characterization of “Fascism”, please see below some of the recent activities of the Awami League to formulate your opinion as to whether this is a fascist party:

“Fascists sought to unify their nation through a …. vanguard party that initiated a revolutionary political movement…” – Awami League is spending enormous energy to achieve this via its relentless reference to its leadership role in the 1971 Liberation war of Bangladesh.

According to the above definition, fascists share the following common features:

a. The veneration of the state: The Awami League Party and its supporters often show jingoism and superficial affection to a mythological state that they refer to as “Bangla”, which some critics struggle to confine within the current geographical region of Bangladesh. The Awami League supporters, and their latest ultra-purist clan known as “Shahabagis”, have a tendency to defy global opinions even on matters related to human rights or civil liberty buoyed by their superficial confidence on the mythological state of “Bangla”.

b. A devotion to a strong leader: Awamis and Shahbagis have Godlike reverence to their political leader Late Sheikh Mujibur Rahman, who is often referred as the “Father of the Nation” and “Friend of the Nation” or Bongobondhu– both at the same time.

Today’s Awamis and Shahbagis end all of their political utterings with the slogan “Joy Bangla” [victory for Bangla] and “Joy Bongobondhu” [victory for Bongobondhu].

The Awamis and Shahbagis are seen using these two chants like religious pronouncements in almost all of their political events, including ceremonial burials of party activists, formal and informal political communications, social media writings, political gatherings, and even during political fightings while they attack their opponents! The uttering of “Joy Bongobondhu” was heard on December 29, 2013, while the Awami-Shahabagis attacked Bangladesh’s supreme court building and inhumanly beat Supreme Court lawyers, many of whom were unarmed females.

The zeal and political importance of these two sentences are so intense that party adherents start quarrels if one of the two sentences is missing in anyone’s speech. For example, only a few days ago, one of the most prominent leaders of the Shahabagis found faults with even the grandson of the Bongobondhu Sheikh Mujibur Rahman for failing to type both “Joy Bangla” and “Joy Bongobondhu” in his Facebook status (the grandson only wrote Joy Bangla!).

c. An emphasis on ultra-nationalism: Awamis and Shahabagis use ultra-Bengali Nationalism as their main political philosophy. Although historically Bengalis have always had a hybrid cultural heritage, borrowing deeply from Arabs, Persians, Portuguese, Spanish, British, Turks or Moguls, Indian-Aryans, Pakistanis etc, the so-called Bengalism propagated by today’s Awami-Shahabagis align itself more with present day Indian heritage, than any of the other cultural lineages of Bangladeshis.

The Awami-Shahbagis go as far as to posit their ultra-Bengali nationalism as a counterpart of Islam- the religion. This particular overreach of a Bengali linguistic-ethnographic heritage against Islam.  Awami-Shahbagi Bengali ultra-nationalism often believes in their ability to even overtake religious identity using an ever-changing Bengali cultural identity.

– “Fascism views political violence, war, and imperialism as a means to achieve national rejuvenation”: This characteristic of Fascism is exemplified in Awami-Shahabagis’ call for another “Mukti Juddho” or “Liberation War” every other week. The Awami-Shahabagi leadership regularly calls for violence against their major political rivals, the latest of this was seen on December 29, 2013, when the following happened:

– Awami-Shahabagi activists attacked Bangladesh Supreme Court premise. This is the first such instance in Bangladesh’s 42 years of history, where party activists of any political party went inside the Supreme Court premise and beat up Supreme Court Lawyers (see video).

http://www.youtube.com/watch?v=2uOyiyh7-sI

– Awami-Shahabagi activists attacked Bangladesh Press Club. This is perhaps the second instance in Bangladesh’s 42 years of history, where political party activists attacked the Press Club. Both the attacks were carried out by Awami League activists, once during the early 70’s and the second time on December 29, 2013. The attackers were carrying Bangladeshi flag, and wearing bandanna made out of the Bangladeshi flags (see video).

http://www.youtube.com/watch?v=-MLILmRZPg4

– Awami-Shahbagi activists attacked female Lawyers, who were completely unarmed. The Awami-Shahbagi activists used Bangladesh’s national Flag stands as weapons for beating the female lawyers, and the attackers were wearing the national flag in their head (an overt example of Ultra-nationalism). See pictures below.

FemaleLawyerBeating

– Awami-Shahbagi activists attacked Dhaka University professors, a very rare occurrence even in Bangladesh’s turbulent political standards.

http://dailynayadiganta.com/details.php?nayadiganta=NjI2OA%3D%3D&s=MTc%3D

The Awami-Shahbagis earlier in the year of 2013 took possession of Shahbag Square of Dhaka (hence the name Shahabagi), and demanded death sentences of key accused of the 1971 War Crimes. All major independent observers like the United Nations, Human Rights Watch, Amnesty International, International Commission of Jurists etc have termed the War Crimes Tribunal flawed and lacking international standards. The US Senate passed a resolution number 318 where the tribunal was termed as lacking international standards. Yet, the Awami-Shahabagis continued for months their so called “Second Muktijuddho” or “Second Liberation War”, where they were demanding “specific verdicts” instead of “proper trial”, as a lynch mob. The trial remained popular across the board in Bangladeshi society, although a vast majority, according to scientific opinion polls, remained skeptical about the fairness of the trial proceedings. The Awami-Shahabagis, disregarded all calls for fairness in the trial proceedings, and found it to be their ultra-nationalistic duty to defy all credible international calls for remedial actions regarding the trial proceedings. Such misguided ultra-nationalism now has squandered Bangladesh’s only chance to render proper justice to the victims of 1971 atrocities.

FemaleShahabaginiswith Stick

Awami-Shahabagis call for violence can be further exhibited in the below incidences:

– Awami League activists for the first time in the history of Bangladesh conducted processions with sticks against Supreme Court Judges back in the early 2000’s

– Awami League activists for the first time in the history of Bangladesh asked its party men to show up in the streets of Dhaka with oar and sticks to beat up their opposition, which ultimately resulted in the first nationally televised live killing of a opposition party men (see video)

http://www.youtube.com/watch?v=6-dRC-NfDNg

–  The fact that Awami-Shahbagis can beat up old folks due to political disagreement, is perhaps worse than even fascism (see pic)

oldman beating2 oldman beating

– Awami League activists for the first and only time in Bangladesh’s history attacked and beaten up Bangladesh Army personnel (see pics), clearly showing the ultra-nationalistic invincibility felt by the Awami-Shahbagi activists

army beatingarmy kick 2

Despite all the historical evidences above, and being a textbook case of fascism, Awami-Shahbagis are still the favorites of Dhaka’s liberal elites! The world needs to study this phenomenon closely.

খালেদা জিয়ার বক্তব্য

2

খোমেনী ইহসান:
খালেদা জিয়া যা বলেছেন, তাকে অনেকে বিকৃত করছে। যারা এটা করছে, তারা আসলে স্বৈরতন্ত্রের পক্ষে নিজেদের সমর্থন জানাচ্ছেন। এদের চরিত্র সম্পর্কে মানুষ হুঁশিয়ার হোক। মুর্খরা কথা বিকৃত করে নিজেদের বিদ্যা ফলাতে চায়। নাহলে বুঝতো যে তাদের মানুষ কতখানি প্রত্যাখ্যান করে। 

সরকারের প্রতি বক্তব্য  

‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ কর্মসূচিতে যোগ দিতে না দেয়ায় খালেদা জিয়া বলেছেন, শেখ হাসিনা রক্তের গঙ্গা বইয়ে দিচ্ছেন। এই রক্তের গঙ্গার ওপর দিয়ে তিনি তার নৌকায় চড়ে ক্ষমতায় বসবেন। এই আশা দুরাশা। সেটা ভুলে যেতে বলেন। দেখবো কতদিন আটকে রাখতে পারেন। কর্মসূচি চলবে যতদিন এ রকম করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ভুলে যাইনি সেই দিনগুলোর কথা। আজকে সারা দেশকে কি অবস্থা করে রেখেছেন। সাহস থাকলে ছেড়ে দিতেন। দেখতেন যে কিভাবে জনগণ রাস্তায় নেমে আসে। মা-বোন, ভাই, কৃষক-শ্রমিক, মেহনতি জনতা, ছাত্র-যুবক সব বেরিয়ে আসতো আজকে।

আপনারা জাতীয় পতাকার অবমাননা করেছেন। দেশের প্রতিটি মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছেন। এই সরকারই না বলেছিল, খালেদা জিয়া বের হোক রাস্তায়? আজকে আমি রাজপথে যেতে চাই। কেন বাধা দিচ্ছেন? তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, তাদের তো রাজপথে নামার সাহস নেই। দুনিয়ার সিকিউরিটি নিয়ে চলেন, আর মানুষ মারেন। মানুষ গুম করেন। মানুষ খুন করেন। সারা দুনিয়া জেনে গেছে যে হাসিনা কত মানুষ খুন করেছে। কত মানুষ গুম করেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এই পুলিশ বাহিনী, র‌্যাব বাহিনী। কাজেই, আজকে না হলে কালকে হবে এই অবস্থান। কালকে আমাদের মিছিল হবে। বন্ধ করুন আপনারা, আমরাও দেখবো। আর কত মানুষ মারবেন? তা-ও দেখবো। এর আগেও তো মেরেছেন। তার পিতা ক্ষমতায় থেকে ৩০ হাজার লোক মেরেছেন। আর এখন আরও মারছেন। মারেন।

এর পরিণতি যে শুভ হবে না- তা তারা বুঝেছেন। জনগণ দেখেছে। এর পরিণতি শুভ হয় না। এর পরিণতি হবে অত্যন্ত ভয়াবহ ও কঠিন। জবাবদিহি করার জন্য প্রস্তুত থাকেন। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা আইনজীবীদের ওপর আক্রমণ করেন, গ্রেপ্তার করেন, সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছেন, মা-বোনদের ওপর নির্যাতন করছেন। আপনি না (প্রধানমন্ত্রী) মহিলা। আপনার মহিলাদের প্রতি এতটুকু সম্মান নেই। এতটুকু দরদ নেই। যে, আমরা মহিলাদের অন্তত সম্মানটা রক্ষা করি। সেটাতো আপনারা করেন না। কি আচরণ করেছেন?

অথচ আমাদের সময় ১৭৪ দিন আপনারা হরতাল করেছেন। অবরোধ করেছেন। নানা রকম বিশৃঙ্খলা করেছেন। লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ মেরেছেন। একটা গুলিও আমি চালাইনি। দেশের প্রতি, জনগণের প্রতি দরদ আছে আমাদের। মায়া আছে। সেজন্যই আমরা জনগণকে গুলি করে হত্যা করতে পারি না। কিন্তু আপনারা যেভাবে নৃশংসভাবে গুলি করছেন, হত্যা করছেন। তার জবাবদিহি করতে হবে। তার জবাব আপনাদেরকে দিতে হবে। এই রক্তের সাগর পাড়ি দিয়ে নৌকা তার গন্তব্যে পৌঁছতে পারবে না। আজকে রক্তের সাগরে নৌকায় করে উনি হাওয়া খেতে যাচ্ছেন। দেখতে পাবেন ক’দিন পরেই তার পরিণতি।

এই সমাবেশ আজকে হয়নি। আবার কালকে করবো। দেখবো, আপনারা আসেন, বসে থাকেন গেটের কাছে। ঠিক আছে। প্রতিদিন আমিও একই কাজই করবো। চলুক কতদিন চলে। আপনি মনে করেছেন কি? দেশটা কি আপনাদের একার? পৈতৃক সম্পত্তি হয়ে গেছে আওয়ামী লীগের- যে গুণ্ডা বাহিনী দিয়ে আমাদের সমাবেশ বন্ধ করতে চায়, পুলিশ বাহিনী দিয়ে সমাবেশ বন্ধ করতে চায়? সাহস থাকলে কাউন্টার প্রোগ্রাম করে দেখাতেন। সাহস নেই। ১০টা লোকও আসে না। ভাড়াটিয়া লোক আনে। ডিসি-এসপিদের দিয়ে লোক আনায়। বুঝি এটা আমরা। না হলে এমন করুণ পরিণতি হয়? ১৫৪টা আসন আনকনটেস্টেড হয়ে যায়? আর বাকি রয়েছে কি? বাকিগুলোও করে ফেলবেন। ওটা কোন ইলেকশন নয়। এটা যে সিলেকশন হয়েছে তা আজকে জাতির কাছে পরিষ্কার। দেশের মানুষের কাছে পরিষ্কার। তাই মানুষ আজকে ধিক্কার দিচ্ছে। ধিক্কার দেই আমরা এই সরকারকে।

পুলিশের প্রতি বক্তব্য 
পুলিশকে লক্ষ্য করে খালেদা জিয়া বলেন, কি করছেন? আপনাদের সঙ্গে আমাদের কোন বিরোধ নেই। আপনারা দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু আমি মনে করি যে, দায়িত্বটা সুন্দরভাবে পালন করুন। সম্মানের সঙ্গে থাকুন যেন আমরাও কাজ করতে পারি। আপনারাও কাজ করতে পারেন। আপনারা পুলিশ বাহিনী। কিন্তু এটা তো ঠিক নয় যে, আমাকে আমার বাড়ি থেকে বের হতে দেবেন না। এটা তো ঠিক নয়। এখানে আপনাদের যে অফিসার ছিল, সে গেল কোথায়। তার সঙ্গে তো আমি কথা বলতে চেয়েছি। সে কোথায়? কেন আমার পথ আটকিয়েছে? কেন সে আসছে না এখন সামনে? এতক্ষণ তো অনেক কথা বললেন। এখন মুখটা বন্ধ কেন? এই যে মহিলা। আপনার মুখটা এখন বন্ধ কেন? বলেন তো কি বলছিলেন এতক্ষণ ধরে। মুখটা বন্ধ কেন এখন? দেশ কোথায়? গোপালী? গোপালগঞ্জ জেলার নামই বদলে যাবে বুঝেছেন? গোপালগঞ্জ আর থাকবে না।

সরকারের প্রতি বক্তব্য 

সরকারের সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, আল্লার গজব পড়বে, আপনারা যা শুরু করে দিয়েছেন। কতগুলো আলেমকে হত্যা করেছেন। এতিমকে হত্যা করেছেন। কতগুলো বিডিআর অফিসারকে হত্যা করেছেন। সেদিন কোথায় ছিল হাসিনা? এতগুলো অফিসারকে মারলো। ৫৭ জন অফিসার হত্যা করলো। সেদিন হাসিনার এ ফোর্স কোথায় ছিল? কেন সে পাঠায়নি। আসলে তো সে নিজেই জড়িত ছিল বিডিআর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে। সেজন্যই আজকে, নতুন নতুন অনেক অপরিচিত চেহারা দেখা যায়। যাদেরকে চেনা যায় না যে, তারা আসলেই বাংলাদেশী কিনা। বাংলাদেশের আজকের যে কর্মসূচি ছিল, আপনারা যদি দেশকে ভালবাসতেন, তাহলে আজকে ছিল আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং মার্চ ফর ডেমোক্রেসি ছিল আমাদের কর্মসূচি। আপনারা গণতন্ত্রও চাবেন না, দেশ রক্ষা করতেও দেবেন না। গোলামি করবেন? দালালি করবেন? এই গোলাম তো রাখবে না। লেন্দুপ দোরজি’র ইতিহাসটা পড়ে দেখুন। সেও কিন্তু টেকেনি বেশিদিন। তাকেও বিদায় দিয়েছে এত দালালি করে, দেশ বিক্রি করে। কাজেই এই দেশ বিক্রি চলবে না। দেশ রক্ষা হবেই ইনশাআল্লাহ।

পুলিশের প্রতি বক্তব্য 

পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে লক্ষ্য করে তিনি বলেন, হাসিনার দালালি করে লাভ হবে না। বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে থাকুন। জনগণের সঙ্গে থাকুন। দেশের মানুষের সঙ্গে থাকুন। তবেই কাজে দেবে। দেশ বাঁচবে, মানুষ বাঁচবে। আজকে সবার দায়িত্ব হয়ে গেছে দেশ বাঁচানোর। মানুষ বাঁচানোর। আর আপনারা ঘরে ঢুকে এখন মানুষ হত্যা করছেন। মনে করেন যে, এগুলোর হিসাব নেই? এই মা-বোনের কান্না। এই আলেমে দ্বীনের কান্না, বিডিআর অফিসারদের স্ত্রীদের কান্না এগুলো কি বৃথা যাবে? এগুলো কোনও দিনই বৃথা যাবে না। আজকে যারা এই জুলুম-নির্যাতন করছেন তাদেরকেও এদের মতো একদিন চোখের পানি ফেলতে ফেলতে চোখ বন্ধ হয়ে যাবে। এখনও সময় আছে।
এ সময় উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। তখন তাদেরকে বিরোধী নেত্রী বলেন, ধাক্কাধাক্কি বন্ধ করুন। আমরা কোন ধাক্কাধাক্কি করতে আসিনি। আমি বলছি, আপনারা চাকরি করেন, চাকরি করবেন। কিন্তু এ রকম আমাদের গায়ের উপরে উঠে পড়বেন না। দূরে থাকুন। আপনাদের জায়গা যেখানে সেখানে থাকুন। আজ আপনাদের তো রাস্তার উপর থাকার কথা। আপনারা বাড়ির মধ্যে এসে গেছেন কেন? আপনাদের মেয়েরা এত ঝগড়া করে কেন? উত্তেজিত ও ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি আরও বলেন, এই মেয়েরা। চুপ করো। ক’দিনের চাকরি হয়েছে যে, এত কথা বলো? কিসের জন্য এত কথা বলো? চুপ থাকো। বেয়াদব কোথাকার। আপনার অফিসার কোথায় গেল? আসলো না? তাদের বলবেন, আমার সঙ্গে দেখা করতে। আমি তার সঙ্গে কথা বলতে চাই। বুঝেছেন? কি বোঝেননি কথাটা। এটা তো বাংলাভাষা। নাকি অন্য কোন ভাষায় বলতে হবে আপনাদেরকে। বুঝেছেন? সেই অফিসার কোথায়? তাকে আমার সঙ্গে দেখা করতে বলবেন।’

মার্চ এগেইনস্ট হিপোক্রেসি

2

by শাফকাত রাব্বী অনীকঃ

৭০ বছরের একজন মহিলা, যার হাঁটুতে একাধিক অপারেশন, তিনি কেন রাস্তায় নেমে মিছিল করেন না তা নিয়ে টিক্কা-টিপ্পনী কেটেছেন একদল মানুষ। ঠিক সেই মহিলাই যে মুহূর্তে বললেন আমি মিছিলে যাবো, সাথে সাথে তার বাসাতে মোতায়েন হলো ৩ প্লাটুন পুলিশ, বিজিবি, আর ৩ ট্রাক বালু। যিনি হাঁটেনই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে, সেই তাকে বহন করতে যেন আসতে না পারে কোন গাড়ি তা নিয়ে সে কি প্রাণান্ত চেষ্ঠা- যেখানে লাজ-লজ্জার কোন লেশমাত্র নেই। বাই চান্স ভদ্রমহিলা যদি পায়ে হেটে বেড় হতে চান, তাহলে যেন তাকে শাড়ি পরা অবস্থায় ৩ ট্রাক বালু ডিঙ্গাতে হয় সেই ব্যবস্থা করে নিজেদের চেতনার রকেট সায়েন্টিস্ট ভাবছেন নির্বোধের দল। খিস্তি খেউরে অভ্যস্থ নিম্ন রুচির সমর্থকদের খুশি করতে এধরণের চটকদারি আইডিয়াই যে একটি দলের একমাত্র ভরসা, তা তো বলাই বাহুল্য।

মাত্র ক’দিন আগেই পতাকা মাথায় তুলে দাড়িয়ে থাকলো ২৭ হাজার মানুষ। পাকিস্তানীদের হাতে থাকা পতাকার রেকর্ড ভাঙ্গা হলো চেতনার জোসে। আর এই মহান রেকর্ড ভাঙ্গার রেশ কাটতে না কাটতেই, গতকাল থেকে পতাকা বানানোর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়ে গেল বিভিন্ন স্থানে। গ্রেপ্তার করা হলো দর্জিকে, পতাকা বানানোর অপরাধে। স্বাধীন দেশে এখন নাকি পতাকা বানাতে পুলিশের পারমিশনও লাগে! এসব দেখে পতাকার রেকর্ড ভাঙ্গা চেতিয়ালের দল শুধুই মুচকি হাসে। এইতো তাদের পতাকা প্রেম!

১৬ই ডিসেম্বরে খবর বেড় হয়েছিলো কোথায় কোন পতাকা বিক্রেতাকে নাকি পতাকা বিক্রিতে বাধা দিয়েছিল কে-বা-কাহারা। তাই নিয়ে উত্থিত চেতনায় সেকি জ্বালাতন। অথচ গতকাল দোকানে দোকানে গিয়ে সরকারী পুলিশ বলে দিল কেউ যেন পতাকা বিক্রি না করে। পুলিশের মুরুব্বীদের শঙ্কা নাকি ছিল একটাই। চেতনার পতাকা যেন চেতনাহীন বিরোধী দলের হাতে না যায়! অর্থাৎ চেতনার ব্যাবসা যার, পতাকা যে শুধুই তার!

৫ লাখ লোক চৌরাস্তার মোড় দখলে নিয়ে, ২৪ ঘন্টা টিভি কাভারেজ দিয়ে, মিলনমেলা বসানো হয়েছিল প্রজন্মের সহবাস লাইভ টেলিকাস্টিং করতে। সে কি বাহবা, মারহাবা, মারহাবা, যেন পুরো দেশ, সংস্কৃতি, ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ সব এক কাতারে উদ্ধার হচ্ছে। সাথে সাথে চলেছে বিরোধিদের দিকে টিটকারি। কোথায়? তোমাদের কোন জমায়েতে এতো লোক কি হয় কখনও?

হ্যাঁ, লোক হয়েছিল, একবার না দুই বার। তাও আবার ৫ লাখ না। কেউ বলে ৫০।

কিন্তু ওগুলোতেও হিপোক্রিটদের মন ভোলে না। ওসব পঞ্চাশ-ফঞ্চাশ ডাজ নট কাউন্ট। কেননা যারা এসেছিল ওরাতো ছিল হুজুর। যারা চেক্টিভিস্টদের চোখে ছিল প্রান্তিক, চেতনা বিবর্জিত লুজার। সুতরাং ওদের কেন গণনায় ধরবে হিপোক্রিটের দল?

তো আজ যখন বিএনপির ডাকে আসতে চাইলো নন-হুজুরদের দল, সাথে সাথে করা হলো সারা দেশ অচল। হুজুরদেরতো তাও মিটিং এর পারমিশন দেয়া হয়েছিল। নন-হুজুরদের তাও দেয়া হলো না। চেতনার ফেরিওয়ালার আবার সেই মুচকী হাসি। পারলে পায়ে হেঁটে আয়না, দেখি তোরা কতগুলো নন-হুজুর।

যখন পায়ে হেঁটেও আসবে বলছে মানুষ, ঠিক তখন চেতনার পাইকারের শেষ সম্বল হয়ে দাড়ালো হুঙ্কার, লাঠি, বন্দুক, গুলি আর চেতনার সমন্বিত শিৎকার।

আর এই উন্মত্ততার মাঝেই ৫০ বছরের বেশিকাল ধরে টিকে থাকা আওয়ামী লীগ আজ নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে শুধু তার নেতৃত্ব ও সমর্থকদের হিপোক্রেসির বন্যায়। যদিও জাতীয় জীবনে কমবেশি হিপোক্রেসি হয়েছে আগেও । কিন্তু ক’সপ্তাহের ব্যাবধানে একের পর এক নির্লজ্জ হিপোক্রেসির এমন কন্টিনিউয়াস খেলা এর কেউ আগে দেখেছে বলে জানা নেই।

Where Are We Heading?

1

By Sabuz Khan

Since the 1947’s India-Pakistan separation – West Pakistan imposed Urdu as the official language of East Pakistan and proposed to write Bengali in Arabic scripts. Fuelling outrage amongst the people, where the majority (54%) speaks in Bengali, leading to a country-wide Language Movement outcry and criticism. Pakistan finally decided to recognise Bangla as the second official language in 1956, followed by the major protest in 1952. The thought of having an independent country has started since then.

What a wonderful language. Many have given lives; you’re familiar with some of them. Now we speak Bengali (some speaks Hingli*) – and proudly celebrate 21st February every year.

CHANGE IN STATE OF PLAY!
India is a passing craze! Indian TV channels are getting increasingly popular in Bangladesh, influencing the country’s culture and lifestyles. Bangladesh pays hefty annual subscription fees of appx. BDT 1,706,532,410, whereas Bangla channels are banned in India.

Bollywood songs are played in Bangla serials & movies, including the concerts paying tribute to the national events days. People happily use Hindi terms/words in their daily conversations and Social Medias. Non-resident Bangladeshis’ shamelessly speaks in Hindi/Urdu. National politics itself is far involved with India, than any time before!

The idea is pathetic. We have given lives to earn our independence from one country – now handing over ourselves to another.

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বর্ণনায় বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক

By শাফকাত রাব্বী অনীকঃ

কিছু দিনের মধ্যেই বিশ্বের ইতিহাসে অন্যতম হাস্যকর নির্বাচন হতে যাচ্ছে বাংলাদেশে। আর ঠিক এরকম সময়ে, দেশের শহুরে মধ্যবিত্তদের ফোকাস সরিয়ে রাখতে নতুন করে চালু করা হয়েছে পাকিস্তান বিষয়ক বিতর্ক।

কাদের মোল্লা সাহেবের মৃত্যুর পরে, সম্পূর্ণ হোম-ওয়ার্ক বিহীন একটি সংসদীয় প্রস্তাবনা আনা হয়েছিল পাকিস্তানের পার্লামেন্টে। প্রস্তাবনাটির ভাষা, যুক্তি ও টাইমিং দেখে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে পাকিস্তানের কোন মেধা সম্পন্ন গোয়েন্দা-ফোয়েন্দা তো বটেই, চিকন বুদ্ধি সম্পন্ন কোন কূটনীতিকও মনে হয় আর বাংলাদেশে চাকরি করেন না।

শাহাবাগিরা পাকিস্তানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার আল্টিমেটাম দিয়েছিল। গুলি ও গুমে অভ্যস্থ পুলিশ বাহিনীর মৃদু লাঠি চার্জেই সেই আল্টিমেটাম আপাতত নাই হয়েছে।

গতকাল জনৈক শাহাবাগি জিজ্ঞেস করছিলেন, পাকিস্তান বিষয়ে আমার ধারণা কি। তাদের সাথে সম্পর্ক থাকবে কি থাকবে না। এবং আমি পাকিস্তানকে বাংলাদেশের বন্ধু ভাবি কিনা। আমি উত্তরে বলেছিলাম, যেহুতু বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্র ক’মাস আগেই পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর গালে চুমু খেয়েছিলেন, সেহুতু বাংলাদেশ ও পাকিস্তান বন্ধু রাষ্ট্র। ফাজলামোপূর্ণ উত্তরটি শাহাবাগি ভদ্রলোকের পছন্দ হয়নি। ভাগ্যক্রমে, আজকে এক ছোট ভাই কিছু ডকুমেন্ট দেখালেন শেখ মুজিবের পাকিস্তান দর্শন সম্পর্কে। ভাবলাম এটা নিয়ে একটা লেখা দেয়া প্রয়োজন। সবাইকে দেখিয়ে দেয়া প্রয়োজন যে দেশের স্বাধীনতার প্রধান আর্কিটেক্টের মাথার বুদ্ধি বর্তমানে স্বাধীনতার চেতনা বিক্রি করে খাওয়া ফেরিওয়ালাদের চাইতে কতটা বেশি ছিল।

BANGLADESH- Not Yet Shonar Bangla নামে একটা প্রতিবেদন ছাপা হয় ১৯৭৩ সালের ০১ জানুয়ারী বিশ্বখ্যাত টাইম ম্যাগাজিনে।

time 1974 1 Time 1974 2

প্রতিবেদনটিতে তৎকালীন বাংলাদেশের অবস্থা তুলে ধরার পাশাপাশি আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হয়। তা হলো বাংলাদেশের অস্তিত্ব স্বীকার না করা এবং কোন প্রকার কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকা সত্ত্বেও ১৯৭২ সাল থেকেই পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছিল। সিঙ্গাপুর বন্দরের মাধ্যমে গোপনে দেশের মানুষকে না জানিয়েই এই বাণিজ্যিক কার্যক্রম সম্পাদন করা হত।

১৯৭৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারী ওআইসি সম্মেলনের প্রস্তুতি চলা কালে, জুলফিকার আলী ভুট্টো ঘোষনা দেন যে পাকিস্তান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে পারে শুধু একটা শর্তে। সেই শর্ত হলো যে ১৯৫ জন পাকিস্তানী সেনা কর্মকর্তা যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ বাংলাদেশ এনেছিল তার বিচারে বাংলাদেশ কোন পদক্ষেপ নিতে পারবে না। ২২ ফেব্রুয়ারী ১৯৭৪ সালে পাকিস্তান, ইরান এবং তুরস্ক বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়, শেখ মুজিবুর রহমান ওআইসি সম্মেলনে যোগ দেন।

পাকিস্তান থেকে ফেরার পথে বিমানবন্দরে সাংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের হত্যাযজ্ঞের বিষয়ে শেখ মুজিব কিছু তাৎপর্যপূর্ণ কথা বলেন। কথাগুলো নিচে ইংরেজিতে দেয়া হলো উইকিলিক্স থেকে। আমি বাংলা অনুবাদ করে দিলাম।

মার্কিন দলিলের সূত্রে জানা যায়, যখন মুজিবকে বাংলাদেশে পাকিস্তানী বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের কথা মনে করিয়ে দেয়া হয়, তখন মুজিব বলেছিলেন, ” আমি ঐ সব কিছু ভুলে যেতে চাই। আমি চাই আমার দেশের লোকেরাও সেই সব কথা ভুলে যাক। আমাদের নতুন করে শুরু করতে হবে। তুমি জানো যে, মানুষের স্মৃতিশক্তি সংক্ষিপ্ত।”

SheikhMujibon Pakistan

ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ নিয়ে মুজিব বলেন, “আমদের দক্ষিণ এশিয়ার তিনটি দেশকে ভালো প্রতিবেশির মতো থাকতে হবে। আমাদের সকল সমস্যার সমাধান করতে হবে শান্তিপূর্ণ উপায়ে”।

জুলফিকার আলি ভুট্টোর ব্যাপারে শেখ মুজিব বলেন,  আমি ভুট্টোকে সাহায্য করতে চাই। উনি আমার পুরোন বন্ধু। মুজিব আরও বলেন, “আমি ভুট্টোর সততায় মুগ্ধ। আমি আপ্লূত হয়েছি পাকিস্তানের জনগণের ভালোবাসায়। হাজারে হাজার পাকিস্তানী রাস্তার দুই ধারে দাড়িয়ে ছিল। তারা আমাকে মুজিব বলে ডেকেছে। ছেলে-মেয়েরা আবেগ নিয়ে হাত নেড়েছে যখন তারা তাদের পরিচিত কুর্তা-পায়জামা পরা অবস্থায় আমাকে তাদের মাঝে পেয়েছে।”

বন্দি পাকিস্তানী ১৯৫ জন সেনার ব্যাপারে মুজিব বলেছিলেন, “এব্যাপারে ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ একত্রে সিদ্ধান্ত নেবে দিল্লি চুক্তি মোতাবেক।”

সোর্স ঃ (http://www.wikileaks.org/plusd/cables/1974LONDON02652_b.html)

FRIENDLY COMMENTS ON PAKISTAN FROM SHAIKH MUJIB
Date:1974 March 1, 17:06 (Friday) Canonical ID:1974LONDON02652_b

1. EXCLUSIVE INTERVIEW WITH SHAIKH MUJIBUR RAHMAN
PUBLISHED IN THE TIMES FEBRUARY 29, BY KULDIP NAYAR,
TAKES VERY FRIENDLY LINE TOWARDS BHUTTO AND PAKISTAN.

2. AMONG QUOTES ATTRIBUTED TO SHAIKH MUJIB ARE: “WE
ALL THREE COUNTRIES IN THE SUB-CONTINENT HAVE TO LIVE
LIKE GOOD NEIGHBORS AND MUST SOLVE OUR PROBLEMS THROUGH
PEACE”.

3. ALSO: “I AM IMPRESSED BY MR. BHUTTO’S SINCERITY.
I AM OVERWHELMED BY THE LOVE AND AFFECTION SHOWN BY THE
PEOPLE OF PAKISTAN. THOUSANDS OF THEM LINED THE
ROUTE FROM THE AIRPORT TO THE VENUE OF THE ISLAMIC
SUMMIT. THEY CALLED ME BY MY NAME, MUJIB. THEY —
UNCLASSIFIED

UNCLASSIFIED

PAGE 02 LONDON 02652 011712Z

BOYS AND GIRLS ALSO — LUSTILY CHEERED ME WHEN THEY
SAW THE FAMILIAR KURTA-PYJAMA CLAD FIGURE AMONG THEM.”

4. WHEN REMINDED OF THE ATROCITIES COMMITTED IN
BANGLADESH BY PAKISTAN, MUJIB IS REPORTED TO HAVE
SAID: “I WANT TO FORGET ALL THOSE. I WANT MY PEOPLE
TO FORGET THOSE. WE HAVE TO START AFRESH. YOU KNOW
THAT PEOPLE’S MEMORY IS SHORT.” REVERTING TO BHUTTO,
MUJIB SAID: “I WANT TO HELP HIM. HE IS AN OLD FRIEND.”

5. MUJIB REFUSED TO DISCUSS THE QUESTION OF KASHMIR.

6. ASKED HOW SOON BANGLADESH WOULD HAVE DIPLOMATIC
TIES WITH PAKISTAN, MUJIB SAID, “VERY SOON”. HE
PARRIED QUESTIONS ON HOW PAKISTAN’S RECOGNITION OF
BANGLADESH HAD COME ABOUT.

7. AS TO FUTURE OF 195 POW’S, MUJIB SAID DECISION ON
THEM WOULD BE TAKEN BY INDIA, PAKISTAN AND BANGLADESH
IN ACCOREANCE WITH DELHI AGREEMENT. HE INDICATED
BANGLADESH ALREADY IN TOUCH WITH DELHI TO DECIDE TIME
AND VENUE OF CONFERENCE WHICH, ACCORDING TO HIM, WILL
BE AT THE FOREIGN MINISTER LEVEL FIRST, “AND THEN
WE SHALL MEET”.

8. WHEN TOLD THAT THERE WAS GROWING ANTI-INDIAN
FEELING IN BANGLADESH, HE REPLIED: “SOME VESTED
INTERESTS AND FOREIGN POWERS” WERE OUT TO CREATE BAD
BLOOD BETWEEN THE TWO COUNTRIES. HE SAID INDIA HAS
NOT INTERFERED IN BANGLADESH AFFAIRS AND VICE-VERSA.

ANNENBERG

UNCLASSIFIED

NNN

কাদের মোল্লা, কসাই কাদের ও কিছু প্রশ্ন

3

by অগ্নি বীনা :

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম বহুল আলোচিত বিষয় কাদের মোল্লার ফাঁসি। স্বাধীনতার ৪২ বছর পর যুদ্ধাপরাধের বিচারের মতো সংবেদনশীল একটি বিষয় এর সাথে জড়িত থাকায় আলোচনার ব্যপ্তি ছিল বিচার প্রক্রিয়া, রায়, প্রতিক্রিয়া হিসেবে শাহবাগের গণজাগরণ, আইন সংশোধন, রায় পরিবর্তন, এবং শেষপর্যন্ত ফাঁসি নিয়ে। তবে প্রত্যাশা অনুযায়ী ফাঁসির মধ্য দিয়েই ঘটনার যবনিকাপাত ঘটেনি। উঠে এসেছে নতুন কিছু প্রশ্ন।

 কাদের মোল্লার বিচার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে মূলতঃ দুটি বিষয়ে –

  •  বিচার প্রক্রিয়ায় আপাতঃ অনিয়ম, অন্যায্যতা, বা আন্তর্জাতিক মান রক্ষায় ব্যর্থতা
  •  কাদের মোল্লার পরিচয় সংক্রান্ত জটিলতা

প্রথম ইস্যুটি নিয়ে লেখালেখি হয়েছে বিস্তর। এর মধ্যে সাংবাদিক David Bergman এর ব্লগ http://bangladeshwarcrimes.blogspot.com/ উল্লেখযোগ্য। অন্যদিকে প্রমাণে জটিলতার কারণে দ্বিতীয় ইস্যুটিতে আলোচনা কম হলেও সাম্প্রতিক সময়ে এ বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এর পেছনে কারণ হিসেবে রয়েছে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অভিযুক্তের সংশ্লিষ্ট অপরাধে নিজেকে নির্দোষ দাবি করা যা প্রতীয়মান হয় জেল থেকে সাবেক এমপি গোলাম মাওলা রনিকে লেখা চিরকুট বা ফাঁসির পূর্বে স্ত্রীকে লেখা শেষ চিঠি থেকে। এ থেকে প্রশ্ন জাগে অভিযুক্ত কাদের মোল্লা এবং যুদ্ধাপরাধী হিসেবে কুখ্যাত মিরপুরের কসাই কাদের একই ব্যক্তি কিনা।

১/ জবানবন্দি

 আদালতে প্রদত্ত জবানবন্দি অনুযায়ী, ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলার আমিরাবাদ গ্রামের মরহুম সানাউল্লা মোল্লার ছেলে আবদুল কাদের মোল্লা ১৯৪৮ সালের ২ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৪ সালে আমিরাবাদ ফজলুল হোক ইন্সটিটিউশন থেকে এসএসসি এবং ১৯৬৬ সালে ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। ১৯৬৬ সালে রাজেন্দ্র কলেজে বিএসসি প্রথম বর্ষে পড়ার সময় ছাত্র ইউনিয়ন ছেড়ে ইসলামী ছাত্রসংঘে যোগদান করেন। ১৯৬৮ সালে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ থেকে ডিগ্রি পাস করে ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যা বিভাগে মাস্টার্সে ভর্তি হন কাদের মোল্লা। তিনি শহীদুল্লাহ হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। জবানবন্দি অনুসারে ১৯৭১ এ পদার্থবিজ্ঞানে মাস্টার্সের শেষবর্ষের ছাত্র থাকাকালীন ৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পর পরীক্ষা পিছিয়ে গেলে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগীয় চেয়ারম্যান ডঃ ইন্নাস আলীর পরামর্শমতো  ১১ই মার্চ তিনি গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের আমিরাবাদে ফিরে যান এবং ধলা মিয়া পীর সাহেবের বাড়িতে আশ্রয় পান। পীর সাহেবের আনুকূল্যে তিনি তদস্থ চৌদ্দরশি বাজারে ব্যবসা করতেন পীর সাহেবের দোকানঘরে বসে। ঐ সময়ে তিনি নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন আওয়ামী লীগের প্রাদেশিক পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন এবং সদরপুর পুলিশ স্টেশনের চেয়ারম্যান শাহজাহান তালুকদারের সঙ্গে। জবানবন্দি অনুযায়ী স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবের শাসনকালেই ১৯৭২ সালের শেষদিকে তিনি ঢাকা ফিরে আসেন, কিন্তু পড়াশোনায় দীর্ঘ বিচ্ছেদের কারণে পদার্থবিজ্ঞানে মাস্টার্স শেষ করতে ব্যর্থ হন। এ অবস্থায় ১৯৭৪ সনে শহীদুল্লাহ হলে থাকা অবস্থায় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অফ এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চে ডিপ্লোমা ইন এডুকেশনে ভর্তি হন এবং ১৯৭৫ এ ঐ বিষয়ে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন সহ ডিপ্লোমা শেষ করেন। ১৯৭৪-৭৫ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থিত উদয়ন স্কুলে শিক্ষকতাও করেন। ১৯৭৭ সালে একই ডিপার্টমেন্ট থেকে এডুকেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে মাস্টার্স শেষ করেন এবং পরবর্তীতে ঢাকা রাইফেলস পাবলিক স্কুলে সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৭৯ সালে তিনি জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন। ২০০৭ সালে মামলার আগ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে দেশের কোথাও কোন মামলা বা সাধারণ ডায়েরি দাখিল করা হয়নি।

২/ সহপাঠীর বক্তব্য

 সম্প্রতি কাদের মোল্লার এক সহপাঠী ডঃ মোজাম্মেল খানের লিখিত একটি নিবন্ধ ইন্টারনেটে শেয়ার করা হচ্ছে যার মূল বক্তব্য হোল কাদের মোল্লা মুক্তিযুদ্ধের আগেই ইসলামী ছাত্র সংঘের সাথে জড়িত ছিলেন, তা দেখানো। এ বক্তব্যটি অবশ্য কাদের মোল্লার জবানবন্দির সাথে সাংঘর্ষিক নয় যেহেতু তিনি নিজেও তা উল্লেখ করেছেন। প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার আলোকে লেখক বলতে পেরেছেন –

  • কাদের মোল্লা তার রাজেন্দ্র কলেজের ১৯৬৪-১৯৬৬ এইচএসসি ব্যাচের সহপাঠী ও হাউজমেট ছিলেন।
  • ১৯৬৬ সালে লেখকের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যাওয়া এবং কাদের মোল্লার ফরিদপুরেই থেকে যাবার পর অভিযুক্তের সাথে তাঁর ফের দেখা হয় ১৯৭৯ সালে – তাঁদের কথোপকথনে প্রতীয়মান হয় লেখক জয় বাংলা পন্থী এবং কাদের মোল্লা জিন্দাবাদ পন্থী ছিলেন।

বাকি সব আর্গুমেন্ট শোনা কথার ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং দুই-দুই এ চার মেলানো।

  • লেখক কাদের মোল্লার পরিবারকেই কোট করছেন যে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছেন। লেখক ধরে নিয়েছেন ৭২-৭৫ সে আত্মগোপনে ছিল, কারণ দুই বছরের এমএসসি ডিগ্রীর জন্য ৮ বছর লাগতে পারে না। এ যুক্তিটি গ্রহণযোগ্য নয় কারণ ১৯৭৫ সালে কাদের মোল্লা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অফ এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ থেকে ডিপ্লোমা ইন এডুকেশন অর্জন করেন যা থেকে প্রতিভাত হয় তিনি অন্তত ১৯৭৪ শিক্ষাবর্ষে ((বা মুক্তিযুদ্ধের পর এবং ১৯৭৫ এর আগে অন্তত দুই বছর)) ঢাবিতে অধ্যয়নরত ছিলেন।
  • লেখক ধরে নিয়েছেন যে রাজেন্দ্র কলেজে ১৯৬৮ সালে পদার্থবিজ্ঞানে বিএসসির পর ঢাবিতে তিনি দুই বছরের মাস্টার্স ডিগ্রি করেছেন যাতে এতো সময় লাগার কথা নয়। কিন্তু উপরে প্রদত্ত তথ্য অনুসারে মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে ১৯৬৯ সনে পদার্থবিজ্ঞানে মাস্টার্সে ভর্তি হলেও, যুদ্ধের পর তিনি বিষয় পরিবর্তন করে ইন্সটিটিউট অফ এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে ১৯৭৫ এ ডিপ্লোমা এবং ১৯৭৭ এ মাস্টার্স – দুটি ডিগ্রি সমাপ্ত করেন যা জবানবন্দির সময়ের সাথে মিলে যায়। ধরে নেয়া যেতে পারে বক্তব্যের সমর্থনে প্রাসঙ্গিক সকল সার্টিফিকেট তিনি আদালতে সাব্যস্ত করেছেন – অন্যথায় তাঁর যুক্তি উড়িয়ে দেয়া প্রসিকিউশনের জন্য খুবই সহজ ছিল।
  • লেখকের উপস্থাপনা কাদের মোল্লার রাজনৈতিক মতাদর্শের দিকে ইঙ্গিত করলেও এমন কোন তথ্য প্রদান করে না যা ফরিদপুরের কাদের মোল্লাকে ঢাকার মিরপুরে অপরাধ সংঘটনের স্থলে প্রতিষ্ঠিত করে।

৩। ৭৫ এর পূর্বে না পরে?

  • ১৯৭৫ সালে কাদের মোল্লা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অফ এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ থেকে তাঁর পূর্ববর্তী বিষয় (পদার্থবিজ্ঞান) হতে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি বিষয়ে (শিক্ষা) ডিপ্লোমা ইন এডুকেশন অর্জন করেন যা থেকে প্রমাণ হয় তিনি অন্তত ১৯৭৪ শিক্ষাবর্ষে (বা মুক্তিযুদ্ধের পর এবং ১৯৭৫ এর আগে অন্তত দুই বছর) ঢাবিতে অধ্যয়নরত ছিলেন।
  • অভিযুক্ত কাদের মোল্লা ১৯৭৪-৭৫ সনে খোদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যস্থিত উদয়ন বিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন বলে দাবী করেছেন। এর বিপরীতে উদয়ন বিদ্যালয় কোন অফিসিয়াল স্টেটমেন্ট দিয়েছেন বলে জানা যায় নি যা তাঁর দাবীকে অসত্য প্রমাণ করতে পারত।
  • এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে কাদের মোল্লা ৭৫ এর পটপরিবর্তনের পর নয়, বরং তার আগেই ঢাকায় পুনর্বাসিত হন এবং শহীদুল্লাহ হলের আবাসিক ছাত্র হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় বিচরণ করেন।
  • এখানে দ্রষ্টব্য যে দালাল আইন (বিশেষ ট্রাইব্যুনাল) আদেশ ১৯৭২ এর অধীনে ৩৭০০০+ লোককে আটক করা হয়। সত্যাসত্য, ব্যক্তিগত শত্রুতা চরিতার্থ সহ মামলা/অভিযোগ ছিল আরও অনেক বেশি। সেখানে ‘মিরপুরের কসাই’ নামে কুখ্যাত এ লোকটি স্বাধীনতার পর কোনও মামলা ছাড়াই সবার নাকের ডগার উপর দিয়ে খোদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি করল? এ নিয়ে কোন মামলা ছাড়াই লোকসমক্ষে ঘুরে বেড়াল ৪০ বছর? এ ব্যাপারটি এতই অবিশ্বাস্য যে  নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ডঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মতো প্রখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা এই ভিডিওটিতে – কাদের মোল্লা কসাই কাদের হলে যুদ্ধের পর কিভাবে ঢাবিতে পড়ে?

কাদের মোল্লা পাকিস্তানপন্থী হয়তো সে ছিল, তবে প্রশ্ন জাগে এই কাদের মোল্লাই কুখ্যাত কসাই কাদের কিনা যার অপরাধের দায়ভার নিয়ে এ লোকটিকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে।

 মামার বক্তব্য 

প্রসিকিউশনের দ্বিতীয় সাক্ষী ছিলেন শহীদুল হক মামা। ষাটের দশকে মিরপুরের বাসিন্দা হিসেবে তিনি ঘটনা চলাকালীন সময়ে মিরপুরে কাদের মোল্লার উপস্থিতি প্রমাণে একজন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী। একজন সুপরিচিত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিভিন্ন সময়ে তার প্রদত্ত বক্তব্য ও সাক্ষ্যে  কিছু অসঙ্গতি দেখা যায় –

  • আদালতে প্রদত্ত সাক্ষ্যে তিনি কালানুক্রমিক ঘটনা বর্ণনা করার সময় প্রথম মিরপুরে কাদের মোল্লার নাম ও উপস্থিতি উল্লেখ করেন ১৯৬৬ সালে ছয় দফা আন্দোলন চলার সময়কালে –

Prosecutor: State about the movement of 1966.

Witness: There was a movement in 1966 for the demand of 6 items. I participated in that movement. That movement was Bangalies’ demand for life.

Defense Counsel (Ekramul Haque): It seems that, the prosecutor friend is deriving information by licking the witness.

Prosecutor: What was the background of this movement?

Witness: At first the movement demanded 6 items, then the students’ movement demanded 11 items – the main sight behind both these movements were the confinement of the hero of history under the conspiracy case of Agartala.

Defense Counsel (Ekramul Haque): My Lord, I am sorry. My learned friend is thinking that I understand nothing. His way of questioning is not correct.

Prosecution Witness (Sayed Shahidul Haque Mama) told angrily, you have come as the agent of Rajakars of 1971, but I have come here in response of my conscience.

Prosecutor (Mohammad Ali) cooled down and told to say his statement.

Witness: By keeping 6 items’ and 11 items’ in front, we participated in movements. We went in front of Beauty Cinema Hall of Mirpur with procession. Then the leader of Muslim League S.A Khaleque and the sun of Monem Khan Md. Khoshru attacked and fired at the procession with their team.

Prosecutor: Then, what happened?

Witness: Then Quader Mollah of Jamaat-e-Islami, Dr. T. Ali, Hakka Gunda, Akhter Gunda, Nehal, Hasib Hashmi, Abbas Chairmen, Kana Hafez along with their followers invited Muslim League leader Khan Abdul Kaiyum who was known as Tiger of Border to defend 6 items’ and 11 items’ movement.

পরবর্তীতে, তিনি এই একই নামসমূহ মিরপুর এলাকার অন্যান্য পাকিস্থানপন্থি বিভিন্ন ঘটনার সাথে উল্লেখ করতে থাকেন। এ থেকে অনুমান করা যায় যে জনৈক কাদের মোল্লা অন্তত ১৯৬৬ সাল বা তারও আগ থেকে মিরপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। অন্যদিকে, অভিযুক্তের দাবি অনুসারে (এবং ধরে নেয়া যায় বক্তব্যের সমর্থনে অফিসিয়াল সার্টিফিকেট সরবরাহ করা হয়েছে) ১৯৬৬ সালে তিনি ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ১৯৬৮ সালে বিএসসি পাশ করেন। তিনি ১৯৬৯ সালে প্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। শুধু তাই নয়, কাদের মোল্লার  বিরোধী শিবির কর্তৃক বহুল প্রচারিত উপরোক্ত কাদের মোল্লার সহপাঠী মোজাম্মেল খানের ভাষ্য এই বিবরণটিকেই সমর্থন দেয় যেখানে তিনি দাবী করেছেন ১৯৬৪-১৯৬৬ সাল পর্যন্ত তিনি ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজে এইচএসসি পড়াকালীন সময়ে কাদের মোল্লার হাউজমেট ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি প্রকৌশল পড়ার জন্য ঢাকায় চলে আসেন, কিন্তু কাদের মোল্লা ঐ একই কলেজে বিএসসি পড়তে রয়ে যান।

এ থেকে প্রশ্ন জাগে, কোন কাদের মোল্লা তবে মামার ভাষ্য অনুযায়ী ১৯৬৬ সালে মিরপুরে বিহারীদের সাথে পাকিস্থানপন্থি কার্যক্রমে অংশ নিয়েছিল? কিভাবে ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজের একজন নিয়মিত ছাত্র পড়া চলাকালীন সময়ে নিয়মিত ঢাকার মিরপুরে বিভিন্ন ঘটনায় অংশ নেয়?

  • ১৯৭১ এ মুক্তিযুদ্ধ চলা কালে মিরপুরে বাঙ্গালি ও অবাঙ্গালি বিহারীদের মধ্যে চলা সংঘর্ষ ও নির্মম ঘটনাবলী নিয়ে তৈরি একটি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টারি হচ্ছে Mirpur, The Last Frontier  

Mirpur, The Last Frontier, Part 1

Mirpur, The Last Frontier, Part 2

মিরপুরের বিভিন্ন ঘটনাবলীর চাক্ষুষ সাক্ষী হিসেবে শহীদুল হক মামা এবং কবি কাজি রোজি এই প্রামাণ্যচিত্রে বক্তব্য দেন। সমস্যা হোল, বিশেষভাবে মিরপুরের ঘটনাবলীর উপর নির্মিত দুই পর্বের এ প্রামাণ্যচিত্রের কোথাও শহীদুল হক মামা এবং কাজি রোজি কাদের মোল্লার নামই উল্লেখ করেননি, বরং কবি মেহেরুন্নেসা হত্যাসহ বিভিন্ন ঘটনায় বিশেষভাবে কেবল বিহারীদের কথা উল্লেখ করেছেন। শহীদ কবি মেহেরুন্নেসার উপর বিশেষভাবে লিখিত একটি বইতেও কবি কাজি রোজি কাদের মোল্লার নাম উল্লেখ করেননি। এ অসঙ্গতি আদালতের গোচরীভূত করা সত্ত্বেও আদালত তা আমলে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। মিরপুরের শুধু একটি ঘটনায় ৩৪৪ জনের গণহত্যার মতো অভিযোগ যে লোকটির বিরুদ্ধে, তার নাম মিরপুরের ঘটনাবলীর উপর নির্মিত এতো বিশদ প্রামাণ্যচিত্রের কোথাও উল্লিখিত না হওয়া বিচিত্র নয় কি? আরও অদ্ভুত বিষয় হল, প্রামাণ্যচিত্রটিতে শহীদুল হক মামা বিশেষভাবে মিরপুরের কসাইখানার কথা উল্লেখ করেছেন যেখানে বিহারী কসাইরা বাঙ্গালীদের নির্মমভাবে অত্যাচার করেছে। এ থেকে প্রশ্ন জাগে ‘মিরপুরের কসাই’ নামে কুখ্যাত ব্যক্তিটি কি আক্ষরিক অর্থেই একজন ‘কসাই’ ছিল, যে সম্পর্কে জনশ্রুতি রয়েছে?

৫/ কসাই কাদের?

উপরোল্লিখিত ঘটনার বিবরণ এবং সময়লিপি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কাদের মোল্লার নয়, বরং সেই সময়ে মিরপুরের বাসিন্দা জনৈক কসাই কাদেরের উপস্থিতি সম্পর্কিত থিওরিকেই বরং সমর্থন করে বেশি। কসাই কাদের বলে আসলেই কি কেউ ছিল? এ সম্পর্কে নেট সার্চ করে যা পাওয়া যায়, তা হোল – 

  • জনৈক মোঃ নূরুল আমিন এর লেখা নিবন্ধ যাতে তিনি উল্লেখ করেছেন

…আমি ১৯৬২ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত প্রথমত ছাত্র হিসেবে পরে শিক্ষক সাংবাদিক হিসেবে ঢাকার রাজনৈতিক অঙ্গনের সাথে জড়িত ছিলাম। কিন্তু কাদের মোল্লা নামের কোনও ব্যক্তিকে আমি জামায়াত বা ছাত্রসংঘের হয়ে কাজ করতে দেখিনি। মিরপুরে কসাই কাদের নামে একজন কাদের মোল্লা ছিলেন তার নাম আমরা শুনেছি। তিনি পেশায় কসাই ছিলেন এবং মানুষ হত্যায়ও পারদর্শী ছিলেন। তার একভাই বহুদিন পর্যন্ত কাওরান বাজারে গোশত বিক্রি করতো। তার কাছে শুনেছি কসাই কাদের তথা মিরপুরের কাদের মোল্লাকে স্বাধীনতার পর হত্যা করা হয়েছে। আগেই বলেছি জামায়াতের কাদের মোল্লাকে ৭১ সালে আমি কখনো দেখিনি। তার বাড়ি ফরিদপুর; তিনি কখনো মিরপুরের বাসিন্দা ছিলেন না। … যেহেতু জামায়াতের কাদের মোল্লা কখনো মিরপুরে ছিলেন না, কোনও অপরাধ করেননি সেহেতু স্বাধীনতার পর থেকে ৪০ বছরের মধ্যে তার বিরুদ্ধে কোথাও কোনও জিডি হয়নি, দালাল আইনে তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়নি।

  • Somewhereinblog এ ভ্রমনবিলাসী বালকের লেখা

এটিএন বাংলা কসাই কাদের মোল্লার অপরাধ খুঁজতে গিয়ে আমাদের ঢাকা মিরপুর আসনের আসলামুল হকের পিতার নাম এসেছিল।কিন্তু মুফতে তার নাম গাপ করে ফেলা হয়েছে । এখন কেরানীগঞ্জে গেলে কিছু জানতে পারবেন কিনা জানি না । কিন্তু এটিএন বাংলায় এর তথ্য প্রমাণ সংবলিত ভিডিও গাপ না করে দিলে পেতে পারেন

  • শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লা আর কসাই কাদের কি এক? ছবি কি বলে? তথ্যসূত্র এখানে

উপরের ছবিটি ট্রাইব্যুনালে সংরক্ষিত সরকার পক্ষের কৌসুলিদের জমা দেয়া কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মহা গুরুত্বপূর্ন একটি ডকুমেন্ট। ছবিতে জেনারেল এ এ কে নিয়াজীর পিছনে দাঁড়ানো মিরপুরের বিহারী ‘কসাই কাদেরকে’ আব্দুল কাদের মোল্লা বলে চালানো হয়েছে।নিচের ছবিতে ৯২ সালের রোকন সম্মেলনে তৎকালীন আমীরে জামায়াত অধ্যাপক গোলাম আযম সাহেবের পাশে দাঁড়ানো আব্দুল কাদের মোল্লা।

বিশ্লেষণঃ ১৯৭১ সালে-

নিয়াজীঃ উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী নিয়াজীর বয়স ছিল ৫৭ বছর। উচ্চতা প্রায় ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি।

কাদের মোল্লাঃ বিভিন্ন সূত্রের তথ্যানুযায়ী কাদের মোল্লার বয়স ছিল ২২/২৩ বছর। উচ্চতা ৫ ফুট ২ ইঞ্চি।

কসাই কাদেরঃ অসমর্থিত সূত্র এবং বিশ্লেষণ অনুযায়ী কসাই কাদেরের বয়স ছিল ৪৮ বছর। পাশে দাঁড়ানো নিয়াজীর সাথে তুলনা করলে বিহারী কসাই কাদেরের উচ্চতা কমপক্ষে ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি।

প্রশ্ন-১: ৯২ সালে নিচের ছবিতে অধ্যাপক গোলাম আযমের পাশে দাঁড়ানো ৪৩/৪৪ বছর বয়স্ক কাদের মোল্লাকে যদি ২১ বছর আগে কল্পনা করা হয় তাহলে কি নিয়াজীর পাশে দাঁড়ানো ৪৮ বছর বয়স্ক ‘কসাই কাদেরের’ মতো মনে হবে?

প্রশ্ন-২: হিসাব অনুযায়ী নিয়াজীর চেয়ে প্রায় পৌনে ১ ফুট কম উচ্চতার কাদের মোল্লাকে নিয়াজীর পাশে দাড় করালে তাকে কি (কসাই কাদেরের মতো) প্রায় নিয়াজী বরাবর মনে হওয়ার কথা?

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দীকি বীরউত্তম, শাহবাগ আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারী তার এক কলামে বঙ্গবন্ধুকে উদ্দেশ্য করে স্যাটায়ার করে লিখেন-

“পিতা, কাদের মোল্লাকে নিয়ে দেশ এখন উত্তাল, পুরা দেশে এক নাম- কাদের মোল্লা! তার ফাঁসির দাবী চলছে। কিন্তু পিতা তুমি হয়তো এই কাদের মোল্লাকে চিনোনা, কারণ আমাদের সময়ে যাদের যাদের বিচারের লিষ্ট আমরা বানিয়েছিলাম তাতে এই কাদের মোল্লা ছিলোনা। তুমি কীভাবে চিনবে, আমরাই তো কেউ চিনতাম না।”

৬/ সাক্ষী মোমেনা

যে প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্যে কাদের মোল্লার ফাঁসির আদেশ হয়, তাঁর তিনটি ভিন্ন সময়ে একই ঘটনার তিনটি ভিন্ন বিবরণ পাওয়া যায় যা পরস্পরের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।  ২০০৭ এবং ২০১০ সালে দেয়া দুটি ভিন্ন বক্তব্যে তিনি অপরাধের জন্য কেবল বিহারী এবং পাক সেনাদের দায়ী করেছেন এবং কাদের মোল্লা বা অন্য কোন বাঙ্গালী এর সাথে জড়িত থাকার কথা বলেননি। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সংরক্ষিত প্রথম বক্তব্যে তিনি প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন না বরং শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করছিলেন বলে উল্লেখ করেন। কেবলমাত্র তৃতীয় দফায় ক্যামেরা ট্রায়ালে মুখ ঢাকা অবস্থায় যে মোমেনা বেগমের সাক্ষ্য নেয়া হয়, তাতে তিনি কাদের মোল্লার নাম উল্লেখ করেন ও নিজেকে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বলে দাবী করেন। এ অসঙ্গতিপূর্ণ বক্তব্য দাতার সাক্ষ্যের উপর ভিত্তি করে ফাঁসির রায় দেয়া নিয়ে বিস্তর লেখালেখি হয়েছে। তাঁর পূর্ববর্তী বিবরণ ‘সাক্ষ্য’ ছিল, না ‘জবানবন্দি’ ছিল, না ‘বক্তব্য’ ছিল, তা নিয়ে আইনের ত্যানা পেঁচিয়ে পাতার পর পাতা ভর্তি করে ফেলা এবং তার ভিত্তিতে আদালতে তাঁর পূর্ববর্তী সাংঘর্ষিক বক্তব্য তুলে ধরার পরেও আদালত কর্তৃক তা আমলেই না নেয়ার সিদ্ধান্তকে কেউ কেউ জাস্টিফাই করার চেষ্টা করতেই পারেন, তবে জনসাধারন্যে স্বাভাবিকভাবে এ নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায় –      

 ৭/ ভি চিহ্ন 

অভিযুক্ত কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় পাবার পর ভি চিহ্ন দেখানোকে কেউ কেউ অন্যায়ের প্রতি তাঁর সমর্থনসূচক ভঙ্গি হিসেবে ব্যাখ্যা করছেন। এ ব্যাখ্যা যে ভুল, অভিযুক্তের স্ত্রীকে লেখা শেষ চিঠিই তার প্রমাণ যেখানে তিনি অভিযোগসমূহের দায়ভার সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন এবং তার প্রতি আদালতের রায়কে প্রতিশোধমূলক ও অন্যায় বলে উপস্থাপন করে তাঁর পরিণতিকে মিসরীয় ধর্মীয় নেতা সাইয়্যেদ কুতুবের জালিমের হাতে শহীদি মৃত্যুর সাথে তুলনা করেছেন – সত্য এই যে, কেবল যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় পাবার পর নয়, বরং ফাঁসির রায় পাবার পর, এমনকি ফাঁসির আগে তাঁর স্ত্রী তাঁর সাথে শেষ দেখা করে ফেরার পথেও ভি চিহ্ন দেখিয়েছেন। কাদের মোল্লা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে উত্থাপিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং যে অপরাধ তিনি করেননি তার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতেও অস্বীকার করেছেন। ভয় ও অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করাকে তিনি তাঁর নৈতিক বিজয় হিসেবেই দেখেছেন বলে মনে হয়।

৮/ পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া 

১৯৭১ এ পাকিস্তানকে সমর্থন করার কারণেই জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লাকে অন্যায়ভাবে ফাঁসি দেয়া হয়েছে, এ মর্মে পাকিস্তানের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের বক্তব্যকে অনেকে কাদের মোল্লার অপরাধ প্রমাণে অকাট্য প্রমাণ হিসেবে নিয়েছেন। এ যুক্তি হাস্যকর। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসির বিষয়টি ঠিক এভাবেই উপস্থাপিত হয়েছে, তাই এ বক্তব্য তার প্রতিক্রিয়া হওয়াই স্বাভাবিক। মুক্তিযুদ্ধের ৪২ বছর পর কাদের মোল্লাই যে মিরপুরের কসাই কাদের, তা প্রমাণ করতে প্রসিকিউশনের বাঘা বাঘা উকিলদের ঘাম ছুটে গেল, আর কোথাকার কোন ইমরান খান, যিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রাজনীতির ধারেকাছেও ছিলেন না, যিনি কাদের মোল্লাকে কখনও দেখেছেন বলেও জানা যায় না,  তাঁর এক কথাতেই প্রমাণ হয়ে গেল কাদের মোল্লাই ছিলেন মিরপুরের কসাই?

৯/হাতের লেখার ভিন্নতা

সম্প্রতি সাবেক এমপি রনিকে লেখা কাদের মোল্লার চিরকুট এবং স্ত্রীকে লেখা শেষ চিঠির হাতের লেখায় ভিন্নতা তুলে ধরে ব্যাপক আলোচনা চলছে। বিষয়টি যদিও আদালতে ধর্তব্য ছিল না, তবে একটি বিষয় না বললেই নয়, এমপি রনির নিজস্ব সংবাদপত্রে প্রথম প্রকাশিত খবরে এ জাতীয় কোন চিরকুটের ছবি দেয়া হয়নি এবং এখনও নেই। বরং সংবাদটি প্রকাশিত হবার পর বহু রকম চিরকুটের ছবিই ইন্টারনেটে তুলে দেয়া হয় যার একটি নিচে দেয়া হোল। নিজ নামে কোন চিরকুটের ছবি প্রকাশ না করা ছাড়া এর পক্ষে-বিপক্ষে রনির কোন বক্তব্য চোখে পড়েনি।

১০। পরিশেষ 

সাম্প্রতিককালে ফাঁসিপ্রাপ্ত কাদের মোল্লাই ‘মিরপুরের কসাই কাদের’ কিনা, এ নিয়ে আলোচনার শেষ নেই।  এ নিয়ে প্রশ্ন উঠলে কাদের মোল্লার বিরোধী পক্ষ সচরাচর বলে থাকেন, কাদের মোল্লা যদি ‘মিরপুরের কসাই কাদের’ না হবেন, তবে তাঁর কৌঁসুলিদেরই প্রমাণ করার দায়িত্ব ছিল আসল কাদের মোল্লা কে ছিল, কোথায় গেল, ইত্যাদি। উপরে উল্লিখিত তত্ত্বসমূহ বাদ দিলেও এ যুক্তির অসারত্ব প্রমাণে বলা চলে – burden of proof lies with the accuser, not the defendant. ফরিদপুরের কাদের মোল্লা তাঁর ফরিদপুর কেন্দ্রিক জীবন বৃত্তান্ত এবং ঘটনা চলাকালীন সময়ে ফরিদপুরের সদরপুরে তাঁর উপস্থিতি প্রমাণে একাধিক অন্যত্রস্থিতি (alibi) সাক্ষী উপস্থিত করেছেন প্রসিকিউশন যাদের বক্তব্য মিথ্যা প্রতীয়মান করতে পারেননি। অভিযুক্তের পক্ষ থেকে এটুকু করাই যথেষ্ট। সত্য এই যে, অভিযুক্তকে কেবল পাঁচজন alibi  সাক্ষীরই অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। এর বাইরেও অভিযুক্ত একাধিক বরেণ্য ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেছেন যাদের উপস্থিত করেও প্রসিকিউশন অভিযুক্তের alibi এবং ভাষ্য মিথ্যা প্রমাণ করতে পারতেন। এ বিষয়ে আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি গোলাম মাওলা রনি, যার জন্মস্থান আলোচিত ফরিদপুরের  সদরপুরে, তিনি “কাদের মোল্লা বনাম কসাই কাদের” শীর্ষকনিবন্ধে লিখেছেন

কাদের মোল্লা উল্লেখ করেছেন, তিনি সদরপুরে আরও ৩০-৩৫ জনের একদল যুবককে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং নিয়েছেন! কি ভয়াবহ বক্তব্য। প্রসিকিউশনের উচিত ছিল যথাযথ যুক্তিপ্রমাণ উত্থাপন করে এ বক্তব্যটিকে মিথ্যা প্রমাণ করা। কাদের মোল্লা বলেছেন, যুদ্ধকালীন পুরোটা সময় তিনি পীর সাহেবের বাড়িতে ছিলেন। তার টাকা দিয়ে তিনি চৌদ্দরশি বা সাড়ে সাতরশি বাজারে ব্যবসা করতেন পীর সাহেবের দোকানঘরে বসে। চৌদ্দরশি বাজার ফরিদপুর জেলার মধ্যে অন্যতম বৃহৎ বাজার। স্বাধীনতার সময়ও এই বাজার বসত প্রতি শনি এবং মঙ্গলবার। কম করে হলেও ৫০ হাজার লোকের আগমন ঘটত হাটের দিনে। পীর সাহেবের দোকানটি ছিল সবচেয়ে বড় এবং বাজারের একমাত্র দ্বিতল টিনের ঘর। পীর সাহেবের মেজ ছেলে রহিচ ব্যবসা-বাণিজ্য দেখতেন। পরবর্তীতে তিনি ডাকাতের গুলিতে মারা যান। কাজেই মুক্তিযুদ্ধের সময় কাদের মোল্লা যদি ওই বাজারে ব্যবসা করে থাকেন, সে ক্ষেত্রে অন্তত এক লাখ লোককে সাক্ষী হিসেবে পাওয়া যাবে। আরও একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে সাক্ষী হিসেবে পাওয়া যেতে পারে। সাপ্তাহিক বিচিত্রার এককালীন চিফ রিপোর্টার বিশিষ্ট সাংবাদিক কাজী জাওয়াদ মুক্তিযুদ্ধ ও তৎপরবর্তী সময়ে চৌদ্দরশি বাজারে ব্যবসা করতেন। কাজী জাওয়াদ বিচিত্রা ছেড়ে লন্ডনে বিবিসি বাংলা বিভাগে চাকরি করতেন এবং এখন তিনি বিলাত প্রবাসী। তাকেও সাক্ষী হিসেবে আনা যেত। কাদের মোল্লা জানিয়েছেন, স্বাধীনতা-উত্তরকালে তিনি রাইফেলস্ পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে অধ্যাপনা এবং স্বাধীনতা-পূর্ব সময়ে বাইশরশি স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন। তার ছাত্রছাত্রীদের অনেকেই বর্তমানে সরকারের বিভিন্ন উঁচুপদে এমনকি সচিব পদমর্যাদায় চাকরি করছেন। এই যদি হয় অবস্থা তাহলে সাক্ষ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রসিকিউশন আরও অনেক নির্ভরযোগ্য এবং বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ হাজির করতে পারতেন। তিনি ঢাকা প্রেস ক্লাবের সদস্য_ দু-দুইবার নির্বাচিত সহ-সভাপতি ছিলেন। কাজেই মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন এমন একাধিক জাতীয় ও বরেণ্য সাংবাদিককে সাক্ষী হিসেবে হাজির করা যেত।

alibi সাক্ষীদের বক্তব্যের বিপরীতে ফরিদপুরের কাদের মোল্লাই যে ৭১ এর কুখ্যাত “মিরপুরের কসাই” – এ অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করার দায়িত্ব ছিল প্রসিকিঊশনের, ফরিদপুরের কাদের মোল্লার নয়। উপরে উল্লেখিত বিভিন্ন প্রশ্ন ও তথ্য সম্পর্কিত অসঙ্গতিই প্রমাণ করে কাদের মোল্লার আইডেন্টিটি এবং অপরাধ সংঘটন স্থলে তাঁর উপস্থিতি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে প্রসিকিঊশন ব্যর্থ হয়েছেন। কাদের মোল্লা ও মিরপুরের কসাই কাদেরের পরিচয় নিয়ে প্রশ্নের যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে যার কিয়দংশ এখানে তুলে ধরা হয়েছে। প্রকৃত সত্য কোনটি তা আল্লাহই ভাল জানেন। আমাদের জন্যে তাঁর পথ-নির্দেশনা কেবল এটুকুই –

“হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহর উদ্দেশে ন্যায় সাক্ষ্যদানের ব্যাপারে অবিচল থাকবে এবং কোন সম্প্রদায়ের শত্রুতার কারণে কখনও ন্যায়বিচার পরিত্যাগ করো না। সুবিচার কর, এটাই খোদাভীতির অধিক নিকটবর্তী। আল্লাহকে ভয় কর। তোমরা যা কর, নিশ্চয় আল্লাহ সে বিষয়ে খুব জ্ঞাত।”  – আল মায়িদাহ, ৫:৮

“O ye who believe! Stand out firmly for Allah, as witnesses to fair dealing, and let not the hatred of others make you swerve to wrong and depart from justice. Be just: that is next to piety: and fear Allah. For Allah is well-acquainted with all that ye do.” – Al Mayidah, 5:8

১১/ এক নজরে আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

তথ্যসূত্র:

  1. http://bangladeshwarcrimes.blogspot.com/
  2. http://blog.priyo.com/golam-maula-rony/41154.html
  3. http://www.amardeshonline.com/pages/details/2013/12/18/228822#.UrEe-mp8Opo
  4. http://bangladeshwarcrimes.blogspot.com/2013/02/15-nov-2012-mollah-1st-defense-witness.html
  5. http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=16&dd=2013-09-22&ni=149559
  6. http://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B2_%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8_(%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B7_%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B2)_%E0%A6%86%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6_%E0%A7%A7%E0%A7%AF%E0%A7%AD%E0%A7%A8
  7. http://mukto-mona.com/bangla_blog/?p=38384
  8. http://bangladeshwarcrimes.blogspot.com/2012/07/10-jul-molla-1st-witness-testimony.html
  9. http://www.youtube.com/watch?v=0g-JWMQD1BU
  10. http://www.youtube.com/watch?v=VcoXGiKNU7o
  11. http://www.dailysangram.com/news_details.php?news_id=127976
  12. http://www.somewhereinblog.net/blog/qamark67/29767717
  13. http://chairmanbd.blogspot.com/2013/12/blog-post_6406.html
  14. http://webcache.googleusercontent.com/search?q=cache:Mij688HzN-gJ:www.somewhereinblog.net/blog/hiravisa/29769330+&cd=2&hl=en&ct=clnk&gl=us
  15. http://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B2_%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8_(%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B7_%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B2)_%E0%A6%86%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6_%E0%A7%A7%E0%A7%AF%E0%A7%AD%E0%A7%A8

সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপ : বিপক্ষের যুক্তি

5

by শাফকাত রাব্বী অনীকঃ

প্রতি ৫ বছর পর পর সামরিক বাহিনীর দিকে অসহায়ের মতো তাকিয়ে থাকা জাতি পৃথিবীতে কম আছে। দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট উভয় প্রকার দুর্যোগে সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপ বাংলাদেশীরা খুব খুশি মনে মেনে নেন। রাজনৈতিক মতাদর্শের উভয় সাইডের পাবলিকদেরকে গত দশ বছরের কোন না কোন সময় সামরিক হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করতে দেখা গেছে। ফক-ইউ-আহমেদ-দের ২ বছরের শাসন আমলে দেশের সাধারণ মানুষদের একটি বড় অংশকে রীতিমতো সামরিক শাসন এনজয় করতেও দেখা গেছে।

শোনা যায় বর্তমানে দেশের একটা বড় জনগোষ্ঠি মনে প্রানে সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। ধারণা করা যেতে পারে খোদ সরকারপন্থীদের অনেকেও সামরিক হস্তক্ষেপ মেনে নেবেন। তারপরেও তারা বিরোধী জোটের হাতে ক্ষমতা দেবেন না।

এখন প্রশ্ন হলো সামরিক বাহিনী কি ভাবছে? দেশের যে পরিমান ক্ষতি ইতোমধ্যে হয়ে গেছে, যতো মানুষকে গুলি করে মারা হয়েছে, যতো মানুষ আগুনে পুড়েছে, যতো প্রকার নির্লজ্জ বিদেশী হস্তক্ষেপ হয়েছে, এবং সর্বোপরি জনমনে সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা যতোটা বেড়েছে, সাধারণ দৃষ্টিতে সামরিক হস্তক্ষেপ করার এর চাইতে বেশি যুক্তি সামরিক বাহিনীর প্রয়োজন হবার কথা না । তারপরেও সামরিক হস্তক্ষেপ হচ্ছে না কেন? রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে সামরিক বাহিনীর অনাগ্রহী হবার অনেকগুলো কারনের মধ্যে নীচের ইস্যু গুলো থাকবেঃ

– জেনেরালদের অনেকে মনে করেন প্রতি ৫ বছর পরপর সামরিক হস্তক্ষেপ করা কোন দেশের মিলিটারির দায়িত্ব হতে পারে না। আজকে এ দল নামাতে মাঠে নামলে, পাঁচ বছর পরে অন্য দল ঠেঙ্গাতে মাঠে নামা লাগবে। এর চাইতে চুপচাপ প্রফেশনালভাবে রাজনীতিবিদদের উন্মত্ততা দেখে গেলে এক সময় না এক সময় অযোগ্য রাজনীতিবিদরাই শেষ হয়ে যাবেন, অথবা নিজেদের অসুস্থ রাজনীতি পরিবর্তন করতে বাধ্য হবেন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চাপে।

– ১/১১ এর অভিজ্ঞতা সামরিক বাহিনীর জন্যে ভালো ছিল না। যদিও একথা সত্য যে সামরিক বাহিনীর কেউ কেউ ১/১১ এর সময় বেশ বাড়াবাড়ি করেছিলেন। কেউ হয়তো নিজের ইচ্ছায় একটু বেশি এডভেঞ্চার করতে গিয়েছিলেন, আর কেউ হয়তো অন্য কারও হুকুমে নিরুপায় হয়ে বাড়াবাড়ি করেছিলেন। ২০০৮-এর পরে কয়েক ডজন বিভিন্ন পর্যায়ের সামরিক কর্মকর্তাকে তাদের জীবনের নিরাপত্তায় বিদেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল। এদের বেশীর ভাগই এখন আছেন আমেরিকায়। এরা কবে দেশে ফিরতে পারবেন কেউ জানে না।

– ১/১১ এর পেছনে আমেরিকা ও ইন্ডিয়ার ভুমিকা ছিল বলে অনেকে মনে করেন। কিন্তু আশ্রয় নেবার ক্ষেত্রে আমেরিকাকেই বেছে নিয়েছেন সামরিক বাহিনীর অনেকেই। আমেরিকানরা গ্রিন কার্ড কিংবা অন্যকোন বিশেষ ব্যাবস্থায়  নিয়ে গেছে ১/১১ এর বিতর্কিত মিলিটারি কর্মকর্তাদের। কিন্তু আমেরিকা তাদের জীবনের নিরাপত্তা দেবার বাইরে আর বেশি কিছু দেয়নি। একারণে কর্মকর্তাদের অনেকেই ছোটখাটো কাজ করে আমেরিকায় কষ্টকর জীবন যাপন করছেন। একজন অত্যন্ত ক্ষমতাবান সামরিক ব্যাক্তি পিজ্জা ডেলিভারির কাজ করতে যেয়ে ক্যামেরা বন্দি হয়েছিলেন নিউ ইয়র্কের বাংলা পত্রিকায়। এসব অভিজ্ঞতা সামরিক বাহিনীর জন্যে সুখকর নয়।

– পরিবর্তিত সংবিধানে সামরিক হস্তক্ষেপের শাস্তি মৃত্যুদন্ড পর্যন্ত হতে পারে। সামরিক বাহিনীর জেনেরালরা জানেন যে কোন না কোন দিন আজকে যাদের সরিয়ে দেয়া হবে, তাদের দল আবার ক্ষমতায় ফিরে আসতে পারে। তখন এসে বিচার শুরু করলে, দেশের উভয় রাজনৈতিক দলের কাছ থেকেই কোন সাহায্য নাও পাওয়া যেতে পারে। সামরিক কর্মকর্তাদের চাকরি জীবনের ও ক্ষমতার রিটায়ারমেন্ট আছে। রাজনীতিবিদদের কোন রিটায়ারমেন্ট নেই। একারণে রাজনীতিবিদদের প্রতিশোধ নেবার সুযোগ ও সময় থাকে অফুরন্ত।

– বর্তমান বিএনপির উপর সামরিক বাহিনীর ডানপন্থীদের অনেকেই খুশি না। ফারুক-রশিদ-ডালিমদের পরিনতি সামরিক বাহিনী দেখেছে। বিএনপির শাসন আমলের পুরোটা সময় ফারুক-রশিদদের অনেককেই জেলে থাকতে হয়েছে। অনেকের দৃষ্টিতে ফারুক-রশিদদের সৃষ্ট ইতিহাসের পূর্ণ রাজনৈতিক বেনিফিট বিএনপি পেলেও, বিএনপি প্রতিদান স্বরূপ ফারুক-রশিদদের দুঃসময়ে পাশে এসে দাঁড়ায়নি। তাদের বিচার শুরু হয়ে যাবার পরে বিএনপির নিরবতাকে অনেকেই মেনে নিতে পারেননি। এই ঘটনায় অনেকে মনে করেন রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির সুবিধাবাদিতা ফুটে উঠেছিল। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, বর্তমান সময়ের বিভিন্ন ইস্যুতেও বিএনপি নিরবতাপালন করেই চলেছে। যা অনেকের চোখে সুবিধাবাদিতা হিসেবে ধরা দিচ্ছে। সামরিক বাহিনীর কেউ মনে করতেই পারেন বিএনপি কখনই সেই সব মানুষের পাশে দাঁড়ায় না, যারা এই দলটির জন্যে রিস্ক নেয়।

– সামরিক বাহিনীর জীবন সব সময়ই সিভিলিয়ানদের থেকে ঝামেলা মুক্ত ছিল। হরতাল অবরোধ হানাহানি তাদের স্পর্শ করতো না আগেও, এখনও করে না। এই নির্ঝঞ্ঝাট জীবনে এখন যোগ হয়েছে বিদেশে যেয়ে হালাল টাকা রোজগারের উপায়। একারণে দেশীয় রাজনীতির ঝামেলায় জড়িয়ে পরার কোন কারণ সামরিক বাহিনীর অনেকে দেখেন না।

– বিভিন্ন বিদেশী রাষ্ট্রের প্রভাব বেড়েছে সামরিক বাহিনীর উপর। একটি দেশ না, একাধিক দেশ। জাতিসংঘের নিয়ন্ত্রণও বেড়েছে, কেননা জাতিসংঘ সেনাবাহিনীর সার্ভিস নিয়ে থাকে। অনেক বেতন দেয়। জাতিসংঘ চায় না তাদের ভাড়া করা সেনাবাহিনী কোন দেশে ক্ষমতা দখল করুক। বিদেশী রাষ্ট্রের কিংবা গোষ্ঠির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব সামরিক বাহিনীর রাজনীতি নিয়ে মাথা ঘামানো দুরূহ করে দিয়েছে।

বাস্তবতা হচ্ছে, রাজনীতি বিমুখ হয়ে বাংলাদেশের সেনা বাহিনী যদি সত্যিই তাদের প্রফেশনাল ইমেজ বজিয়ে রাখতে পারে, তাহলে দেশের দীর্ঘ মেয়াদী লাভ হবে। তবে সেনা বাহিনীর উচিত হবে সব সময় খেয়াল রাখা তারা যেন পুলিশ, র‍্যাব, কিংবা বিজিবির মতো ঠ্যাঙ্গারে বাহিনী হিসেবে কোনও রাজনৈতিক শক্তির দ্বারা ব্যবহৃত না হন। সাধারণ মানুষকে কিংবা যে কোন দলের রাজনৈতিক কর্মীদের যেন তাদের হাতে কোনদিন গুলি খেয়ে মরতে না হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার একমাত্র স্তম্ভ হচ্ছে আমাদের সেনা বাহিনী। সকল দল ও মতের মানুষের সাথে সেনা বাহিনীর সুসম্পর্ক থাকা একারণে খুবই জরুরী।

আজ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে। সেনাবাহিনীর উচিত হবে কোন ভাবেই দেশের গ্রামীণ জনগোষ্ঠির সাথে সরাসরি মারামারিতে জড়িয়ে না যাওয়া। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ধরে রাখতে হলে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সাথে সেনা বাহিনীর নিবিড় আস্থার সম্পর্ক প্রয়োজন। কোন একটি রাজনৈতিক সরকারের হঠকারিতায় এই আস্থায় যেন চিড় না ধরে তা সেনা বাহিনীকেই নিশ্চিত করতে হবে।

Polarised Conflicts In Bangladesh And The Idea Of Bengali Culture

1

By M Ahmedullah (PhD in Epistemology and Politics)

 

The causes of polarised politics:

Many people are baffled by the intense levels of hatred that exists between different factions in Bangladesh and fail to understand the possible underlying reasons behind the current conflict. Complex factors are no doubt at play, including attachments to certain historical events of importance and their interpretations. There is also the inability of players and decision makers in the country to help break out of the confines of the seemingly sequential and deterministic process of cause and effect, and the effect becomes the cause for the next effect, strangling and suffocating Bangladesh. Rival groups have been engaged in tit-for-tat actions, reactions and counter reactions against each other for a very long time, driven by a revenge instinct and zero sum politics. A lack of respect for fairness and justice, a winner takes for all attitude and an inability to have empathy for rivals’ perspectives have lead to a continuous cycle of hate, violence, justification, outrage, more hate, more violence, more justification, more outrage and so on.

It seems that the current political conflicts in Bangladesh can be directly traced back sequentially to a very distant past, where some groups forcefully pushed forward changes without rational justification and used unethical means, muscle power or state resources, which some other groups opposed or could not oppose effectively at the time due to their relative weaknesses. The opposing groups then tried to undo, reverse or change the course taken by the previous group when their power increased by the use of similar or more unethical means.  Although chronologically this has not been a uniform process, in terms of the nature, size, issues and the ideological orientations of people involved in each stage of the conflict, along the long timeline, this kind of disputes has been a part of our political and social life for generations. The current political conflicts, accompanied by violence and polarisation within society, seems to me to sequentially go back to at least since the violent politics unleashed during the aftermath of the first Bengal partition in 1905. Some of the same issues and emotions of this partition are still alive and at play in the current conflict, although the players and their configurations are different. Individuals and groups involved in this tit-for-tat politics seems to be driven by some kind of logic, impulse or invisible power, beyond their control.

 

 

gjm1

The process of cause and effect instigated by political rivalry could have been positive and constructive if it was minus the use of unethical means, disregard for fairness and justice and the use of violent force. Unfortunately, this has not been the case in Bangladesh, and as a result, we have continually experienced, without an end or break, the domination of a dangerous and destructive political culture. One very important factor in generating and perpetuating the conflict, in my view, is the idea of ‘Bengali Culture’ – a powerful driving force behind motivations and destructive actions of many people in Bangladesh. The emotions, world views, anti-Muslim sentiments, desire for self sufficiency, pride in motherland, considering Islam and Muslim culture of Bengal to be outside the acceptable cultural and spiritual realms and heritage of mother Bengal, etc. of the movement against the 1905 Bengal partition directly links the Bangladesh Awami League’ s adoption of the idea of  Bengali Culture as one of the major underpinnings of their ideology of Bengali Nationalism.

The idea of Bengali Culture in Bangladesh, with associated emotions, intensity of feelings and hatred of the 1905-1911 and the Pakistan periods, which consider Islam and Muslim culture as foreign and originating from Muslim invasion of India, is a major factor in the country’s current divisive politics. This is really unfortunate and caused by a serious failure to understand how human dynamics, social evolution, world trade, power politics, artistic and dietary exchanges between peoples impact on the development and evolution of culture. The Bengali Nationalists have a serious misunderstanding of what constitutes human culture.

 

In Bangladesh when people talk about ‘Bengali Culture’ they are, in fact, not talking about ‘what is’ the actuality on the ground, rather, they are talking about ‘what ought to be’, which is actually an ideological aspiration, falsely dressed up as reality. This is because the cultural landscape of Bangladesh has so many components and diverse origins mixing and remixing for ever since time immemorial, a fact it shares with most other human societies. The dangerous consequences of this error, treating ‘ought’ of an ideology as the ‘is’ of our complex reality is that we have an unnecessary conflict in Bangladesh.  Many people are driven by this idea to engage in ethnic cleansing style cleansing activities against Islam and Muslim culture and their representatives in the country, wrongly feeling that this is completely justified.

 

Definition of culture

In 2009, I attempted to define culture for myself before embarking on an exhibition project called Powers of Festivals.  I visited a number of far distant places around the world  to see how minorities and native peoples use arts, culture and public celebratory events as a way of developing their confidence and survive in a world that is often hostile towards them, particularly bigger countries or communities who are either their neighbours or who dominate the country they share together.

The understanding that I arrived at is provided below.

 

Culture is about lifestyles and creativity of individuals and groups. It encompasses everyday living, special occasions and the beautiful and useful creations of poets, artists, musicians, writers, scientists, architects, businesses people, voluntary groups, etc. The social or isolated activities that people undertake are all forms of cultural expressions.

Interactions of people and their lifestyles do not happen in a vacuum. Individuals and groups do this or that because there are meanings associated with decisions and actions. Theories, myths, social values, religious rules, aesthetic feelings and tastes, etc. underpin all human activities. Over time actions and meanings mutually influence each other’s development and evolution.

Sometimes the process of change takes place predominantly through the interplay of a community’s own internal factors, if the group in question is relatively isolated. More dynamic and dramatic changes within a group are usually associated with greater levels of interactions with the outside world.

Whether internally caused or the result of external factors or a combination of both the changes in human activities and their underpinned meanings are primarily rooted within the original or earlier foundations of a community’s cultural base.

A better understanding of the dynamics and evolution of human cultures will enable people from diverse backgrounds to co-exist and benefit from increased interactions. (M Ahmedullah, 2009)

 

When I was in Bolivia in February 2013, visiting, taking video and still images of Oruro Festival and learning about I never heard anyone taking about Spanish culture or any other culture. They talked about their cultural diversity, made up of elements from Spanish, black African and various native ethnic groups and how they, over time, mixed and combined in different ways to create a Bolivian cultural repertoire. In Bangladesh its completely different where the proponents of Bengali Nationalists say that our culture is ‘Bengali culture’.

 

Superficial thinking

The strangulation faced by Bangladesh and the country’s inability to escape from years of vicious cycle politics, in my view, is partly caused by the idea of Bengali culture. People and leaders in Bangladesh lack the ability to understand how different factors are working in complex and mysterious ways to cause the country’s problems and then work through creative imagination to find solutions. This is because most Bangladeshis operate at a very superficial level and from a very poor knowledge base, including that of historical understanding.

 

As a result, not only is the country unable to find long term sustainable solutions of continuous improvements, various players are constantly blindly adding further complexities and barriers towards a better future. It also seems to me that very few Bangladeshis are interested in looking for the root causes of the country’s problems. Although it is never possible to fully get to the root causes of any complex problems and conflicts, attempts to understand root causes can help deepen one’s appreciation of the problem, and thereby, improve the chances of finding better quality solutions.

 

What is your identity: Bengali first or Muslims first?

I will briefly look at identity issues faced by Bangladesh and show, with examples and arguments, why the idea of Bengali culture is a major problem in Bangladesh. It is often asserted that many Muslims in Bengal, particularly between late 19th – mid 20th century, could not make up their minds regarding their cultural identity – whether they were Bengalis or Muslims. Further, it is also claimed that some Bengali Muslims even refused to identify themselves as Bengalis, or at least, tried to define themselves in terms of Moghul / Middle Eastern cultural forms. The Bengali language movement narratives have been combined with the above assertions and utilised to make many unfounded claims, which are found especially in public meetings, community interactions, magazine articles, etc. For example, Bengali Muslims who are very proud of their Muslim identity are often described as traitors who want to sell the motherland, Bengali culture and language to foreigners, such as to Pakistanis or Arabs, and instead adopt their cultures and customs.  Even though this is not true for the vast majority of the cases, this rather deeply entrenched view, within the minds of a sizable many, generates unnecessary misunderstanding and conflicts.

 

I have been asked many times by a wide range of people whether I was a Muslim first or a Bengali first. Naturally, I found the question strange, because I never thought of these two elements being separate and mutually contradictory as far as my life was concerned. At the beginning I used to answer without thinking properly, but still tried to be logical. The usual answer I gave was: I am a Bengali by birth and a Muslim by choice, currently living in London, and that my culture was a mixture of these three elements of my experience. I have heard other people responding to this question in different ways. Some people say that they are Bengalis first, and others say that they are Muslims first. There are some others who say that they are British Muslims, or British Bengalis, or British Bengali Muslims. There are still others who say that they are Muslims in Britain, or Bengalis in Britain, or Bengali Muslims in Britain.

 

Later, during my personal evolution and life’s journey, when I started to think more deeply about the question I came to the conclusion that this was not a simple question to answer. I also wanted to understand why people are interested in this question in the first place. I began to realise that essentially there can only be two possible meanings to the question. Depending on the perspectives and ideological orientations of individuals people adopt the meaning most appropriate for their circumstances. On the one hand, the question may be concerned about whether it was regarding ‘first’ in a chronological sense, in terms of the time dimension, either the history of one’s community or the development of one’s own consciousness. On the other hand, the question may be interested in finding out the ‘first’ in the order of importance – that is, which one is more important to a Bengali Muslim, being a Muslims or a Bengali. I thought about these two possible meanings and found that they are often related and can also be complementary, rather than necessarily separate and mutually contradictory.

In many cases when one decides on one’s own ‘firstness’ from the two possible options one relies on the other for support. For example, when some people assert that they are Bengalis ‘first’, in the order of importance, they try to show that they are also Bengalis ‘first’, chronologically. For example, according to Abdul Huq, a Bengali writer and activist during the Pakistan period, religion seems to be ‘second’ both in the order of importance and in chronological terms.

 

After the birth, a child is known only as a tiny man. Then he is known as a Bengali, a Punjabi, an Arab or an English and that according to his mother tongue and or his home land. At last he is known as a Muslim or a Christian according to his religious beliefs.

(Islam in Bangladesh, page143)

 

I wonder how Abdul Huq came to such a bizarre conclusion. Did he undertake any long periods of study involving a large number of people or did he just feel that this was the case? Second, as far as my own consciousness was concerned, I tried to identify when I thought I was a Bengali and when I thought I was a Muslim. I found it infinitely difficult to answer this except to say that my earliest recollections were a dream consisting of an aeroplane flying over our mud house in Bangladesh and a discussion I had with some boys about the day of judgement (what it was, what it meant and when it would come). Other people with different upbringings will have different recollections.

 

It is really a ridiculous claim to make that you are known as a tiny man first, then a Bengali and so on. The term ‘known’ implies a prior categorising and defining process involving history and society.  Therefore, even if Abdul Huq was right in some cases he was wrong to generalise with regard to how the natural development of the life of a child takes place over time as he or she grows up and becomes an adult. This means that there are pre-existing structures and contexts that a child is born into, linked to and partly defined by politics, society, culture and history. In addition, a tiny man, a Bengali, a Muslim seem to be mutually contradictory qualities, according to Abdul Huq. It seems that one quality cannot exist with the other quality in the same person at the same time. Therefore, a tiny man cannot be a Bengali and vice versa. However, when he says that at last he is known as a Muslim or a Christian, does it mean that when the child grows to become an adult and becomes known as a Muslim all the other earlier identities, such as Bengali or Pakistani, are no longer part of the identity or superseded by or contained as a sub identity under the Muslim identity, or just vanishes in thin air.

Based on the above view expressed Abdul Huq tried to demonstrate how chronologically a Bengali Muslim was a ‘Bengali first’ in order to show why in the order of importance a Bengali Muslims was also a ‘Bengali first’.  According to Ghulam Murshid, a Bengali academician, Abdul Huq

 can be identified as a Bengali first, then a Pakistani, and at last as a Muslim. It seems that he had no confusion whatever regarding his identity (Islam in Bangladesh, page 143).

Although Mr Huq may have thought that he was not confused, but from the above, I have no doubt that his thinking was quite muddle up. Also just because this is how he thought and felt about himself it does not mean that this was also true of other Bengali Muslims. There has been similar and too many generalisations from various sides during the history of our land.

 

Relative backwardness and identity issues faced by Bengali Muslims in late 19th and early 20th century Bengal

Regarding the question why some people who lived in Bengal during the late 19th and early 20th century, who can be classified as ethnically Bengalis, refused to identify themselves as Bengalis, according to Ghulam Murshid, Abdul Huq thought the communal attitudes of some Bengali Muslims were the determining factor in this regard. Many people who share a similar standpoint as Abdul Huq also blame Muslim communalism for encouraging Muslims to distance themselves from the Bengali linguistic and cultural identity. Although this is no doubt partly true, what they fail to consider is the period earlier and the cause that created this effect. This is an example of the superficial thinking of too many Bangladeshis. They do not seem to know and understand who first defined and categorised Bengali Muslims as Muslims and contrasted them with Hindu Bengalis, who were categorised as Bengalis. Bengali Muslims at that time were not able to respond effectively by assessing and redefining their identity generated by outsiders, due to their relative backwardness.

 

Although at the moment, the language controversy and the question whether we are Bengalis first, or Muslims first have been solved to an extent, because a large section of the people in Bangladesh or Bangladeshis abroad, if asked, will say that their Islamic and Bengali identities are one and the same and that their language is Bengali, it is still the case that a section of the people in Bangladesh derive enormous propaganda values from the controversies which took place many years ago. The Pakistan period was a golden opportunity for them to take full advantage of the relative weaknesses of arguments brought to the fore in favour of the identity of ‘Muslims first’. This is because ideas and world views developed during 19th century Bengal excluded Bengali Muslims, because of their relative poverty and the British divide and rule policies. This inability was perhaps inevitable given the context of the period.  I will not explore this issue further in this paper but will write in greater details about this the future.

 

The Bengali Muslims found themselves in a position of relative intellectual weakness and poor material base. Their social and economic position meant that they were not in a position to respond in appropriate, creative and sophisticated ways to the exclusion they suffered from and the outsiders’ attempt to categorise and define them during the late 19th and early 20th century. They responded in various ways, mostly in my views, many of which were inadequate and some were quite  silly and inconsistent. This gave fuel to those who wanted to further ridicule Bengali Muslims and their culture and way of life.

 

The Idea of Bengali Culture

The controversy with regard to Urdu as a state language policy of Pakistan triggered a backlash in East Bengal, the name of the eastern wing of Pakistan at that time. The revolt and opposition to the policy created the language movement, which most Bengali Muslims supported. The overwhelming support base of the language movement was later hijacked by a group in Bangladesh espousing Bengali nationalism. The process of language movement in Bangladesh during the 1950s and 1960s resulted in the creation of the idea of Bengali Culture in the Bangladesh context.  According to this idea, some aspects of our life and culture are seen as legitimately ours, while anything originating with Islam framed as something alien coming from the outside as a result of the Muslim invasion of India. Thus excluding 800 years of the deep Islamic cultural roots that not only Bengali Muslims but also others in Bengal developed as a result of centuries of multi dimensional links and relationships with the worldwide Muslim communities.

 

The exclusion of Islam from Bengali identity and Bengali culture is one of the main causes of our current problems. On the one hand, Bengali nationalists see Muslim culture in Bangladesh as alien, the result of Muslim invasion of India, even though it has been our adopted way of life for more than 800 years. On the other hand, how can Bengali Muslims see Bengali culture as theirs when the idea of Bengali culture represent an attempt to annihilate who they are as cultural and moral human beings with aims, values, customs, life’s goals and dreams linked to Islam. Considering Bengali Muslim culture as alien, originating from the Muslim invasion of India and therefore illegitimate, is an assumption of Bengali nationalism and underpins many of the other their beliefs or practical undertakings. This assumption drives many Bengali Nationalists, who have not thought through the implications of their views, to consider Bengali Muslims as people who do not want to be Bengalis but prefer to be like the Pakistanis or Arabs. The Bengali nationalists very often and quite offensively suggest that they leave Bangladesh for good and go to Pakistan or the Middle East.

 

Another end result is that a political party like the Bangladesh Awami League often ends up becoming unintentionally fascist.  Among the Awami Leagures some are either unaware of the fascistic implications of one of the main underpinnings of their ideology, which is Bengali nationalism, or in self denial. According to Bengali nationalism the culture of West Bengal and Bangladesh is Bengali culture, practiced by the Bengali ethnic group, derived from local history and traditions going back to thousands of years – rich traditions of arts, music, dance, folk stories, etc., including the contributions of poets like Tagore in the development of Bengali culture.  This kind of definition and representations of Bengali culture generate a deep feeling in many Bengalis of a love for their motherland and a desire to carryon, enjoy and build on that cultural tradition. This is something quite positive. However, this definition also has dark and negative implications. The problem with this idea of Bengali culture is that it does not include the experiences and traditions of 800 years of Islam in Bengal, which is treated as alien, directly and openly by more fanatical individuals, and in indirectly, by the more tolerant and liberal supporters of Bengali nationalism.

 

All shades of Bengali nationalism, with the exception of a tiny minority as there must always be exceptions, see Islam and Muslim influence in Bangladesh as alien, originating from Muslim invasion of India and Bengal. This creates a variety of nationalistic feelings and responses against Muslim culture and practices in Bengal. Initially this attitude was developed, adopted and articulate by some Bengali Hindus, particularly based in Kolkata, but subsequently and especially after the creation of Pakistan many Bengalis from a Muslim background also adopted this nationalism for themselves. The end result is the creation of a culture clash where a large number of people feel a significant element of their life does not belong to them as Islam is not a part of Bengali culture.  Very strong nationalist feelings are often generated against Bengali Muslim way of life and culture. Off course the idea of Bengali culture is nonsense but it is this nonsense, which is the root causes of Bengali nationalist fascism in Bangladesh.

 

According to my definition of culture above Islam and Muslim norms, manners, values, traditions, belief systems are a very much part of the Bengali culture. If this was not the case then the logical deduction would be as follows: the majority of the people in Bangladesh do not practice Bengali culture. Therefore, in order to better understand the nature of the cultures of Bangladesh it is necessary to undertake new researches, generate fresh explanations and develop new terminologies to map and explain the cultural realm of Bangladesh..

 

Conclusion

In this short paper my purpose was to introduce a number of issues concerning what I call the sequentially deterministic cause and effect politics of Bangladesh and suggest that one of the major factors causing the problem was the false idea of ‘Bengali Culture’. Bengali culture as an aspiration or a major element of the lifestyles of a very tiny percentage of the people of Bangladesh is not false. However, with regard to the life of the 160 million people in Bangladesh there is no basis for thinking that the actual culture practiced in Bangladesh is Bengali culture as defined by the Bengali Nationalists, which excludes the vast influences of Islam and worldwide Muslim communities in our culture – way of life, values, aspirations, celebrations, dresses, social interactions, our names, greetings, prayers, get buried after death, etc.

 

There is a very poor understanding of the nature and evolution of human culture in Bangladesh and it is this misunderstanding that is responsible for many of our seemingly unsolvable problems. There is an urgent need to have a serious, civilised, ongoing and wide ranging debate and discussion about culture within Bangladesh and Bangladeshi Diaspora. A better understanding and appreciation of human culture, cultural evolution / development, cultural diversity will help us collectively to redefine the cultures of Bangladesh. This will help us better understand who we are actually, rather than be driven by an aspiration to destroy a large element of who we are, which is an impossibility to achieve.

আমরা কি হুঁশিয়ার আছি?

খোমেনী ইহসান:

ভাইয়েরা ও বইনেরা বুঝতেছে না যে বাংলাদেশকে হীনস্বার্থে যে দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে তাতে করে পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে। রাজনৈতিক প্রক্রিয়া ও স্বচ্ছ আইনগত উদ্যোগ নেয়ার মাধ্যমে ১৯৭১ এর যুদ্ধাপরাধের বিচার, ক্ষমতা হস্তান্তর, জাতীয় প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রনীতির বিবাদগুলান মীমাংসা করা উচিত ছিলে। কিন্তু একপক্ষ চাচ্ছে ইসলামবিরোধী গ্লোবাল পরিস্থিতি ও ভারতের সম্প্রসারণবাদী নীতির মদদ ও পৃষ্ঠপোষকতায় রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে হত্যা,জখম ও বন্দিত্বের মাধ্যমে প্রতিপক্ষকে নির্মূল করে দিতে।আরেক পক্ষ ইসলামের দোহাই দিয়ে যুদ্ধাপরাধ ও ভুল রাজনীতির অভিযোগগুলানকে ককটেল-হরতাল-অবরোধ দিয়ে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে।

 
মুশকিল হলো উভয়ে পক্ষের এই অগ্রহণযোগ্য কাজের কারণে বাংলাদেশে প্রতিদিন রক্ত ঝরেতেছে। অনেক গুরুতর ঘটনা ঘটতেছে। সব কিছু ভেঙে পড়ছে। খোদার বিচারপতিদের ভূমিকাও যুব সংগঠনের ক্যাডারের মতো। এ অবস্থায় মানুষের আস্থা নষ্ট হয়ে গেছে। গুজব  আর প্রচারণায় সয়লাব দেশ। আবদুল কাদের মোল্লাকে কি কসাই কাদের হিসেবে ফাঁসি দেয়া হলো? তার এই ফাঁসি দিতে গিয়ে বিচার করা হলো নাকি প্রতিশোধ নেয়া হলো? দুই পক্ষের প্রচারণা থেকে বুঝার উপায় নাই। মোল্লা ও মুক্তিযুদ্ধকালে ক্ষতিগ্রস্ত উভয়ে হয়তো সত্য বলেছে। কিন্তু সরকার ও জামায়াত তো মনে হয় মিথ্যার প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ। যেমন তারা হত্যা ও নাশকতার প্রতিযোগিতা করছে। গণমাধ্যমগুলান এখানে ভাগ হয়ে গেছে। উভয়েই রক্ত চায়। কালো হরফে ছাপা হচ্ছে লাল রক্তপাতের ইশতেহার।

 
আমরা দেখছি এই যে গণজাগরণ মঞ্চ, আ্ওয়ামী লীগ ও নাগরিক সমাজ এরা কিন্তু রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস আর ফ্যাসিবাদ কায়েমের লক্ষ্যে মাঠে গড়াগড়ি করতেছে। আর আছে জামায়াত-শিবির। তারা সেনাবাহিনীর হাতে ক্ষমতা তুলে দেয়ার জন্য সহিংসতা করছে এবং নিজেরো গণহত্যার শিকার হচ্ছে।মুশকিল হলো আমাদের নিয়তি এই দুই পক্ষের এ্যাকশন, রিএ্যাকশনের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়ে যাচ্ছে। দেশে যেভাবে রক্তপাত হচ্ছে, নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হচ্ছে, খোরাকির দাম বাড়ছে তাতে করে দেশে চরম অসন্তোষ ও হতাশা তৈরি হচ্ছে।আমরা ইতোমধ্যে সংবাদমাধ্যমের খবর থেকে জেনেছি ছাত্রলীগ ও যুবলীগ, সরকারপন্থী পুলিশ-আমলাদের মধ্যে ভীতি তৈয়ার হয়েছে। কেউ কেউ বিদেশে পালিয়ে গেছেন। কেউ আবার পালানোর চেষ্টা করছেন।

 
অন্য যারা যেতে পারছেন না তার ভয় পেয়ে আগ্নেয়াস্ত্র বহন শুরু করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগ কর্মীরা, মহানগর ও শহর-বন্দরে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, শ্রমিক লীগ নেতাকর্মীরাও অস্ত্র ধারণ করেছেন। তাদের যে সরকার অস্ত্র দিয়েছ তাও পুরো সত্য নয়। তাদের ভীতিকে কাজে লাগিয়ে তৃতীয় পক্ষ অস্ত্র দিচ্ছে।
অন্যদিকে বিএনপি-ছাত্রদল-যুবদল ও জামায়াত-শিবিরের লোকেরা ব্যাপকতর হত্যা, পঙ্গুত্ববরণের শিকার হয়েছে। তারা কেউ ঘরে থাকতে পারছে না। ফেরার জীবন যাপন করছে। তাদের মধ্যে ইতোমধ্যে কেউ কেউ অস্ত্র ধারণ করছেন। বিশেষ করে চট্টগ্রাম ও রাজশাহী অঞ্চলে এই ঘটনা ঘটেছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।

 
আমরা ধারণা করতে পারি সারা দেশে উভয় পক্ষেই অস্ত্র ধারণের তাগিদ তৈরি হয়েছে। আন্তর্জাতিক অস্ত্র ব্যবসায়ীরা এবং সেক্যুলার ও ইসলামী সন্ত্রাসবাদীরা এ অবস্থার সুযোগ নিতে চাইছে বলে আমরা খবর পাচ্ছি। ইতোমধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার সেক্যুলার সন্ত্রাসবাদের প্রধান মদদদাতা ভারতের অবস্থান প্রকাশিত হয়েছে। অতিসম্প্রতি আবার পাকিস্তানের তালেবানের একটি বক্তব্য পাওয়া গেল। তারা পাকিস্তান বাংলাদেশ দূতাবাসে হামলার হুমকি দিয়েছে। কিন্তু তারা যে বাংলাদেশে অস্ত্র ও মতবাদ রফতানি করবে না তার কোনো নিশ্চয়তা নাই।
এখন গুরুত্বপূর্ণ হলো গেরিলাযুদ্ধের বাস্তবতা বিচার করলে প্রায় সমতলভূমির বাংলাদেশের অবস্থা নিরাপদ মনে হতে পারে। কিন্তু ঘনবসতি ও মানবজঙ্গল আকীর্ণ বাংলাদেশ আরবান গেরিয়া ওয়ারফেয়ারে উর্বর ময়দান। এখানে যদি একবার ভারি অস্ত্র ঢুকে যায় তবে পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে।

 
আমরা যে পুলিশ-র‌্যাব-বিজিবি-সেনাবাহিনীকে যোগ্য ও দক্ষ মনে করতেছি, সামরিক সক্ষমতার কথা চিন্তা করলে তাদের নিয়ে আমাদের হতাশ হতে হবে। তারা নিরস্ত্র লোকদের মিছিল-সমাবেশ ও ককটেলবাজিকে ছত্রভঙ্গ করার ক্ষমতা রাখে। কিন্তু সম্মুখ সমর বা ভারি অস্ত্রের চোরাগোপ্তা হামলা মোকাবেলা করার মতো সক্ষমতা তাদের আছে কি না এটা বেশ প্রশ্নবিদ্ধ।আমরা দেখতেছি ক্যান্টনমেন্টগুলান ছাড়া বাংলাদেশের আর কোন স্থাপণাতেই সন্ত্রাস মোকাবেলা করার মতো যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা নাই। আমরা প্রতিদিন উভয় পক্ষে যাদের এতো এতো উস্কানি দিতে দেখছি তাদের না আছে নিরাপত্তা, না আছে শারীরিক সক্ষমতা। যদি সন্ত্রাস জন্ম নেয়ার মতো পরিস্থিতিকে এখন নিয়ন্ত্রণ করতে উভয় পক্ষে সমঝোতা না হয় তবে সবাইতো নিরাপত্তাহীন হয়ে যাব।
কাজেই আমি মনে করি সব কিছু শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও একটা উদ্যোগ নেয়া দরকার। যা কিছু হওয়ার হয়েছে। যথেষ্ট হয়েছে। এখন-
১. সব পক্ষের সন্ত্রাস-হত্যা-সহিংসতা বন্ধ করা হোক।
২. বিচার্য বিষয়গুলান আন্তর্জাতিক উদ্যোগে সহীহভাবে নিষ্পত্তি করা হোক।
৩. বিদ্যমান সংবিধান বাতিল করে দিয়ে নতুন সংবিধান সভার জন্য ভোট অনুষ্ঠিত হোক।
৪. নতুন সংবিধান গঠিত হলে তার অধীনে নির্বাচন দিয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্বশীল নির্বাচিত হোক।
৫. নতুন সরকার ন্যাশনাল রিকন্সিলেশন কমিশনের মাধ্যমে ক্ষমা, দয়া ও দরদ কায়েম করুক।