৫০ কোটি টাকার জাতীয় সঙ্গীতের বিশ্ব রেকর্ড এবং সুরেন্দ্র কারবারি পাড়ার ১.৫ লক্ষ টাকার স্কুলের ছাদ- আমি ব্যবহৃত হতে অস্বীকার করি।

March 25, 2014 at 8:59pm


আজকে সকাল ১০টা থেকে ৫০ কোটি টাকা ব্যয় করে(সুত্রঃ সংস্কৃতি মন্ত্রী)  , মন্ত্রী এমপিদের  সরকারের সাথে ব্যবসা করার আইন ভঙ্গ করে, প্রতিটা ব্যাঙ্ক এবং বেশ কিছু বড় প্রতিষ্ঠানের  সাথে বাধ্যতামূলক চাঁদাবাজি করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের এক সাথে  জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার বিশ্ব রেকর্ড।
একটা মর্মস্পর্শী ছবি 
কে জানে, এমন একটা রেকর্ড  প্রতিদিন  আমরা ভাঙছি কিনা, স্কুল ঘর না থাকায় পৃথিবীতে সর্বোচ্চ সংখ্যক ছাত্র ছাত্রী প্রতিদিন খোলা মাঠে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার এবং পাঠ দান নেয়ার । কিন্তু, এঁর মধ্যেই  ফেসবুকে, তন্দ্রা চাকমার স্ট্যাটাস অনেকেই দেখেছেন, খাগড়াছড়ির সদর উপজেলায়  সুরেন্দ্র কারবারি পাড়ার মহাসেনের আঘাতে ভেঙ্গে যাওয়া স্কুলের টিন-শেড ঠিক করে দেয়ার জন্যে  ১.৫ লক্ষ  টাকা জোগাড় করতে।
পেছন থেকে তোলা, একটা ভাঙ্গা স্কুল ঘরের সামনে চার লাইনে দাড়িয়ে শপথ নিতে থাকা এই অত্যন্ত মর্মস্পর্শী এই  ছবিটা দেখলেই বোঝা যায়, এই রাষ্ট্র-যন্ত্র কি ভাবে তার  জনগণের বেসিক চাহিদা পূরণ করতে পদে পদে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে।
এক বছর আগে হয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের ভেঙ্গে যাওয়া স্কুলঘর ঠিক করতে যেই রাষ্ট্র ব্যর্থ , সেই রাষ্ট্রের কোন অধিকার নাই ৫০ কোটি টাকা খরচ করে, জাতীয় সঙ্গীতের বিশ্ব রেকর্ড করার।
কিন্তু, সেই গুলো করছে আওয়ামী  লিগের সরকার ।কেন  করছে ? কারণ, এই দলের জনগণের কাছে কোন দায়বদ্ধতা নাই। এই দল জানে, তারা মানুষের ভোট জিতে ক্ষমতায় আসে নাই। তারা জানে, তারা ক্ষমতায় আসছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে দেশকে দুইটি ভাগে ভাগ করে বিভিন্ন রকম গুটি-বাজি করে এবং  ইন্ডিয়ার স্বার্থ রক্ষা করার মাধ্যমে। ফলে তাদের সমস্ত চিন্তা চেতনায় এই দুইটি ধারা প্রবাহিত  হয়।
এই জন্যে আমরা দেখেছি, সমালোচনার মুখেও তারা  ৫০ কোটি টাকা খরচ করে, এই অর্থহীন অনুষ্ঠানটা করে যাচ্ছে। কারো  কথায়  কান দিচ্ছেনা।   এই গুলো  ক্লাসিক  স্বৈরচারী আচরণ। বড় বড় মূর্তি বানানো, বড় বড় অনুষ্ঠান করা  ।  স্বৈরাচার নিজেই তার গড়া এই ফানুসে উড়ে বেরায়। তার ধারনা থাকে,  মানুষের জীবনে শান্তি সুখের নহর বয়ে যাচ্ছে। এই জন্যে স্বৈরাচার নিয়ম করে, আচ্ছা জনগণের যেহেতু অনেক টাকা, সেহেতু আমরা সব রাস্তায় টোল বসিয়ে দেই। বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে দেই।
এই অনুষ্ঠান আরও অনেক গুলো সম্পূরক প্রশ্নের জন্ম দেয় ।  
তা হলো  রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এই ভাবে কোন অনুষ্ঠানের জন্যে বাধ্যতামূলক চাঁদাবাজি করা আইন সম্মত কিনা? এ কোন রাষ্ট্র সৃষ্টি করলাম আমরা যার সরকার এই ধরনের ভ্যানিটি প্রজেক্টের জন্যে নিজেই চাঁদাবাজি করে?  এই টাকার একাউন্টেবিলিটি কে নিশ্চিত করছে? এই টাকাটা অডিটেবেল কিনা? সরকার যাদের কাছ থেকে এই  টাকা নিয়েছে, তারা এই অনুদানের কি পে-ব্যাক নিবে ?
এই টাকা সরকারী নিয়ম মেনে খরচ হয়েছে কিনা। এবং এই অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি-মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুরের প্রতিষ্ঠান এশিয়াটিকের তত্ত্বাবধানে হওয়াতে মন্ত্রী এমপিদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সরকারের সাথে ব্যবসা না করার যে নিয়ম  তার প্রকাশ্য বাত্যয় হলো, দুদক তার তদন্ত করবে কিনা? এই রাষ্ট্র কি, এতো নাঙ্গা হয়ে গ্যেছে যে, এই ধরনের দুর্নীতি করতে আজ রাখ ঢাক ও করতে হয় না?
এই প্রশ্ন  গুলোকে উপেক্ষা করে 
আজকে যখন সমালোচনার  ঝড় ওঠে, ইসলামি ব্যাঙ্কের কাছ থেকে টাকা নেয়া  মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বরখেলাপ কিনা  তখন বোঝা যায়, সরকার  চাইছে  নবীনদেরকে এবং প্রতিবাদীদেরকে দেশপ্রেমের  একটা  ধোঁয়াটে অন্ধকারে বুঁদ করে রাখা যাতে, আজকের প্রজন্ম , তার চোখের সামনে লুটপাট দেখেও সঠিক প্রশ্ন করতে ব্যর্থ হয়। যাতে সে সুশাসন না চায়, প্রকাশ্য দুর্নীতি  দেখলেও বিভাজিত রাজনীতিতে নিজের অবস্থানের কারণে চুপ থাকে, প্রতিবাদী না হয়।
যাতে সে দেখতে ব্যর্থ হয়, সুরেন্দ্র কারবারি  পাড়ার বাচ্চাদের সরকারী স্কুলের ঘর মাত্র ১.৫ লক্ষ টাকার জন্যে , নির্মাণ করতে ব্যর্থ হয় যে সরকার সেই সরকারের  ৫০ কোটি টাকার বিনিময়ে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার লুটপাটের মহোচ্ছবের কোন অধিকার নাই। এই উৎসব বার বার মনে করিয়ে দেয়,  সেমুয়েল জনসনের বিখ্যাত উক্তি, patriotism is the last refuge of a scoundrel ।  বদমাইশের  শেষ আশ্রয় হচ্ছে দেশ প্রেম।
এই প্রজন্মকে মনে রাখতে হবে , দেশ  কিন্তু  মা। মাকে নিয়ে ব্যবসা করতে হয়না।
 এবং যারা করে, তারা কোন একটা ধান্দার জন্যে করে।  এই প্রজন্মের চ্যালেঞ্জ, সেই ধান্ধাবাজদের সৃষ্ট ধোয়ার থেকে সত্যকে দেখতে পাওয়া এবং   সঠিক প্রশ্নটা করা। মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনার দায়, এই চেতনা ব্যবসায়ীদের হাতে  ব্যবহৃত না হওয়া।
আজকে  আমাদেরকে তাই এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর চাইতে হবে। এই চাদাবাজি আইনসম্মত কিনা ? এর একাউন্টিবিলিটি কে দেখবে ? এবং  মন্ত্রীর প্রতিষ্ঠান এশিয়াটিক আইন ভঙ্গ করে  কিভাবে এই  কাজ পায় ?
যাদের সামর্থ্য  আছে, তারা সুরেন্দ্র কারবারি  পাড়ার মহাসেনের আঘাতে ভেঙ্গে যাওয়া সরকারী স্কুলের পরিচালক দয়ানন্দ দাদার সাথে যোগাযোগ করবেন ০১৮২৮৮৬১৩০৩  নাম্বারে। এই স্কুলটি ঠিক করতে ১.৫ লক্ষ টাকা লাগবে। সরকার যদি না করে, আমরাই পারবো এই স্কুল ঠিক করে দিতে। এইটাই মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা।
আই রিফিউজ টু বি ইউজড, আমি ব্যবহৃত হতে অস্বীকার করি ।  এবং এই ৫০ কোটি টাকার প্রতিটা পয়সার হিসেব চাই। সবাইকে ২৬শে মার্চের শুভেচ্ছা।

আমি একটা সুসংবাদ দেই, আমার ফেসবুক বন্ধু জাপান প্রবাসী দিদার কচি Didar Kochiভাই জানিয়েছেন, তন্দ্রাদির স্ট্যাটাস পড়ার পরে,তিনি এবং তার বন্ধুরা ইতিমধ্যেই ৮০০ ডলার কমিট করেছেন এবং ইতি মধ্যেই Tandra Chakma তন্দ্রা দিকে জানিয়েছেন, আগামি সপ্তাহের মধ্যে দের লক্ষ টাকা সুরেন্দ্র কারবারি পাড়ার মহাসেনের আঘাতে ভেঙ্গে যাওয়া সরকারী স্কুলের ফান্ডে দিবেন।

ধন্যবাদ কচি ভাই এবং আপনার বন্ধুদেরকে। এক টিকেটে দুই ছবি দেখার মত চেতনা ব্যবসা আর টাকা লুটপাট করা নতুন মুক্তিযুদ্ধ ব্যবসায়ীদের যুগে , আপনারাই দেখিয়ে দিচ্ছেন, দেশপ্রেম কি জিনিষ ।

৫০ কোটি টাকার সাথে তুলনা করলে, দেড় লক্ষ টাকা হয়তো কিছুই নাই, কিন্তু , মিথ্যার মধ্যে সত্যকে বেছে নেয়ার ইচ্ছাটাই মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা।

 

সূত্র ঃ
তন্দ্রা চাকমার ফেসবুক স্ট্যাটাস।
https://www.facebook.com/photo.php?fbid=10152321709877152&set=a.310807447151.183524.719932151&type=1&stream_ref=10
সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন। প্রায় তিন লাখ লোক একসঙ্গে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার জন্য ৫০ কোটি টাকা খরচ হবে।
http://bangla.bdnews24.com/ bangladesh/article759318.bdnews

 

 

একজন আকরাম খান, ক্রিকেট এবং আমাদের নব্য রাজাকারি

 বিসিসিবি যখন ভারতীয় আনুগত্য স্বীকার করে বাংলাদেশের ক্রিকেট কে ধ্বংস করার প্রস্তাব নিল, সেই প্রস্তাবে যেই সব  ডিরেক্টর সমর্থন জানাইছে তাদের মধ্যে আকরাম খান এর নাম দেখে অনেকেই অবাক হইছে।সুইট, কাডলি, পছন্দনীয় ব্যক্তিত্ব আকরাম খান যার হাত ধরে আইসিসি  সহযোগী দেশ থেকে ওয়ার্ল্ড কাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করলো এবং সেই পথ ধরে টেস্ট স্ট্যাটাস পেলো –সেই আকরাম খান বাকি ২০ জন ডাইরেক্টর এর সাথে দেশের পেটে ছুরি মারবে সেইটা অবিশ্বাস্য লাগছে অনেকের কাছে।

download (6)

আমার  শহরের প্রোডিগাল সান হিসেবে আকরাম ভাই এর আকরাম খান হয়ে ওঠা নিজের চোখে দেখেছি।

উনার মত এত মিষ্টি-ভাসি এবং এত  চমৎকার মানুষ হয় না। শুধু উনি না, উনার পুরো ফ্যামিলিটারই ব্যবহার, চলন, বলন অনুসরণ করার মত । মৃদু ভাষী, খেলা ধুলার ব্যাপারে অসম্ভব প্যাশনেট  এই এই পরিবার থেকে বাংলাদেশের সেরা সেরা  প্রতিভা উঠে আসছে এবং দেশ এই পুরো পরিবারটার কাছ থেকে অনেক পেয়েছে । এবং খেলা পাগল এই মানুষটা দেশের ক্রিকেটকে ধ্বংস করে দেয়ার একটা প্রস্তাবে বিনা বাধায় সম্মতি দিছে সেইটা মানতে উনাকে যারা চিনে তাদের অনেকেরই অবিশ্বাস্য লাগবে।

তার প্রজন্মের অনেকের মতই আকরাম খান  উঠে এসেছে চিটাগাং এর স্টার যুব ক্রিকেট থেকে।

এক সময় জাতীয় দলে ১১ জনের মধ্যে ৭ জন ছিল চিটাগাং এর। সেইটা বলতে গেলে স্টার যুব ক্রিকেটের অবদান।

আমাদের যখন কৈশোর তখন শীত আসলে হই হই রই রই পরে যেত। তখন ক্রিকেট খেলা হত শীত কালে। এবং এই টুর্নামেন্টের এক একটা খেলায় কি পরিমাণ প্যাশন থাকত সেইটা বলে কেও বোঝাতে পারবেনা। তখন অনেক গুলো লেয়ারে খেলা হতো।

স্কুল পর্যায়ে নির্মাণ স্কুল, নবীনদের জন্যে স্টার যুব, তারপর ফার্স্ট ডিভিশন। ফার্স্ট ডিভিশনের  বেশির ভাগ দলের একটা জুনিয়র টিম থাকত যারা স্টার যুবতে খেলত। এবং স্টার যুবতে ভালো খেললে সিনিয়ার টিমের সাথে প্রাকটিসে এর সুযোগ। এবং সেইখানে পারফর্ম করতে পারলে ফার্স্ট ডিভিশন।

একদম অতিরিক্ত ন্যাকা গুডিবয়  স্বভাবের ছেলেরা বাদে মধ্যবিত্ত পরিবার প্রতিটা ছেলে তখন বিকেলে খেলতে বেরোত।

নাম বেটে বা  ইট দিয়ে  নাম্বার লিখে  ব্যাট দিয়ে ঢেকে লটারি করে। কেও যদি ভালো খেলতো তো সে চাইলে স্টার যুব টিমের নেটের পাশে  গিয়ে রিকুয়েস্ট টিকুয়েস্ট করে, একটু বোলিং বা ব্যাটিং করার সুযোগ পেত।   এবং ভালো দেখলেই কোচেরা তাকে সুযোগ দিত।  তারপর আরো ভালো খেললে ফার্স্ট টীমে সুযোগ। এবং এইটা ছিল বিশাল কুল ব্যাপার।

আমার কৈশোরের  বড় একটা সময় গ্যাছে, স্টার যুবতে পাড়ার দলে চান্স পাওয়ার আশায় বাসার সামনের মাঠে ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাত ঘুরিয়ে লেগ ব্রেক আর গুগলি প্রাকটিস করতে গিয়ে। কিন্তু গুগলিটারে  কখনোই কন্ট্রোল করতে পারি নাই। ফলে আমার শিকে ছিড়ে নি। কিন্তু বড় ভাইরা সবাই স্টার যুবতে খেলেছিল। আমি ন্যাচারাল স্পোর্টস-ম্যান না। আর  ভাল না খেললে চান্স পাওয়া অসম্ভব ছিল।

কিন্তু, আবেগের অভাব ছিলনা।  স্কুল শেষে ভাত খেয়েই বিছানায়, লেপ এর মধ্যে লম্বা বালিশ ঢুকিয়ে একটা মানুষের অবয়ব সৃষ্টি করে পেছনের দরজা দিয়ে আউটার স্টেডিয়ামে দৌড়। কি সব দারুন খেলা হত ? এনভায়রনমেন্টটা ছিল নেশার মত। দুইটাকার সি বিখ্যাত ওভালটিন আইসক্রিম  যেটায়  একটা কিসমিস থাকতো। আর আব্বাসের বিখ্যাত  গালি ? হায়রে কি সব স্মৃতি। “কোক খাই নাইম্মোস  না ?”  । ফ্রেন্ডস ক্লাবের সাথে মোহামাডান ব্লুজের ঐতিহাসিক দ্বন্দ্ব।

আকরাম খান  সেই ভাবেই উঠে আসে। উনি চিটাগাং এর প্রোডিগাল সান ।

উনি নামলে ছক্কা নিশ্চিত।  “আকরাম!! বাংলা হোটেল পঞ্চাশ “ ।  মানে ছক্কা যদি বাংলা হোটেলে গিয়ে লাগে, তাইলে ৫০ টাকা। আউটার স্টেডিয়াম প্রস্থে ছোট। উনি খুব কমই মিস করেছেন। উনাকে দেখতাম সারা দিন টুকটুক করে একটা রশিতে বল ঝুলিয়ে নক করত, বারান্দায়। চিটাগাং  এর ভাল প্লেয়ারদের ঢাকায় নিয়ে যেত রেলওয়ে টিমে খেলার জন্যে । পেপারে দেখতাম রেলওয়ে টিম কেমন করছে, আকরাম ভাই কত রান করেছে।  উনি এই শহরবাসীকে নিরাশ করেন নি। উনি আকরাম খান  হয়েছেন। আইসিসি ট্রফি জিতে বাংলাদেশকে ওয়ার্ল্ড কাপে এনেছেন।

সেই স্টার যুব ক্রিকেট বন্ধ হয়ে গেল কেন জানিনা।

শুনেছিলাম, আজগর ফ্যামিলির, ইস্পাহানী, আর আবেদিন ফ্যামিলির গ্যাঞ্জামে  – আমি এত ডিটেল জানিনা। শুধু জানি হটাত  বন্ধ হয়ে গেল। তারপর দেখলাম, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা শুরু  হলো। ডিসেম্বর এর ১ তারিখ থেকে ১৬ তারিখ পর্যন্ত বাঁশ দিয়ে খুড়ে বারোয়ারী মেলা। মাঠ নষ্ট করে দিল, পিচ নষ্ট করে দিল, অসংখ্য মানুষের পদতলে আউটার স্টেডিয়াম এর চমৎকার সবুজ ঘাস নষ্ট হয়ে গেল – চট্টগ্রাম এর অসাধারণ সুন্দর ক্রিকেট কালচার নষ্ট হয়ে গেল, কিশোর আর তরুণদের খেলা বন্ধ হয়ে গেল, পরিচিত অনেকেই ফেন্সি আর গাঞ্জায় ঢুকে গেল। আউটার  স্টেডিয়ামকে আর ভাঙ্গা   হোল ইনার সটেডিয়ামকে দুই তলা করার জন্যে। অদ্ভুত সিদ্ধান্ত। শুধু বছরে এক কি দুইবার ইন্টারনাশ্নাল  খেলায় একটু বেশি দর্শকের জন্যে, শহরের তরুনদের খেলার মাঠ ধ্বংস করা হোল। বিশাল বিশাল ফ্লাড  লাইট দিয়ে মাঠের বসার জায়গা নষ্ট করা হোল। চট্টগ্রাম এর ক্রিকেট থেকে   সত্যিকার এর প্রতিভা আসা বন্ধ হয়ে গেল। অথচ  এই চট্টগ্রাম এক সময় জাতীয়  দলে এক সাথে ৭ জন ক্রিকেটার ফার্স্ট টিমে খেলতো।

2012-05-08__sp04

আমি বিশ্বাস করি, শুধু  মাত্র স্টার যুব ক্রিকেট যদি ঠিক মত চালু থাকত বাংলাদেশের ক্রিকেট  এখন  ভারত পাকিস্তান অস্ট্রেলিয়ার লেভেলে থাকতো।

কিন্তু, সেই ক্রিকেট এখন চেঞ্জ হয়ে গ্যেছে। এখন পুরো দেশের ক্রিকেট ইনফ্রাস্ট্রাকচার জাতীয় দলের ১১ জন খেলোয়াড় তৈরী করার জন্যে ডিজাইন করা। এইটা আমার অদ্ভুত লাগে।

কারণ আমি সব সময় মনে করছি, একটা স্পোর্টস হচ্ছে পাবলিক আর পোলাপানের খেলার জিনিস। মাস  পিপল  স্পোর্টসে পার্টিসিপেট করবে,সেই খান থেকে ফিজিক্যাল ফিটনেস হবে, কম্পিটিটিভনেস শিখবে, হারতে শিখবে। এবং সেই মাস পার্টিসিপেশানে যারা ভালো করবে তারা  কম্পিটিটিভ লিগ খেলবে। এবং লেয়ারে লেয়ারে এগিয়ে এক সময় দেশের প্রধান  লিগে সারা দেশের সব চেয়ে প্রতিভাবানরা খেলবে। এবং তাদের মধ্যে সেরা ১১ জন ন্যাশনাল টীমে   খেলবে।

এইটা একটা বটম আপ ইস্যু। টপ ডাউন না।

এবং এই জন্যে আবার ক্রিকেটকে  অনেকে সমালোচনা করত এই বলে,  এই খেলায় যেহেতু ব্যাট প্যাড এত কিছু লাগে, তাই

এইটা কখনই দেশের প্রধান খেলা হইতে পারবেনা। শুধু মিডল ক্লাস বা আপার মিডল ক্লাস এর খেলা হবে। কারণ, আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষের সেই সামর্থ্য নাই।

সারা পৃথিবীতে সব স্পোর্টস এর মোজেজা এই। আমাদের দেশেও  এই রকম ছিল । আসল ইস্যু হইলো, দেশের ম্যাক্সিমাম মানুষের পার্টিসিপেশান । জাতীয় দলের জন্যে খেলা না, খেলার জন্যে জাতীয় দল।

কিন্তু এখন বিসিসিবি আর তার ইনফ্রাস্ট্রাকচার এবং বাংলাদেশের ক্রিকেট এমন  ভাবে সাজানো হইছে তাতে এখন আছে কিছু ট্রেনিং ইন্সটিটিউশন আর ক্লাব।  সেই খানে বড় লোকের পোলা পাইন মাঞ্জা মেরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে পার্ট দেখাইতে দেখাইতে গিয়ে নেট প্রাকটিস করবে, এবং সেই প্রাকটিসে করে তারা এক সময় বিসিসিবির এলিট প্রোগ্রাম, এই প্রোগ্রাম সেই প্রোগামে আরো প্রাকটিসে করে জাতীয় দলে যাবে। কিন্তু দেশের ব্যাপক জনগোষ্ঠীর খেলার দরকার নাই।

আমি ঢাকায় বিকেলে ঘুরতে গিয়ে শুধু আনমনেই  খুঁজি  খোলা মাঠ। কেও  ক্রিকেট খেলছে কিনা । কেও বোলিং করতে দেখলে, একটু থমকে দেখি বলটা কেমন করলো। তার ডেলিভারি টা কেমন, ব্যাটসম্যান এর স্টান্স টা কেমন। প্রায়ই হতাশ হই, দেখি টোক্কা বোলিং করতে। এবং কষ্ট লাগে যখন দেখি,  সারা শহরে হাতে গোনা কিছু জায়গা ছাড়া – তেমন কেও খেলছে। সারা শহরে ১ হাজার ছেলেও বোধ হয় খেলার  সুযোগ পায় না।    অথচ এই শহরে ১ কোটি মানুষ। দুঃখ তার  মধ্যে ১ হাজার কিশোর ক্রিকেট খেলার মাঠ পায় না। তাহলে কিসের জন্যে জাতীয় দল ? আর সেই জাতীয় দল কেমনে  ভালো খেলবে ? মানুষ যদি খেলার সুযোগ না পায় তো জাতীয়  দল দিয়ে কি হবে ?  সেই দল ভালো খেলবে কেমনে ? নেট প্রাকটিসে করে করে ? ফুহ। খেলা শুরু করতে হয় , নাম বেটে। ইট দিয়ে, দাগ দিয়ে। হারতে শিখে, জিততে শিখে, বাপের টাকায় ট্রেনিং একাডেমীর পিচে নেট প্রাকটিস করে কখনোই খেলা শিখা  যায় না- টেকনিক শিখা যায়। খেলা আর টেকনিক একই জিনিস না।

এইটা আমরা মেনে নিছি। ক্রিকেট এখন হয়ে গ্যাছে, বিসিসিবি সিজেকেপি এবং অন্যান্য সংস্থা গুলোর টাকা বানানোর মেশিন।

বিভিন্ন জেলার ধান্দাবাজ টপ রাজনীতিবিদেরা এখন সেই জেলা ক্রীড়া সংস্থার  চেয়ারম্যান। তারা চিন্তা করে, স্টেডিয়াম এর মাঠে কেমনে একটা মার্কেট করা যায়। কেমনে খোলা মাঠের পাসে দুইটা চেয়ার বসায় দিয়ে চটপটি-ওয়ালাদেরকে দিয়ে ধান্দা করা যায়। বিসিসিবি এখন আইসিসি থেকে টাকা পায়, বিভিন্ন টুর্নামেন্ট করলে, স্পন্সর এবং টিকেট বেচা থেকে টাকা পায়। এবং বিভিন্ন ভাবে বিশাল টাকা  কামানোর মামলা আজকে  বিসিসিবি।  সেই মেশিন চালু রাখতে তাদের জাতীয় দল লাগে।

আজকে বিসিসিবির চেয়ারম্যান যখন সরকারী পলিসি হিসেবে ভারতের দাস থাকার ধারাবাহিকতায় দেশের ক্রিকেটের পেটে ছুরি মারার সিধান্ত নিল তখন আকরাম খানের প্রতিবাদ করতে পারেনা। কারণ, এইযে আকরাম খান – উনি যে ওই খানকার ডাইরেক্টর উনি এই টাকা বানানোর মেশিনের একটা পার্ট।

এই বিসিসিবি ভিত্তিক যে টাকা কামানোর ধান্দা এইটা অনেক বড় ধান্দা। এবং বিসিসিবির সব ডাইরেক্টর এবং আকরাম খানের সেই ভিত্তিক অনেক স্টেক আছে। আমি বলছিনা দুর্নীতি। কিন্তু হয়ত দেখেন, উনার যে ব্যবসা আছে সেইটা তে উনার এর ওর হেল্প লাগে। বাংলাদেশের আজকে কানেকশনের দেশ। আকরাম খান যে বিসিসিবির একজন ডাইরেক্টর সেইটার ভিত্তিতে উনার আজকে এদিক ওদিকে  প্রবলেমে পড়লে মুস্কিল আসান সহজ হয়ে যায়। বা ব্যবসা বাণিজ্যে সুবিধা হয়। প্রধান মন্ত্রীর সাথেও প্রয়োজনে কথা বলা যাবে।

সুইট কাডলি আকরাম খান এখনো সুইট কাডলি আছে। কিন্তু উনি এই নষ্ট যন্ত্রের একটা খুঁটিতে পরিনত হইছেন ।

একজন বিসিসিবির ডিরেক্টর হিসেবে উনার যে ইনফ্লুয়েন্স সেইটা ব্যবহার করে উনার চলতে হয়। বাকি অনেকের মতই। তাই এই পজিশন উনি ছাড়তে পারবেনা।

আমি নিশ্চিত কেউ যদি এই বিষয়ে যদি কেউ উনার সাথে কথা বলেন, আমি নিশ্চিত উনি বলবেন  – দেখো  আমার হাত পা বাধা । আমাদেরকে প্রেশার দিছে। বোর্ড চেয়ারম্যান এর সাথে লাগতে যাবে কে ? আপনিও চিন্তা করে দেখবেন। আসলেই তো কি আর করা ? ভারতের দালাল আওয়ামী লিগ সব দখল করে নিয়ে যাচ্ছে। চেয়ারম্যান যা বলে সেইটা না শুনে কি  টিকতে পারবে কেউ ?আসলেই কিছু করার নাই।

কিন্তু একজেকটলি এই খানেই আসে একজন বিশ্বাস ঘাতকের সাথে দেশ প্রেমিকের পার্থক্য।

আমি বোর্ড এর ইনার মেকানিজম জানিনা। কিন্তু, এইটা জানি। তিনটা মানুষ কিন্তু ছাড় দেয় নাই। প্রতিবাদ করছে। প্রেশার অবশ্যই ছিল। কিন্তু এর মধ্যেই তিনটা ডিরেক্টর কিন্তু সেই প্রেশার উপেক্ষা করছে। বাকি ২০ জন ডিরেক্টর এবং আকরাম খান প্রতিবাদ করতে পারে নাই। দালাল হইছে। যে সন্তানকে উনারা জন্ম দিছেন, নিজের ব্যক্তি স্বার্থ এবং সুবিধাবাদের কারণে সেই সন্তানের পেটে চুরি মারতে উনারা দ্বিধা করেন নাই। যেই তিন জন ডিরেক্টর বোর্ড চেয়ারম্যান এর ইচ্ছার বিরুদ্ধে দাড়াইছে আমি তাদেরকে চিনিনা। তারা হইল এই দেশের ট্রু হিরো। আমি নিশ্চিত তারাও বিসিসিবি  কেন্দ্রিক ধান্দাবাজি করে। কিন্তু দেশের স্বার্থ যখন বিঘ্নিত হইছে তখন তারা প্রতিবাদ করছে, নিজের ধান্দার দিকে তাকায় নাই।

শুধু আকরাম খান বা বাকি ২২ জন ডাইরেক্টর নয় দেশ মাতা না ব্যক্তি স্বার্থ এই ধরনের প্রশ্নের মুখোমুখি আপনি আমি সবাই নিয়ত মুখোমুখি হই। এবং এই ধরনের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে  কে সুবিধাবাদের পথ ধরি এবং কে দেশের পক্ষ নেই, তাতেই  নিয়ত নির্ধারিত হয় কে ২০১৪ সালে এসে কে  নব্য রাজাকার কে নব্য মুক্তিযোদ্ধা।

দুঃখ জনক ভাবে আমাদের দেশে এখনো প্রতি ২৩টা মানুষের মধ্যে ২০ টা মানুষ দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।

এবং আমরা সবাই মিলে  এই ছোট একশন গুলোতে সম্মিলিত ভাবে দেশকে বাঁশ দেই । কিন্তু মুখে আমাদের পিরিতির অভাব থাকেনা। আমরা সবাই, নিজের জায়গা থেকে এই সব যুক্তি দেই। আমাদের তো অসুবিধা আছে, আমার তো পরিবার আছে, আমি যদি ছাড় না দেই তাইলে ক্ষতি হয়ে যাবে এই সব বলে – দেশের পেছন দিয়ে যখন আমরা ঢুকায় দেই তখন যেই ভাঙ্গা দেশটা দাড়ায় সেই দেশটাই হয় বাংলাদেশ।

কালেকটিভ কনশানস বা গণনৈতিকতা -বিএনপির ২৯ ডিসেম্বর এর ফাকা মাঠ আন্দোলন এর একটি কারণ বিশ্লেষণ

 আজকের মার্চ ফর ডেমোক্রেসি নিয়ে বিএনপির এক্সপেকটেশন কি ছিল, তা আমি এখনো ক্লিয়ার হতে পারছিনা।

তারা কি ভাবছিল,হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ মানুষ রাস্তায় নেমে আসবে ? আওয়ামী লিগ যে সব কিছু ব্লক করবে, তাতো জানা কথা। বিএনপি কি ভাবছিল যে, আওয়ামী লিগ এর গুণ্ডাদের সকল বাধা আর পুলিশ এর বাধার মুখে জনতা রাস্তায় নামবে ?

আর ঢাকার বাহিরের মানুষের ঢাকা আসার কথা বলছেন কেন ? ঢাকার মধ্যে এক কোটি মানুষ আছে। এরা কই ছিল ?

এরা কেন নামে নাই।

হেফাজত এর মুভমেন্ট এর আগে, ঠিক একই রকম বাধা দেয়া হইছিল (হয়ত মাত্রা আরো বেশি ছিল) কিন্তু মানুষের জোয়ার এর মুখে সকল বাধা ভেঙ্গে পরছিল।

এরা আসছেনা কেন ?এই প্রশ্নটা বিএনপি কি নিজেকে করছে ?

বিএনপির আন্দোলন এর লেজিটিমেসি আছে, কিন্তু বিএনপির কি লেজিটিমেসি আছে ? এইটা বিএনপি কখনো নিজেদের জিজ্ঞেস করছে ।

রাষ্ট্র যখন, ক্ষমতাসীনদের ইচ্ছার দাস হয়ে যায়, সকল ইন্সটিটিউশন যখন ভেঙ্গে পরে যখন কোন নিরপেক্ষ মিডিয়া থাকেনা, মানুষ যখন আদর্শিক ভাবে বিভাজিত হয়ে পরে, সংবিধান যখন সরকার এর ক্ষমতা রক্ষার পুস্তকে পরিণত হয়  তখন যেই সব দল শুধু নাকি কান্না গাইতে থাকে তারা ইতিহাসের থেকে কোন শিক্ষা নেয় নাই।

সেই শিক্ষা হল, এই ধরনের অবস্থায় জন মানুষের কালেকটিভ নৈতিকতা বা কালেকটিভ মরালিটি সব চেয়ে  গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাড়ায়।

সমাজের কালেকটিভ মরালিটি, কালেকটিভ কনশানস বা জন-নৈতিকতা কি বলে, সেইটা হয়ে যায় সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংবিধান।

এই সংবিধান ধরা যায় না, এইটা লিখতে হয় না। এইটা প্রতিটা মানুষের মনে তখন গাথা হয়ে থাকে।

স্বাধীনতা যুদ্ধের কথা ধরেন। প্রতিটা মানুষ তখন বিশ্বাস করতো এই দেশকে নিজের রক্ত দিয়ে মুক্ত করতে হবে। মানুষ তখন অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পরছে।

৯০ এর এরশাদ এর পতনের কথা ধরেন। প্রতিটা মানুষ জানত, ওই লুচ্চা রে নামাইতে হবে। এইটা কালেকটিভ মরালিটি, কালেকটিভ কনশানস জনতার বিবেক। লুচ্চাটা আর্মির সাপোর্ট  ধরেও আর  টিকে থাকতে পারে নাই । আর্মিও শেষ পর্যন্ত সমর্থন প্রত্যাহার  করে নিছে ।

আজকে তাই বিএনপি কে প্রশ্ন করতে হবে, কেন আজকের এত অত্যাচার , অন্যায়, রাষ্ট্রের পেটে ছুরি চালিয়ে ইন্ডিয়ার দালালি  আর সীমাহীন  লুটপাট এবং পরিষ্কার অগণতান্ত্রিক আচরণ দেখেও তাদের ডাকে লক্ষ লক্ষ মানুষ রাস্তায় নেমে আসে নাই ?

আওয়ামী পুলিশের বাধা, আর ছাত্র লিগ এর গুণ্ডা দের ভয়ে ?

৭১ এ আর্মি ছিল এলএমজি হাতে তাও মানুষ পাত্তা দেয় নাই – আর এই কয়টা ছাত্র লিগ , আর রেব পুলিশ ? ফুহ।

আজকে তাই  প্রশ্ন করতে হবে, আওয়ামী  লিগ যদি আরো ৫ বছর যদি অবৈধ ভাবে দেশ শাসন করে যায়, তাও কি সাধারণ মানুষ কি মাঠে নেমে তাদের বিরুদ্ধে গণ মিছিলে নামবে, এরশাদ বিরোধী আন্দোলন এর মত ?

পাঁচ বছর পরের কথা জানিনা, কিন্তু আজকে সে পরিস্থিতি এখনো হয় নাই।

এই কালেকটিভ  মরাল কনশানস টা এখন দানা বাধতাছে মাত্র – এখনো ফর্ম করে নাই। কিন্তু, তার আগেই বিএনপি মানুষরে রাস্তায় চায়।

বটম লাইন হইলো, বিএনপি নিজের নৈতিকতা মানুষের কাছে পরিষ্কার করতে পারে নাই।

বিএনপি এখন পর্যন্ত চিন্তা করতে পারে নাই, একটা মূল কাজ বাদ দিয়ে তারা আন্দোলন এ নামছে । তাদের মানুষকে একটা ভিশন দেখাতে হবে  বা আগের পাপের জন্যে ক্ষমা চাইতে হবে  বা দেখাতে হবে  যে তারা একটা সোল সার্চিং করছে- কোন লিপ সার্ভিস না।

সবাই মনের চক্ষে দেখতে পাচ্ছে , বিএনপি শান দিচ্ছে তাদের ব্যাঙ্ক একাউন্ট এ–আরো জোর গতিতে লুটপাট করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ফলে, কালেকটিভ মরাল কনশানস – বিএনপির পক্ষে দাড়ায় নাই।

সাধারণ মানুষ একটা সুন্দর জীবিকা নিয়ে, পরিবার পরিজন সহ সুন্দর ভাবে বেচে থাকতে চায়, দুর্নীতির থেকে মুক্তি চায়- বিএনপি কি সেই ভিশন দেখাইতে পারছে সাধারণ মানুষ কে ? নাকি মানুষ জানে, বিএনপি আসলে তারা আরো জোর গতিতে বিগত পাঁচ বছরের হারানো সম্পদ ফিরে পেতে জোর গতিতে লুটপাট শুরু করবে ।

জনমানুষের এই কালেকটিভ মরালিটির বিষয়ে বিএনপি চিন্তাও করে নাই। করতাছেনা। তারা জাস্ট ক্ষমতা চায়, যে কোন মূল্যে যেন এইটা তাদের বাপ এর তালুক, যেন এইটা তার রাইট। তারা জাস্ট ধরে নিচ্ছে, আওয়ামী লিগ এর উপর মানুষ চেতা, স মানুষ এখন দলে দলে তাদের পক্ষে নেমে ক্ষমতা তাদের হাতে তুলে দিবে ।

আমি পরিষ্কার, আওয়ামী লিগ এই অবৈধ নির্বাচন করে আরো কয় এক বছর ক্ষমতা ধরে রাখার মত দলীয়, সাংগঠনিক,প্রাতিষ্ঠানিক,আন্তর্জাতিক,অর্থনৈতিক, সামাজিক সক্ষমতা এবং  কুটচালি বুদ্ধি রাখে।

শেখ হাসিনা অনেক হেডস্ট্রং লেডি। ডক্টর ইয়ুনুস ইস্যুতে উনি বছর এর পর বছর আমেরিকার মত পরাশক্তির হাজারো কান্না কাটি পাত্তাও দেন নাই। প্লাস উনার সাথে ইন্ডিয়া আছে। স, উনার একজিট রুট রেডি। প্লাস দেশের আনাচে কানাচে প্রাশনের আনাচে কানাচে আওয়ামী লিগ জায়গা মত  বসে আছে।

তারা এখন দেখতে পাচ্ছে, তাদের আর কোন নৈতিকতার ধার ধরতে হচ্ছেনা ফলে এখন তাদের আর কোন চক্ষু লজ্জা দেখাতে হচ্ছেনা। কারণ, এই  হাস্যকর নির্বাচন এর কারণে তাদের অবস্থান এখন এত দিনের আলোর মত অবৈধ । ফলে, নৈতিকতার ধার তাদের আর ধরতে হচ্ছেনা ।

ফলে, তারা এখন যা ইচ্ছা তা করতে পারবে এবং কারো কোন নিষেধ শোনার তাদের প্রয়োজন নাই। তারা জানে তারা এখন  চাইলেই, ঘরে ঢুকে মানুষ মেরে যদি জাস্ট ডিক্লেয়ার করে দেয়, লাশ টা জামাতের কেও কোন প্রশ্ন করবেনা। তারা জানে, একটা ওপেন মিছিলে গুলি মেরে মানুষকে মেরে ওরা যদি  বলে, এইটা ছিল হিজবুত তাহরীর তো, সবাই চুপ মেরে যাবে। তারা জানে, তাদের নেতারা সব গুলো সিরিয়ালি  চুরি করতে গিয়ে হাতে নাতে ধরা খাইছে  নেতাদের নিজেদের হলফ করা সম্পদ এর বিবরণী থেকে- ফলে তারা এখন এইটা নিয়েও আর চিন্তিত না। তারা বুঝে, একটা ইলেকশনে ১৫৪ জনকে আগে নির্বাচিত করেও তারা গণতন্ত্র আর সংবিধান এর নাম, পার পেয়ে যাবে- সমাজের এক দল মানুষ তাদের সাথে থাকবে, যুদ্ধাপরাধী বিচার বানচালের ষড়যন্ত্র বলে।

ফলে, আওয়ামী লিগ  জানে, কেও তাদের  জোর না করলে, তাদের  কিছু ছাড়তে হবেনা।

ফলে,রাজতন্ত্রের আরেক ক্রাউন প্রিন্স বিএনপিকে  আরো অনেক বছর ধরে ফ্রাস্ট্রেটেড হতে হবে।

এবং  যত দিন তারা মানুষের কালেকটিভ মরাল কনশানসটা অর্জন না করবে এই ধরনের আন্দোলন আওয়ামী লিগ ফু  মেরে উড়িয়ে দিবে, আজকে যেমন করেছে । আওয়ামী লিগকে সহজে কেও নাড়াতে পারবেনা।

এইটা ঠিক, আওয়ামী লিগ যত অন্যায় করতে থাকবে, তত বেশি তার বিরুদ্ধে মরাল কনশানস জমা হবে, কিন্তু, আওয়ামী লিগ এর নেগেটিভ কনশানস ইজ নট ইকুয়াল টু বিএনপির পজিটিভ কনশানস।

বিএনপির নিজেরটা নিজেকে অর্জন করতে হবে। মানুষ বোঝে, এই সেই বিএনপি যার নেতারা ৫ বছরে ধরে দেশকে লুট করছিল । এই সেই বিএনপি যে নিজেও, ক্ষমতা দখল করে রাখার জন্যে অনেক কুটচাল চালছে ।

বিএনপিকে যদি ক্ষমতার ধরে কাছে যেতে হয় তবে অবশ্যই একটা সোল সার্চিং করে, নিজের ভুল স্বীকার করে সত্যিকার এর পরিবর্তন হইছে তার কনভিনসিং  প্রমাণ দিয়ে মানুষের কাছে আসতে হবে ।

নইলে, অনলাইন এ বা রাস্তা ঘাটে আওয়ামী লিগ এর বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ কে নিজের জনপ্রিয়তার প্রমাণ হিসেবে ধরে নিয়ে যদি, আন্দোলন প্ল্যান তাদের চরম ভাবে হতাশ করবে।

ফলে, আরো অনেক  বছর ধরে, যদি এই আন্দোলন চলে জন ভোগান্তি, অর্থনীতি ধ্বংসের চক্র চলতেই থাকবে।

এবং আওয়ামী লিগ এর ক্ষমতার বিরুদ্ধে এই আন্দোলন যদি আরো দুই থেকে পাঁচ  বছর ধরেও চলে, আমি অবাক হবনা।

কারণ, আওয়ামী লিগ এখন ডেস্পারেট। এবং আগামী ৫ জানুয়ারি ইলেকশন এর পরে, তারা আরো বেশি ডেস্পারেট হবে তাদের দল এর প্রায় ২ লক্ষ লোক রুজি রোজগার এর ইস্যু এইটা- এইটা তারা ছাড় দিবেনা।

তাই যখন সংবিধান যখন ক্ষমতাসীন এর ক্ষমতা টেকানোর অস্ত্র তখন জনগণের কালেকটিভ কনশানস নিজের পক্ষে  নিয়ে আসাটা আজকে যে কোন রাজনৈতিক দল এর আন্দোলন এর প্রধান ভিত্তি হয়ে দাড়ায় ।

এবং জন-নৈতিকতা এবং জনগণ এর কালেকটিভ কনশানস যদি বিএনপির তার পক্ষে আনতে না পারে , তাহলে আর যতই ডাক দিক কোন গন-জোয়ার বিএনপির পক্ষে নামবে  না। আওয়ামী লিগ নিজেই  হয়তো এইটা সেইটা করে, পরিস্থিতি গরম করে রাখবে –কারণ তারা এত অনৈতিক দল যে সম্পূর্ণ বিবেক বর্জিত হয়ে তারা এখন যে কোন কিছু করতে পারে। কিন্তু, গণ-মানুষ এর জোয়ার বিএনপির পক্ষে নামবে বলে মনে হয় না । নামলে অবাক হব ।

আজকে যারা কিবোর্ডে ঝড় তুলে ফাটায় ফেলতাছে, টক শোতে নিজের একটা কথা শোনানোর জন্যে ঘণ্টার অপর ঘণ্টা  ফোন টিপ্তাছেন, আড্ডায়, ফেসবুকে এমপিদের অবৈধ সম্পদ, অবৈধ ইলেকশন , মানুষের মৃত্যু,এই ফ্যাসিবাদী সরকার  কিভাবে নিজেই ঢাকা অবরোধ করলো – এইটা সেইটা বলে ঝড় তুলতাছেন  – এবং নৈতিক সাহস টা নিজের সাথে না থাকার কারণে

এই কিবোর্ড বিপ্লবী আর চা এর কাপে ঝড় তোলা লোক গুলোই বিএনপির হয়ে আওয়ামী গুণ্ডাদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামবে না।   

বাকি সাইলেন্ট মেজরিটি  তো আরো অনেক দুরের বিষয়।

সুজাতার সফর

3

Zia Hassan

আপনার দেশকে নিয়ে আপনি যা ইচ্বছা বলতে পারেন কিন্তু একটা বিদেশির মুখে শুনলে আপনার রাগে গা জ্বলে যাবে।
এই জন্যেই , সারা প্রিথিবিতেই কূটনীতিকরা আরেকদেশ সম্পর্কে কি বলবেন, তাতে অনেক সতর্ক থাকেন । এইটা কূটনৈতিক শিষ্টাচার।
দুইটা দেশের কূটনীতিকরা যখন এই টুকু শিষ্টাচার বাদ দিয়ে কথা বলে তখন বুঝে নিতে হয় যে,দেশ দুইটির সম্পর্ক আর স্বাভাবিক নাই।

এরশাদ এর সাথে ভারতীয় স্বরাষ্ট্র সচিব সুজাতার সাক্ষাতকার শুনে আপনি নিশ্চিত হতে পারেন। ভারত বাংলাদেশ সম্পর্কে সেই শিষ্টাচার রক্ষার প্রয়োজনীয়তা আর থাকছে না। এবং জাতি হিসেবে বাংলাদেশের বাঙ্গালি জাতি সব ধরনের আত্মমর্যাদা বিসর্জন দিয়ে এখন জাস্ট একটা লেঙ্গুট পড়ে বসে আছে। আমাদের আর কোন লজ্জার অবিশিষ্ট নাই।

আওয়ামী লীগ যেই নির্বাচন করছে তা একটা বিতর্কিত নির্বাচন। এই জন্যে বাংলাদেশে এখন প্রতিটা মানুষের জিবনে অশনিসংকেত নেমে এসেছে। এবং এই নির্বাচন হলে আরো অনেক বছর ধরে বাংলাদেশ একটা অস্থিতিশীলতার মধ্যে পরবে।

কিন্তু, এই নির্বাচন নিয়ে সুজাতা বাংলাদেশে এসেছেন এবং জনে জনে গিয়ে ওকালতি করেছেন সেই দৃশ্য দেখতে হলও।

উনি এরশাদকে বলেছেন ” জাপা নির্বাচনে না গেলে যদি অন্য কোনো দল জয়ী হয়, তাহলে জামায়াতে ইসলামীর উত্থান হবে। ”
মিস সুজাতা। এইটা বাংলাদেশের মানুষের কন্সারন। হু ইজ ইন্ডিয়া টু টেল জামাত আসলে কি হবে নাকি হেফাজত আসলে কি হবে নইলে নাস্তিক আসলে কি হবে ? আমরা কি বলি নাকি, তোমাদের বিজেপি আসলে কি হবে ? ডোন্ট পক ইউর ডারটি নজ অন আস।

সুজাতা সিং বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক ভালো কাজ করেছেন।করতেই পারে। উনি আমাদের পাচ বছর মেয়াদি প্রাইম মিনিস্টার। করবেই তো।

কিন্তু, সুজাতা সিং আপনি কে আমাদের দেশে এসে বলার কি ভাল কে খারাপ ? কোন সাহসে আপনারা বাংলাদেশে এসে প্রকাশ্যে একটা রাজনৈতিক দলের পক্ষ নিয়ে ওকালতি করছেন ?
এই নির্লজ্জ হস্তক্ষেপে , আওয়ামী লীগ বিএনপি সহ সকল দল এর লোক এর লজ্জায় অপমানে মাথা হেট হয়ে যাচ্ছেনা এইটা চিন্তা করেই লজ্জা পেতে হয়।

এবং সুজাতা সিং কে গন্ধমাধ্যমের কর্মীরা যেই ভাবে বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে ওপেন প্রশ্ন করছে সেইটা দেখে যে কোন মানুষের চোখের পানি চলে আসা উচিত।

আমরা একটা দেশ! বাংলাদেশ!! আমরা স্বাধীন!!! ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা এই স্বাধীনতা পাইছি। সেই স্বাধীনতা থেকে প্রাপ্ত আত্মমর্যাদা এরা সুয়ারেজে ফেলে দিছে।
শেম শেম শেম!!

Wahiduzzaman Apollo – victim of the new war to emancipate Bangladesh

If you are living in Bangladesh and if you are not in Facebook, you probably have not heard about Wahiduzzaman Apollo. He is an unashamedly nationalist activist, aligned with BNP. What is different about him is, he is the part of new generation of activist, who protects their party dogma through an exercise of intellect. He is one of those new generation who does not seek financial dividend in return of their activism.  Wahidujjaman Apollo is not a single person.

A new Bangladesh is emerging in the online space where constantly ideas are expressed, debated and challenged. For one Wahiduzzaman Apollo in support of nationalist movement and BNP there is another Doctor Aiju or Omi Pial in favor of Awami league and the Bengali nationalist movement , who’s name you may not have heard either. There are other, Baki Billah and Parvej Alam who challenges the narrative of both Awami League and BNP, it is unlikely that you have heard their name as well.

The mentioned few are all part of a new generation of online warriors who are trying to portray a new Bangladesh, that is trying to break out of the shackles of old, protected intellectual establishment, which is now settled in their comfort zone and unable to add value to the dynamic narrative of the new Bangladesh that is emerging.

This is a genuine fight of the generation. A new war to be free, definitely not comparable with the liberation war that was fought in 1971 when 3 million lives were lost to give birth to a new nation called Bangladesh but a fresh one to create a new emancipated, open and enlightened Bangladesh that earlier generation has failed to establish.

The new generation of online warriors  operate in the space of Facebook, blogs and other online medias. They have their own followers in tens and thousands, who subscribe to their views. They are constantly debating with each other with their status updates and  each of their words is tested in a space by their followers and opposition as the media allows each person to freely express their minds. So, none can get away with an outright lie as each  word is validated by a huge group of people, who enjoys an absolute freedom of speech in this new medium.
In a country, where all the traditional media has been captured by political elites and their business allies – people are fed with news and debate which eventually protects the standing of the establishment only. So, facebook, blogs and the online space where the small debates take place are the only free space left for people to express their mind. The freedom to write anything is the central tenant that fuels these debates and allows new ideas to flourish.
This freedom is now allowing a new narrative of a Bangladesh which is showing the way forward or building up a space which will show the way forward for the country.

The importance of these small debates cannot be undermined. Shahbag movement, which has fundamentally changed the country for better or worse is a result of this debates on online space. Wahiduzzaman Apollo is one of the catalyst of this new wave.
Government and the current political establishment are aware of this impact. The latest ICT law which has provisions of 7 years jail term without any bail was one of the tool that has been thought out by the political establishment to control this space and curtail the freedom that is enjoyed by these new generation activists.

AKM Wahiduzzaman Apollo, is the first victim of this law. A case were filed against him few weeks back and yesterday AKM Wahiduzzaman Apollo has been put behind bars for his opinion. Wahiduzzaman Apollo is an imperfect man, he is also guilty of selective judgment. But, he is done nothing wrong other than to speak his mind. He has neither preached religious hatred or nor did anything other than saying what is being said by most people-the corruption and the ill doings of the government and the evil nature of the leadership.
It is clear, the establishment which is now headed by Awami League wants to give a signal to the online community to curtail their thoughts and limit their speech and bully them to stop criticizing government. The case filed against Wahiduzzaman Appollo is designed to mime him and other vocal activists to silent them. There is no doubt in anyones mind that, when this establishment will change its leader and BNP will come to power, similar miming of voice will be carried out, as it was done before.
This makes AKM Wahiduzzaman one of the the first victims of the  new war to liberate Bangladesh. A war that is being fought to free Bangladesh from the old establishment which has captured all the power, asset, space and voice and established a narrative which does not state the real voices of people.
This is a fight between evil and the good, the establishment and not haves, the new and old, the real and fake. This is the second liberation war that Bangladesh awaits to free its people from the evil establishment that now controls everything.

We unequivocally condemn the arrest of Wahiduzzaman Apollo.

The old establishment is not aware that, their days are numbered. They are not aware that an arrest of one Wahiduzzaman will give rise to 160 million Wahiduzzaman and government cannot put them all behind bars. There is not enough seats in the jails of Bangladesh to arrest them all.
We demand, that Wahidzzaman Apollo should be freed immediately with an apology else these will snowball into something that the establishment will be totally unable to control.

দুর্নীতির চেক এন্ড ব্যালান্স করার জন্যে এই প্যাটার্ন টাকে ভাঙ্গা – বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অস্তিত্ব রক্ষার একটা বড় প্রশ্ন

1

জিয়া হাসানঃ  তত্ত্বাবধায়ক এর সাথে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অস্তিত্বের একটা বড় সংকটের সমাধান বা মেনেজমেন্ট ইস্যু জড়িত |

আমার উভয় দল দুর্বৃত্তায়িত –তাদের হাতে খাওয়ার সুযোগ ছিল কিন্তু খায় নাই এমন কোনো রাষ্ট্রীয় সম্পদ আমাদের দেশে আর অস্তিত্ব নাই | এইটা স্বাধীনতার পর থেকেই ঘটে যাচ্ছে এবং গত বিশ বছরের এই খাওয়া খাওয়ির সিস্টেমটা একটা নির্দিষ্ট প্যাটার্নে চলছে |

সেইটা হইলো পাচ বছরে একটা দল রাষ্ট্রীয় সম্পদের সম্ভব সর্বোচ্চ পরিমান লুটপাট করে এবং সর্বোচ্চ পরিমান স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে পরবর্তী ইলেকশনটাকে তার নিজের ইচ্ছামত করার একটা আয়োজন করছে |

জনগণ রিয়ালায়জ করছে, এই দুর্বৃত্তায়িত প্রশাসন কে ভেঙ্গে যদি নতুন করে কনস্ট্রাকট না করা যায় এবং যদি আরো পাচ বছর একই স্ট্রাকচারটা বহাল থাকে তো তাদের দুর্বৃত্তায়নের ফাউন্ডেশন এত শক্ত হবে যে তারা একটা ভয়ঙ্কর রূপ নিবে এবং তাদেরকে আবার ভাঙ্গা অসম্ভব হবে | এই চেতনা থেকে ১৯৯৬ সাল থেকে শুরু করে প্রতিটা সরকার পরিবর্তন এর সময় বাংলাদেশ রাষ্ট্রের নির্দলীয় জনগণ যারা ভোটারদের সব চেয়ে বড় অংশ তারা বিরোধী দল এর সাথে সহমর্মিতা প্রকাশ করছে এবং সাথে থাকছে | এবং তাদের নিজের হাতে গড়া প্রশাসনের হাতে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে এই প্যাটার্ন টা ভাঙ্গা অসম্ভব চিন্তা করে তারা নির্দিধায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাইছে |Continue Reading

বি এন পি ভুল করছে

হরতাল প্রত্যাহার এবং সংলাপ নিয়ে একটা স্টেটাস এর পর অনেক বন্ধু
সমালোচনা করছেন | তাদের কথা হইলো শেখ হাসিনা চালবাজি করে লাস্ট মোমেনটে
ডায়ালগ এর দাওয়াত দিছে, তাও ডাক দিছে ২৮ তারিখে বসতে , ২৭ তারিখ বসতে
বলে নাই | শেখ হাসিনার উদ্দেশ্য মানুষকে বোঝানো, খালেদা জিয়াই সংলাপকে
ঘোলা করতাছে এবং অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতাছে | তাই এখন অবশ্যই হরতাল
চালু রাখা দরকার |

Continue Reading