মিডিয়াতে গরম গরম খবর- দুই নেত্রীর ফোন আলাপ।টিভি সাংবাদিকরা ছুটছে গণভবন আর গুলশানে। আহা, কি কথা দুজনার! আর ওদিকে লাশ পরছে, দুদিনে ১৫টা, গরীব মানুষের লাশ!
ফেসবুকে বিখ্যাত অনলাইন একটিভিস্টরা ব্যস্ত নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে নিজেদের জ্ঞান প্রচারে! আহ, কত্ত বড় সুশীল। আর ওদিকে লাশ পরছে, দুদিনে ১৫টা, গরীব মানুষের লাশ।
২০০৬ এ একদিনে ৬টি লাশে সরকার পরেছিল। আর আজ দুদিনে ১৫টা লাশে কিছুই যায় আসে না! অর্থাৎ লাশেরও দাম কমেছে!
বিএসএফ বাংলাদেশী বৃদ্ধের লাশ ঝুলিয়ে রাখে সীমান্তে, বাংলাদেশের নাকের ডগায়। মেরুদন্ডহীন বিজিবি কিছুই করে না। অথচ নিজের দেশের মানুষের উপরে নির্বিচারে গুলি চালায় এই বর্ডার রক্ষা বাহিনী! বাহ, কত্ত বীর পুরুষ এরা!
<a href=”https://nuraldeen.files.wordpress.com/2013/10/photo-1.jpg”>
ছেলেটি মিছিলে যাবার আগে প্রেমিকাকে বলে যায়, এই বার সরকার বদল হলেই আমাদের টেনশন শেষ, একটা চাকরি হবে, ব্যাস, বিয়েটাও পাক্কা! প্রেমিকা লাজুক হেসে বলে, সাবধানে যাও। বিকেলেই খবর পায় মেয়েটি। খুব খারাপ খবর। ছুটে যায়। প্রেমিকের লাশের সামনে হাউমাউ করে কেঁদে উঠে। ওদিকে নেতা ব্যস্ত টিভি ক্যামেরায় প্রতিক্রিয়া দিতে।
চেতনা ব্যবসায়ীরা রুদ্ধদ্বার কক্ষে বৈঠকে ব্যস্ত। আর একটা, আর একটা শাহবাগ দরকার! নইলে এযাত্রা যে রক্ষা নাই। লাশ ফেল আরো দুএকটা!
কল্পনার বাঁধ ভেঙ্গে যায় জন্ডিসে আক্রান্ত সাংবাদিকগুলোর। তারা ব্যস্ত যে যার মিডিয়া হাউসের স্বার্থ উদ্ধারে!
আমার ট্যাক্সের টাকায় লালিত পালিত পুলিশ বন্দুক তাক করে আছে আমার ই দিকে!
রাষ্ট্রের সন্ত্রাসে অস্থির জনপদ। এরই মাঝে এক নেতা ঘরে ফেরে অনেক রাতে। ফজরের আজানের সময় তার স্ত্রী শোনে চাপা কান্নার আওয়াজ! নেতা জায়নামাজে। কাঁদছে। হে আল্লাহ। এতগুলো ছেলে মরে গেল! দেশটাকে রক্ষা কর মাবুদ।
আর আমি, দেশ থেকে নিরাপদ দুরত্বে, প্রার্থনা করি- দেবতারা নেমে আসুক মর্ত্যে, রক্ষা করুক আমার জন্মভূমিকে।