পদ্মা সেতুর ভিজিবিলিটির স্বপ্ন এবং দুর্নীতির ধারনা সূচকের বিস্তৃতি

1

 

ফয়েজ তৈয়্যব
১। চায়না মেজর ব্রিজের আর্থিক প্রস্তাব মেনে নিয়োগ দিলে (পড়ুন দেয়া হয়েছে) মূল সেতুতে তিন হাজার ৭৭২ কোটি টাকা ব্যয় বাড়বে। ২০১১ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে পদ্মা সেতু প্রকল্পের জন্য যে সংশোধিত প্রস্তাব (আরডিপিপি) অনুমোদন করা হয়, তাতে মূল সেতুর জন্য ব্যয় ধরা হয়েছিল আট হাজার ৩৬১ কোটি টাকা। ফলে এখন কেবল মূল সেতু নির্মাণের ব্যয়ই দাঁড়াচ্ছে ১২ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা৷ তবে সেতু বিভাগ সূত্র জানায়, নদী শাসন ও পরামর্শক নিয়োগ হলে মোট ব্যয় পাঁচ থেকে ছয় হাজার কোটি টাকা আরও বেড়ে যাবে।
২। যদিও RDPP তে নদী শাসনের ব্যয় ধরা হয়েছিল চার হাজার ৩৮৮ কোটি টাকা। এ কাজে ঠিকাদারদের আর্থিক প্রস্তাব জমা দেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে ২৯ মে পর্যন্ত। দরপ্রস্তাব জমা পড়লেই জানা যাবে, এই খাতে ব্যয় কী পরিমাণ বাড়ছে। দুটি সংযোগ সড়কের ব্যয় ধরা হয়েছিল এক হাজার ২৭০ কোটি টাকা। আবদুল মোনেম লিমিটেডকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এক হাজার ২৯০ কোটি টাকায়। একইভাবে সেতুর কাজ তদারকিতে পরামর্শক নিয়োগের জন্য ৩৪৫ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছিল। কিন্তু পরামর্শসংক্রান্ত কাজ দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে সেনাবাহিনীকে একাংশের পরামর্শক, নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ বেশ কিছু কাজে ২০৫ কোটি টাকায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মূল সেতু ও নদী শাসনের জন্য আলাদা পরামর্শক নিয়োগের কাজ চলছে। এ ছাড়া নদীর দুই পাড়ে ভাঙন রোধে প্রায় ২৫০ কোটি টাকায় ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
৩। একটামাত্র প্রতিষ্ঠানের আর্থিক প্রস্তাবের ওপর ঠিকাদার নিয়োগ ঝুঁকি।
৪। শুরু হয়েছিল ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়ে, এখন সেটি ঠেকছে ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি৷
৫। ব্যয়ের পরিকল্পনা এখানেই শেষ নয়৷ সেতু নির্মাণের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেতু বিভাগ এখন একটি প্রকল্প কয়বার সংশোধন করা যাবে, সেই নীতিমালাটিও মানতে চাইছে না৷ পদ্মা সেতুকে তারা এই নীতিমালার বাইরে রাখতে চায়৷ অর্থাৎ আবারও বাড়বে পদ্মা সেতু নির্মাণের ব্যয়৷
পদ্মা সেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলেন, আরডিপিপি অনুমোদনের পর বর্তমান সময় পর্যন্ত নির্মাণ সামগ্রী ও অন্যান্য আনুসাঙ্গিক পণ্যের দাম বাড়ার কারণে সেতু নির্মাণের ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে।“২০১০ সালে যখন প্রাক্কলন ধরা হয়েছিল, তার পর থেকে সময়ের সাথে সাথে সব নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়েছে, ডলারের দাম বেড়েছে। ফলে খরচ বাড়ছে।”
মানে হোল কাজ না পেতেই উচ্ছিষ্ট ভোগীদের দালালী শুরু হয়ে গেসে। তাই খরচ/ব্যয় বৃদ্ধির পক্ষে আমাদের প্রকল্প পরিচালকই অতি উৎসাহী ব্যাখ্যা দিচ্ছেন।
৬।চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানি পাকশীতে লালন সেতু নির্মাণ করেছিল। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অধীন ওই সেতুর দৈর্ঘ্য প্রায় পৌনে দুই কিলোমিটার। ওই প্রকল্পে চায়না মেজর ব্রিজের সহযোগী ছিল সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সাকো ইন্টারন্যাশনাল। ৯০৭ কোটি টাকার ঐ প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা কামরুজ্জামান এখন পদ্মা সেতু প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এবং মূল সেতুর দায়িত্বে নিয়োজিত করা হয়েছে। জনাব আবুল না থেকেও আছেন!
৭। এই মেজর ব্রিজ ই ঢাকা চট্রগ্রাম চার লেইন এর কাজ করছে ৭ গত বছর ধরে, যার ব্যয় বাড়ানো হয়েছে অনেক ধাপে, তার পরেও যা রয়েছে অসম্পূর্ণ। যারা ঢাকা চট্রগ্রাম সড়ক পথে যাতায়াত করেন তারা এই দুর্নীতিবাজ কোম্পানীর অতি নিন্ম মানের আর অব্যবস্থাপনা পূর্ণ কাজের মান সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারনা পেয়েছেন।
একই কাজ পদ্মা সেতুর বেলায়ও হতে যাচ্ছে? তাহলে স্বপ্নের পদ্মা সেতু কবে শেষ হবে?
চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি সম্পর্কেঃ
চারটি চীনা প্রকৌশলভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ও একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সম্মিলিতভাবে ২০০৪ সালে চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড গঠন করে। নির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- চায়না জঙ্গতি মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড, ইউয়ান আয়রন এন্ড স্টিল গ্র“প কর্পোরেশন, চায়না রেলওয়ে টানেল গ্র“প কোম্পানি, চায়না রেলওয়ে সাঙহাইজেন ব্রিজ গ্র“প কোম্পানি লিমিটেড।কোম্পানিগুলোর প্রতিটির বিরুদ্ধেই রয়েছে দুর্নীতি সম্পৃক্ততা ও প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যর্থতার ভয়ঙ্কর সকল অভিযোগ।এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে চায়না জঙ্গতি মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড। চীনের সংবাদ মাধ্যমগুলোর সূত্র মতে, দুর্নীতির অভিযোগ থেকেই রক্ষা পেতে এই কোম্পানিটির মাতৃপ্রতিষ্ঠানের পরিচালক বাই জংগ্রেন চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে একটি বহুতল ভবন থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেন।গত বছর চীনের রেলওয়ে খাতে ব্যাপক দুর্নীতির তদন্ত শুরু করে দেশটির সরকার। তদন্তের অংশ হিসেবে চীনের সাবেক রেলওয়ে মন্ত্রীর দুর্নীতি প্রকাশ পায়। ধারণা করা হচ্ছে, দুর্নীতি বিরোধী অভিযানের ভয়, শ্রমিকদের বেতন বাড়ানর চাপ ও অর্থসঙ্কটের কারণে বাই জংগ্রেন আত্মহত্যা করেছিলেন। গেল কয়েক বছরে, বাই জংগ্রেনের মতো আরও কয়েক নেতাই দুর্নীতির অভিযোগ থেকে রক্ষা পেতে আত্মহত্যা করেছেন।পদ্মাসেতু নির্মাণের দায়িত্ব পাওয়া মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হচ্ছে ইউয়ান আয়রন এন্ড স্টিল গ্র“প কর্পোরেশন। ২০১২ সালে কানাডায় চেক জালিয়াতি করে অর্থসংগ্রহের অভিযোগ উঠে ইউয়ান আয়রন এন্ড স্টিল গ্র“প কর্পোরেশনের বিরুদ্ধে।পদ্মাসেতু নির্মাণে ভূমিকা পালন করবে এমন আরেকটি কোম্পানি হচ্ছে চায়না রেলওয়ে টানেল গ্র“প কোম্পানি। এই কোম্পানিটি আরেকটি চীনা কোম্পানির সাথে সম্মিলিতভাবে পোল্যান্ড-জার্মানি সংযোগ সড়ক নির্মাণে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল ২০০৯ সালে। তারপর পোল্যান্ডের সরকার, চীনা কোম্পানিটির বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্প সম্পন্ন করতে না পারা ও প্রকল্প ব্যয় বাড়িয়ে ফেলার অভিযোগ তোলে। এবং পোল্যান্ডের সরকারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
যেখানে একটি সেতুই একটি দেশের জিডিপি কে নুন্যতম ২% বাড়াবে বলে ধারনা করা হচ্ছে, সেখানেও দুর্নীতির সাথেই আমাদের সেতুবন্ধন! এ এক অভূতপূর্ব মেলবন্ধন, যা দুর্নীতি ব্যাপ্তির  বৈশ্বিক ধারনা সূচকের পরিবর্তন ঘটাতে পারে !
সংকলিত।

 

শাহবাগঃ বখরা নিয়ে নখরা

by: Aman Abduhu

তথাকথিত গণজাগরণের শাহবাগিরা টাকার ভাগ নিয়ে মারামারি শুরু করছে। এবং এতে আমরা আনন্দ প্রকাশ করছি। কিন্তু, হাড্ডি নিয়ে কুকুরদের কামড়াকামড়ি দেখে আসলেই কি অ-শাহবাগি অথবা বাংলাদেশর সুস্থ মানুষদের খুব বেশি আনন্দিত হওয়ার কিছু আছে?

যে কোন আন্দোলন বা সম্মিলিত কাজ করতে গেলে টাকার দরকার হয়। এটা কোন অপরাধ না। অপরাধ হলো টাকাটা যে কাজে খরচ করার কথা, তা না করে আত্মসাৎ করা। যে কাজটা খুব স্বাভাবিকভাবে করেছে গাজামঞ্চ।

তো? তাদের এই দুর্নীতি কি খুব বেশি অপ্রত্যাশিত ছিলো? বাংলাদেশে এ কাজ কি শুধু শাহবাগিরাই করেছে?

শাহবাগিরা একটা জায়গায় গিয়ে এখনো নিজেদের পরিচয় অস্পষ্ট রেখে দিয়েছে। এটা কি কোন রাজনৈতিক দল? না কি গাঁজাখোর হতাশাগ্রস্থ সুযোগসন্ধানীদের ক্লাব, এটা তারা পরিস্কার করেনি। দু’ নৌকাতে পা দিয়ে যতদিন চালানো যায়। আরেক শাহবাগি সাংবাদিক খালেদ মহিউদ্দিন যখন ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভিতে এ প্রসঙ্গে চেপে ধরেছিলো, মঞ্চের পান্ডারা এ প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছে। কথা ঘুরিয়ে দিয়েছে।

তবে বাংলাদেশে সব শ্রেণীতেই দুর্নীতি আছে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় পার্টি থেকে শুরু করে জাগপা, ন্যাপ, সিপিবি সব রাজনৈতিক দলেই এটা কম বেশি আছে। অথবা এফবিসিসিআই থেকে শুরু করে মহল্লার দুর্বার ক্লাব পর্যন্ত।

সর্বব্যাপী এ অসততা আর শয়তানি বন্ধ করার, নিদেনপক্ষে কিছুটা চেক দেয়ার, বড় একটা উপায় হলো জবাবদিহীতার ভিত্তিতে হিসাব রক্ষণ। পুরো পৃথিবীর মানুষ এটা মানে, শুধু বাংলাদেশের না। আর এখানে এসেও শাহবাগিরা তাদের চরম পশুসুলভ চরিত্র প্রকাশ করেছে। একজন সুস্থ মানুষ যদি কোন খারাপ কাজ করে, তাকে বুঝানো যায়। কিন্তু একটা পশু যদি কোন খারাপ কাজ করে, তাকে বুঝাতে গেলে উল্টা কামড় খেতে হয়।

শাহবাগিদের বড় একটা বৈশিষ্ট্য হলো, তারা যে কোন খারাপ কাজ করে পুরোপুরি নির্দ্বিধায়, খোলা গলায় সে খারাপ কাজটাকে ভালো ও গ্রহণযোগ্য হিসেবে বলে যেতে থাকে। এটা তারা তাদের অবৈধ জন্মদাতা আওয়ামী লীগ থেকে জেনেটিকালি পেয়েছে।

শাহবাগি এক পান্ডা, ঘৃণ্য যৌনকর্ম সম্পর্কিত লেখক ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসবিদ তার স্ট্যাটাসে লিখেছে “একটা সময় শেখ রেহানা আপার কাছ থেকে টাকা পয়সা নেওয়া হতো আমার ব্লগের খরচপাতি দেখায়া যে অনলাইনে এইটা আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করতেছে। এখন আর কে কে দেয় কে জানে। দিন বদলাইছে, এখন অনুদান দিলেও সেইটা আবার ফেরত চাওয়ার নিয়ম শুরু হইছে। লোকজন মালিকানার কাগজ দাখিল এবং অনুদানের হিসাব চাওয়া শুরু করলে খেলাটা কেমন হবে ভাবতেছি”।

10173192_10203726617785331_1435056657_n

কথা দীর্ঘ না করে, তিনটা অনুসিদ্ধান্ত।

১. শাহবাগ আন্দোলন প্রসব হওয়ার আগেই, গর্ভে থাকাকালীন সময় থেকে শেখ পরিবার সরাসরি এর পরিচর্যা করে আসছে।

২. হাসিনা রেহানা বোনদ্বয়ের এতোই টাকা আছে যে, কিছু লাফাঙ্গা কুকুরের সামনে হাড্ডি হিসেবে থোক থোক টাকা দেয়া কোন ব্যাপার না।

৩. শাহবাগিরা যেখানে সরাসরি বাংলাদেশের রাজপরিবারের সদস্য থেকে টাকা নিতে পেরেছে, সেখানে বিভিন্ন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান, শিল্প কারখানা, অফিস আদালত, সংগঠন আর ব্যাক্তির কাছ থেকে টাকা আদায় করা তাদের জন্য কোন ব্যাপার না।

এ তিনটা অনুসিদ্ধান্তের পর শেষ একটা শাহবাগি মোরাল।

টাকা দিবেন, কিন্তু কোন জবাবদিহীতা আশা করলে আপনি স্বাধীনতা বিরোধী। স্বচ্ছতা ও সততা প্রত্যাশার অর্থ হলো আপনি চেতনাগুরু স্যার জাফর ইকবালের ফিল্টার পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ।

ষাঁড়ের আদর্শ আসলেই ব্যাতিক্রমী, অভূতপূর্ব। যুদ্ধ যেমন অস্ত্র দিয়ে হয়না, অমিত সাহস দিয়ে হয়। এই বাংলাদেশে চেতনার বাস্তবায়নও তেমনিভাবে সততা দিয়ে হয়না, লাল পর্দার আড়ালে পকেট ভর্তি করা দিয়ে হয়।

Omi Pial’s complete Status 4/10/2014

Omi Rahman Pial
সুশান্ত যে আমার ব্লগের মালিকানা সত্যিই বিক্রি করছে সেইটা একটু দেরিতে গিয়া বুঝতে পারছি। যদিও তার ইঙ্গিত সে অনেক আগেই দিছিলো, পোস্ট দিয়াও ঘোষণা দিছে যে সে এইটা বিক্রি করতেছে। এটিমের গ্রুপ মেইলে সে বলছিলো সে ঘটনাটা সাজাইতেছে এইটা আবঝাব ব্লা ব্লা ব্লা। কিন্তু আচমকাই আমার ব্লগের নীতিমালায় পরিবর্তন দেইখা বুঝতে পারলাম এইটা এখন তার হাতে নাই। গত চারবছর আমি আমার ব্লগে লেখছি, শুধু আমার ব্লগেই, অনেকের অনুরোধেও কোথাও স্বনামে ব্লগিং করি নাই্,বেনামে তো প্রশ্নই ওঠে না। এই একক আনুগত্যের কারণ স্রেফ একটা চুক্তিনামা: আমার ব্লগ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধে কোনোরকম মতবাদ কিংবা স্বাধীনতাবিরোধী কোন পোস্ট প্রমোট করবে না। হঠাৎ সেইখানে দেখি ছাগুদের রমরমা, অ্যাসঅফ আইসা পোস্ট লেখে ছদ্মনামে, ঘ্যাংয়াররা সব রাতারাতি দেখি ব্লোজবার থিকা বোলোগার হ্ইয়া গেছে। 

নীতিমালার এই পরিবর্তনটা চোখে পড়ছে শাহবাগে গণজাগরণ শুরু হওয়ার পরপর।হঠাৎ আইজু খেইপা উঠলো এই জাগরণের বিরুদ্ধে। আর রাতারাতি দেখি সুশান্তের টোন চেইঞ্জ। এইটা আরো শক্ত হইলো যখন সামু ব্লগ সরকারের তোপে, সচল নেহাতই এক সুশীল ব্লগ, ছাগুদের আশাভরসার সোনার বাংলা ব্লগ বন্ধ। ওইসময় আমার ব্লগের ট্রাফিক ভালো। ব্লগের দুই কোর ব্লগার আমি আর আরিফ জেবতিক শাহবাগে। তো যেইখানে আমার একটা পোস্টের সার্বিক হিট এদের সবার (আইজু সুশান্ত আমার ব্লগের মঞ্চবিরোধী মোর্চা এবং ঘ্যাং) মোট হিটের থেকেও বেশী থাকে আমার একটা প্রিভিলেজ তো পাওয়ারই কথা এই বিষয়ে। আইজুরে বললাম এইসব বালছাল বইলা আমাদের বিব্রত না করতে। বাহ, আমার ব্লগে দেখি আমারই এক্সেস ব্যান। তখন বুঝলাম সত্যিই মালিকানা বদলাইছে।

এখন শিয়াল পন্ডিত এবং কুমীরের সাতটি ছানার গল্পটার কথা নিশ্চয়ই মনে আছে সবার? ছয়টারে খাইয়া সে একটারেই সাতবার দেখাইছিলো কুমীররে। আমি এইখানে তেমনই একটা গন্ধ পাইতেছি। কারণ আইজু বাকোয়াজ দেয় আমার ব্লগ এখন তার, শারুণ আমারে আগে বলছে আমার ব্লগে তার শেয়ার আছে, কয়দিন আগে শুনলাম মাসকাওয়াথ ভাইও আমার ব্লগ কিনছেন, কানাডার এক এ টিমারও শুনছি আমার ব্লগ কিনছে. আবার ব্লগারদের একটা জোটও নাকি আমার ব্লগের মালিক, শোনা যায় আওয়ামী লীগের দুইজন মন্ত্রী নাকি আমার ব্লগের মালিক। লন্ডনের নাস্তিক জোটও নাকি আমার ব্লগ কিনছে। হোয়াট দ্য ফাক ম্যান। আমার ব্লগ তুমি আসলে কার? তাইলে ওইখানে আমার লেখা পোস্টগুলা কার? আমার নাকি তাগো? যে যার খুশী মতো কোনো এক এএসপিরে বেইচা দিবো কোনো ডিলের বিনিময়ে!!!

পুনশ্চ: একটা সময় শেখ রেহানা আপার কাছ থেকে টাকা পয়সা নেওয়া হতো আমার ব্লগের খরচপাতি দেখায়া যে অনলাইনে এইটা আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করতেছে। এখন আর কে কে দেয় কে জানে। দিন বদলাইছে, এখন অনুদান দিলেও সেইটা আবার ফেরত চাওয়ার নিয়ম শুরু হইছে। লোকজন মালিকানার কাগজ দাখিল এবং অনুদানের হিসাব চাওয়া শুরু করলে খেলাটা কেমন হবে ভাবতেছি … — feelingcurious.

৫০ কোটি টাকার জাতীয় সঙ্গীতের বিশ্ব রেকর্ড এবং সুরেন্দ্র কারবারি পাড়ার ১.৫ লক্ষ টাকার স্কুলের ছাদ- আমি ব্যবহৃত হতে অস্বীকার করি।

March 25, 2014 at 8:59pm


আজকে সকাল ১০টা থেকে ৫০ কোটি টাকা ব্যয় করে(সুত্রঃ সংস্কৃতি মন্ত্রী)  , মন্ত্রী এমপিদের  সরকারের সাথে ব্যবসা করার আইন ভঙ্গ করে, প্রতিটা ব্যাঙ্ক এবং বেশ কিছু বড় প্রতিষ্ঠানের  সাথে বাধ্যতামূলক চাঁদাবাজি করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের এক সাথে  জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার বিশ্ব রেকর্ড।
একটা মর্মস্পর্শী ছবি 
কে জানে, এমন একটা রেকর্ড  প্রতিদিন  আমরা ভাঙছি কিনা, স্কুল ঘর না থাকায় পৃথিবীতে সর্বোচ্চ সংখ্যক ছাত্র ছাত্রী প্রতিদিন খোলা মাঠে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার এবং পাঠ দান নেয়ার । কিন্তু, এঁর মধ্যেই  ফেসবুকে, তন্দ্রা চাকমার স্ট্যাটাস অনেকেই দেখেছেন, খাগড়াছড়ির সদর উপজেলায়  সুরেন্দ্র কারবারি পাড়ার মহাসেনের আঘাতে ভেঙ্গে যাওয়া স্কুলের টিন-শেড ঠিক করে দেয়ার জন্যে  ১.৫ লক্ষ  টাকা জোগাড় করতে।
পেছন থেকে তোলা, একটা ভাঙ্গা স্কুল ঘরের সামনে চার লাইনে দাড়িয়ে শপথ নিতে থাকা এই অত্যন্ত মর্মস্পর্শী এই  ছবিটা দেখলেই বোঝা যায়, এই রাষ্ট্র-যন্ত্র কি ভাবে তার  জনগণের বেসিক চাহিদা পূরণ করতে পদে পদে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে।
এক বছর আগে হয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের ভেঙ্গে যাওয়া স্কুলঘর ঠিক করতে যেই রাষ্ট্র ব্যর্থ , সেই রাষ্ট্রের কোন অধিকার নাই ৫০ কোটি টাকা খরচ করে, জাতীয় সঙ্গীতের বিশ্ব রেকর্ড করার।
কিন্তু, সেই গুলো করছে আওয়ামী  লিগের সরকার ।কেন  করছে ? কারণ, এই দলের জনগণের কাছে কোন দায়বদ্ধতা নাই। এই দল জানে, তারা মানুষের ভোট জিতে ক্ষমতায় আসে নাই। তারা জানে, তারা ক্ষমতায় আসছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে দেশকে দুইটি ভাগে ভাগ করে বিভিন্ন রকম গুটি-বাজি করে এবং  ইন্ডিয়ার স্বার্থ রক্ষা করার মাধ্যমে। ফলে তাদের সমস্ত চিন্তা চেতনায় এই দুইটি ধারা প্রবাহিত  হয়।
এই জন্যে আমরা দেখেছি, সমালোচনার মুখেও তারা  ৫০ কোটি টাকা খরচ করে, এই অর্থহীন অনুষ্ঠানটা করে যাচ্ছে। কারো  কথায়  কান দিচ্ছেনা।   এই গুলো  ক্লাসিক  স্বৈরচারী আচরণ। বড় বড় মূর্তি বানানো, বড় বড় অনুষ্ঠান করা  ।  স্বৈরাচার নিজেই তার গড়া এই ফানুসে উড়ে বেরায়। তার ধারনা থাকে,  মানুষের জীবনে শান্তি সুখের নহর বয়ে যাচ্ছে। এই জন্যে স্বৈরাচার নিয়ম করে, আচ্ছা জনগণের যেহেতু অনেক টাকা, সেহেতু আমরা সব রাস্তায় টোল বসিয়ে দেই। বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে দেই।
এই অনুষ্ঠান আরও অনেক গুলো সম্পূরক প্রশ্নের জন্ম দেয় ।  
তা হলো  রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এই ভাবে কোন অনুষ্ঠানের জন্যে বাধ্যতামূলক চাঁদাবাজি করা আইন সম্মত কিনা? এ কোন রাষ্ট্র সৃষ্টি করলাম আমরা যার সরকার এই ধরনের ভ্যানিটি প্রজেক্টের জন্যে নিজেই চাঁদাবাজি করে?  এই টাকার একাউন্টেবিলিটি কে নিশ্চিত করছে? এই টাকাটা অডিটেবেল কিনা? সরকার যাদের কাছ থেকে এই  টাকা নিয়েছে, তারা এই অনুদানের কি পে-ব্যাক নিবে ?
এই টাকা সরকারী নিয়ম মেনে খরচ হয়েছে কিনা। এবং এই অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি-মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুরের প্রতিষ্ঠান এশিয়াটিকের তত্ত্বাবধানে হওয়াতে মন্ত্রী এমপিদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সরকারের সাথে ব্যবসা না করার যে নিয়ম  তার প্রকাশ্য বাত্যয় হলো, দুদক তার তদন্ত করবে কিনা? এই রাষ্ট্র কি, এতো নাঙ্গা হয়ে গ্যেছে যে, এই ধরনের দুর্নীতি করতে আজ রাখ ঢাক ও করতে হয় না?
এই প্রশ্ন  গুলোকে উপেক্ষা করে 
আজকে যখন সমালোচনার  ঝড় ওঠে, ইসলামি ব্যাঙ্কের কাছ থেকে টাকা নেয়া  মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বরখেলাপ কিনা  তখন বোঝা যায়, সরকার  চাইছে  নবীনদেরকে এবং প্রতিবাদীদেরকে দেশপ্রেমের  একটা  ধোঁয়াটে অন্ধকারে বুঁদ করে রাখা যাতে, আজকের প্রজন্ম , তার চোখের সামনে লুটপাট দেখেও সঠিক প্রশ্ন করতে ব্যর্থ হয়। যাতে সে সুশাসন না চায়, প্রকাশ্য দুর্নীতি  দেখলেও বিভাজিত রাজনীতিতে নিজের অবস্থানের কারণে চুপ থাকে, প্রতিবাদী না হয়।
যাতে সে দেখতে ব্যর্থ হয়, সুরেন্দ্র কারবারি  পাড়ার বাচ্চাদের সরকারী স্কুলের ঘর মাত্র ১.৫ লক্ষ টাকার জন্যে , নির্মাণ করতে ব্যর্থ হয় যে সরকার সেই সরকারের  ৫০ কোটি টাকার বিনিময়ে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার লুটপাটের মহোচ্ছবের কোন অধিকার নাই। এই উৎসব বার বার মনে করিয়ে দেয়,  সেমুয়েল জনসনের বিখ্যাত উক্তি, patriotism is the last refuge of a scoundrel ।  বদমাইশের  শেষ আশ্রয় হচ্ছে দেশ প্রেম।
এই প্রজন্মকে মনে রাখতে হবে , দেশ  কিন্তু  মা। মাকে নিয়ে ব্যবসা করতে হয়না।
 এবং যারা করে, তারা কোন একটা ধান্দার জন্যে করে।  এই প্রজন্মের চ্যালেঞ্জ, সেই ধান্ধাবাজদের সৃষ্ট ধোয়ার থেকে সত্যকে দেখতে পাওয়া এবং   সঠিক প্রশ্নটা করা। মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনার দায়, এই চেতনা ব্যবসায়ীদের হাতে  ব্যবহৃত না হওয়া।
আজকে  আমাদেরকে তাই এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর চাইতে হবে। এই চাদাবাজি আইনসম্মত কিনা ? এর একাউন্টিবিলিটি কে দেখবে ? এবং  মন্ত্রীর প্রতিষ্ঠান এশিয়াটিক আইন ভঙ্গ করে  কিভাবে এই  কাজ পায় ?
যাদের সামর্থ্য  আছে, তারা সুরেন্দ্র কারবারি  পাড়ার মহাসেনের আঘাতে ভেঙ্গে যাওয়া সরকারী স্কুলের পরিচালক দয়ানন্দ দাদার সাথে যোগাযোগ করবেন ০১৮২৮৮৬১৩০৩  নাম্বারে। এই স্কুলটি ঠিক করতে ১.৫ লক্ষ টাকা লাগবে। সরকার যদি না করে, আমরাই পারবো এই স্কুল ঠিক করে দিতে। এইটাই মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা।
আই রিফিউজ টু বি ইউজড, আমি ব্যবহৃত হতে অস্বীকার করি ।  এবং এই ৫০ কোটি টাকার প্রতিটা পয়সার হিসেব চাই। সবাইকে ২৬শে মার্চের শুভেচ্ছা।

আমি একটা সুসংবাদ দেই, আমার ফেসবুক বন্ধু জাপান প্রবাসী দিদার কচি Didar Kochiভাই জানিয়েছেন, তন্দ্রাদির স্ট্যাটাস পড়ার পরে,তিনি এবং তার বন্ধুরা ইতিমধ্যেই ৮০০ ডলার কমিট করেছেন এবং ইতি মধ্যেই Tandra Chakma তন্দ্রা দিকে জানিয়েছেন, আগামি সপ্তাহের মধ্যে দের লক্ষ টাকা সুরেন্দ্র কারবারি পাড়ার মহাসেনের আঘাতে ভেঙ্গে যাওয়া সরকারী স্কুলের ফান্ডে দিবেন।

ধন্যবাদ কচি ভাই এবং আপনার বন্ধুদেরকে। এক টিকেটে দুই ছবি দেখার মত চেতনা ব্যবসা আর টাকা লুটপাট করা নতুন মুক্তিযুদ্ধ ব্যবসায়ীদের যুগে , আপনারাই দেখিয়ে দিচ্ছেন, দেশপ্রেম কি জিনিষ ।

৫০ কোটি টাকার সাথে তুলনা করলে, দেড় লক্ষ টাকা হয়তো কিছুই নাই, কিন্তু , মিথ্যার মধ্যে সত্যকে বেছে নেয়ার ইচ্ছাটাই মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা।

 

সূত্র ঃ
তন্দ্রা চাকমার ফেসবুক স্ট্যাটাস।
https://www.facebook.com/photo.php?fbid=10152321709877152&set=a.310807447151.183524.719932151&type=1&stream_ref=10
সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন। প্রায় তিন লাখ লোক একসঙ্গে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার জন্য ৫০ কোটি টাকা খরচ হবে।
http://bangla.bdnews24.com/ bangladesh/article759318.bdnews

 

 

সীমান্তের এপার ওপার – পর্ব ২

 by WatchDog

ব্ল্যাক-মেইলিং’এর এমন মুখোরচক গল্পের সাথে একেবারে যে পরিচয় ছিলনা তা নয়, কিন্তূ তা সীমাবদ্ব ছিল কেবল খবরের কাগজে। কিন্তূ এ ধরনের অভিজ্ঞতা সাক্ষাৎ যমদূত হয়ে আমার নিজের সামনে হাজির হবে স্বপ্নেও কল্পনা করিনি। একদিকে অফিসে আমার সততা, অন্যদিকে দু’টো বাসা পর ভালবাসার মানুষটার কথা মনে হতেই মনে হল আমি ঘামছি। ভারি বৃষ্টির কারণে অনেকেই আফিসে আসতে পারেনি সেদিন, আর যার কথা ভেবে বেশী চিন্তিত হচ্ছিলাম সে ছিল রাজশাহীতে, ইঞ্জিনীয়ারিং কলেজে ভর্তি পর্ব সমাধানে ব্যস্ত। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে বুকে সাহষ নিয়ে মুখোমুখি হলাম বাংলাদেশের রাজনৈতিক জারজ সন্তানদের। এবং এটা ছিল এ ধরনের অনেক মুখোমুখির শুরু মাত্র।

আমার জন্যে অপেক্ষা করছিল রাজ্যের বিস্ময়। এক; রিং লীডার যার নেত্রীত্ত্বে স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনারের ছত্রছায়ায় এ লাভজনক ব্যবসা প্রসার লাভ করছিল, সম্পর্কে সে আমার মামা, মার আপন খালাত ভাই। বহু বছর মামাবাড়ি যাওয়া হয়নি বলে এমন আজরাইল উত্থানের সাথে পরিচিত হওয়ার সৌভাগ্য হয়নি আমার। মামা এ জন্যে হাজার আফসোস করতে লাগলেন। সাংগ পাংগদের বের করে দুপা জড়িয়ে রাজ্যের মাফ চাওয়া শুরু করল আমার মামা। কথা দিতে হল আমার জেলা শহরের কাউকে এ ঘটনার কথা জানতে দেবনা। আগামী নির্বচনে বিএনপির আশীর্বাদ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা তার। সব ভন্ডুল হয়ে যেতে পারে আমার গল্পে। তা ছাড়া আমাদের পারিবারিক প্রত্যাঘাত সামলাবার মত কোমরের জোড় আমার মামুর যে ছিলনা তা বলাই বাহুল্য।

দুই; গল্পের নায়িকার প্রসংগ আসতেই জানতে পারলাম চমকপ্রদ এক কাহিনী। বাংলাদেশের রাজপুটিন আজিজ মোহম্মদ ভাইয়ের সুন্দরী নেটওয়ার্কের সে ছিল পোষ্য সদস্য, ব্যবসার অন্যতম অংশীদার ছিল তার মা। কালের চক্রে এই টিভি সুন্দরীর সাথে ভিন্ন পরিস্থিতীতে দেখা হয়েছিল, কথা হয়েছিল তার মার সাথে। সে কাহিনী লিখতে গেলে বিশাল এক উপন্যাসের সূত্রপাত হয়ে যাবে, যার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের রাজনীতি এবং এর সূবিধাভোগীদের নিয়ে স্ল্যাম ডগ মিলিওনিয়ারের মত মহাকাব্যিক এক ছায়াছবি বানানো যাবে হয়ত। তুলে রাখা যাক এ কাহিনী অন্য এক সময়ের জন্যে। এ ফাকে বলে রাখা ভাল, এ ঘটনার পর অফিসে চাঁদাবাজি ভোজাবাজির মত মিলিয়ে যায়।

মন এমনিতেই তিতিয়ে ছিল ঢাকা শহরের প্রতি, মডেল কন্যার ঘটনাটা সিদ্বান্তটা এগিয়ে আনতে সাহায্য করল। আমি ঢাকা ছেড়ে নিজ শহরে চলে যাচ্ছি। কোটি মানুষের ঢাকা শহর আমার মত নগন্য একজনকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানাবে তার কোন সম্ভাবনাই ছিলনা, বাস্তবেও হল তাই। চোরের মত পালিয়ে গেলাম এ শহর ছেড়ে। ক’টা মাস আগেও জীবন ছিল মস্কো, লন্ডন, বার্লিন এবং ইউরোপের বিভিন্ন জমকালো শহর ভিত্তিক, অথচ ঢাকায়ও আমার জায়গা হলনা আজ। যাওয়ার আগে এক বন্ধুর পরামর্শে হাজার দশেক টাকা খরচ করে স্কীল মাইগ্রেশনের জন্য গুলসানস্থ অষ্ট্রেলিয়ান দূতাবাসে একটা দরখাস্ত জমা দিয়ে গেলাম।

যে বাড়িতে আমার জন্ম, যেখানে আমি বড় হয়েছি, বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া যে মেঘনা নদীর কুল ঘিরে বেড়ে উঠেছে আমার শৈশব, কৈশোর, সে মাটিতে আমি ফিরে গেলাম। মাঝ খানে অনেকগুলো বছর পেরিয়ে গেছে, নদীতে গড়িয়ে গেছে অনেক পানি। দু’টা মাস শুধু ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিলাম; ইউরোপের ক্লান্তি, ঢাকা শহরের ক্লান্তি সব ধুয়ে মুছে কোন এক সুন্দর ঝলমল সকালে হাজির হলাম পারিবারিক শিল্প-প্রতিষ্ঠানে। এখানে আমাকে কাটাতে হবে পরবর্তী বেশ ক’টা বছর, মুখোমুখি হতে হবে রাজনীতির কদার্য এবং কুৎসিত চেহারার সাথে। আমরা যারা বাংলাদেশের রাজনীতিকে নেত্রী এবং দল ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ভেবে মূল্যয়ন করতে অভ্যস্ত, তাদের জন্যে আমার পরবর্তী লেখাগুলো হতে পারে চক্ষু উন্মোচনের শুরু হিসাবে।

চলবে..

Posted Wed, 04/22/2009 – 00:35

সীমান্তের এপার ওপার – পর্ব ১

by Watchdog Bd

সময়টা ’৯৫ সাল, অষ্ট্রেলিয়াতে সবেমাত্র মাইগ্রেট করেছি। সিডনির কেনসিংটনে ২ রুমের একটা ফ্লাটে আরও দু বাঙালীর সাথে শেয়ার করছি। ১১ বছরের ইউরোপীয় জীবন শেষে বাংলাদেশে ফিরে গিয়েছিলাম মা, মাটি আর মানুষের টানে। প্রথম চাকরী, প্রথম প্রেম, প্রথম ভালবাসা, প্রথম বিরহ, এমন অনেক কিছুই ছিল প্রথম, যার মাঝে মিশে গিয়ে কখন যে মাছে-ভাতের বাঙালী বনে গিয়েছিলা বুঝতেও পারিনি। আমি না বুঝলে কি হবে, আমাকে বুঝিয়ে দেয়ার মানুষের কিন্তূ অভাব হলনা। রাজনীতির পঙ্কিলতায় নিমজ্জিত একটা দেশে সূস্থ হয়ে বেচে থাকতে চাই ঈশ্বরের বিশেষ আশীর্বাদ, সে আশীর্বাদ পাওয়ার যোগ্যতা আমার কোন কালেই ছিলনা, কারণ ঈশ্বরের অস্তিত্ত্ব নিয়েই আমি ছিলাম দ্বিধান্নিত। রোজার ঈদ সামনে, চারদিকে মহা আয়োজন। বরেন্দ্র গভীর নলকুপ বিদ্যুতায়ন প্রকল্প নিয়ে নওগা জেলার হাওর-বাওর চষে বেড়াচ্ছি। ৭/৮ জন সহকারী প্রকৌশলী সহ একটা টিম নিয়ে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি গাধার মত। ঈদের সময়, সবার বেতন চাই, ভাতা চাই, বোনাস চাই, চারদিকে শুধু চাই আর খাই খাই ভাব। কাজের পারিশ্রমিক আদায়ের লক্ষ্যে রাজশাহী বিদ্যুৎ অফিসে বিল জমা দিতেই আমার জন্যে অপেক্ষা করছিল অন্য এক জন্মভূমি। চাঁদপুরের অধীর সাহা নির্বাহী প্রকৌশলী, খুলনার আবু বকর সহকারী প্রকৌশলী, রহিম সাহেব প্রধান প্রকৌশলী, ইত্যাদি ইত্যাদি, সবাই আমাকে ডেকে পাঠাল আপন কুঠুরীতে, ব্যক্ত করল নিজ নিজ চাহিদা। শুভ্র দাড়িওয়ালা দুই হাতে ১১ আংগুলের আবু বকরকে সৃষ্টিকর্তা বোধহয় অতিরিক্ত একটা আংগুল দিয়েছিলেন পাপের টাকা গোনার জন্যে। সেই আঙ্গুল দিয়েই গুনলেন টাকাগুলো এবং তা ছিল শেষ তারাবির ওজু অবস্থায়। মসজিদে ওজুরত প্রকৌশলীর ঘুষ গ্রহন, এ দৃশ্যটা আমাকে সাড়া জীবন তাড়িয়ে বেড়াবে ঈশ্বরের নৈকট্য হতে।

1796695_10203414187734864_514804841_n

পত্নীতলা, বদলগাছি, মহাদেবপুর এবং ধামুইরহাটের ধানচাষীদের সাথে অন্যরকম একটা সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল এক বছরে, তাদের অনেকের আতিথেয়তা আবু বকরদের মত অসৎ মানুষদের কলুষতার নীচে চাপা পড়তে দেয়নি। আমার মুখ হতে শোনা বিদ্যুৎ আগমনী বার্তা তাদের কাছে ছিল রূপকথার কল্প-কাহিনীর মত। পৃথিবীর উত্তর দক্ষিন মেরুর অনেক প্রান্ত চষে বেড়িয়েছি, হরেক রকম মানুষের সান্নিধ্য পেয়েছি, কিন্তূ নওগা জেলার সীমান্ত এলাকার ঐ মানুসগুলোর কথা আমার এই কাচা কলম দিয়ে মূল্যায়ন করলে তাদের প্রতি অবিচার করা হবে। বরং তাদের কথা, এবং সে এলাকার মানুষ গুলোর বেচে থাকার লড়াইয়ের কথা জন্মভূমির ভাল কোন কিছুর প্রতীক হিসাবে তুলে রাখব হূদয়ের খুব গভীরে। ঈদ শেষে প্রমোশন পেয়ে প্রকল্প প্রকৌশলী হতে প্রকল্প পরিচালক হয়ে মুক্তি পাই অবৈধ লেনদেনের এই অস্বাস্থ্যকর চক্র হতে, কিন্তূ পাশাপাশি মিস করতে শুরু করি খুব কাছ হতে জন্মভূমিকে দেখার র্নিভেজাল সূযোগকে।

বেশীদিন টিকতে পারিনি ঢাকা শহরে, মোহম্মদপুরের ছোট অফিসটায় রাজনীতি নামের গুন্ডাদলের নিয়মিত পদধূলি জীবন অতিষ্ঠ করে তুলে। সকালে চাঁদা, বিকেলে চাদা, রাতে চাঁদা, বিএনপির চাদা, আওয়ামী চাদা, ওয়াজ মাহফিল, ব্যডমিন্টন টুর্নামেন্ট, একুশে ফেব্রুয়ারী, রাস্তায় নিহত পথচারী সৎকারের চাঁদা, চাঁদার সমুদ্রে হাবুডুবু খেতে গিয়ে একটা সময় এল যখন জীবন যুদ্বের এ পর্ব পূনঃমূল্যায়ন করতে বাধ্য হলাম। অনেক আগে বাংলাদেশ বিমানের একটা কমার্শিয়াল দেখতে খুব ভাল লাগত, ‘ছোট হয়ে আসছে পৃথিবী‘। হঠাৎ করে আমার পৃথিবীও কেমন যেন ছোট মনে হল, শ্বাষ নিতেও কষ্ট হয়। কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিতে আমার অফিসে কোন এক সুন্দর সকালে হাজির হয় খোলা তরবারির মত ধারালো অনিত্য সুন্দরী এক টিভি মডেল, তার ফোন করা দরকার। এভাবেই শুরু, তারপর তাকে প্রায়ই দেখা যেত আমাদের অফিসে, না না ছুতায়, হরেক রকম বাহানায়।

দিনটা ভূলে যাওয়ার মত ছিলানা, অঝোর বর্ষনে কাঁদছিল ঢাকা শহর। শ্রাবনের বর্ষনে ভরা এমন একটা দিনের কথা ইউরোপে বাস করতে গিয়ে কত শতবার যে কল্পনা করেছি তার হিসাব নেই। গভীর তন্ময়ে মোহগ্রস্থ হয়ে গিলছিলাম বৃষ্টির বিরামহীন কান্না। দলবেধে তারা এল, বয়স ১৮ হতে ৩০/ হাতে হরেক রকম অস্ত্র; ছুরি, রামদা, নানচাকু, পিস্তল। বাসা হতে পালিয়েছে টিভি কন্যা, যাওয়ার সময় বান্ধবীদের বলে গেছে মোহম্মদপুর অফিসের ঐ প্রকৌশলীর সাথে জীবন গড়তে পা বাড়াচ্ছে অচেনা পথে।

চলবে…

Posted Sun, 04/19/2009 – 15:51 by WatchDog

জননী জন্মভূমি…

by Watchdog Bd

বিএনপির দ্বিতীয় টার্মের সময় তখন। প্রবাস জীবনে ব্রেক নিয়ে দেশে অবস্থান করছি। বাবার মৃত্যুর পর অর্ধশতাব্দি পুরানো আমাদের পারিবারিক শিল্পকারখানার চরম দুরবস্থা। জীবন প্রদীপ নিভু নিভু করছে প্রায়। এ অবস্থা হতে বেরিয়ে আসতে হবে এবং যথাসম্ভব দ্রুত…এমন একটা দায়িত্ব নিতে মার জরুরি তলবের কারণে অস্ট্রেলিয়া হতে ফিরে আসতে হল। বছর দেড়েক লাগল নড়বড়ে অবস্থা গুছিয়ে নিতে। এবং দুই বছরের মাথায় শুরু হল নতুন যাত্রা। কর্তন বর্ধনের পর প্রায় তিন শতাধিক শ্রমিক কর্মচারী নিয়ে শিল্পের ভিত্তিটা শক্ত পায়ের উপর দাঁড়িয়ে গেল।

চারদিকের বাণিজ্য বাতাস তখন অস্বাভাবিক ভারী। শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। কাছ হতে দেখলে গোটা শহরকে মনে হবে চাঁদাবাজীর লাস ভেগাস। সহজ আয়ের এসব বীর সৈনিকদের সংখ্যা হাতে গুনে মুখস্ত রাখা সমস্যা হয়ে দেখা দিল। শেষপর্যন্ত মাছের ভাগার মত ভাগ করতে বাধ্য হলাম। এক ভাগা বিএনপির, এক ভাগা ছাত্রদলের, এক ভাগা আওয়ামী লীগ ও তার সহযোদ্ধাদের, এক ভাগা মসজিদ, মাদ্রাসা, ওয়াজ, মিলাদ, জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে, খৎনা, ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন, ও একভাগা মাননীয় সরকার মহোদয়ের বেতনভুক কর্মচারীদের। ডিসি সাহেব চাঁদার ইংরেজী তরজমা করে এর গায়ে কন্ট্রিবিউশন তকমা লাগিয়ে ঘন ঘন এলান ফরমানো শুরু করলেন। ওসি সাহেবের কেবল টাকা নয়, সুন্দর এক সকালে এত্তেলা পাঠালেন স্ত্রী ঢাকা যাবেন মার্কেটিংয়ে, আমাদের গাড়িটা দরকার। সাথে থাকতে হবে ট্যাংকভর্তি তেল। বাংলাদেশ নামক দেশটার জন্মের উষালগ্ন হতে দেশের বাইরে। তাই অনেক কিছুর উপর নূন্যতম ধারণা ছিলনা। একটা জাতি সন্মিলিতভাবে এভাবে নোংরামির কোমর পানিতে নামতে পারে আমার জন্য তা ছিল অভাবনীয়, বিস্ময়কর।

দুপুরের খাবারের জন্য বাসায় ফিরছি। কড়া রোদ। রিক্সা নেই কোথাও, তাই হেঁটেই রওয়না দিলাম। কয়েক শ গজ যাওয়া হয়নি, ঘ্যাচ করে হুড খোলা একটা জীপ পথরোধ করে ফেলল। পুলিশ। থ্রি নট থ্রি রাইফেল তাক করে মাটিতে শুয়ে পরার তাগাদা দিল। আমি মূর্তির মত ঠায় দাঁড়িয়ে রইলাম। অন্য একজন ওকিটকিতে কথা বলতে শুরু করল।
-স্যার একজনরে ধরছি। মসজিদের সামনে। বাকিরা পলাইছে। ঠিক আছে, জলদি আসেন।
একটু পর পালের গোদা থানার ওসি এসে হাজির। এসেই মা-বাবার নামে কুৎসিত একটা গালি দিল এবং সহকারীকে নির্দেশ দিল পাশের সেলুন হতে কাঁচি এনে আমার চুল গুলো কেটে দিতে। প্রমাদ গুনলাম। হিসাব কষে দেখলাম নিজকে প্রকাশের এটাই উত্তম সময়। অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক হিসাবে সাময়িক ভিসা নিয়ে বাস করছি বাংলাদেশে। নিজের অধিকার সম্পর্কে পুরোপুরি সচেতন। বাংলা নয়, ইংরেজিতেই শুরু করলাম চোর-পুলিশ খেলা।
হু দ্যা ফাক ইউ আর টু কাট মাই হেয়ার?
স্তম্ভিত হয়ে গেল কথিত একজন সন্ত্রাষীর মুখে ইংরেজি শুনে।
তুই বড় চুলের মাস্তান। তোর কাছে এতকিছুর জবাব দিতে বাধ্য নই।
ডাজ কনষ্টিটিউশন অব বাংলাদেশ লিমিটস ইটস সিটিজেনস রাইট টু হেভ লং হেয়ার? ইফ সো, প্রভাইড মি এভিডেন্স।
এবার থেমে গেল ওসির মুখ। হয়ত আশা করেনি তর্কের সবটা ইংরেজিতে চালিয়ে যাওয়ার সামর্থ।
– ইউ আর আন্ডার এরেষ্ট।
– নো প্রবলেম। লেট মি টক টু মাই এম্বাসি এন্ড গেট সাম হেল্প।
সংখ্যায় ওরা ছিল ৭/৮ জন। পিনপতনের নীরবতা নেমে এল ঘটনাস্থলে।
নিউ সাউথ ওয়েলসের ড্রাইভিং লাইসেন্সটা পকেটেই ছিল। নিজের পরিচয় যেচেই প্রকাশ করলাম। দমে গেল পুলিশ বাহিনী। এ ফাঁকে খবর চলে গেলে আমাদের কারখানায়। শিফট বন্ধ করে প্রায় ১০০ শ্রমিক ঘেরাও করে ফেললো গোটা এলাকা। চারদিকে টান টান উত্তেজনা। পুলিশ দল নিজেদের ভেতর ফিসফাস শুরু করে দিল। একজন এসে জিজ্ঞেস করল, আপনি কি রহমান সাহেবের ভাই?
– নট রিয়েলি, আই এম নট, রাদার হি ইজ মাই ব্রাদার। ইংগার ব্রদার।
– আমরা কি আপনাদের কারখানায় গিয়ে কথা বলতে পারি? অতি বিনয়ের সাথে পালের গোদা অনুরোধ জানালেন।
– অভার মাই ডেড বডি। উই উইল স্কয়্যার আওয়ার ইস্যু রাইট হেয়ার।
এবার পুলিশের ঘাড়ে চেপে বসলাম আমি। শুধু শুধু নাম ধাম জিজ্ঞেস করতে থাকলাম। শুরু হল ক্ষমা পর্ব। ভাষ্য মতে কত গুলো মাস্তানকে ধাওয়া করছিল ওরা। তাদের সবার মাথায় লম্বা চুল। দেখতে আমিও নাকি তাদের মত। ততক্ষণে জনতার স্রোত বাড়তে শুরু করল। ঘটনাস্থলে আমাদের পারিবারিক বন্ধু পৌরসভার চেয়ারম্যানকে দেখতে পেলাম। সাথে আমার ছোট ভাই। ওরা শহরের হোমরা চোমরা, মুরুব্বি। জোর করে সরিয়ে আনল আমাকে। রক্তের দাপাদাপি থামাতে ডাক্তার ডাকা হল। তিনদিনের মাথায় সবকিছু থিতু হয়ে এল।

corrupt-police
মাস না গড়াতেই মার সাথে বুঝাপড়ায় বসতে হল। স্বপ্ন আর বাস্তবতার লড়াইয়ে বাস্তবতাই জয়ী হল। ফিরে গেলাম দত্ত্বক নেয়া দেশ অস্ট্রেলিয়ায়।…

ক্ষমতার পালাবদল কি বদলাতে পারবে এসব অসূস্থ সংস্কৃতি? নাকি নতুন বোতলে পুরানো মদ ঢালার মত জাতীয়তাবাদিরাও ঢালতে শুরু করবে চরিত্র সংকটের নতুন সিফিলিস? তাহলে আর কিসের জন্য এ হা হুতাস…কারণ আমার জন্য স্বাধীনতা মানে চুলেরও স্বাধীনতা, গণতন্ত্র মানে মুক্ত বাতাসে চলাফেরার স্বাধীনতা…

Welcome to Mr Arvind Kejriwal ~ long struggle ahead if you are ‘TRUELY true’ to your conviction

Mr Aravind Kejriwal after winning election. Photo copyright Deccan Chronicle.

Mr Aravind Kejriwal after winning election. Photo copyright Deccan Chronicle.

I must admit I didn’t give much of a thought back in 2011 when my co-workers and friends of Indian origin told me about Anna Hazare and his activism against corruption in New Delhi. I tried to read few articles here and there about his activism and came to know that he does not want to take a political platform and do his activism in a ‘non-political’ and ‘non-partisan’ fashion. As an avid follower of news, history and politics I know that activism without political platform and partisanship is recipe for failure specially in Indian subcontinental political eco-system. So, as long as Mr Anna Hazare were to be the face of the activism, this movement was going no where other than passing a law or two about anti-corruption. Laws are made in Indian subcontinent usually for not to be implemented.

Having said so, a few of my Indian friends were very hopeful about an IIT-trained mechanical engineer turned tax department bureaucrat named Mr Arvind Kejriwal who was with Anna Hazare and took part in the political activism against corruption. I must admit that I did not give it a much of a thought either back then.

In the past 2000 years of the history of Indian Subcontinent political power is always ‘handed down’ from one generation to other. The only way to change the political power was by destroying the dynasties. As the subcontinent was sub-divided into 100s of small and big independent or semi/pseudo-independent states for 1000s of years the tradition is such as a state always belongs to its king. Once the East India Company started taking over the subcontinental landscape back in mid 1700s they had to figure out an effective way to by-pass the rules of the kingdoms and thus British-India-bureaucracy was born. And so was the corruption.

Two weeks ago Delhi’s election made a splash on the global news as Mr Kejriwal’s Aam Admi Party defeated other two political powerhouses in the provincial election. And now, skeptics like me had to take notice! Mr Kejriwal is not the first one in recent history to take up such initiative of taking the task to clean corruption from the a sub-continental country bogged into a 200 years old bureaucracy and, at-least, 100 year old political dynasty altogether. Politicians have come as fighters against corruption and gone as corrupt ones themselves in a few years. I think I had the valid reason to be skeptic.

If Mr Kejriwal is true to his conviction he has a long long way to go no doubt. How will he win this battle against corruption and install good governance? I believe the answer is simple ~ by the help of the people who are tired of these all-powerful all-have political power-houses. I believe those are the people who voted for him. As Mr Kejriwal knows very well, politics is a high-stake game where politicians usually always win. This is the ‘business of people’.

Will Mr Kejriwal become ‘the’ politician to make tough decisions and win a political battle against corruption? It will be a new experiment and a new experience for the world to watch (and learn may be). Anna Hazare movement now has a political platform and a human face as a leader. The stage is set. Sounds are checked. Lights are on and focused on Mr Kejriwal ~ to perform. Aam Admis (regular people) are hoping nobody-else will steal the show this time. Much is on stake.