ডোনাল্ড ট্রাম্পের র‍্যালি থেকে ফিরে (ছবি ও ভিডিও সহ)

1

শাফকাত রাব্বীঃ

ডোনাল্ড ট্রাম্পের র‍্যালি দেখার খুব শখ ছিল। দেখতে গিয়েছিলাম যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিন ডালাস শহরের একটা নাইট ক্লাবে। আমার টিকেট ছিল না, একারনে নাইট ক্লাবের ভিতরে ঢুকতে পারা যায় নাই। ক্লাবের বাইরে দাঁড়িয়ে শত শত সাপোর্টার আর প্রতিবাদকারীদের চিৎকার চেঁচামেচি, নাচা নাচি, গালাগালি, আর স্লোগান উপভোগ করে বাড়ি ফিরেছি।

13453014_10153505275905653_1716457272_o

ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইলেকশনের অবস্থা ভালো না। আর মাত্র ৪ মাস পরে ইলেকশন। ডালাস-ফোর্টোয়ার্থ এলাকা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ৪র্থ বৃহত্তম জনবহুল এলাকা। এত গুরুত্বপূর্ন একটা এলাকায় ইলেকশনের মাত্র ক’মাস আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে র‍্যালি করতে দিতে  বড় কোন ভেন্যু নাকি রাজী হয়নি। এই কারনে ডালাসের দক্ষিন দিকের বাজে একটা এলাকার নাইট ক্লাবে ট্রাম্পকে তাঁর র‍্যালি করতে হয়েছে।

র‍্যালির এলাকায় গিয়ে দেখি এলাহী কারবার। শত শত পুলিশ। আকাশে ৫ টা হেলিকপ্টার উড়ছে, দুটা হেলিকপ্টার পুলিশের আর তিনটা মিডিয়ার। ঘোড়ার গাড়ি, বাই সাইকেল, মোটর সাইকেল, মোপেড, গাড়ী আর পায়ে হেটে ঘুরে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন সাজ সোজ্জার পুলিশ। উঁচা বিল্ডিং গুলোতে স্নাইপার রাইফেল নিয়ে সিক্রেট সার্ভিসের লোকজন। আমি এর আগে ডেমক্রাট পার্টির বার্নি স্যান্ডারস এবং রিপাব্লিকান পার্টির মার্কো রুবিও এর র‍্যালিতে গিয়েছি। কারো র‍্যালিতে এতো সিকিউরিটি এবং পুলিশি বাড়াবাড়ি লক্ষ্য করিনি।

13441854_10153505279685653_1651228186_o

র‍্যালি এলাকার মধ্যখানে পুলিশ কাধে কাধ দিয়ে হিউম্যান ব্যারিকেড দিয়েছে।  এক পাশে ট্রাম্প সাপোর্টার আর অন্য পাশে প্রতিবাদকারীর দল। কেউ কারো দিকে বেশী এগিয়ে গেলেই পুলিশ বাঁধা দিয়ে দূরে সড়িয়ে দিচ্ছে। এর মধ্যে থেকেই কোন কোন প্রতিবাদকারী হাটতে হাটতে অন্য সাইডে চলে যাচ্ছে, উত্তেজক দু চারটা কথা বলে ফিরে আসছে। ধরতে পারলে পুলিশ ধাক্কা দিয়ে সড়িয়ে দিচ্ছে। তখন আবার প্রতিপক্ষ খুশিতে স্লোগান দিচ্ছে।

র‍্যালির ঢুকার মুখেই দেখলাম একদল টেক্সাস মিলিশিয়া  দাঁড়িয়ে আছে। টেক্সাসে যে কোন সাধারন মানুষ তাঁর বন্দুক নিয়ে প্রকাশ্যে রাস্তায় ঘুরাফিরা করতে পারে, মিলিশিয়া গঠন করতে পারে। এটা তাঁদের নাগরিক অধিকার। এটাকে বলে “ওপেন ক্যারি”।  র‍্যালির শুরুতেই ৭-৮ জন মিলিশিয়া বিশাল বিশাল বন্দুক, আর্মির মতো পোশাক, বুলেটপ্রুফ ভেস্ট, সান গ্লাস পড়ে এই অধিকার ফলাচ্ছেন। এদেরকে পাহাড়া দিচ্ছে ১০-১২ জন পুলিশ যারা কিনা মিলিশিয়ার থেকে হাল্কা অস্ত্র শস্ত্র বহন করছে।

13410729_10153505281075653_912270260_o

একজন পিস লাভিং পাগলাটে লোক এই মিলিশিয়াদের মরে যাওয়া গাঁদা ফুল টাইপের একটা ফুল দিবার অনুমতি চাইল। মিলিশিয়ারা গম্ভীরমুখে অনুমতি দিল। পাগলাটে লোকটা বন্দুকের নলে গাঁদা ফুল পড়িয়ে দিল। আমরা সবাই ছবি তুললাম।

13446317_10153505279360653_1135201895_o

প্রতিবাদকারীদের এলাকার মধ্য খানে বিশাল একটা মেক্সিকোর পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে ছিল একজন মেক্সিকান আমেরিকান। তাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে ছিল বাদবাকী প্রতিবাদকারীরা নানা ধরনের ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে। প্রতিবাদ কারীদের হাতে  অনেকগুলো মেক্সিকান পতাকা এবং সমকামীদের রেইনবো পতাকা দেখলাম। বড় সাইজের কোন আমেরিকান পতাকা চোখে পড়েনি। হয়তো আমি যখন ছিলাম তখন বড় পতাকা ওয়ালা প্রতিবাদকারী কেউ এসে পৌছায়নি।

13461317_10153505280130653_859908887_o

ট্রাম্পের সাপোর্টারদের মধ্যে  সাদা, খুবই আটো সাটো পোশাকের কয়েকজন তরুনী ছিল। দেখতে ভালো, এবং খুবই এগ্রেসিভ। বুঝাই যায় যে ট্রাম্প মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার মালিক।  নানা ধরনের শরীরি কসরতের মাধ্যমে এই  ট্রাম্প গার্লরা স্লোগান দিচ্ছিল। একজন পরীর মতো উড়ে বেড়ানোর একটা ভঙ্গিমা করছিল। এই পরী ইচ্ছা করে প্রতিবাদকারীদের মধ্যে ঢুকে পড়ছিল বারবার।

আমি পরীর সাথে কথা বললাম। জিজ্ঞেস করলাম ট্র্যাম্পের মহিলা বিষয়ক নানাবিধ মন্তব্য তাকে বদার করে কিনা। পরী উত্তরে বলল, ” আই ডোণ্ট গিভ আ শিট”। আমি বললাম ট্রাম্পের কোন জিনিসটা তোমার সবচাইতে ভালো লাগে? পরী জানালো, “বাকি সব ক্যান্ডিডেট হলো একদল পুসি”। প্রতিবাদকারীদের দিকে আঙ্গুল দেখিয়ে বলল, “এই যে এদের মতো। আর ট্রাম্প-ই  হলো একমাত্র আসল পুরুষ।”

13453188_10153505281520653_862247741_o

আমার কথা বলার মুহুর্তে একজন কালো একটা ছেলে এসে মেয়েটাকে জিজ্ঞেস করলো সে ঠিক ঠাক আছে কিনা। অর্থাৎ আমি পরীকে ডিস্টার্ব করছি কিনা। মেয়েটা বললো না। আমি মানে মানে সটকে পড়লাম।

এমন সময় দেখা হলো “ব্ল্যাক লাইফ ম্যাটারস” নামে কালোদের সিভিল রাইট আন্দোলনের এক কর্মীর সাথে। আমি হাত বাড়িয়ে হ্যান্ড শেইক করলাম।  ছেলেটা পুরা র‍্যালিতে একমাত্র কালো মানুষ যে বন্দুক নিয়ে ওপেন ক্যারি করছে। অর্থাৎ সাদা মিলিশিয়াদের সাথে শেয়ানে শেয়ান পাল্লা দিয়ে এই কালো ছেলেটাও একটা বিশাল বড় বন্দুক নিয়ে এসেছে, ওপেন ক্যারি করার জন্যে। আমি তাঁর সাথে কিছু আলাপ সেড়ে তাঁর একটা ছবি তুললাম। খুব খুশী মনে ছবি তোলার পোজ দিল।

black lives

এখানে উল্লেখ্য, মাত্র ক’দিন আগে এধরনের একটা বিশাল বন্দুক দিয়েই  ৫০ জন মানুষকে মেরে ফেলা হয়েছে ফ্লোরিডাতে।

13453305_10153505281060653_1680943089_o

এর পরে এক খুবই ইমশনাল ঘটনা ঘটলো। আমি খেয়াল করে দেখলাম একজন ৫০-৬০ বছরের মহিলা ফুটপাতে বসে কাঁদছেন। আমি কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম সে ঠিক আছে কিনা। মহিলা জানালেন সে ঠিক আছেন, কিন্তু তাঁর ছাত্রের কথা মনে পড়ছে। যার জন্যে সে প্রতিবাদ করতে এসেছেন। আমি জিজ্ঞেস করলাম ছাত্রের কি হয়েছে। জানালো পুলিশ মেরে ফেলেছে। ছাত্রটি কালো ছিল। তাঁর ভাষায় অসম্ভব মায়াবী একটা ছেলে ছিল,  পৃথিবীর সব চাইতে বড় হৃদয়বান, আর  ভালো ছেলে। বলতে বলতে মহিলা কান্নার মাত্রা বাড়িয়ে দিলেন। আমি আর জিজ্ঞেস করলাম না পুলিশ মেরেছে কেন। মহিলার নাম সুজান।

সুজান জানালেন সে ডালাসের কালো আর হিস্প্যানিক অধ্যুষিত একটা এলাকায় হাই স্কুলের টিচার। তাঁর বাবা মা দু’জন ডাক্তার। পরিবারের সবাই রিপাব্লিকান। সুজান ইচ্ছা করে মাত্র ৫০ হাজার ডলার বেতনের চাকরী নিয়েছেন, ডালাসের সব চাইতে খারাপ একটা এলাকায়।

সুজান জানালেন তিনি কাদছেন মানুষে মানুষের মধ্যে ঘৃনা দেখে। এতো ঘৃনা সে আগে কখনও দেখে নাই। সুজান বললেন পুলিশের দোষ নাই। পুলিশদের মধ্যে এতো ঘৃনা জোগাড় করে দেয় ট্রাম্পের মতো পলিটিশিয়ানরা। আরো অনেক কথা হলো সুজানের সাথে। আমি সুজানকে জানালাম তাঁর মতো মানুষ আছে বলেই আমেরিকান মাইনরিটিরা এখনও আশা নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবে।

এমন সময় পুলিশদের সাপোর্ট করা পোস্টার নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিল একজন। সুজান আমাকে বললেন, সরি, তুমি আমার থেকে এখন একটু নিরাপদে দূরে গিয়ে দাড়াও। আমি এই পুলিশের সাপোর্টারের সাথে এখন ঝগড়া করবো। আমি সড়ে দাড়ালাম। মহিলা দেখলাম আস্তে আস্তে ঝগড়া শুরু করলেন। ঝগড়া শেষে আমাকে জানালেন সিচুয়েশন কোন কারনে খারাপ হলে তাকে জানাতে, তাঁর বাসা কাছেই একটা আপার্ট্মেন্টে, শেল্টার নিতে পারবো। আমি হাসি মুখে বললাম, “ওকে জানাবো তোমাকে”।

পুরো র‍্যালির ট্রাম্প সাপোর্টারদের সবাই সাদা। কিছু ভাড়া করা গুন্ডা টাইপের কালো ছেলেও ছিল। তাদের একজন প্রকাশ্যে চিৎকার করে সবাইকে জানাচ্ছিল যে কোন ট্রাম্প গার্ল-এর গায়ে কেউ যদি হাত দেয়, তাহলে তারা ফিস্ট ফাইটের জন্যে প্রস্তুত। এই কালো গুন্ডা গুলোর একজনই আমার সাথে কথা বলার সময় সেই পরীকে জিজ্ঞেস করেছিল সে ঠিক ঠাক আছে কিনা।

13446215_10153505279840653_523999363_o

প্রতিবাদকারীদের মধ্যে বেশি ভাগই দেখলাম হিস্প্যানিক আমেরিকান। তাদের সাথে প্রতিবাদে অংশ নিচ্ছিল ইংরেজি সিনেমার গিক কিংবা ইন্টেলেকচুয়ালদের মতো দেখতে অনেকগুলো সাদা ছেলেমেয়ে। এদের সাথে ছিল ওয়ার্কিং ক্লাসের অনেক কালো মানুষ। এই প্রতিবাদকারীদের যেই বর্ননাটা দিলাম, এটাই হলো লিবারেল আমেরিকান কোয়ালিশন। সারা আমেরিকার যেকোন সিটিতে ইস্লামোফোবিয়া, এলজিবিটি, মেক্সিকান, ইমিগ্রেশন ইস্যু এই সব কিছুতে এই কোয়ালিশনটাকেই একশনে দেখা যায়।

ট্র্যাম্প সাপোর্টারদের স্লোগান ছিল বেশ বোরিং। স্লোগানের ভাষা কথা একটাই — “ইউ এস এ, ইউ এস এ”।  প্রতিবাদকারীদের ভাষার কারুকাজ অনেক আকর্ষনীয়, তবে মূল বক্তব্য  একটাই। সেটা হচ্ছে,  নো মোর হেইট , বা আর ঘৃনা নয়।

আমি র‍্যালিতে থাকার বেশির ভাগ সময়ই  ট্রাম্প সাপোর্টারদের সাইডেই ছিলাম। এটা করেছি প্রতিবাদকারীদের ছবি সামনে থেকে ভালো  ভাবে তোলার তাগিদ থেকে।  ছবি তোলার ফাকে,  অনেক ট্রাম্প সাপোর্টারের সাথে কথা হলো। একে বারে মুর্খদের মতো দেখতে যারা তাদের থেকে শুরু করে ভদ্র টাইপের অনেকের সাথেই। সবাই বেশ ফ্রেন্ডলি ব্যাবহারই  করলো।

এক ফাকে বন্দুক ধারী মিলিশিয়াদের কাছেও গেলাম। দু চারটি কথা বলে সরে গেলাম, এতো বড় বড় বন্দুক ওয়ালা সিভিলিয়ান দেখতে কেমন জানি আন কম্ফোর্টেবল লাগলো।

13467638_10153507611695653_325156753_o

আরো অনেক কিছুই বলার ছিল, কিন্তু লেখাটা  বিশাল হয়ে যাচ্ছে। র‍্যালিতে অংশগ্রহণকারীদের  দেখে যা বুঝলাম, “নো মোর হেইট” এই মেসেজটা খুবই পাওয়ারফুল একটা মেসেজ।  এই মেসেজকে হারাতে ট্রাম্পের অনেক সমস্যা হবে।  কেননা আমেরিকার সাধারন মানুষগুলো খুবই সাদামাটা এবং ফেয়ার।

13461296_10153505279975653_2140286623_o

 

13441985_10153505280245653_2065440672_o

13446305_10153505280285653_594990252_o

ফ্যাসিজম ও ঘৃনার ব্যাবসার বিবর্তন

 শাফকাত রাব্বী অনীকঃ  ফ্যাসিজমের একটা পরিচিত বহিঃপ্রকাশ হলো কোন একটী ক্ষুদ্র গোষ্টীকে নিয়ে ঘৃণা ছড়ানো এবং এই ঘৃনাকে কেন্দ্র করে রাজনীতি ও রাষ্ট্রনীতি পরিচালনা করা। এক্ষেত্রে কোন একটি ক্ষুদ্র জনগোষ্টিকে কোন দেশের সব সমস্যার কিংবা অতীতের কোন ঐতিহাসিক ঘটনার দায় চাপিয়ে দিয়ে ঘৃনার চর্চা চালিয়ে যাওয়াটা একটি পুরোন ফ্যাসিস্ট টেকনিক।

ঘৃণাকে কেন্দ্র করে যখন কোন ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ব্যাবস্থা বা রাজনৈতিক মতাদর্শ গড়ে উঠে, তখন সময়ের সাথে সাথে রাজনৈতিক সুবিধার্থে এই ঘৃনার ডোজ বাড়াতে হয়। একারনে দেখা যায় ঘৃণার ব্যাবসা একবার শুরু করে দিলে, সময়ের সাথে সাথে মানুষকে খুশি রাখতে নতুন নতুন, তীব্র থেকে তীব্রতর ঘৃনাময় কার্যকলাপ চালিয়ে যেতে হয়।

হিটলারের জার্মানী প্রথম বিশ্ব যুদ্ধে হেরে যাবার পরে তাদের সমস্ত সামরিক ও অর্থনৈতিক ব্যার্থতার দায়ভার নগন্য সঙ্খ্যক জার্মান ইহুদিদের উপর চাপিয়ে দিয়েছিল। খুব ক্ষুদ্র জনগোষ্টি হলেও ইহুদিরা শিক্ষার দিক্ষায় ব্যবসায় বানিজ্যে অনেক এগিয়ে ছিল। আর ঐতিহাসিক কারনে ইহুদিদের প্রতি সারা ইউরোপ জুড়ে, বিশেষকরে সাবেক প্রাষিয়ান সম্রাজ্যে ব্যাপক ঘৃণার লালন পালন ছিল। গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত হিটলার এই ঘৃণাকে কেন্দ্র করে তাঁর রাজনীতি শুরু করেছিলেন। এই ঘৃণাকে ব্যবহার করে তিনি ইলেকশন জিতেছিলেন – ফ্রি এন্ড ফেয়ার।

ঘৃণাকে কেন্দ্র করে রাজনীতি পরিচালনার ফলাফল কি হয়, কিভাবে ঘৃণার ডোজ বাড়াতে বাড়াতে মানুষ উন্মাদ হয়ে যায়, তা দেখতে পারবেন মাত্র দশ বছরের নিচের টাইম লাইনে।

January 1933 – এডলফ হিটলার জার্মানির চ্যান্সেলর নির্বাচিত হন। তখন জার্মানির ইহুদী জনসংখ্যা ছিল মাত্র পাঁচ লক্ষ ছেষট্টি হাজার।

April 1933 – হিটলারের নাজি বাহিনী ইহুদীদের ব্যাবসা ও দোকান পাট বর্জনের ডাক দেয়।

April 1933 – নাজি বাহিনি ঠিক করে দেয় বাপ-দাদার বংশ ও ধর্মের ভিত্তিতে কে হতে পারবে খাটী জার্মান। এই আইন অনুযায়ী, কারো ফ্যামিলিতে যদি একজন দাদা-নানা কিংবা বাবা-মা ইহুদী হন তাহলে তাকে খাটি জার্মান বলা যাবে না ( আরিয়ান)। তখন জার্মানীকে খাটি আরিয়ানদের বসতভুমি বানানোর কাজ চলছিল হিটলারের তত্তাবধানে।

July 1933 – নাজি বাহিনিকে জার্মানির এক মাত্র বৈধ রাজনৈতিক দল ঘোষণা করা হলো। পোলান্ড থেকে আগত ইহুদীদের জার্মান নাগরিকত্ব বাতিল করা হলো।

September 1933 – ইহুদীদের আইন করে জমি-জমার মালিকানা পাওয়া বন্ধ করে দেয়া হয়।

October 1933 – ইহুদীদের আইন করে পত্রিকার সম্পাদক হওয়া বন্ধ করে দেয়া হয়।

May 1934 – হেলথ ইন্সুরেন্স থেকে ইহুদীদের বাদ দেয়া হয়।

May 1935 – ইহুদীদের সামরিক বাহিনীতে ঢোকা বন্ধ করে দেয়া হয়।

February 1936 – ইহুদীদের বন্দী করে রাখার জন্যে সৃষ্টি করা গেস্তাপো জেইলকে আইনের উর্ধে নিয়ে যাবার আইন পাশ করা হয়।

January 1937 – ইহুদীদের প্রফেশনাল চাকরি থেকে বাদ দিয়ে দেয়া হয়। যেমন ইহুদিরা আর কোন জার্মান নাগরিকদের শিক্ষক হিসেবে পড়াতে পারবেন না, দাতের ডাক্তারি করতে পারবেন না, একাউন্টেন্ট হতে পারবেন না ইত্যাদি। ইহুদিরা সেসময় এই পেশা গুলোতে অধিক মাত্রায় ঢুকতো।

April 1938 – সকল ইহুদীকে তাঁর সহায়-সম্পত্তি, জমি-জামার হিসেব সরকারকে দিতে বলা হয়।

July 1938 – ইহুদিদের যাদের বয়েস ১৫ বছরের বেশী তাদেরকে পুলিশের কাছ থেকে স্পেশাল আইডি কার্ড নিতে বলা হয়।

July 1938 – ইহুদী চিকিৎসকদের আইন করে চিকিৎসা পেশায় থাকা নিষিদ্ধ করা হয়।

August 1938 – সকল ইহুদী মহিলার নামের শেষে সারাহ, আর ইহুদী পুরুষের নামের শেষে ইসরাইল রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়।

September 1938 – ইহুদীদের সকল প্রকার আইন পেশা থেকে নিষিদ্ধ করা হয়।

October 1938 – ইহুদিদের পাস্পোর্টে স্পেশাল ইংলিশ “J” অক্ষর বড় করে লিখে দেয়া হয় (জিউইশ বুঝানোর জন্যে)

November 1938 – ইহুদী ছাত্র-ছাত্রিদের সাধারন স্কুল কলেজ থেকে বহিষ্কার করা শুরু হয়।

December 1938 – আইন করে ইহুদী ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান গুলো রাষ্ট্রীয়করন শুরু হয়।

February 1939 – ইহুদীদের হাতে থাকা সমস্ত সোনা ও রূপার গয়না হিটলারের নাজি পার্টিকে দিয়ে দিতে বলা হয়।

April 1939 – ইহুদীদের শুধু মাত্র ইহুদী বাড়ি ওয়ালার বাসায় ভাড়া থাকার আইন করা হয়।

July 1939 – ইহুদীদের সরকারী চাকরিতে ঢোকার পথ বন্ধ করে দেয়া হয়।

September 1939 – গ্রীষ্মকালে রাত আটটার পরে আর শীত কালে রাত নয়টার পরে ইহুদিদের বাড়ির বাইরে যাওয়া নিষেধ করে দেয়া হয়।

September 1939 – ইহুদিদের ওয়ারলেস রেডিও কেনা বা সাথে রাখা আইন করে নিষিদ্ধ করা হয়।

October 1939 – পোলিশ ইহুদীদের যাদের বয়েস ১৪ থেকে ৬০, তাদেরকে বাধ্যতামূলক শ্রমিক বানানোর আইন করা হয়।

November 1939 – সকল পোলিশ ইহুদী যাদের বয়েস ১০ এর বেশি তাদের বুকে একটা হলুদ রঙের তারা চিনহ লাগিয়ে রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়।

January 1940 – নাজি খবরের কাগজে বলা হয়, ” ইহুদিদের বিচার শুরু হয়েছে, এবং এই বিচার শেষ হবে যখন সকল ইহুদির খবর পৃথিবীর বুক থেকে মুছে ফেলার কাজ শেষ হবে”।

হিটলারের সহচর হিমলার এই সময় ঘোষনা দেন, ” আমাদের সর্বচ্চো নেতা নির্দেশ দিয়েছেন ইহুদী প্রশ্নে আমাদের শেষ সলুশনের কাজ শুরু করতে ( Final Solution of the Jewish question)”. এই কথার মাধ্যমে ভদ্র ভাষায় গনহত্যা চালানোর নির্দেষনা বোঝাতো নাজি জার্মানি।

September 1941 – সকল জার্মান ইহুদীকে হলুদ তারা মার্কা চিনহ পড়ে ঘুরা ফেরা করতে বলা হয়।

April 1942 – জার্মান ইহুদিদের ট্রেনে, বাসে চলা বন্ধ করে দেয়া হয়।

June 1942 – ফ্রান্স, হল্যান্ড, বেলজিয়াম, ক্রোয়েশিয়া, স্লোভাকিয়া, রোমানিয়াতে ইহুদিদের হলুদ তারা মার্কা পরে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়।

May 1943 – হিটলারের নাজি বাহিনী জার্মানীর রাজধানী বার্লিনকে ইহুদী মুক্ত ঘোষনা দেয়। অর্থাৎ বার্লিনের সকম ইহুদী নারী, পুরুষ, শিশুর হত্যা নিশ্চিত করে।

 
 
 
 
 

কেউ কি স্যারকে ধরবেন?

1

শাফকাত রাব্বী অনীকঃ একের পর এক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাস হওয়া নিয়ে স্যার জাফর তার স্বভাব সুলভ ও আপাত দৃষ্টিতে শিশুতোষ একটি লেখা লিখেছেন। লেখার টাইটেলে স্যারের নির্দোষ প্রশ্ন “কেউ কি আমাকে বলবেন?” টাইটেলটা অনেকটা সাদাসিদা ভাবে “কেউ আমারে ধর” টাইপের শুনালেও, আসলে কিন্তু চালাকিতে ভরা।

ক্যাজুয়াল রিডারদের বোকা বানানোর জন্যে স্যার জাফরের লেখার স্টাইল খুবই এফেক্টিভ । পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই ক্যাজুয়াল রিডার, আমি নিজেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাই। তবে স্যার জাফরের লেখা গুলো এন্টেনা খাড়া করে, বেশ ক্রিটিকাল ভাবে পড়ি। কেননা স্যার জাফর উপরে-উপরে সাদাসিদা ভাব ধরলেও, তার প্রতিটি লেখা দীর্ঘ মেয়াদী লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে। এন্টেনা উচা করে না পড়লে সেই দীর্ঘ মেয়াদী লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ধরা পরে না।

যেমন ধরুন নিজে সিভিল সমাজের একজন লোক হয়েও স্যার জাফর মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের কর্ণধার আদিলুর রহমান শুভ্রর জেলে যাওয়ার সাফাই গেয়ে সাদাসিদে প্রতারণা মূলক নিবন্ধ লিখেছিলেন। প্রতারনামূলক কেন বললাম তা জানতে সে সময় আমার লেখা আরটিকেলটি (http://www.priyo.com/shafquatrabbee/2013/08/16/27087.html) পড়ে দেখতে পারেন। আমার জানা নেই পৃথিবীর অন্য কোন দেশে লিডিং কোন প্রফেসর পাওয়া যাবে কিনা যিনি তার দেশের আন্তর্জাতিক ভাবে পরিচিত মানবাধিকার কর্মির জেলে যাওয়াকে সাফাই গেয়ে লেখা দিতে রাজী হবেন। এমন পিকিউলিয়ার ইন্টেলেকচুয়াল পৃথিবীতে বিরল। এমনকি দালাল ও কোম্প্রমাইজিং ক্যারেক্টারে ভরা বাংলাদেশেও।

৫ই জানুয়ারী নির্বাচন থামাতে সিভিল সোসাইটির বড় বড় হর্তাকর্তারা একত্রিত হয়ে সরকারকে একতরফা নির্বাচন রহিত করতে বলেছিলেন নির্বাচনের ঠিক আগে একটি জরুরী সভায়। ডেইলি ষ্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য প্রমুখ সহ উচ্চ বর্নের আওয়ামী ঘরনার সেকুলার সুশিলদের উপস্থিতি এই হাই-ভোল্টেজ মিটিংএ ছিল উল্লেখ করার মতো। সেই হাই ভোল্টেজ মিটিং এর ড্যামেজ কন্ট্রল করতে, তরিঘরি করে সেকন্ড গ্রেডের সেকুলার সুশিলদের নিয়ে একটি পাল্টা-পাল্টি সভা ডাকা হয়েছিল। স্যার জাফর ছিলেন সেই সভার মূল আকর্ষন। এই সভাতেই স্যার জাফর তার বিখ্যাত ফিল্টার থিওরি উপস্থাপন করেছিলেন। দেশের বাকি সুশীলদের শাসিয়ে দিয়ে, ইনিয়ে বিনিয়ে, সাদাসিদে, শিশুসুলভ, ও আবেগী গল্প ফেঁদে স্যার জাফর ফিল্টার থিউরীর প্রয়োগ করে বোঝাতে চেয়েছিলেন কেন, কিভাবে তখন একটি একতরফা নির্বাচন দেশের জন্যে খারাপ হতো না।

সেই স্যার জাফরই এখন কিনা নির্দোষ প্রশ্ন করছেন, “কেউ কি আমাকে বলবে, সদ্য নবায়নকৃত সরকারের অধীনে একের পর এক প্রশ্ন পত্র লিক হওয়া নিয়ে আমার কোমলমতি ছাত্রীকে আমি কি উত্তর দিবো?” নিজে একজন শিক্ষক হিসেবে স্যার জাফরের খুব ভালো ভাবে জানা থাকার কথা প্রশ্ন কিভাবে আউট হয়, কেন আউট হয়, এবং এর প্রতিকারই বা কি? তাই একজন স্যার হিসেবে নিজে প্রশ্ন না করে, তার তো উচিত সমস্যার উত্তর বা সলিউশন খুজে দেয়া! সেই সলিউশন কর্তৃপক্ষ না শুনলে প্রতিবাদে ফেঁটে পড়া!

সাধারণ মানুষেরই বরং উচিত স্যার জাফরের কাছে গিয়ে জিগ্গেস করা, স্যারের দেয়া চেতনার বাস্তবায়নকারী সরকারের আমলে কেন একের পর এক প্রশ্নপত্র লিক হচ্ছে? এই সরকার যেহুতু স্যার জাফরের ফিল্টার পাশ, তাহলে সেই মহান ফিল্টারে কেন আউট হয়ে যাওয়া প্রশ্নপত্রগুলো আটকে যাচ্ছে না?

স্যার জাফররা ঘৃনা আর বিভাজনের চাষবাস করে একটা পারফেক্ট জঙ্গল সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন। তাদের স্বপ্নের সেই জংগল হবে এমনই পারফেক্ট জঙ্গল যেখানে জংলি আইন- কানুন, অধিকারহীনতা, লাঞ্চনা, বঞ্চনা, ভোটাধিকারহীনতা — সব কিছু শুধু স্যার জাফরদের প্রতিপক্ষকেই সইতে হবে। আর তাদের পক্ষের মানুষজন পারফেক্ট জঙ্গলের পারফেকশন উপভোগ করে সুখে শান্তিতে, চেতনাময় দিন কাটাবে।

সরি স্যার জাফর, জঙ্গলকে নিজেদের জন্যে যতই পারফেক্ট বানানোর চেষ্ঠা করুন, দেয়ার ইজ নো পারফেক্ট জঙ্গল। তাই দায়িত্ব এড়ানোর জন্যে নিজে থেকে প্রশ্ন না ছুড়ে, আপনার কোমলমতি ছাত্রীদের বরং বোঝান এই জঙ্গল সৃষ্টিতে আপনার কোন ভূমিকা ছিল কিনা।

জিয়াউর রহমান সাহেবের প্রথম প্রেসিডেন্সি প্রসঙ্গে

3

শাফকাত রাব্বী অনীকঃ

অতীত ও ইতিহাস নির্ভরতা কোন জাতির এগিয়ে যাওয়ার পথে সহায়ক হতে পারেনা। ইতিহাস ও অতীত নিয়ে মারামারি দেশের একটি দল ও তার সমর্থকরা বেশি করলেও, অপর দল ও তার সমর্থকরাও মাঝে মধ্যে খামাখাই যোগ দেন। এই মুহুর্তে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের সব চাইতে হট আলোচনার বিষয় হলো বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি কে ছিলেন।

বিএনপি সাইডের কথা বার্তা শুনে যা বুঝলাম, জিয়াউর রহমান সাহেবকে দেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট ডিক্লেয়ার করার আগে নাকি বেশ কিছু সংবিধান বিশেষজ্ঞর পরামরর্শ নেয়া হয়েছিল। তারা গ্রিন সিগনাল দেবার পরেই এই ঘোষণা লন্ডন থেকে এসেছে। ঘটনা সত্য হলেও কিছু প্রশ্ন থেকে যায়।

প্রথম প্রশ্ন হলো, বাংলাদেশে এমন বিশেষজ্ঞ কতজন আছেন যারা আওয়ামী কিংবা বিএনপির সর্বোচ্চ নেতাদের মুখের উপর বস্তুনিষ্ঠ অপিনিয়ন দিতে পারেন? যেমন ধরুন, যদি শেখ হাসিনা দেশের শীর্ষ ১০ জন সংবিধান বিশেষজ্ঞকে ডেকে বলেন, “দেখুনতো আমার আব্বাকে সংবিধানের আলোকে এক্স-ওয়াই-জেড টাইটেল দেয়া যায় কিনা?” আমার ধারণা এই আবদার শোনা মাত্র বিশেষজ্ঞের দল সমস্বরে বলে উঠবেন, ” অবশ্যই যায়, আলবত যায়, যাবে না কেন? বরং আমরাতো লজ্জিত এটা ভেবে যে এই ব্যাপারটি আপনার মতো আমাদের মাথায় এতো দিন এলো না কেন!! আপনি একজন জিনিয়াস, একে বারে বাবার মতোন”।

উপরের বাস্তবতা আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রে বেশী প্রযোজ্য হলেও, বিএনপির বিশেষজ্ঞরাও কতটা সঠিক পরামর্শ দিয়েছেন তা নিয়েও সন্দেহের অবকাশ আছে।

এবার আসা যাক বিশেষজ্ঞ মহলের মূল যুক্তির দিকে। যতদূর বুঝেছি, বিশেষজ্ঞদের যুক্তির তিনটি মূল স্তম্ভ রয়েছে। প্রথমত, জিয়াউর রহমান সাহেব তার প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণায় বলেছিলেন যে তিনি নিজের হাতে কমান্ড তুলে নিয়েছেন। দ্বিতীয়ত, ১৯৭১ সালের মার্চের ২৬ তারিখ থেকে শুরু করে এপ্রিল এর মাঝামাঝি পর্যন্ত দেশে কিংবা প্রবাসে স্থাপিত কোন সরকার ছিল না। সুতরাং, জিয়া সাহেবের প্রথম ঘোষণা অনুযায়ী তিনিই প্রথম সরকার প্রধান। তৃতীয়ত, যেহুতু সরকার প্রধানই কেবল মাত্র যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারেন, সেহুতু জিয়া সাহেব উপরের প্রথম ও দ্বিতীয় যুক্তি অনুযায়ী যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন সরকার প্রধান বা প্রেসিডেন্ট হিসেবেই।

উপরের যুক্তিগুলো নিয়ে যুক্তি খন্ডন করার কাজটি ভালো করতে পারবেন উভয় দলের বিশেষজ্ঞরা। আমি লে-ম্যান হিসেবে যুক্তি খন্ডনে যাবো না। জাতীয়তবাদী ভাবধারা ও দল হিসেবে বিএনপির সমর্থক হিসেবে, আমি তর্কের খাতিরে ধরেও নিতে রাজী আছি যে উপরের যুক্তিগুলো সঠিক। কিন্তু তার পরেও বেশ কিছু কথা বলা উচিত, চুপ না থেকে।

আমার মতে, উপরের প্রতিটি যুক্তিগুলোকে বলা যেতে পারে টেকনিকাল, আইনী কিংবা আমলাতান্ত্রিক। জিয়াউর রহমান সাহেবের যে ইমেজ দেশের হাজারো মানুষের মনে এখনও বেঁচে আছে, তা এই সব আমলাতান্ত্রিক কিংবা টেকনিকাল যুক্তিলব্ধ টাইটেল-ফাইটেল এর ধার ধারার কথা না।

জিয়া সাহেব দেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট ছিলেন, নাকি প্রথম ফিল্ড মার্শাল ছিলেন, স্বাধীনতার প্রথম ঘোষক ছিলেন নাকি দ্বিতীয় ঘোষক ছিলেন সেগুলোও টেকনিকাল আলোচনা। এগুলো নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করবেন তারা, যারা ইতিহাসকে “ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্পিং ডিসিশন” এর মতো কিছু একটা ভাবেন। কিন্তু দেশের সাধারণ মানুষের কাছে, বিশেষ করে যারা ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছেন, কিংবা জীবিত ছিলেন, তাদের চোখে জিয়াউর রহমান হলেন সেই ব্যাক্তি যার যুদ্ধকালীন নেতৃত্ব, রেডিওতে ভেসে আসা ঘোষণা মানুষ নিজের কানে শুনেছে, চোখে দেখেছে। থার্ড আম্পেয়ারের স্ক্রিনে দেখেনি।

২৬ এ মার্চের গণহত্যার রাতে দেশের তৎকালীন শীর্ষ রাজনৈতিক মহলের সবাই যার যার জান হাঁতে নিয়ে, যে যে দিকে পেরেছেন পালিয়েছিলেন। সেই রাত্রে যেই ইয়াং ছেলেটি পুরা দেশের মানুষের মনের কথা, নিজ দায়িত্বে, শুরুতে নিজের নামে, পরবর্তিতে একজন স্বেচ্ছায় ধরা খাওয়া শীর্ষ নেতার নামে রেডিওতে ঘোষণা দিয়েছিলেন, সেই ইয়াং ছেলেটি ছিলেন জিয়াউর রহমান। তাকে কি নামে, কি উপাধিতে ডাকা হবে, তা নিয়ে গ্যালারির দর্শকেরা চিল্লা চিল্লি করতে পারে। তাতে জিয়ার ইমেজ বাড়া কিংবা কমার কথা না।

২৬ শে মার্চে জিয়া সাহেবের কিন্তু একটা ব্যক্তিগত স্টোরীও ছিল। তিনি কোন বিপ্লবী-বিবাগী ছিলেন না। তিনি সংসারী ছিলেন। তার ছোট্ট ছেলে ছিল, তার বউ ছিল। ২৬ সে মার্চের সেই রাতে তিনি যখন ঘোষণা দিয়েছিলেন, “উই রিভোল্ট” তখন তার নিশ্চয়ই ভয় হয়েছিল যে তার সেই সংসার, তার সেই ছোট্ট ছেলেকে আর কোনদিন না দেখার। আপনি জিয়াকে মহান না ভাবতে পারেন, তার নেতৃত্ব না মানতে পারেন, আশা করি যারা সন্তানের জনক তারা অন্তত দেশের জন্যে বাবা হিসেবে জিয়ার মৃত্যু ভয় জয় করতে পারার বিষয়টিকে সাধুবাদ দেবেন। জিয়া একজন বীরের মতো সেই ভয় জয় করেছিলেন, শত্রুর আঘাতের প্রথম রাত্রেই। তিনি ওয়েট এন্ড সি পলিসিও  নিতে পারতেন। তা না নিয়ে, প্রথম রাত্রেই প্রত্যাঘাতের কাজ শুরু করেছিলেন। একারণে বলতে হবে, জিয়া শুধু মাত্র একজন অসাধারণ সাহসী যোদ্ধা ছিলেন না, তিনি ছিলেন প্রত্যুৎপন্নমতি যোদ্ধা। এটাই ওনার সব চাইতে বড় পরিচয়। উনি কবে জেনেরাল ছিলেন, কবে মেজর ছিলেন, সেগুলো টাইটেল মাত্র।

বিএনপির যেই বিশেষজ্ঞরা তারেক রহমান বা খালেদা জিয়াকে পরামর্শ দেন, তাদের জন্যে একটা ছোট্ট পরামর্শ। আপনারা যদি জিয়া সাহেবকে শেখ মুজিব সাহেবের সাথে অপ্রয়োজনীয় প্রতিযোগিতাতে নামাতেই চান, তাহলে শুধু একটা বিষয়কে হাই লাইট করুন। সেটি হলো, এই ব্যাক্তিদ্বয়ের একজন ছিলেন আঘাতের রাত্রে স্বেচ্ছায় ধরা খাওয়া, আর একজন ছিলেন  যুদ্ধ শুরু করে দেয়া মানুষ। এই ছোট্ট সিম্পল সত্যটি বেশী করে হাইলাইট করুন। এই কাজে আপনাদের কোন টেকনিকাল বা আমলাতান্ত্রিক যুক্তির প্রয়োজন হবে না। শিশু থেকে শুরু করে সংবিধান বিশেষজ্ঞও এক বাক্যে এই কম্পারিজন বুঝতে পারবেন।

জিয়ার মতো একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, হেড কাউন্টে বাংলাদেশের সব চাইতে জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট ও একজন গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর কমান্ডারের আর নতুন কোন টাইটেল লাগার কথা না, আইন কানুণে যাই থাকুক না কেন।

 

 

যুদ্ধ পূজারীর হাতে জিম্মি স্বাধীনতা

3

By শাফকাত রাব্বী অনীকঃ

প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের আজকাল আর বেইল নেই। বেইল শুধু যুদ্ধ-পুজারীদের।

যোদ্ধারা যুদ্ধ করে, গুলি চালায়, রক্ত দেয়, জীবন হারায়। মরলে হয় শহীদ, আর বাঁচলে গাজী । সেদিক থেকে যুদ্ধ-পুজারীর ঝক্কি ঝামেলা কম। পুজারীর দল যুদ্ধকালে ধরা দেয়, পালায়; তা না পারলে চুপচাপ সুশীল হয়ে বসে থাকে। কেউ কেউ শত্রুর চাকরিও কন্টিনিউ করে। তারপরে যুদ্ধ শেষে এই পুজারীর দল প্রকৃত যোদ্ধাদের আত্মত্যাগ, বীরত্ব-গাঁথা আর রক্তের হিসেব নিকেশ নিয়ে সত্য-মিথ্যা গল্প ফাঁদে। যুদ্ধের পুজা বসায়। যার মন্ডপে যতো লোক, সে হয়ে যায় ততো বড় যুদ্ধ-পুজারী।

উপরের বাস্তবতায়, বন্দুক হাতে যুদ্ধ করা প্রেসিডেন্ট জিয়া আজ হয়ে গেছেন রাজাকার। কাদের সিদ্দিকী জামাতি। আর মুক্তিযোদ্ধাদের তৈরী রাজনৈতিক দল হয়ে গেছে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি।

অন্য দিকে যুদ্ধকালে পীরের বাড়িতে লুকানো ব্যাক্তি, শত্রু সেনার মুরগি সাপ্লাইকারী, শত্রুর চাকরি-পালনকারী, কিংবা যুদ্ধের পুরোটা সময় পালিয়ে বেড়ানো ব্যাক্তিদের দল হয়ে গেছে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি। এই পরিনতির পিছনে মুক্তিযোদ্ধাদের দোষ ছিল একটাই। তারা যুদ্ধটা ফাটিয়ে করতে পারলেও, যুদ্ধের পুজোটা ভালো দিতে পারেননি।

যোদ্ধা আর পুজারীর কাজের পার্থক্যও বিস্তর। যোদ্ধার কাজ হলো যুদ্ধ করা। একারণে যুদ্ধ শেষ, যোদ্ধার কাজও শেষ। আর পুজারীর কাজ শুরু হয় ঠিক সেখানে, যেখানে যোদ্ধার কাজ হয় শেষ।

যোদ্ধার চোখে যুদ্ধ বড়ই নির্মম, হিংস্র, এবং অমানবিক। যোদ্ধা যুদ্ধকে ভাবে এমন এক বাস্তবতা, যা সে চায় না তার প্রিয় কেউ কখনও দেখুক। অন্যদিকে যুদ্ধ-পুজারীর কাছে যুদ্ধ হলো রূপকথার বীরত্ব-গাঁথা। কিছুটা রসালো ফেইরি টেইলের মতো। এমন কিছু যা বেঁচে খাওয়া যায়। গল্পে বিভোর কোন ফ্রিকের কাছে যুদ্ধ হয়ে যেতে পারে মিস হয়ে যাওয়া, না দেখা এক তামাশা। তাই পূজারিদের কেউ কেউ রিওয়াইন্ড করে সেই তামাশা দেখতে চায়। মানুষকে দেখাতে চায়।

যোদ্ধার কাছে যুদ্ধের সমাপ্তি খুবই কাং্খিত, রিলিভিং। যুদ্ধের সমাপ্তি যোদ্ধার কাছে কোন ভাবেই কম গর্বের কোন বিষয় নয়। পুজারির কেইস এক্ষেত্রে ভিন্ন।পুজারিদের যেহুতু যুদ্ধ ফুদ্ধ করা লাগে না, তাদের চোখে যুদ্ধ যতোবেশী স্থায়ী হবে, পুজোর ব্যাবসা ততোটাই জমবে। গল্প ফান্দার প্লটও বাড়বে।

প্রকৃত যোদ্ধারা যুদ্ধকে এড়িয়ে চলতে চান। নিতান্ত বাধ্য না হলে যুদ্ধের ডাক দেন না। কেননা তিনি জানেন যুদ্ধ কি জিনিস। পুজারিদের কিন্তু এতোটা দায়িত্ববান হবার ঝামেলা নেই। কেননা তারা যুদ্ধ করেন না। একারনে দু’দিন পরপর নতুন নতুন যুদ্ধের হাক-ডাক দিতে পিছ পা হননা যুদ্ধ-পুজারীর দল। যে কাজ নিজে করা লাগে নাই, তার হাওয়া তুলে মানুষকে লাড়িয়ে বেড়ানোর শিশুতোষ আনন্দে তারা বিহ্বল হন।

প্রকৃত যোদ্ধাদের অনেকেই যুদ্ধের গল্প বলতে চাননা। কেননা শত্রুর হাঁতে নিজের সহ-যোদ্ধার মৃত্যু তাকে পিড়া দেয়। আবারএকই ভাবে তার স্মৃতিতে পিড়া দেয় সহযোদ্ধা হত্যার প্রতিশোধ তুলতে গিয়ে নিজের হাঁতে হত্যাকৃত শত্রু সেনার বীভৎস লাশ । একারণে যুদ্ধ ফেরত সৈনিকদের সাথে কথা বলার অভিজ্ঞতা সম্পন্নরা বলেন যে প্রকৃত যোদ্ধার চোখে যুদ্ধ হলো মানব-মনের সবচাইতে পরিত্যাজ্য, অনাকাঙ্ক্ষিত, ভয়াবহ এবং হিংস্র এক বাস্তবতা। এই বাস্তবতাকে প্রকৃত যোদ্ধারা কখনও তাদের ভাগ্যের পরিনতি, কিংবা কখনও দেশপ্রেম বা দায়িত্ববোধের আলোকে মানিয়ে নেবার চেষ্টা করেন বাকীটা জীবন।

যুদ্ধ পূজারীরা এখত্রেও অনেক লাকি। তাদের যুদ্ধ বিষয়ক এত্তসব কমপ্লেক্স ফিলিংস নিয়ে বাঁচতে হয়না। প্রকৃত যোদ্ধাদের বীরত্বগাথা কিংবা শত্রুর হিংসাত্মতার গল্প দাঁত কেলিয়ে, বাড়িয়ে বাড়িয়ে বলে পূজা জমানোতেই ব্যাস্ত থাকেন পূজারীর দল । শুধু মুখে মুখে যুদ্ধের গল্প, কবিতা, কাব্য আউড়িয়ে চেতনার ফেনা তুলে যুদ্ধ-পুজোর মন্ডপে লোকের সমাগম বাড়ানোই থাকে পুজারির মূল লক্ষ্য। মন্ডপে লোক জমানোর বিশ্ব রেকর্ড করতে পারলেতো কথাই নেই।

আমি জানি যুদ্ধ-পুজারীদের ভয়ানক ভিড়ে দেশে এখনও বেঁচে আছেন প্রকৃত যোদ্ধার বংশধরেরা। তাদের অনেকেই হয়তো হাসেছেন যুদ্ধ-পুজোরীর কান্ড দেখে। কেননা তারা জানেন, যদি আবার যুদ্ধ লাগে, এই যুদ্ধ-পূজারীর দল তাদের পূর্ব-সুরীর মতোই পীরের আস্তানায় পালাবে, ধরা দেবে, সুশীল থাকবে, না হয় শত্রু-প্রভুর চাকরিটাই কন্টিনিউ করবে।

আবারও যুদ্ধে যাবে তারাই, যাদের পুর্বসুরীরাও যুদ্ধে গিয়েছিল। কেননা যোদ্ধারা হলো একটা বিশেষ জাতের মানুষ। তারা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে যোদ্ধাই থেকে যায়। যোদ্ধার রক্ত যার গায়ে, তাকে আবারো যোদ্ধা হতে আবৃতির আসর কিংবা কোরাস গানের মচ্ছব বসানো লাগে না।

কোনদিন সেই প্রকৃত যোদ্ধারা আবারও জেগে উঠবেন। সেই প্রত্যাশাতেই আছি। সবাইকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।

 

ড্রোনাচার্য জাফর স্যার এখন থাবা বাবার ভ্যালেন্টাইন?

2

By শাফকাত রাব্বী অনীকঃ

বাংলা-বিহার-উরিস্যার স্বঘোষিত ড্রোনরাজ, চেতনাৎসী মতাদর্শের প্রধান প্রচারক ও লিপিকার, বিশ্বখ্যাত ফিল্টার থিউরির জনক, এবং বাংলা সাহিত্যের প্ল্যাজিয়ারিজম ধারার কর্নধার জনাব ডক্টর জাফর স্যার আবারও ফাপরবাজী করতে গিয়ে মারাত্মক ধরা খেয়েছেন।

আমার গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুলের ছোটভাই, বিখ্যাত শাহাবাগি ব্লগার, প্রথম মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস লেখক, দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম “শহীদ” এবং বিশিষ্ট ইসলাম গবেষক জনাব মরহুম থাবা বাবা ওরফে রাজিব হায়দারের সাথে নিজের দেখা হবার সাদা-সিধে গল্প ফাঁদতে গিয়ে এবার জাফর স্যার চিপায় পড়েছেন।

জাফর স্যার খেলনা প্লেনকে ড্রোন বলে চালিয়ে দেবার সাদা-সিধে ফন্দি করে ধরা খাবার ঝক্কি সামলিয়ে উঠতে না উঠতেই থাবা বাবাকে নিয়ে প্লেইন-এন্ড-সিম্পল মিথ্যে কথা বলে ধরা খেয়ে তাঁর ভক্তকূলকে রীতিমত লজ্জায় ফেলে দিয়েছেন।

Thaba Baba 2

স্যার তাঁর বিডিনিউজ২৪ এর লেটেস্ট সাদা-সিধা কলামে লিখেছেন (http://opinion.bdnews24.com/bangla/archives/15172) ঃ

“আমি হেঁটে হেঁটে ট্রাকের পিছনে গিয়েছি, তখন লম্বা একটা ছেলের সঙ্গে কথা হল। মাথায় হলুদ ফিতা, তাই সেও নিশ্চয়ই একজন ব্লগার, আমাকে বলল, “স্যার, একটা বিষয় জানেন?’ আমি বললাম, “কী?” সে বলল, “এই পুরো ব্যাপারটি শুরু করেছি আমরা ব্লগাররা, কিন্তু এখন কেউ আর আমাদের কথা বলে না!” কথা শেষ করে ছেলেটি হেসে ফেলল। আমি তখনও জানতাম না যে এই ছেলেটি রাজীব এবং আর কয়েকদিন পরেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে একত্র হওয়া এই তরুণদের ‘নাস্তিক’ অপবাদ দিয়ে বিশাল একটা প্রচারণা শুরু হবে, আর সেই ষড়যন্ত্রের প্রথম বলি হবে এই তরুণটি।”

এক্ষেত্রে বলে নেয়া ভালো উপরের কথোপকোথন আদৌ হয়েছে কিনা তা ভেরিফাই করার তেমন কোন উপায় নেই। স্যার এর আগেও তাঁর লেখা প্লেইন-এন্ড-সিম্পল গারবেজগুলোতে জাতির বিশেষ সব ক্রান্তি লগ্নে নানা বিধ কাল্পনিক চরিত্রের সাথে নিজের কথোপকথনের ফিরিস্তি দিয়েছেন। বলা বাহুল্য এই কাল্পনিক কথোপকথনগুলোকে স্যার এক্কেবারে রিয়াল ফ্লেভার দিয়ে নিয়মিত চালিয়ে দেন। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই কথোপকথনগুলো যাদের সাথে হয় তারা হয় কোন অন্যায়-অবিচারের ভিক্টিম, কিংবা ভবিষ্যতে ভিক্টিম হয়ে যাবে-যাবে এমন দুঃচিন্তাগ্রস্থ তরুন-তরুনী।

জাফর স্যারের থাবা বাবা বিষয়ক এবারের ফাপরবাজীটা আর কারও কাছে না হোক আমার জন্যে ধরা খুব সহজ ছিল। কেননা জনাব থাবা বাবা ওরফে রাজিব হায়দার সম্পর্কে আমার জানা শোনা স্যারের চাইতে বেশী। স্কুল জীবনের যেই স্মৃতি রাজিব সম্পর্কে আমার আছে, তাতে ওকে আমার এককথায় লম্বা হিসেবে পরিচয় দেবার মতো কেউ বলে মনে পরে না। রাজীবের দাড়িয়ে থাকা ছবি ঘাঁটলেও আমার এই কথার সত্যতা যাচাই করতে পারবেন যে কেউ।

রাজীব বিষয়ে স্যারের দ্বিতীয় মিথ্যাচার ছিল ছেলেটির কপালে বাঁধা “ফিতে” নিয়ে। রাজীবের যে ছবিগুলো পাওয়া যায়, তাতে দেখা যায় ওর মাথায় সাদা পট্টি থাকতো, স্যারের বর্ণনায় দেয়া হলুদ পট্টি না। যদিও তর্কের খাতিরে মেনে নিতেই হবে সাদার পাশাপাশি হলুদ পট্টীও রাজীব পরে থাকতেই পারে। যদিও হাতে থাকা এভিডেন্স তা বলে না।

1553326_10152168922021007_2081839109_o

[ From Facebook Page of Journalist জ.ই. মামুন

ব্লগার রাজীব হায়দারকে আমি চিনতাম না, তার নৃশংস হত্যাকান্ডের পরেই অন্য অনেকের মত তার নাম জেনেছি। কিন্তু কাকতালীয়ভাবে আমার ক্যামেরায় তার একটি ছবি আছে। শাহবাগ আন্দোলন গণজাগরণ মঞ্চ নাম ধারণের আগেই, অর্থাৎ গতবছরের ফেব্রুয়ারির ৫ তারিখ শাহবাগে কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে তরুণ সমাজের আন্দোলন শুরুর পরদিন, ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে আমি কমবেশি প্রতিদিন শাহবাগে যেতাম, সাথে থাকতো আমার শখের ক্যামেরা। কোনো কারন ছাড়াই ছবি তুলতাম। ৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম সমাবেশের দিন সন্ধ্যার আগে আগে দেখি মঞ্চের পেছনে কয়েকটা ছেলে মেয়ে ল্যাপটপে কাজ করছে। কেন যেন একটা ক্লিক করেছিলাম। এতদিন পর কাল সেই ছবিগুলো দেখতে দেখতে লাকি Lucky Akter বলল, এটাই রাজীব হায়দার! বিন্মিত হলাম, তাই আজ ছবিটা আপলোড করছি। তবু আমি নিশ্চিত নই এটি আসলেই রাজিব কি না। গণজাগরণ মঞ্চের বন্ধুরা নিশ্চিত করতে পারবেন

তবে রাজীব বিষয়ে জাফর স্যারের সবচাইতে বড় ফাপরবাজীটি হলো থাবা বাবাকে নাস্তিকতার অভিযোগ থেকে পরিত্রান দেবার হাল্কার উপর ঝাপসা এটেমট নেবার ব্যাপারটি।

জাফর স্যারের মতো নির্লজ্জ স্বরচিত ইতিহাসবীদ হয়তো ভুলে গিয়েছেন যে শাহাবাগ কিন্তু তিতাল্লিশ বছর আগে ঘটে যাওয়া  ১৯৭১ না,  যে বর্তমান প্রজন্ম তাঁর মতো ফিকশনাল ইতিহাসবিদকে বেনেফিট অব ডাউট দিবে।

থাবা বাবা নিয়ে আমার মতো মানুষের জাফর স্যারের লেখা স্বরচিত ইতিহাস পড়া লাগে না, কেননা এখত্রে আমরা নিজেরাই থাবা বাবার জীবন্ত ইতিহাসের সাক্ষী। আমি নিজে সাক্ষী দিয়ে বলতে পারবো থাবা বাবা কোথায় কি লিখত।

তবে শক্তকণ্ঠে বলে নিচ্ছি, রাজীবের নৃশংস খুনের পুর্নাংগ ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার আমি কামনা করি স্কুলের বড় ভাই হিসেবে। কিন্তু তাই বলে রাজীব যে ধর্ম নিয়ে নিকৃষ্ট কথা বার্তা বলে সেলিব্রিটি হয়েছিল সেই ইতিহাসতো আর আমি জাফর স্যারকে ফাপরবাজী করে গায়েব করে দিতে আলাউ করতে পারি না। আর তাছাড়া রাজীবের মৃত্যুর আগে তাঁর সাত হাজার ছয়শ এর মতো ফলোয়ার ছিল। এই সাত হাজার মানুষ খুব ভালো করেই জানে রাজীব কি কি লিখত।

রাজীবের পুরো ফেইসবুক প্রোফাইলের পিডিএফ নিশ্চয়ই কেউ না কেউ সেইভ করে রেখেছিলেন ওর মৃত্যুর ঠিক পরে পরেই।

ওর মৃত্যুর পরে কোন কোন শাহাবাগি কার কার কাছে গিয়েছিলেন থাবা বাবার ফেইসবুক প্রোফাইল বিটিয়ারসি থেকে ব্লক করে দিতে, সে ইতিহাসও বের হয়ে গেছে ইতমধ্যেই। কেন তখন শাহাবাগিরা প্যানিক করেছিল থাবা বাবার প্রোফাইল নিয়ে, তা কিন্তু জাফর স্যার তাঁর স্নেহ ধন্য কোন শাহাবাগিকে এখনও জিজ্ঞেস করে জেনে নিতে পারেন।

জাফর স্যার ভ্যালেন্টাইন ডে তে শাহাবাগের থাবা বাবার ইমেজ রিপেয়ার করার ধান্দা করার মাধ্যমে একটা ইন্টেরেস্টিং মেজেস দিয়েছেন বলে মনে হচ্ছে। বুড়ো বয়েসে স্যারের ভ্যালেন্টাইন প্রেম হয়তো এখন শাহাবাগি থাবা বাবা ওরফে রাজীব হায়দারের সাথে।

তবে খারাপ লাগছে এই ভেবে যে জাফর স্যারের ড্রোন নিয়ে ফাপরবাজীটা ছোটলোকি হলেও শিশু সুলভ ছোটলোকি ছিল। কিন্তু এবার থাবা বাবা নিয়ে এক প্যারাগ্রাফে একাধিক মিথ্যে কথা বলতে গিয়ে স্যার একেবারে ড্রোন থেকে নেমে ড্রেনে পা ফেলেছেন।

খালেদা কি চাইলেই তারেক কিংবা জামাতকে ছাড়তে পারবেন?

2

শাফকাত রাব্বী অনীকঃ

খালেদা জিয়া বাংলাদেশের রাজনীতির দুর্গম পথের একজন যাত্রী। ওনার দুই হাতে দু’টা ওভার সাইজ ব্যাগেজ আছে। ব্যাগেজ গুলো অনেক ভারী। একটার নাম তারেক রহমান। আর একটার নাম জামাত-ই-ইসলাম।  এই ব্যাগেজ সঙ্গে করেই খালেদা জিয়া হেঁটে চলেছেন। ফিজিক্স  এর সুত্র অনুযায়ী, ভারী লাগেজ গুলো সরিয়ে দিলে, ওনার হাঁটতে আরাম হবার কথা। কিন্তু নিজের বিবেচনা অনুযায়ী এই ব্যাগেজ গুলো হাতে নিয়েই খালেদা হাঁটছেন।

অনেকেই খালেদাকে বিগত বছরগুলোতে বলেছেন এই ব্যাগেজ গুলোর কোন না কোনটা হাত থেকে সরানোর জন্যে।  পৃথিবীর যে কোন বস্তুর মতো, এই ব্যাগেজ গুলোরও উপকারিতা ও অপকারিতা উভয়ই নিশ্চয়ই আছে। সেই আলোচনায় না যেয়ে, ধরে নেয়া যাক যে এই ব্যাগেজ গুলো সরিয়ে দিতে খালেদা জিয়া রাজী হবেন। এখন দেখা যাক সরানোর প্রক্রিয়াটা কি হবে?

প্রথমেই আসা যাক তারেক রহমান প্রসঙ্গে। উনি গত অনেক বছর সপরিবারে লন্ডনে আছেন। উনি  বিএনপির নীতিনির্ধারণ করার মতো কোন কাজ করেন কি না সেটা বিএনপির ভিতরের মানুষ ভালো বলতে পারবেন। কিন্তু বাইরের মিডিয়া, সাধারণ সমর্থক, ও সমালোচকরা অনেকে এখনও ভাবেন যে তারেক রহমান বিএনপিতে অনেক ক্ষমতাবান। এক্ষেত্রে বাস্তবতা হচ্ছে যে  যতদিন খালেদা জিয়া বিএনপির চেয়ারপারসন থাকবেন, তারেক রহমান সম্পর্কে এই পাবলিক পারসেপশোন সরানো যাবে না।  মা ও তার বড় ছেলের সম্পর্ক ঘোষণা দিয়ে অন্তত পাবলিকের মনে দুর্বল করা যায় না ।

আরও একধাপ বাড়িয়ে বলা যেতে পারে যে, ব্যাক্তি তারেকের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত, যতদিন তার মা চেয়ারপারসন থাকবেন, ততদিন কেউ না কেউ বলতেই থাকবেন তারেক রহমান পিছনে থেকে কল-কাঠি নাড়ছেন। তারেক রহমানের জন্যে একেবারে মরে যাওয়া ছাড়া এই পারসেপশোন থেকে মুক্তি পাওয়া অনেক কঠিন।

বাংলাদেশের বড় দুটো দল থেকেই পরিবারতন্ত্র একেবারে শেষ হয়ে যাবার সম্ভাবনা এখনও অনেক কম। সেক্ষেত্রে, যদি খালেদার অবর্তমানে তার পুত্রবধু জোবাইদা রহমান হাল ধরেন (সোনিয়া গান্ধী স্টাইলে), তাহলেও দেখা যাবে যে তারেক রহমানকে নিয়ে একই কথাই হচ্ছে। তারেক তখন সমালোচিত হবেন আসিফ জারদারি (প্রয়াত বেনজির ভুট্টোর স্বামী) হিসেবে।

অর্থাৎ, মা , বউ, কিংবা পরিবারের অন্য কোন  সদস্য যেই বিএনপির প্রধান হোক না কেন, তারেক রহমান জীবিত থেকে কোনদিন প্রমান করতে পারবেন না যে তিনি পিছনে থেকে কল কাঠি নাড়ছেন না।  এটা ওনার জীবনের একটা বাস্তবতা। তারেক রহমানকে সরাতে হলে, হয় তাকে মরে যেতে হবে, কিংবা তার পুরো পরিবারকে বিএনপি থেকে সরে যেতে হবে। এর মাঝামাঝি কিছু নেই। উনি বিএনপি থেকে সত্যিকার অর্থেই ৪ হাজার মাইল দূরে থাকলেও, মানুষ বলতেই থাকবে উনিই বিএনপি চালান।

এরবার আসা  যাক জামাত প্রসঙ্গে। ইদানীং শোনা যায় যে কে-বা-কাহারা খালেদা জিয়াকে জামাত ছাড়তে বলেছেন। এধরনের কথা এই মুহূর্তে উনাকে  কেউ  বলছেন কিনা জানি না। কিন্তু একটি প্রতাপশালী দেশ একসময় খালেদা জিয়াকে জামাত ছাড়তে বলেছিল বলে শুনেছি। কিন্তু সে অবস্থান থেকে প্রতাপশালী দেশটি আপাতত সরে এসেছে বলে ধারণা করা হয়।

তর্কের খাতিরে ধরে নেয়া হোক যে খালেদা জামাত পরিত্যাগের কথা জানিয়ে আসলেই প্রকাশ্য একটা ঘোষণা দেবেন।  এখন দেখা যাক ঘোষণা দেবার পরে, কিভাবে জামাত ত্যাগ করার ব্যাপারটি বাস্তবায়ন করা হবে।

জামাত ভবিষ্যতে ইলেকশন করতে পারবে না। কেননা ওদের রেজিষ্ট্রেশন নেই। এছাড়া ভবিষ্যতে  জামাতের উপর আরও নানা ধরণের আইনি ঝামেলাও আসতে পারে। জামাতের সমর্থন ৫% থেকে ১০% বলে ধারণা করা হয়। একারণে ১৬ কোটি মানুষের দেশে ৮০ লক্ষ থেকে দেড় কোটি  জামাত সমর্থক আছে বলে ধারণা করা যেতে পারে।

জামাতের রেজিষ্ট্রেশন যদি  না থাকে, ইলেকশন করার উপায় না থাকে, সরকারের অশেষ করুনায় যদি এতগুলো মানুষকে গণহত্যা করে মেরে না ফেলা হয়, কিংবা তাদের ভোটাধিকার কেড়ে না নেয়া হয়, তাহলে এই মানুষরা কাউকে না কাউকে ভোট দিবেন। এই মানুষগুলো কারও না কারও রাজনীতিক সভায় যোগ দিবেন। কারও না কারও ডাকা হরতালে পিকেটিং করবেন।

বর্তমান রাজনৈতিক সমীকরণ যদি অটুট থাকে এবং জামাতের রেজিস্ট্রেশন যদি না থাকে, তাহলে জামাতের সমর্থকরা খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন কোন জোটকে সমর্থন দেবার সম্ভাবনা বেশি, যতদিন তারা নতুন কোন পার্টি না বানাচ্ছে।

আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন আছে, যেটা খুব কম মানুষ করছেন। সরকার নিজে জামাতকে নিষিদ্ধ না করে, কেন খালেদা জিয়াকে জামাত ছাড়তে বলছেন? সরকার নিষিদ্ধ করে দিলে তো আর খালেদা জিয়ার জামাত ছাড়া না ছাড়ার ব্যাপার থাকে না !!

খালেদার দু’হাতের দুটো ব্যাগেজ নিয়ে কথা বলে শুরু করেছিলাম।  সেই ব্যাগেজ গুলো ছাড়া উচিত কি উচিত না সেটা আজকের আলাপ ছিল না। আজকের আলাপ হলো, তারেক কিংবা জামাতকে ছেড়ে দেবার মতো কোন ফুল-প্রুফ উপায় খালেদার আছে কিনা।

দুই ব্যাগেজ যদি কনক্রিট কোন উপায়ে সরিয়ে দেবার উপায় না থাকে, তাহলে এই প্রস্তাবের চটকদারী মুল্য থাকলেও, বাস্তবিক কোন মুল্য থাকার কথা না।  দুর্ভাগ্যজনক ভাবে বলতে হচ্ছে যে, চটকদারী বিষয়েই মানুষের আগ্রহ সবচাইতে বেশি।

পাবলিক কি নিয়ে গুগলে সার্চ করে?

4

শাফকাত রাব্বী অনীকঃ

উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর জনগণ কি ধরনের বিষয়বস্তু নিয়ে গুগলে সার্চ করে তার নিয়মিত এনালাইসিস হয়। এ থেকে মানুষের সাম্প্রতিক উৎসাহ, উদ্দীপনা, শংকা, আগ্রহ ইত্যাদি সম্পর্কে জানা যায়।

এই মুহূর্তে  বাংলাদেশীরা কি কি বিষয়ে গুগলে সার্চ করছেন তা জানতে পারলে খুব ভালো হতো। কিন্তু তা জানার উপায় আমার নেই। নুরালদীন ব্লগ খুলা হয়েছিল ৩ মাস আগে। এই তিন মাসে নুরালদীনের পাঠকরা কি কি বিষয় সার্চ দিয়ে নুরালদীনের ওয়েব সাইটে এসেছিলেন, তার একটা তালিকা হাতে পেয়েছি। মন্দের ভালো হিসেবে এই তালিকাটা খারাপ না। 

এই সার্চ তালিকায় এমন কিছু বিচিত্র সার্চ আইটেম ছিল, যা বেশ চমকপ্রদ। কোন কোন সার্চ ওয়ার্ড কেন নুরালদীনের ওয়েবসাইট খুঁজে পেয়েছে তাও আমার অজানা। যাহোক, পাঠকদের পড়ার সুবিধার জন্যে সার্চ আইটেমগুলোকে কয়েকটা ক্যাটাগরিতে ভাগ করে নিচে তুলে দেয়া হলো। প্রতিটি ক্যাটাগরির জন্যে আমার ব্যাক্তিগত পছন্দের উইনার ও রানার্স-আপ ঘোষণা করে দিলাম। আপনাদের পছন্দের গুলো কমেন্টসে জানাতে পারেন। আঠারো প্লাস আইটেমগুলো সব শেষ আকর্ষন হিসেবে নিচের দিকে দেয়া হলো।

—————————–
রাজনইতিকঃ এই কেটাগরিতে সরকার বিরোধিতা, সাম্প্রতিক ইসু, ইত্য়াদি বিষয় প্রাধান্য পেয়েছে।
——————————

আওয়ামীলিগ এর বিরুদ্ধে লিখা
এমপির রক্ষিতা
জামাতের ভুল
awami league terrorism picture against another party
গীতা রানী শেখহাসিনা
নির্বাচন এর পরে যুদ্ধাপরাধ এর ফাসি
সেনা শাসনের আভাস
সামরিক হস্তক্ষেপের
আওয়ামী লীগ সত্যিই অনেক বেশী বেশী করতেছে (Winner)
ম্যাডাম বের না হলে
বর্তমান অবস্থানে খালেদার আচরন
হায়রে গণতন্ত্রের লড়াই (Runners-Up)
দাদাগিরি
গোলাম মাওলা রনির নির্বাচিত কলাম
গোপালগঞ্জ জেলা উঠে যাবে
এই বছরের নির্বাচিত হাস্যকর রাজনৈতিক উক্তি
বাংলাদেশের রাজনীতিতে “র” ও ভারত
বাংলাদেশের রাজনীতিতে “র”
late pri mister ziaur rahman
কসাই কাদের
আওয়ামী লীগের মন্দির তৈরি ৫ বছরের তালিকা
চুপ থাকো, বেয়াদব কোথাকার video youtube khaleda zia

————————————–
ঐতিহাসিকঃ এই ক্যাটাগরিতে সিকিম ও সিকিমের লেন্ডুপ দর্জি সম্পর্কে মানুষের মাত্রাতিক্ত জানার আগ্রহ দেখা গেছে।
————————————–

মুক্তিযুদ্ধে জামাতের ভুমিকা
৭১ বনাম ২০১৩
pilkhana tragedy shocking pics
ভারত ১৯৭১ সালে কী বাংলাদেশের সম্পদ লুঠ করেছিল? (Runners-Up)
সিকিম ও চীন
বসনিয়ার ইতিহাস
ভারত
লেন্দুপ দোরজি’র ইতিহাস
casandra moment
বাংলাদেশ 1971 ইতিহাস
bangladesh rifles mutiny pictures
দর্জি সিকিম
in pilkhana tragedy how many were raped
শেখ মুজিব বামপন্থি
সিকিম বিভ্রান্তি
1971 মুসলিম মেয়ে ধর্ষন
সিকিম অসম্ভব
বাংলাদেশ সিকিম হবে না (Winner)
মিলিটারিদের বেতন
সিকিম দর্জি

———————
সামাজিকঃ
———————

দেশের উন্নতির ক্ষেত্রে কিশোরদের অবদান
চালেন ২৪ সংবাদ পাঠকের বেতন
want to know about anjan roy tv conductor bangladesh
আবাসিক হোটেল কতটা নিরাপদ
বাংলাদেশের 2013- এর j.s.c ফলাফল দেহা
ধুমপান থেকে মুক্তি পেতে
কিভাবে বাড়িতে খেলনা হেলিকপ্টার তৈরী করা যায় (Runners-Up)
ইসলামিক sms
শীত কালে গরিবদের কস্ট নিয়ে কবিতা
লোকের উচ্চতার পেছনে কারন কী
সেবা দাসী
এ বছরটা আমার ভালো গেলনা
কত দুঃখে যে একটা বছর চলে গেল পোস্ট
এক মাইয়ার স্ট্যাটাস
আলেম পরীক্ষার পর কী করব
বুদ্ধিমান হওয়ার কৌশল
ফেন্সিডিল কি দিয়ে তৈরি হই
একটি মহিলার রাক্ষসের বাচ্চা হয়েছে তার ফটো চাই (Winner)
ঠোট ঝুলে গেলে কি করা উচিত
মেয়ে হওয়ায় দোষ কি
ইসলামে লিঙ্গের চুল কাটা

———————–
আঠারো প্লাসঃ
———————–

বাংলা নতুন চটি গল্পের তালিকা 2013
শাহাবাগি উলঙ্গ ছেলে মেয়ের ছবি (Winner)
বাংলার হট মাল
নাটোরের মেয়ে
পাতলা শাড়ী পড়া মেয়েদের ছবি
হোল এর সাইজ কত হওয়া উচিত ?
জামাই শাশুরী চটি
দেশি মেয়েদের বর দুত
কীভাবে আমার বাড়া বড় করব
নগ্নতা
যৌনাঙ্গ মুখে নেওয়া কি জায়েজ আছে
প্রথমে ধর্ষণ করেছিলাম
নগ্ন chobi keno
গ্রামের মেয়েদের নগ্ন ছবি
কাপড় ছাড়া female
বাবার আমেরিকান বন্ধু জোর করে মায়ের ইজ্জত নষ্ট করে দিল
মিলার খারাপ ছবি ও দৃশ্য
bangladeshi meyeder sex vabna 18
ষাটের দশকে মেয়ে সিগারেট
থার্টি ফার্স্ট নাইটের নগ্নতা
ঢাকার সুন্দরী মাগিদের নগ্ন ছবি
ইউরোপে নগ্ন মেয়ে
opu ukil awami hot picture (Runners-Up)
হিন্দু মেয়ে ধর্ষণ চটি গল্প
http://www.bd army ledy offcers.com
নেত্রিদের নগ্ন ছবি

২০১৩ ছিল লজ্জার বছর, বিভাজনের বছর, নতুন মেরুকরনের বছর

1

by শাফকাত রাব্বী অনীকঃ 

“আনলাকি থারটিন” কথাটি একটা কুসংস্কার। কিন্তু কোন একটা বিচিত্র কারণে এই ১৩ সংখ্যাটি অনেক ক্ষেত্রে আসলেই আনলাকি হয়ে যায়। বাংলাদেশের জন্যে ২০১৩ ছিল ঠিক তেমন একটা সংখ্যা। মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে ২০১৩ এর চাইতে বেশি মানুষ এর আগে  কোনদিন পুলিশের গুলি খেয়ে মারা যায়নি। ২০১৩ সালে যতো রাউন্ড গুলি বিভিন্ন বাহিনী নিরস্ত্র জনগণের উপরে ছুঁড়েছে এতো রাউন্ড গুলি যুদ্ধ ব্যাতিত এর আগে কোনদিন ছোড়া হয়নি।

২০১৩ সালে রাজনৈতিক প্রতিবাদের বিচিত্র প্রয়োগে গাছ কাটার রেকর্ড হয়েছে, গাড়ি পুরানোর রেকর্ড হয়েছে, বাসে আগুন দেয়ার রেকর্ড হয়েছে (যে পক্ষই দিক), পুলিশের উপর সরাসরি আক্রমনের ও পুলিশ খুনের রেকর্ড হয়েছে। মানুষ গুমের রেকর্ড হয়েছে, কোন ব্যাক্তিকে ধরতে না পেরে মা-বাবা-শশুর-শাশুরি-ছেলে-মেয়ে ধরার রেকর্ড হয়েছে। রানা প্লাজায় একটি বিল্ডিং ভেঙ্গে, কোন একক দুর্ঘটনায় সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ মারা যাবার রেকর্ড হয়েছে। ৫ই মের হেফাজতের রাত্রে কোন একক অভিযানে পুলিশের গুলির রেকর্ড হয়েছে, সিভিলিয়ান অপারেশনে গ্রেনেড ফাটানোর রেকর্ড হয়েছে। হেফাজতের এক রাত্রে সর্বাধিক সংখ্যক মিডিয়া বন্ধ করে দেয়ার রেকর্ড হয়েছে, অভিযান চালানোর অভিপ্রায়ে শহরের বাতি নেভানোর রেকর্ড হয়েছে।

ফেব্রুয়ারির মাত্র দু’দিনে ১৫৬ জন মানুষকে গুলি করে মারা হয়েছে, দেলোয়ার হোসেন সাইয়িদির রায় পরবর্তী প্রেক্ষাপটে। স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে কোন একক ঘটনায় এতো অল্প সময়ে এতো মানুষকে গুলি করে মারা হয়নি। ২০১৩ এর শেষের দিকে এসে স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিকদের বাসা-বাড়ী বুল্ডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া শুরু হয়েছে। আমাদের ৪২ বছরের ইতিহাসে এই ঘটনার কোন প্রতিদ্বন্দ্বী নেই।

২০১৩ সালে যতোজন মানুষের গুলি খেয়ে কিংবা লাঠির বাড়ি খেয়ে লুটিয়ে পড়ার লাইভ ভিডিও পাওয়া গেছে, তার কোন তুলনা এর আগে কোন ইতিহাসে নেই। যতোগুলো ক্যামেরা ডেথ হয়েছে, যতো মানুষকে ক্যামেরার সামনে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে গুলি করার ভিডিও কিংবা ছবি পাওয়া গেছে, আমাদের ৪২ বছরের ইতিহাসে এতোগুলো ক্যামেরা-রেকর্ড নেই। দেশে মিডিয়া কিংবা ক্যামেরার সংখ্যা বৃদ্ধি এই রেকর্ডে কিছুটা ভুমিকা রাখলেও, রেকর্ড ব্রেকিং হানাহানির ঘটনাই এক্ষেত্রে মুখ্য ভুমিকা পালন করেছে।

অর্থাৎ সহজ বাংলায় বলতে গেলে, ন্যাক্কার জনক রাজনৈতিক নিপীড়নের ও হানাহানির রেকর্ডের পর রেকর্ড হয়েছে ২০১৩ সালে, যার লিস্ট উপরে প্রদত্ত রেকর্ডের থেকে আরও অনেক বড়।

উপরের রেকর্ডগুলো সারাটা বছর জুড়ে ধীরে ধীরে গড়েছে। স্বাভাবিক ভাবে চিন্তা করলে, দেশের মানুষকে অনেক বিচলিত করার কথা ছিল উপরের রেকর্ডগুলোর। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে, দেশের শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ উল্লিখিত খুনাখুনিকে মেনে নিয়েছেন, অনেক ক্ষেত্রে প্রকাশ্য উল্লাস প্রকাশ করেছেন। ২০১৩ সালে বিভিন্ন ঘটনায় যতো মানুষ মৃত্যু-উল্লাস করেছেন, আমার দেখা গত ৩০ বছরে, মৃত্যু-উল্লাসের এতো অধিক সংখ্যক পারটিসিপেশনের কোন রেকর্ড আমার জানা নাই।

একটি বড় জনগোষ্ঠীর উপরে সরকারী বাহিনীর আগ্রাসন, আর পুরো ঘটনায় সরকার সমর্থকদের নিদারুণ বিনোদন ২০১৩ সালকে ইতিহাসের পাতায় নিয়ে যাবে পুরো জাতিকে পরিপূর্ণভাবে বিভাজিত করে রাখার বছর হিসেবে। সেই ১৯৫১ সাল থেকে বাংলাদেশী-বাঙ্গালি জাতিকে একটি বিশেষ বিভাজনে বিভাজিত করার প্রবল প্রচেষ্ঠা চলে আসছিল। সেটা হচ্ছে ইসলাম বনাম ইসলাম বিদ্বেষের বিভাজন। সকল প্রচেষ্ঠাকে ভেস্তে দিয়ে, বাংলাদেশী বাঙ্গালিদের এই বিভাজনে বিভাজিত করা যায়নি গত ৫০টি বছর। ব্রিটিশরা পারেনি, পাকিস্তানিরা পারেনি। কিন্তু ২০১৩-এ এসে, মাত্র হাতে গোনা কিছু ছেলেমেয়ে এই অসাধ্যকে  সাধন করেছে। বাংলদেশিদের আস্তিক-নাস্তিকের বিভাজন কমপ্লিট হয়েছে, চেতনা বনাম ধর্মের লড়াইয়ের আড়ালে।

তবে এতো হতাশার মাঝেও ২০১৩ নিয়ে এসেছে অনেক আশার আলো, যা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে ও স্বাধীনতাকে করবে সুসংহত অদুর ভবিষ্যতে। এই পজিটীভ বিষয়গুলোকে নিচে তুলে ধরছিঃ

– ২০১৩ সালে এসে গত ৪২ বছরের অনেক মিথ ভেঙ্গে গেছে। চেতনা চর্চার আড়ালে গত ৪২ বছরে বাংলাদেশে গড়ে উঠেছিল ঘৃণার ব্যাবসা, প্রতিহিংসার ব্যাবসা, ধর্মীয় অনুভুতিকে ভোতা করবার ব্যাবসা, আর একটি বিশেষ দেশের নির্লজ্জ স্বার্থ রক্ষার ব্যাবসা। এই কথাগুলো এতোদিন ডানপন্থীদের কন্সপিরেসি থিউরি হিসেবে উড়িয়ে দিতেন অনেকেই। ২০১৩ এর নানান ঘটনাবলী দেশের বিশাল বড় একটি অংশের মনে এই উপলব্ধিটুক জাগ্রত করেছে, প্রমাণিত করেছে।

– দেশের মেইন স্ট্রিম থিঙ্কিং-এ অনেকগুলো টাবু বা নিষিদ্ধ বিষয় ছিল, যা নিয়ে শংশয় পোষণ করার, কিংবা নির্দোষ তাত্ত্বিক বিতর্কে জড়ানোরও কোন উপায় আগে ছিল না। ২০১৩ এ এসে এধরনের অনেক মেইন স্ট্রিম ডগমাই প্রকাশ্য চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেক ডগমাই ভেঙ্গে চুরে চুরমার হয়ে গেছে।

– জাতির থিঙ্কিং জগতে চেইঞ্জ ওব গার্ড বা প্রহরীর পরিবর্তন হয়েছে। গত ৩০-৪০ বছর ধরে রাজত্ব করা থিঙ্কারদের আড়াল করে দিয়ে, নতুন নতুন অনেক লেখক ও কমেন্টেটর এসেছেন, যাদের অনেকের পাঠকের সংখ্যা অতীতের অনেক রথি মহারথির পাঠকের সংখ্যার চাইতে বেশি। রাজনৈতিক মতাদর্শের উভয় পার্শ্বেই নতুনদের এই ভিড় চোখে পড়ার মতো। সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে দেশে চিন্তা-চেতনা বিকাশের সত্যিকারের গণতান্ত্রিকায়ন হয়েছে ২০১৩-তে এসে। এই গণতন্ত্রায়নে, মেসেঞ্জারের চাইতে মেসেজের গুরুত্ব অনেক বেশি হয়ে গেছে। আগে মেসেঞ্জারের গুরুত্বই বেশি ছিল, উনারা যা বলতেন মানুষ তাই শুনতো। যার ফলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ মানুষের কাছে আড়াল করা যেতো। ২০১৩ পরবর্তী গণতান্ত্রিক মেধা ভিত্তিক মার্কেটে এখন আর কোন ভ্রান্ত মিথলজিকে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। একারণে ইতিহাসের খাতায় ২০১৩ হয়ে যাবে একটা গুরুত্বপূর্ণ জংশন।

– শাহবাগ আন্দোলন নিয়ে কোন কথা না বললে ২০১৩ এর রিভিউ সম্পূর্ণ হবে না। ২০১৩ এর সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ছিল শাহবাগ আন্দোলন। সারা বছর জুড়ে অসংখ্য মানুষের মৃত্যু, জেল, জুলুম, ও পালিয়ে থাকার চিয়ার লিডার ছিল এই শাহবাগ। জাতীয় জীবনকে বিভাজিত করার এবং মানুষে মানুষে ঘৃণার যে লালন-পালন শাহাবাগ আন্দোলন করেছে, তার ফল আরও অনেকদিন ধরে পেতে হবে বাংলাদেশকে।

তবে শাহবাগ যদি হয় একটি বিপ্লব, তাহলে এর প্রতিক্রিয়ায় যে প্রতি-বিপ্লব হয়েছিল, আমার মতে তা ছিল মূল বিপ্লবের চাইতে অনেক বেশি শক্তিশালী ও কার্যকরী। এ বিষয়ে উল্লখ্য, প্রথম আলোতে প্রকাশিত একমাত্র বৈজ্ঞানিক জরিপ অনুযায়ী দেশের ২২ শতাংশ মানুষের সমর্থন ছিল শাহবাগ আন্দোলনে। মজার কথা হলো, শাহাবাগিরা বুঝে হোক আর না বুঝে হোক, তাদের ২২ শতাংশের সমর্থনের তিন গুন বেশি মানুষকে তারা একত্রিত করে ফেলেছেন তাদের প্রতি-বিপ্লবে। দেশের মানুষের মাঝে ৩০-৭০ কিংবা ৪০-৬০ এর একটি ঐতিহাসিক বিভাজন আগে থেকেই ছিল। গত ৩০ বছরের ইলেকশন রেজাল্ট ঘাটা ঘাটী করলে এই বিভাজন স্পষ্ঠ হয়ে যাবে। এই বিভাজনের বৃহৎ অংশটির লোকেরা এর আগে কোনদিন একত্রীত হতে পারেনি, সব সময় বিভাজিত থেকেছেন। শাহাবাগ আন্দোলন তার ম্যাজিক দিয়ে সেই ৬০ কিংবা ৭০ শতাংশ মানুষের বিভাজন দূর করেছে। শাহবাগ এই ৬০ কিংবা ৭০ শতাংশ মানুষকে একটি “মাদার অব অল এলাইন্সের” দারপ্রান্তে এনে দাড়া করিয়েছে। এই অসাধ্য সাধিত হয়েছে ২০১৩ সালে, তাও আবার মাত্র নয় মাসে।

এই “মাদার অব অল এলাইন্স” — যা ২০১৩ সালে সৃষ্টি হয়েছে, তার সুদীর্ঘ সুফল পাবে বাংলাদেশ। আর এই গ্র্যান্ড এলাইন্স-ই হলো শাহাবাগের বুমেরাং, যার কারনে ভেস্তে যাবে একাধিক দেশের কূটনীতি ও তাদের দেশীয় ক্রিড়ানকদের গেইম প্ল্যান।

সরি জাফর স্যার, ২০১৩ সালে আপনাদের স্বল্প সময়ের জন্যে চৌরাস্তা ছেড়ে দিয়েছিল মানুষ। কিন্তু তাদের সত্যিকারের স্বাধীনতার স্পৃহা, স্বাধীন ও মুক্ত বাংলাদেশের বাসনা আপনাদের হাতে দিয়ে দেয়নি। আর একারণেই বলতে হচ্ছে, ২০১৩ সালে আপনাদের বিজয় নয়, পতনের শুরু হয়েছিল। প্লিজ, “মাদার অব অল এলাইন্স” এই শব্দটি মনে রাখবেন।

 

 

Is this a party of Liberals?

3

By Shafquat Rabbee:

Bangladesh Awami League is the de-facto choice of Bangladesh’s liberal political class. This write up will seriously question how this party is currently manifesting clear attributes of intolerance, and often fascism. Despite its ever-growing authoritarian tendencies, how the party still maintains the loyal support of educated liberals, should be a topic for an academic undertaking.

To explore whether the Awami League is demonstrating fascist tendencies, one has to read the following excerpt from Wikipedia defining the term “fascism”:

“….Fascists sought to unify their nation through a totalitarian state that promoted the mass mobilization of the national community and were characterized by having a vanguard party that initiated a revolutionary political movement ……. fascist movements shared certain common features, including the veneration of the state, a devotion to a strong leader, and an emphasis on ultra-nationalism …. Fascism views political violence, war, and imperialism as a means to achieve national rejuvenation….

Fascist ideology consistently invokes the primacy of the state. Leaders such as Benito Mussolini in Italy and Adolf Hitler in Germany embodied the state and claimed indisputable power….”

Source: http://en.wikipedia.org/wiki/Fascism

Please check the appropriate references provided in the Wikipedia page on fascism for further theoretical queries and for ascertaining the validity of the above characterization. Now, as per the above characterization of “Fascism”, please see below some of the recent activities of the Awami League to formulate your opinion as to whether this is a fascist party:

“Fascists sought to unify their nation through a …. vanguard party that initiated a revolutionary political movement…” – Awami League is spending enormous energy to achieve this via its relentless reference to its leadership role in the 1971 Liberation war of Bangladesh.

According to the above definition, fascists share the following common features:

a. The veneration of the state: The Awami League Party and its supporters often show jingoism and superficial affection to a mythological state that they refer to as “Bangla”, which some critics struggle to confine within the current geographical region of Bangladesh. The Awami League supporters, and their latest ultra-purist clan known as “Shahabagis”, have a tendency to defy global opinions even on matters related to human rights or civil liberty buoyed by their superficial confidence on the mythological state of “Bangla”.

b. A devotion to a strong leader: Awamis and Shahbagis have Godlike reverence to their political leader Late Sheikh Mujibur Rahman, who is often referred as the “Father of the Nation” and “Friend of the Nation” or Bongobondhu– both at the same time.

Today’s Awamis and Shahbagis end all of their political utterings with the slogan “Joy Bangla” [victory for Bangla] and “Joy Bongobondhu” [victory for Bongobondhu].

The Awamis and Shahbagis are seen using these two chants like religious pronouncements in almost all of their political events, including ceremonial burials of party activists, formal and informal political communications, social media writings, political gatherings, and even during political fightings while they attack their opponents! The uttering of “Joy Bongobondhu” was heard on December 29, 2013, while the Awami-Shahabagis attacked Bangladesh’s supreme court building and inhumanly beat Supreme Court lawyers, many of whom were unarmed females.

The zeal and political importance of these two sentences are so intense that party adherents start quarrels if one of the two sentences is missing in anyone’s speech. For example, only a few days ago, one of the most prominent leaders of the Shahabagis found faults with even the grandson of the Bongobondhu Sheikh Mujibur Rahman for failing to type both “Joy Bangla” and “Joy Bongobondhu” in his Facebook status (the grandson only wrote Joy Bangla!).

c. An emphasis on ultra-nationalism: Awamis and Shahabagis use ultra-Bengali Nationalism as their main political philosophy. Although historically Bengalis have always had a hybrid cultural heritage, borrowing deeply from Arabs, Persians, Portuguese, Spanish, British, Turks or Moguls, Indian-Aryans, Pakistanis etc, the so-called Bengalism propagated by today’s Awami-Shahabagis align itself more with present day Indian heritage, than any of the other cultural lineages of Bangladeshis.

The Awami-Shahbagis go as far as to posit their ultra-Bengali nationalism as a counterpart of Islam- the religion. This particular overreach of a Bengali linguistic-ethnographic heritage against Islam.  Awami-Shahbagi Bengali ultra-nationalism often believes in their ability to even overtake religious identity using an ever-changing Bengali cultural identity.

– “Fascism views political violence, war, and imperialism as a means to achieve national rejuvenation”: This characteristic of Fascism is exemplified in Awami-Shahabagis’ call for another “Mukti Juddho” or “Liberation War” every other week. The Awami-Shahabagi leadership regularly calls for violence against their major political rivals, the latest of this was seen on December 29, 2013, when the following happened:

– Awami-Shahabagi activists attacked Bangladesh Supreme Court premise. This is the first such instance in Bangladesh’s 42 years of history, where party activists of any political party went inside the Supreme Court premise and beat up Supreme Court Lawyers (see video).

http://www.youtube.com/watch?v=2uOyiyh7-sI

– Awami-Shahabagi activists attacked Bangladesh Press Club. This is perhaps the second instance in Bangladesh’s 42 years of history, where political party activists attacked the Press Club. Both the attacks were carried out by Awami League activists, once during the early 70’s and the second time on December 29, 2013. The attackers were carrying Bangladeshi flag, and wearing bandanna made out of the Bangladeshi flags (see video).

http://www.youtube.com/watch?v=-MLILmRZPg4

– Awami-Shahbagi activists attacked female Lawyers, who were completely unarmed. The Awami-Shahbagi activists used Bangladesh’s national Flag stands as weapons for beating the female lawyers, and the attackers were wearing the national flag in their head (an overt example of Ultra-nationalism). See pictures below.

FemaleLawyerBeating

– Awami-Shahbagi activists attacked Dhaka University professors, a very rare occurrence even in Bangladesh’s turbulent political standards.

http://dailynayadiganta.com/details.php?nayadiganta=NjI2OA%3D%3D&s=MTc%3D

The Awami-Shahbagis earlier in the year of 2013 took possession of Shahbag Square of Dhaka (hence the name Shahabagi), and demanded death sentences of key accused of the 1971 War Crimes. All major independent observers like the United Nations, Human Rights Watch, Amnesty International, International Commission of Jurists etc have termed the War Crimes Tribunal flawed and lacking international standards. The US Senate passed a resolution number 318 where the tribunal was termed as lacking international standards. Yet, the Awami-Shahabagis continued for months their so called “Second Muktijuddho” or “Second Liberation War”, where they were demanding “specific verdicts” instead of “proper trial”, as a lynch mob. The trial remained popular across the board in Bangladeshi society, although a vast majority, according to scientific opinion polls, remained skeptical about the fairness of the trial proceedings. The Awami-Shahabagis, disregarded all calls for fairness in the trial proceedings, and found it to be their ultra-nationalistic duty to defy all credible international calls for remedial actions regarding the trial proceedings. Such misguided ultra-nationalism now has squandered Bangladesh’s only chance to render proper justice to the victims of 1971 atrocities.

FemaleShahabaginiswith Stick

Awami-Shahabagis call for violence can be further exhibited in the below incidences:

– Awami League activists for the first time in the history of Bangladesh conducted processions with sticks against Supreme Court Judges back in the early 2000’s

– Awami League activists for the first time in the history of Bangladesh asked its party men to show up in the streets of Dhaka with oar and sticks to beat up their opposition, which ultimately resulted in the first nationally televised live killing of a opposition party men (see video)

http://www.youtube.com/watch?v=6-dRC-NfDNg

–  The fact that Awami-Shahbagis can beat up old folks due to political disagreement, is perhaps worse than even fascism (see pic)

oldman beating2 oldman beating

– Awami League activists for the first and only time in Bangladesh’s history attacked and beaten up Bangladesh Army personnel (see pics), clearly showing the ultra-nationalistic invincibility felt by the Awami-Shahbagi activists

army beatingarmy kick 2

Despite all the historical evidences above, and being a textbook case of fascism, Awami-Shahbagis are still the favorites of Dhaka’s liberal elites! The world needs to study this phenomenon closely.

মার্চ এগেইনস্ট হিপোক্রেসি

2

by শাফকাত রাব্বী অনীকঃ

৭০ বছরের একজন মহিলা, যার হাঁটুতে একাধিক অপারেশন, তিনি কেন রাস্তায় নেমে মিছিল করেন না তা নিয়ে টিক্কা-টিপ্পনী কেটেছেন একদল মানুষ। ঠিক সেই মহিলাই যে মুহূর্তে বললেন আমি মিছিলে যাবো, সাথে সাথে তার বাসাতে মোতায়েন হলো ৩ প্লাটুন পুলিশ, বিজিবি, আর ৩ ট্রাক বালু। যিনি হাঁটেনই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে, সেই তাকে বহন করতে যেন আসতে না পারে কোন গাড়ি তা নিয়ে সে কি প্রাণান্ত চেষ্ঠা- যেখানে লাজ-লজ্জার কোন লেশমাত্র নেই। বাই চান্স ভদ্রমহিলা যদি পায়ে হেটে বেড় হতে চান, তাহলে যেন তাকে শাড়ি পরা অবস্থায় ৩ ট্রাক বালু ডিঙ্গাতে হয় সেই ব্যবস্থা করে নিজেদের চেতনার রকেট সায়েন্টিস্ট ভাবছেন নির্বোধের দল। খিস্তি খেউরে অভ্যস্থ নিম্ন রুচির সমর্থকদের খুশি করতে এধরণের চটকদারি আইডিয়াই যে একটি দলের একমাত্র ভরসা, তা তো বলাই বাহুল্য।

মাত্র ক’দিন আগেই পতাকা মাথায় তুলে দাড়িয়ে থাকলো ২৭ হাজার মানুষ। পাকিস্তানীদের হাতে থাকা পতাকার রেকর্ড ভাঙ্গা হলো চেতনার জোসে। আর এই মহান রেকর্ড ভাঙ্গার রেশ কাটতে না কাটতেই, গতকাল থেকে পতাকা বানানোর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়ে গেল বিভিন্ন স্থানে। গ্রেপ্তার করা হলো দর্জিকে, পতাকা বানানোর অপরাধে। স্বাধীন দেশে এখন নাকি পতাকা বানাতে পুলিশের পারমিশনও লাগে! এসব দেখে পতাকার রেকর্ড ভাঙ্গা চেতিয়ালের দল শুধুই মুচকি হাসে। এইতো তাদের পতাকা প্রেম!

১৬ই ডিসেম্বরে খবর বেড় হয়েছিলো কোথায় কোন পতাকা বিক্রেতাকে নাকি পতাকা বিক্রিতে বাধা দিয়েছিল কে-বা-কাহারা। তাই নিয়ে উত্থিত চেতনায় সেকি জ্বালাতন। অথচ গতকাল দোকানে দোকানে গিয়ে সরকারী পুলিশ বলে দিল কেউ যেন পতাকা বিক্রি না করে। পুলিশের মুরুব্বীদের শঙ্কা নাকি ছিল একটাই। চেতনার পতাকা যেন চেতনাহীন বিরোধী দলের হাতে না যায়! অর্থাৎ চেতনার ব্যাবসা যার, পতাকা যে শুধুই তার!

৫ লাখ লোক চৌরাস্তার মোড় দখলে নিয়ে, ২৪ ঘন্টা টিভি কাভারেজ দিয়ে, মিলনমেলা বসানো হয়েছিল প্রজন্মের সহবাস লাইভ টেলিকাস্টিং করতে। সে কি বাহবা, মারহাবা, মারহাবা, যেন পুরো দেশ, সংস্কৃতি, ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ সব এক কাতারে উদ্ধার হচ্ছে। সাথে সাথে চলেছে বিরোধিদের দিকে টিটকারি। কোথায়? তোমাদের কোন জমায়েতে এতো লোক কি হয় কখনও?

হ্যাঁ, লোক হয়েছিল, একবার না দুই বার। তাও আবার ৫ লাখ না। কেউ বলে ৫০।

কিন্তু ওগুলোতেও হিপোক্রিটদের মন ভোলে না। ওসব পঞ্চাশ-ফঞ্চাশ ডাজ নট কাউন্ট। কেননা যারা এসেছিল ওরাতো ছিল হুজুর। যারা চেক্টিভিস্টদের চোখে ছিল প্রান্তিক, চেতনা বিবর্জিত লুজার। সুতরাং ওদের কেন গণনায় ধরবে হিপোক্রিটের দল?

তো আজ যখন বিএনপির ডাকে আসতে চাইলো নন-হুজুরদের দল, সাথে সাথে করা হলো সারা দেশ অচল। হুজুরদেরতো তাও মিটিং এর পারমিশন দেয়া হয়েছিল। নন-হুজুরদের তাও দেয়া হলো না। চেতনার ফেরিওয়ালার আবার সেই মুচকী হাসি। পারলে পায়ে হেঁটে আয়না, দেখি তোরা কতগুলো নন-হুজুর।

যখন পায়ে হেঁটেও আসবে বলছে মানুষ, ঠিক তখন চেতনার পাইকারের শেষ সম্বল হয়ে দাড়ালো হুঙ্কার, লাঠি, বন্দুক, গুলি আর চেতনার সমন্বিত শিৎকার।

আর এই উন্মত্ততার মাঝেই ৫০ বছরের বেশিকাল ধরে টিকে থাকা আওয়ামী লীগ আজ নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে শুধু তার নেতৃত্ব ও সমর্থকদের হিপোক্রেসির বন্যায়। যদিও জাতীয় জীবনে কমবেশি হিপোক্রেসি হয়েছে আগেও । কিন্তু ক’সপ্তাহের ব্যাবধানে একের পর এক নির্লজ্জ হিপোক্রেসির এমন কন্টিনিউয়াস খেলা এর কেউ আগে দেখেছে বলে জানা নেই।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বর্ণনায় বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক

By শাফকাত রাব্বী অনীকঃ

কিছু দিনের মধ্যেই বিশ্বের ইতিহাসে অন্যতম হাস্যকর নির্বাচন হতে যাচ্ছে বাংলাদেশে। আর ঠিক এরকম সময়ে, দেশের শহুরে মধ্যবিত্তদের ফোকাস সরিয়ে রাখতে নতুন করে চালু করা হয়েছে পাকিস্তান বিষয়ক বিতর্ক।

কাদের মোল্লা সাহেবের মৃত্যুর পরে, সম্পূর্ণ হোম-ওয়ার্ক বিহীন একটি সংসদীয় প্রস্তাবনা আনা হয়েছিল পাকিস্তানের পার্লামেন্টে। প্রস্তাবনাটির ভাষা, যুক্তি ও টাইমিং দেখে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে পাকিস্তানের কোন মেধা সম্পন্ন গোয়েন্দা-ফোয়েন্দা তো বটেই, চিকন বুদ্ধি সম্পন্ন কোন কূটনীতিকও মনে হয় আর বাংলাদেশে চাকরি করেন না।

শাহাবাগিরা পাকিস্তানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার আল্টিমেটাম দিয়েছিল। গুলি ও গুমে অভ্যস্থ পুলিশ বাহিনীর মৃদু লাঠি চার্জেই সেই আল্টিমেটাম আপাতত নাই হয়েছে।

গতকাল জনৈক শাহাবাগি জিজ্ঞেস করছিলেন, পাকিস্তান বিষয়ে আমার ধারণা কি। তাদের সাথে সম্পর্ক থাকবে কি থাকবে না। এবং আমি পাকিস্তানকে বাংলাদেশের বন্ধু ভাবি কিনা। আমি উত্তরে বলেছিলাম, যেহুতু বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্র ক’মাস আগেই পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর গালে চুমু খেয়েছিলেন, সেহুতু বাংলাদেশ ও পাকিস্তান বন্ধু রাষ্ট্র। ফাজলামোপূর্ণ উত্তরটি শাহাবাগি ভদ্রলোকের পছন্দ হয়নি। ভাগ্যক্রমে, আজকে এক ছোট ভাই কিছু ডকুমেন্ট দেখালেন শেখ মুজিবের পাকিস্তান দর্শন সম্পর্কে। ভাবলাম এটা নিয়ে একটা লেখা দেয়া প্রয়োজন। সবাইকে দেখিয়ে দেয়া প্রয়োজন যে দেশের স্বাধীনতার প্রধান আর্কিটেক্টের মাথার বুদ্ধি বর্তমানে স্বাধীনতার চেতনা বিক্রি করে খাওয়া ফেরিওয়ালাদের চাইতে কতটা বেশি ছিল।

BANGLADESH- Not Yet Shonar Bangla নামে একটা প্রতিবেদন ছাপা হয় ১৯৭৩ সালের ০১ জানুয়ারী বিশ্বখ্যাত টাইম ম্যাগাজিনে।

time 1974 1 Time 1974 2

প্রতিবেদনটিতে তৎকালীন বাংলাদেশের অবস্থা তুলে ধরার পাশাপাশি আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হয়। তা হলো বাংলাদেশের অস্তিত্ব স্বীকার না করা এবং কোন প্রকার কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকা সত্ত্বেও ১৯৭২ সাল থেকেই পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছিল। সিঙ্গাপুর বন্দরের মাধ্যমে গোপনে দেশের মানুষকে না জানিয়েই এই বাণিজ্যিক কার্যক্রম সম্পাদন করা হত।

১৯৭৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারী ওআইসি সম্মেলনের প্রস্তুতি চলা কালে, জুলফিকার আলী ভুট্টো ঘোষনা দেন যে পাকিস্তান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে পারে শুধু একটা শর্তে। সেই শর্ত হলো যে ১৯৫ জন পাকিস্তানী সেনা কর্মকর্তা যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ বাংলাদেশ এনেছিল তার বিচারে বাংলাদেশ কোন পদক্ষেপ নিতে পারবে না। ২২ ফেব্রুয়ারী ১৯৭৪ সালে পাকিস্তান, ইরান এবং তুরস্ক বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়, শেখ মুজিবুর রহমান ওআইসি সম্মেলনে যোগ দেন।

পাকিস্তান থেকে ফেরার পথে বিমানবন্দরে সাংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের হত্যাযজ্ঞের বিষয়ে শেখ মুজিব কিছু তাৎপর্যপূর্ণ কথা বলেন। কথাগুলো নিচে ইংরেজিতে দেয়া হলো উইকিলিক্স থেকে। আমি বাংলা অনুবাদ করে দিলাম।

মার্কিন দলিলের সূত্রে জানা যায়, যখন মুজিবকে বাংলাদেশে পাকিস্তানী বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের কথা মনে করিয়ে দেয়া হয়, তখন মুজিব বলেছিলেন, ” আমি ঐ সব কিছু ভুলে যেতে চাই। আমি চাই আমার দেশের লোকেরাও সেই সব কথা ভুলে যাক। আমাদের নতুন করে শুরু করতে হবে। তুমি জানো যে, মানুষের স্মৃতিশক্তি সংক্ষিপ্ত।”

SheikhMujibon Pakistan

ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ নিয়ে মুজিব বলেন, “আমদের দক্ষিণ এশিয়ার তিনটি দেশকে ভালো প্রতিবেশির মতো থাকতে হবে। আমাদের সকল সমস্যার সমাধান করতে হবে শান্তিপূর্ণ উপায়ে”।

জুলফিকার আলি ভুট্টোর ব্যাপারে শেখ মুজিব বলেন,  আমি ভুট্টোকে সাহায্য করতে চাই। উনি আমার পুরোন বন্ধু। মুজিব আরও বলেন, “আমি ভুট্টোর সততায় মুগ্ধ। আমি আপ্লূত হয়েছি পাকিস্তানের জনগণের ভালোবাসায়। হাজারে হাজার পাকিস্তানী রাস্তার দুই ধারে দাড়িয়ে ছিল। তারা আমাকে মুজিব বলে ডেকেছে। ছেলে-মেয়েরা আবেগ নিয়ে হাত নেড়েছে যখন তারা তাদের পরিচিত কুর্তা-পায়জামা পরা অবস্থায় আমাকে তাদের মাঝে পেয়েছে।”

বন্দি পাকিস্তানী ১৯৫ জন সেনার ব্যাপারে মুজিব বলেছিলেন, “এব্যাপারে ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ একত্রে সিদ্ধান্ত নেবে দিল্লি চুক্তি মোতাবেক।”

সোর্স ঃ (http://www.wikileaks.org/plusd/cables/1974LONDON02652_b.html)

FRIENDLY COMMENTS ON PAKISTAN FROM SHAIKH MUJIB
Date:1974 March 1, 17:06 (Friday) Canonical ID:1974LONDON02652_b

1. EXCLUSIVE INTERVIEW WITH SHAIKH MUJIBUR RAHMAN
PUBLISHED IN THE TIMES FEBRUARY 29, BY KULDIP NAYAR,
TAKES VERY FRIENDLY LINE TOWARDS BHUTTO AND PAKISTAN.

2. AMONG QUOTES ATTRIBUTED TO SHAIKH MUJIB ARE: “WE
ALL THREE COUNTRIES IN THE SUB-CONTINENT HAVE TO LIVE
LIKE GOOD NEIGHBORS AND MUST SOLVE OUR PROBLEMS THROUGH
PEACE”.

3. ALSO: “I AM IMPRESSED BY MR. BHUTTO’S SINCERITY.
I AM OVERWHELMED BY THE LOVE AND AFFECTION SHOWN BY THE
PEOPLE OF PAKISTAN. THOUSANDS OF THEM LINED THE
ROUTE FROM THE AIRPORT TO THE VENUE OF THE ISLAMIC
SUMMIT. THEY CALLED ME BY MY NAME, MUJIB. THEY —
UNCLASSIFIED

UNCLASSIFIED

PAGE 02 LONDON 02652 011712Z

BOYS AND GIRLS ALSO — LUSTILY CHEERED ME WHEN THEY
SAW THE FAMILIAR KURTA-PYJAMA CLAD FIGURE AMONG THEM.”

4. WHEN REMINDED OF THE ATROCITIES COMMITTED IN
BANGLADESH BY PAKISTAN, MUJIB IS REPORTED TO HAVE
SAID: “I WANT TO FORGET ALL THOSE. I WANT MY PEOPLE
TO FORGET THOSE. WE HAVE TO START AFRESH. YOU KNOW
THAT PEOPLE’S MEMORY IS SHORT.” REVERTING TO BHUTTO,
MUJIB SAID: “I WANT TO HELP HIM. HE IS AN OLD FRIEND.”

5. MUJIB REFUSED TO DISCUSS THE QUESTION OF KASHMIR.

6. ASKED HOW SOON BANGLADESH WOULD HAVE DIPLOMATIC
TIES WITH PAKISTAN, MUJIB SAID, “VERY SOON”. HE
PARRIED QUESTIONS ON HOW PAKISTAN’S RECOGNITION OF
BANGLADESH HAD COME ABOUT.

7. AS TO FUTURE OF 195 POW’S, MUJIB SAID DECISION ON
THEM WOULD BE TAKEN BY INDIA, PAKISTAN AND BANGLADESH
IN ACCOREANCE WITH DELHI AGREEMENT. HE INDICATED
BANGLADESH ALREADY IN TOUCH WITH DELHI TO DECIDE TIME
AND VENUE OF CONFERENCE WHICH, ACCORDING TO HIM, WILL
BE AT THE FOREIGN MINISTER LEVEL FIRST, “AND THEN
WE SHALL MEET”.

8. WHEN TOLD THAT THERE WAS GROWING ANTI-INDIAN
FEELING IN BANGLADESH, HE REPLIED: “SOME VESTED
INTERESTS AND FOREIGN POWERS” WERE OUT TO CREATE BAD
BLOOD BETWEEN THE TWO COUNTRIES. HE SAID INDIA HAS
NOT INTERFERED IN BANGLADESH AFFAIRS AND VICE-VERSA.

ANNENBERG

UNCLASSIFIED

NNN

সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপ : বিপক্ষের যুক্তি

5

by শাফকাত রাব্বী অনীকঃ

প্রতি ৫ বছর পর পর সামরিক বাহিনীর দিকে অসহায়ের মতো তাকিয়ে থাকা জাতি পৃথিবীতে কম আছে। দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট উভয় প্রকার দুর্যোগে সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপ বাংলাদেশীরা খুব খুশি মনে মেনে নেন। রাজনৈতিক মতাদর্শের উভয় সাইডের পাবলিকদেরকে গত দশ বছরের কোন না কোন সময় সামরিক হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করতে দেখা গেছে। ফক-ইউ-আহমেদ-দের ২ বছরের শাসন আমলে দেশের সাধারণ মানুষদের একটি বড় অংশকে রীতিমতো সামরিক শাসন এনজয় করতেও দেখা গেছে।

শোনা যায় বর্তমানে দেশের একটা বড় জনগোষ্ঠি মনে প্রানে সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। ধারণা করা যেতে পারে খোদ সরকারপন্থীদের অনেকেও সামরিক হস্তক্ষেপ মেনে নেবেন। তারপরেও তারা বিরোধী জোটের হাতে ক্ষমতা দেবেন না।

এখন প্রশ্ন হলো সামরিক বাহিনী কি ভাবছে? দেশের যে পরিমান ক্ষতি ইতোমধ্যে হয়ে গেছে, যতো মানুষকে গুলি করে মারা হয়েছে, যতো মানুষ আগুনে পুড়েছে, যতো প্রকার নির্লজ্জ বিদেশী হস্তক্ষেপ হয়েছে, এবং সর্বোপরি জনমনে সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা যতোটা বেড়েছে, সাধারণ দৃষ্টিতে সামরিক হস্তক্ষেপ করার এর চাইতে বেশি যুক্তি সামরিক বাহিনীর প্রয়োজন হবার কথা না । তারপরেও সামরিক হস্তক্ষেপ হচ্ছে না কেন? রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে সামরিক বাহিনীর অনাগ্রহী হবার অনেকগুলো কারনের মধ্যে নীচের ইস্যু গুলো থাকবেঃ

– জেনেরালদের অনেকে মনে করেন প্রতি ৫ বছর পরপর সামরিক হস্তক্ষেপ করা কোন দেশের মিলিটারির দায়িত্ব হতে পারে না। আজকে এ দল নামাতে মাঠে নামলে, পাঁচ বছর পরে অন্য দল ঠেঙ্গাতে মাঠে নামা লাগবে। এর চাইতে চুপচাপ প্রফেশনালভাবে রাজনীতিবিদদের উন্মত্ততা দেখে গেলে এক সময় না এক সময় অযোগ্য রাজনীতিবিদরাই শেষ হয়ে যাবেন, অথবা নিজেদের অসুস্থ রাজনীতি পরিবর্তন করতে বাধ্য হবেন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চাপে।

– ১/১১ এর অভিজ্ঞতা সামরিক বাহিনীর জন্যে ভালো ছিল না। যদিও একথা সত্য যে সামরিক বাহিনীর কেউ কেউ ১/১১ এর সময় বেশ বাড়াবাড়ি করেছিলেন। কেউ হয়তো নিজের ইচ্ছায় একটু বেশি এডভেঞ্চার করতে গিয়েছিলেন, আর কেউ হয়তো অন্য কারও হুকুমে নিরুপায় হয়ে বাড়াবাড়ি করেছিলেন। ২০০৮-এর পরে কয়েক ডজন বিভিন্ন পর্যায়ের সামরিক কর্মকর্তাকে তাদের জীবনের নিরাপত্তায় বিদেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল। এদের বেশীর ভাগই এখন আছেন আমেরিকায়। এরা কবে দেশে ফিরতে পারবেন কেউ জানে না।

– ১/১১ এর পেছনে আমেরিকা ও ইন্ডিয়ার ভুমিকা ছিল বলে অনেকে মনে করেন। কিন্তু আশ্রয় নেবার ক্ষেত্রে আমেরিকাকেই বেছে নিয়েছেন সামরিক বাহিনীর অনেকেই। আমেরিকানরা গ্রিন কার্ড কিংবা অন্যকোন বিশেষ ব্যাবস্থায়  নিয়ে গেছে ১/১১ এর বিতর্কিত মিলিটারি কর্মকর্তাদের। কিন্তু আমেরিকা তাদের জীবনের নিরাপত্তা দেবার বাইরে আর বেশি কিছু দেয়নি। একারণে কর্মকর্তাদের অনেকেই ছোটখাটো কাজ করে আমেরিকায় কষ্টকর জীবন যাপন করছেন। একজন অত্যন্ত ক্ষমতাবান সামরিক ব্যাক্তি পিজ্জা ডেলিভারির কাজ করতে যেয়ে ক্যামেরা বন্দি হয়েছিলেন নিউ ইয়র্কের বাংলা পত্রিকায়। এসব অভিজ্ঞতা সামরিক বাহিনীর জন্যে সুখকর নয়।

– পরিবর্তিত সংবিধানে সামরিক হস্তক্ষেপের শাস্তি মৃত্যুদন্ড পর্যন্ত হতে পারে। সামরিক বাহিনীর জেনেরালরা জানেন যে কোন না কোন দিন আজকে যাদের সরিয়ে দেয়া হবে, তাদের দল আবার ক্ষমতায় ফিরে আসতে পারে। তখন এসে বিচার শুরু করলে, দেশের উভয় রাজনৈতিক দলের কাছ থেকেই কোন সাহায্য নাও পাওয়া যেতে পারে। সামরিক কর্মকর্তাদের চাকরি জীবনের ও ক্ষমতার রিটায়ারমেন্ট আছে। রাজনীতিবিদদের কোন রিটায়ারমেন্ট নেই। একারণে রাজনীতিবিদদের প্রতিশোধ নেবার সুযোগ ও সময় থাকে অফুরন্ত।

– বর্তমান বিএনপির উপর সামরিক বাহিনীর ডানপন্থীদের অনেকেই খুশি না। ফারুক-রশিদ-ডালিমদের পরিনতি সামরিক বাহিনী দেখেছে। বিএনপির শাসন আমলের পুরোটা সময় ফারুক-রশিদদের অনেককেই জেলে থাকতে হয়েছে। অনেকের দৃষ্টিতে ফারুক-রশিদদের সৃষ্ট ইতিহাসের পূর্ণ রাজনৈতিক বেনিফিট বিএনপি পেলেও, বিএনপি প্রতিদান স্বরূপ ফারুক-রশিদদের দুঃসময়ে পাশে এসে দাঁড়ায়নি। তাদের বিচার শুরু হয়ে যাবার পরে বিএনপির নিরবতাকে অনেকেই মেনে নিতে পারেননি। এই ঘটনায় অনেকে মনে করেন রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির সুবিধাবাদিতা ফুটে উঠেছিল। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, বর্তমান সময়ের বিভিন্ন ইস্যুতেও বিএনপি নিরবতাপালন করেই চলেছে। যা অনেকের চোখে সুবিধাবাদিতা হিসেবে ধরা দিচ্ছে। সামরিক বাহিনীর কেউ মনে করতেই পারেন বিএনপি কখনই সেই সব মানুষের পাশে দাঁড়ায় না, যারা এই দলটির জন্যে রিস্ক নেয়।

– সামরিক বাহিনীর জীবন সব সময়ই সিভিলিয়ানদের থেকে ঝামেলা মুক্ত ছিল। হরতাল অবরোধ হানাহানি তাদের স্পর্শ করতো না আগেও, এখনও করে না। এই নির্ঝঞ্ঝাট জীবনে এখন যোগ হয়েছে বিদেশে যেয়ে হালাল টাকা রোজগারের উপায়। একারণে দেশীয় রাজনীতির ঝামেলায় জড়িয়ে পরার কোন কারণ সামরিক বাহিনীর অনেকে দেখেন না।

– বিভিন্ন বিদেশী রাষ্ট্রের প্রভাব বেড়েছে সামরিক বাহিনীর উপর। একটি দেশ না, একাধিক দেশ। জাতিসংঘের নিয়ন্ত্রণও বেড়েছে, কেননা জাতিসংঘ সেনাবাহিনীর সার্ভিস নিয়ে থাকে। অনেক বেতন দেয়। জাতিসংঘ চায় না তাদের ভাড়া করা সেনাবাহিনী কোন দেশে ক্ষমতা দখল করুক। বিদেশী রাষ্ট্রের কিংবা গোষ্ঠির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব সামরিক বাহিনীর রাজনীতি নিয়ে মাথা ঘামানো দুরূহ করে দিয়েছে।

বাস্তবতা হচ্ছে, রাজনীতি বিমুখ হয়ে বাংলাদেশের সেনা বাহিনী যদি সত্যিই তাদের প্রফেশনাল ইমেজ বজিয়ে রাখতে পারে, তাহলে দেশের দীর্ঘ মেয়াদী লাভ হবে। তবে সেনা বাহিনীর উচিত হবে সব সময় খেয়াল রাখা তারা যেন পুলিশ, র‍্যাব, কিংবা বিজিবির মতো ঠ্যাঙ্গারে বাহিনী হিসেবে কোনও রাজনৈতিক শক্তির দ্বারা ব্যবহৃত না হন। সাধারণ মানুষকে কিংবা যে কোন দলের রাজনৈতিক কর্মীদের যেন তাদের হাতে কোনদিন গুলি খেয়ে মরতে না হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার একমাত্র স্তম্ভ হচ্ছে আমাদের সেনা বাহিনী। সকল দল ও মতের মানুষের সাথে সেনা বাহিনীর সুসম্পর্ক থাকা একারণে খুবই জরুরী।

আজ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে। সেনাবাহিনীর উচিত হবে কোন ভাবেই দেশের গ্রামীণ জনগোষ্ঠির সাথে সরাসরি মারামারিতে জড়িয়ে না যাওয়া। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ধরে রাখতে হলে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সাথে সেনা বাহিনীর নিবিড় আস্থার সম্পর্ক প্রয়োজন। কোন একটি রাজনৈতিক সরকারের হঠকারিতায় এই আস্থায় যেন চিড় না ধরে তা সেনা বাহিনীকেই নিশ্চিত করতে হবে।

মহিলা ডিপ্লোম্যাট উলঙ্গ করা নিয়ে ভারত ও আমেরিকার টানাপোরন

5

By শাফকাত রাব্বী অনীকঃ আজকের ভারতীয় মিডিয়া পড়লে মনে হবে যে কোন কারণ ছাড়াই আমেরিকানরা ভারতীয় নারী কূটনীতিকদের ধরে উলঙ্গ করে ছেড়ে দিচ্ছে নিউ ইয়র্ক শহরে। আর একারণেই প্রতিবাদে ফেটে পরেছে ভারতীয় মিডিয়া। দেশপ্রেমের উন্মাদনায় ঝাপিয়ে পরেছে নব্য ডলারের স্বাদ পাওয়া ভারতীয় মিডলক্লাস। আর পাশে দাড়িয়ে তালি বাজাচ্ছে খোলা আকাশে বড় কাজ সাড়া দলিত-ক্লাস। এই ঘটনাকে বাংলাদেশের অনেকে ভারতীয়দের দেশপ্রেমের অনন্য উদাহরণ ভেবে রোমান্টিকতায় ভুগছেন।

মূল ঘটনা কি হয়েছিল বলছি। ভারতের ৩৯ বছরের মহিলা ডেপুটি কনসাল জেনেরাল দেবযানী খোবরাগাডেকে নিউ ইয়র্কের পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল ভিসা জালিয়াতির অভিযোগে। ভদ্রমহিলা ভারত থেকে কাজের মহিলা এনেছিলেন ভিসার মাধ্যমে। ভিসার এপ্লিকেশনে উল্লেখ করেছিলেন ঘন্টায় ৯ ডলার ৭৫ সেন্ট বেতন দিবেন। নিউ ইয়র্কে বৈধ ভাবে কাউকে ৭ ডলার ৫০ সেন্ট এর নিচে বেতন দেয়া যায় না। ঘটনাক্রমে আমেরিকানরা জেনে গিয়েছিল যে কাজের মহিলাকে ঘন্টায় মাত্র ৩ ডলার বেতন দিচ্ছেন দেবযানী। ব্যাস, নিউ ইয়র্ক পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়েছিল দেবযানীকে।

আমেরিকান থানা হেফাজতে ঢুকানোর আগে উলঙ্গ করে শরীর চেক করা হয়। শরীরের কোন বিশেষ গহবরে টাকা-পয়সা, ছোট্ট চাকু, বিষ, ড্রাগস ইত্যাদি লুকানো আছে কিনা তা দেখার জন্যেই মনে হয় এমন স্ট্রিপ সার্চ করা হয়। একে বেশ ডিটেইল চেক-আপ বলা যেতে পারে। দেবযানী ভদ্রমহিলাকেও ঠিক এভাবেই চেক-আপ করা হয়েছিল বলে ধারণা করা যায়। ভদ্রমহিলাকে  যে থানা হাজতে রাখা হয়েছিল সেখানে রুমমেট হিসেবে উনি পেয়েছিলেন ড্রাগস ও পতিতাবৃত্তিতে নিয়োজিত আরো কিছু ভদ্র মহিলাকে। নিউ ইয়র্কের প্রেক্ষাপটে এটাও কোন অস্বাভাবিক ঘটনা না।

দেবযানী বিষয়ক উপরোক্ত খবর ভারতীয়দের জানানোর সময় ভারতের মিডিয়া বেশ চালাকি করেছে। কি কারণে ভদ্রমহিলাকে হাজতে নেয়া হয়েছিল তা আড়াল করে, কেন তাকে উলঙ্গ করে চেক করা হয়েছে এবং কেন পতিতার সাথে একই হাজতে রাখা হয়েছে তা নিয়েই বেশি আলোচনা হচ্ছে। উলঙ্গপনা ও পতিতাবৃত্তি — এই দুটো বিষয় ভারতীয়দের বেশ টাচ করে।

তবে একটা বিষয়ে আমি ভারতীয়দের সাথে একমত। এই পুরো ঘটনায় দেবযানীকে আমেরিকানরা  ডিপ্লোম্যাট হিসেবে একটু খাতির করলেই পারতো । তার অপরাধ যাই হোক না কেন। বিশেষ কোন একটা কারণে আমেরিকানরা তাকে ডিপ্লম্যাটের সুযোগ-সুবিধা দেন নাই। এটা ভারতীয় পররাষ্ট্রনীতির জন্যে একটা চাঞ্চল্যকর এবং আশংকাজনক বিষয়। কেন এমনটা হলো তা এখনই নিশ্চিত হয়ে বলা যাবে না।

ইদানিংকালে বেশ কিছু বিষয়ে ভারতের সাথে আমেরিকানদের ডিপ্লোম্যাটিক সম্পর্ক শীতল হয়ে উঠছিল। ভারতের জন্যে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ইস্যু আছে। সর্বাধিক গুরুত্বের দিক থেকে চিন্তা করলে, চীন, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, মায়ানমার বিষয়ক ইস্যু তে আমেরিকার সাথে ভারতীয়রা দরকষা কষি করে। এর মধ্যে কোন কোন ইস্যুতে ভারত বর্তমানে আমেরিকা ও আন্তর্জাতিক কমিউনিটির বেপরোয়া বিরোধিতা শুরু করেছে।

ভারতের রাজনীতিতে এখনো আমেরিকা বিরোধী মনোভাব ভোটের সংখ্যা বাড়ায়। সামনে ভারতে নির্বাচন। ঐতিহাসিক ভাবে আমেরিকা-বিরোধী রাজনৈতিক দল কংগ্রেস এখন ক্ষমতায়। তাদের রাজনৈতিক অবস্থা আমাদের শেখ হাসিনার চাইতে একটু ভালো। তবে খুব বেশি ভালো না। অর্থাৎ কংগ্রেসের আবার ভোটে জিতার সম্ভাবনা অনেকটাই কম। একারণে যে কোন উছিলায় এন্টি-আমেরিকান মনোভাব দেখিয়ে ভোট বাড়ানোর চেষ্ঠা করে থাকতে পারে নোংরা-রাজনীতির জন্যে বিখ্যাত কংগ্রেস পার্টী। আর কংগ্রেস যদি আমেরিকার বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলে, তাহলে হিন্দু-মৌলবাদী বিজেপি নিজেদের আমেরিকা-পন্থী মনোভাব ঢাকতে কংগ্রেসকেই ফলো করবে, এটাই স্বাভাবিক।

ভারতীয়রা অতি উৎসাহী হয়ে বেশ কিছু এন্টি-আমেরিকান কান্ড ঘটিয়েছে। তুলনামূলকভাবে কম গুরুত্ব সম্পূর্ণ কয়েকজন আমেরিকান কংগ্রেসম্যান এই মুহূর্তে ভারত সফরে আছেন। ভারতের শীর্ষ নেতা-নেত্রিরা এদের সাথে দেখা করেননি। ভবিষ্যতের সম্ভাব্য দুই প্রধান মন্ত্রী রাহুল গান্ধী এবং নরেন্দ্র মোদী উভয়েই একই কাজ করেছেন। এই প্রতিবাদটা যদিও বেশ ভদ্র প্রতিবাদ। ভারতীয়রা এখানে থামলেই ভালো করতো। কিন্তু তা না করে, ভারতীয়রা আরও কিছু বাড়াবাড়ি প্রতিবাদ করেছে। আমেরিকানদের কাজের লোকের বেতনের রিসিট তলব করেছে, মদ ও বিলাসী পন্য আমদানির ক্ষমতা বিলোপ করেছে, আইডী কার্ড কেড়ে নিয়েছে, আমেরিকান স্কুলের টিচারদের বেতন ও ট্যাক্স নিয়ে ঘাটাঘাটি শুরু করেছে। এগুলোকে আপাতত দৃষ্টিতে খুব বাহবা দেবার মতো প্রতিবাদ মনে হলেও, ভারতের অর্থনীতির আমেরিকা নির্ভরতা বিচার করলে এগুলো আসলে নির্বোধের প্রতিহিংসা ছাড়া আর কিছু না। ভারত সব চাইতে বাড়াবাড়ি করেছে আমেরিকান এম্বাসির নিরাপত্তা ব্যাবস্থা শিথিল করে দিয়ে। এটা মারাত্মক রকমের একটা বেয়ারা আচরন। বিদেশী অতিথির নিরাপত্তা প্রত্যাহার খুবই নিচু শ্রেণীর মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ।

এতো হম্বি তম্বি করার সময় ভারত হয়তো ভুলে যাচ্ছে যে তারা কিন্তু চীন না। ভারতের হাজার হাজার আইটি কর্মী তীর্থের কাকের মতো আমেরিকায় কাজের প্রত্যাশায় এখনও বসে থাকে। ভারতের কয়েকটা প্রদেশের দু’বেলার খাদ্য জোটে আমেরিকানদের সাথে টেলিফোনে কথা বলে। আমেরিকান বিলাসী প্রেমিকা কিংবা স্ত্রীরা তাদের প্রিয় পুরুষের বীর্য শিশিতে করে ভারতে পাঠিয়ে দেন। তারপরে ভারতীয় মহিলারা সেই বীর্য তাদের শরীরে ভরে ১০ মাস ১০ দিনের ডেলিভারি সারভিস দেন। এর নাম ম্যাটারনিটি আউট সরসিং। ভারতের অনেক হিট সিনেমার শুটিং আমেরিকায় করার জন্যে বাইজীর বহর নিয়ে ভারতীয়রা আমেরিকায় যায়।

আমেরিকা নির্ভরতার উপরের উদাহরনের আলোকে বলা যায়, ভারতীয়দেড় মাত্রাতিরিক্ত রিয়াকশোন দেখানোর ফলাফল হবে খুবই সিম্পল। চিরাচরিত ভারতীয় কায়দায়, ভারতের কোন শিংকে আমেরিকা এসে আমেরিকান কারো কাছে মাফ চেয়ে যেতে হবে খুব শিঘ্রই। এটাই হলো বাস্তবতা। একারণে খামাখা এতোটা হম্বি তম্বি না করলেই পারতো ভারত।

পরিমিতিবোধ জিনিসটি ভারতীয়দের শুধু টাকাকড়ি বিষয়ক কিপ্টামিতেই সীমাবদ্ধ। বোঝা যাচ্ছে ভারতীয় সিনেমার মতোই ভারতীয় ডিপ্লমেসিতেও পরিমিতি বোধের অভাব প্রকোট। প্রতিহিংসাপরায়নতাও ভারতীয় টিভি সিরিয়ালের মতো তাদের ডিপ্লোম্যাসিতে ঢুকে পড়েছে। বাংলাদেশিরা এই বিষয় গুলো বেশ ভালোই জানেন। এখন আমেরিকানরাও জানলো। ঘটনার টাইমিং এবং প্রেক্ষাপট বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রভাব ফেললেও অবাক হবো না।

Bangladesh’s Pro-Government Supporters : Are they Intellectually defendable?

1

https://www.facebook.com/photo.php?v=657179600971982

By Shafquat Rabbee:

Although decreasing in number, openly enthusiastic defenders of the current Bangladesh government should find their defense of the government intellectually un-defendable. The ruling Awami League, which traditionally have been a center-left political party, with a massive organization from the cities to the rural towns, is behaving more like a cult of delusional suicide-teens, following an increasingly demented leader.

Gone are the concerns for ever having to contest in a democratic election or care for human rights and dignity. Even self-interest driven concern for preservation of wealth accumulated during the last 5 years seems to be missing among the ruling class. With ever increasing political brinkmanship, which defies popular and global will (excluding that of India’s), the Awami League supporters are now running the risk of losing both their “tangibles” and “intangibles”, if/when Sheikh Hasina, leaves the scene — willingly or unwillingly.

In this write-up, a few key examples of intellectual bankruptcy of the Awami League supporters will be highlighted. It is to be noted that, by Awami League supporters, one has to take into consideration its coalition partners, most of who are from a number of communist parties. Besides the communists, there are the new kids-in-town: the Shahabag movement youth– popularly known as the Shahbagis. All of these elements of the Bangladeshi political spectrum are now can safely be deemed as “pro-government”.

Tricky waters of Caretaker:

Pakistan, the country from which Bangladesh earned its independence only 42 years ago, has just held its general election using a Caretaker government in 2013. It is to be noted, Bangladesh’s political disharmony is almost as chaotic as that of Pakistan; absent just the car-bombs and the Talebans. Another South-Asian country Nepal, which is almost equal in land size as Bangladesh, is using a Caretaker administration to fix its constitution. And of course, Bangladesh, one of the laboratories of the Caretaker system for poll time administration, had held 4 of its last 23 years’ general elections using caretaker administrations. Yet, fully knowing the South Asian and Bangladeshi realities, the government supporters and intellectuals, are now supporting complete abolition of the caretaker system based on a court verdict.

One has to remember that only 7 years ago, the Awami League did not accept a university professor and another retired Chief Justice, both with solid professional track records, as the head of caretaker/poll time administration, accusing them of being partisan. Yet, the same Awami League now has no qualms forcing its own leader, Sheikh Hasina, as the head of the poll time administration, as both a player and a referee in the upcoming national election!

“Fetish” over the constitution:

Several scientific polls conducted by globally respected polling firms have shown solid 80% support for the caretaker government system in Bangladesh. Even Awami League’s own poll, conducted by party sympathizer Aly Zaker / Iresh Zaker’s polling firm MRC Mode showed more than 70% support for the caretaker government. Yet, the Awami League and its supporters defend the abolition of the caretaker system, taking their fetish-like adherence to the constitution.

It has become a habit of the government supporters to state that the election will be held “as per the constitution”. However, no one ever states the fact that the very constitution in question was changed only a year ago. And comically, the same people who changed the constitution are now defending tooth-n-nail the amended constitution, clearly defying more than 70% of the popular will!

The government’s handling of the constitution have become so farcical, that Sheikh Hasina, herself has now become the constitution! Often time several key senior leaders and eminent pro-government scholars have been noticed saying sentences as follows: “Things will happen as per the constitution, but if Sheikh Hasina wants, she can decide to entertain opposition demands … …!!” Translation: Sheikh Hasina can always find her preferred way, as long as the constitution is concerned.

Hindu minority oppression by the government goons:

The Awami League, as a party is known to be popular among the Hindu population of the country. Yet, they pro-government supporters go silent when there were glaring evidences suggesting that the Hindu minority population of the country were victims of heinous crimes committed by the local leaders of the Awami League. Case in point, there were clear evidence of involvement of a Minister’s supporters in burning of several Hindu houses in Pabna. Several venerable dailies, including the Daily Star, published photos of goons responsible for the Hindu house burning incidence, standing right behind a Minister in a political procession. Yet, the pro-government supporters remained quiet in general.

There are several other instances of Hindu minority oppressions in the hands of the government party operatives. For example, an eminent TV journalist Anjan Roy’s ancestral land was illegally taken away by pro-government goons. Anjan Roy, himself being deemed as a pro-government intellectual, eventually took up his pen to write Op-editorials detailing his sad situation. Such land related issues between Hindu minority and the pro-government goons are widespread across Bangladesh at the moment. Yet, very few pro-government supporters have been seen voicing the issue, despite the fact that the Awami League often claims itself to be the protector of the Hindu minority,

Super-partial defense of human rights:

It started with the arrest of four bloggers who were victims of the government’s uncivilized detentions according to international standards, after they published religiously offensive rants. The pro-government supporters voiced strong oppositions and protested those arrests citing those very standards. However, these same supporters then became ecstatic when another writer cum Editor of a national daily, Mahmudur Rahman, was not only illegally detained, but also remanded and tortured by the government forces, violating all internationally accepted standards.

Then came the night of 5th May, where the government supporters logically and validly criticized some of the violence orchestrated by the Hefajot activists. However, these same individuals became ecstatic when the government very clearly violated international norms of crowd control and used excessive force on that fatal night of May 5th, for which the death toll is still a matter of serious contention.

Defying all international norms and protests, these same government supporters were happy when the government arrested Bangladesh’s leading Human Rights activist Adilur Rahman for merely carrying out and providing an estimate of the death toll on the night of May 5th.

Currently the government supporters are validly and reasonably concerned about the bus-arsons and countrywide violence during the days of anti-government protests. However, these same folks are not questioning the excessive use of force, i.e., rubber bullets, metal bullets, which are being randomly shot by the police all across the country to disperse even the most regular of street protests. Point to note, direct firing of bullets was never a common occurrence in Bangladesh before the current government. In fact, there was even a myth among the political activists in Bangladesh that “a minister’s signature is necessary before police can open fire”. No such myth exists no more!

Making matters even more horrific, plain clothed gun-men (as seen in the picture above), are shooting unarmed protesters from point-blank distance. Many of the guns are allegedly from the legitimate government forces, but their bearers are often not known,. Government party leaders have been seen wearing government forces uniforms, according to eye witnesses. Yet, no government supporting intellectual questions such wanton violation of police norms and human rights!

Disregard for almost every international institution:

The situation has become so reckless and unprofessional, that the government supporters and party operatives ridicule and question the credibility of almost every international organization; let that be Human Rights Watch, Amnesty International, The Economist, The Guardian, The New York Times, The House of Lords or The European Parliament. Almost any observer that voices any concern about issues that the pro-government folks care, gets the accusation that it was bought by money! There are no qualms about professional dignity or concerns.

The latest episode of such delusion was visible when The New York Times published a very direct editorial criticizing the Bangladesh government for its blatant abuse of human rights. The pro-government folks immediately accused The New York Times for being bought with money!

In this delusional state of affairs, the pro-government supporters appear almost like a group of paranoid schizophrenics, who believe that a global web of conspiracy is buying-off everything to destroy what the Awami League finds near and dear!

Emotional and intellectual bankruptcy of the pro-government supporters, intellectuals, and media personnel have created a situation where the most legitimate of grievances of the opposition camp is being suppressed in the crudest of manners. Such humiliating disregard for human rights and dignity can only result in radicalization and irreparable division among the population, where the moderate and the centrists will take the side line, and only the extremists will collide.

We are sitting on a ticking time bomb, and all relevant parties should be strongly warned.

জাফর স্যারের পদত্যাগ ও আমার বাজিতে হেরে যাওয়া

26

শাফকাত রাব্বী অনীকঃ   চেতনার ফেরিওয়ালা ও শাহাবাগী উন্মাদনার অভিবাবক ড: জাফর ইকবাল স্যার পদত্যাগ করেছেন বলে খবর বেরিয়েছে। যদিও এখনো নিশ্চিত না উনি আসলেই পদত্যাগ করেছেন, নাকি শুধু “পদত্যাগের অভিপ্রায়” জানিয়েছেন।মনে রাখা প্রয়োজন, স্যার যদি শুধুমাত্র “পদত্যাগের অভিপ্রায়” জানিয়ে থাকেন, তাহলে উনার মুরুব্বিদের আওয়ামী মন্ত্রিসভার মতো উনিও নিশ্চিন্তে আজীবন পদত্যাগী প্রফেসর হিসেবে তার কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন। বাড়তি সুবিধা হিসেবে খামাখা আর ক্যাম্পাসে যেতে হবে না।

চেতনার ফেরীওয়ালার জাফর স্যারের আকস্মিক পদত্যাগ নিয়ে একটা ইংরেজি স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। মেজাজ খুব বেশি খারাপ থাকায় ড: জাফর স্যারকে “ফাপর দালাল” ডেকে বসেছিলাম। এটা নিয়ে কিছু শাহাবাগী ভদ্রলোক খুব মাইন্ড করেছিলেন। আমার সভাবসুলভ লেখায় ব্যক্তিগত গালি গালাজ সাধারনত থাকে না। একারণে জাফর স্যারকে “ফাপর দালাল” ডাকার কাজটি করে নিজেরও ভালো লাগছিলো না। একারণে শাহাবাগী মানুষ ও নরমাল মানুষ – সবার কাছেই নি:শর্ত মাফ চেয়ে নিচ্ছি।

প্রায় বছর খানেক আগে জাফর স্যারের রিসার্চের দৌড় কতদূর তা নিয়ে একটু ঘাটাঘাটি করার অভিজ্ঞতা হয়েছিল। তখন খুব অবাক হয়ে বুঝতে পেরেছিলাম জাফর স্যার আন্তর্জাতিক তো দুরের কথা, দেশীয় কোন জার্নালেও তেমন উল্লেখ করার মতো কোন রিসার্চ পাবলিকেশন করেননি ১৯৯২-২০১২ সালের মধ্যে। স্যারের নিজস্ব বিশ্ববিদ্যালয় পেইজ থেকে স্যারের গবেষনার যে তালিকা আছে তাতে দেখা যায় তিনি ১৯৯২-২০১২ এই ২০ বছরে সিলেট থেকে প্রকাশিত একটা জার্নালের বাইরে আর কোথাও কিছু পাবলিশ করেননি। ৯২ এর পরে স্যারের গবেষনার কাজ সংখ্যায় খুবই অপ্রতুল। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত যে জার্নালে স্যারের কিছু লেখা এসেছে, সেই জার্নালের এডিটর আবার জাফর স্যার নিজেই।তবে নিজের এডিট করা জার্নালেও স্যার বিজ্ঞান বিষয়ক লেখা ছাপিয়েছেন সাকুল্যে ৪-৫টি, তাও দীর্ঘ ২০ বছরে। স্যারের নিজের পেইজ থেকে রিসার্চের তালিকা দেয়া হলো।

http://www.sust.edu/department/eee/index.php/en/faculty/88-dr-muhammed-zafar-iqbal

বলা বাহুল্য, স্যারের ১৯৯২ সালের আগে বেশ কিছু বিজ্ঞান বিষয়ক একাডেমিক লেখা রয়েছে।তবে নব্বই এর দশকের শুরুর দিকে জাফর স্যার আমেরিকায় বিজ্ঞান গবেষনার ঝামেলাপূর্ণ কাজ বাদ দিয়ে বাংলাদেশে ফেরত চলে আসেন। তখন থেকে তিনি সাদা মানুষ তৈরির কারখানা, ভারতের বন্ধু-সভা, এবং চেতনা ব্যবসায় ফুলটাইম মনোনিবেশ করেন।

যে কেউ http://www.jstor.org , http://www.pubmed.com এবং http://www.ncbi.nlm.nih.gov/pubmed/ — ইত্যাদি রিসার্চ ডাটাবেজ ঘেটে স্যারের কোন সাম্প্রতিক পাবলিকেশন খুঁজে পাবেন না। উপরোক্ত সাইটগুলি কি জিনিস যারা জানেন না, তাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি, এই ডাটাবেজে যদি আপনার পাবলিকেশন খুঁজে পাওয়া না যায়, তাহলে মোটামোটি ভাবে নিশ্চিত হতে পারেন আপনার রিসার্চ আন্তর্জাতিক ভাবে সীকৃত হবার সম্ভাবনা খুবই কম। স্যারের উইকিপিডিয়া পেইজ http://en.wikipedia.org/wiki/Muhammed_Zafar_Iqbal এও উল্লেখযোগ্য কোন সাম্প্রতিক রিসার্চের খবর নেই।

এক্ষেত্রে উল্লেখ করতে হবে, কয়েক বছর আগে একটি সংস্থা বাংলাদেশে বিজ্ঞান বিষয়ে একাডেমিক অবদান রাখার জন্যে ড: জাফর স্যারকে পুরস্কার দিতে চেয়েছিল। পুরস্কারের ক্যান্ডিডেট যাচাই বাছাই করার সময় সংস্থাটি জানতে চেয়েছিল জাফর স্যারের বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নাল পাবলিকেশন কতোদূর কি আছে। সেই কমিটিতে ছিলেন এমন একজন আমাকে জানিয়েছেন যে, স্যারের বিজ্ঞান বিষয়ক লেখার উদাহরণ হিসেবে কে-বা কাহারা নাকি একগাদা শিশুতোষ বৈজ্ঞানিক কল্প-কাহিনীর তালিকা পাঠিয়েছিল। বলাই বাহুল্য বিজ্ঞান বিষয়ে আন্তর্জাতিক মানের পাবলিকেশন পাওয়া না যাওয়ায় জাফর স্যারকে একাডেমিক পুরুস্কার দেবার ব্যাপারে সে সংস্থা তখন আর এগুতে পারেনি।

আমার গতকালকের স্ট্যাটাসের কমেন্টস সেকশনে একজন ছোট ভাইকে চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলাম যে সে যদি গত ২০ বছরে জাফর স্যারের একটি পাবলিকেশন বেড় করতে পারে যা কোন একটা আন্তর্জাতিক জার্নালে বের হয়েছে, তাহলে আমি আমার স্টাটাসটি তুলে নেব। কেননা স্টেটাসে আমি অভিযোগ করেছিলাম যে শিক্ষকতা কিংবা গবেষণা করা এই জাফর স্যারের মেইন বিজনেস না। খুব ইন্টারেষ্টিং ভাবে গতকাল জাফর স্যারের একজন ভক্ত স্যারের প্রকাশিত একটা লেখা খুঁজে বের করেছেন যা “সেন্ট্রাল ইউরোপিয়ান জার্নাল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং” এ পাবলিশ করা হয়েছে ২০১২ সালের মে মাসে । আমার চ্যালেঞ্জ-এ আমি জার্নালের কোয়ালিটি নিয়ে কোন কন্ডিশন দেইনি। অর্থাৎ ভুয়া জার্নাল হলেও মেনে নিবো এমন আভাস দিয়েছিলাম। একারণে এই লেখাটি আবিষ্কার হয়ে যাওয়ায়, নির্দিধায় মেনে নিচ্ছি যে আমি টেকনিকালি হেরে গেছি আমার দেয়া বাজিতে। কেননা আমি বলেছিলাম যে ২০ বছরে মাত্র একটা লেখা পাওয়া গেলেই চলবে। ২০ বছরে স্যারের ঠিক একটা “আন্তর্জাতিক” লেখাই পাওয়া গেছে!

২০ বছর সাধনা করে জাফর স্যার যে একটি মাত্র “আন্তর্জাতিক” জার্নালে লিখেছেন তার ওয়েব সাইট ও এডিটর এর নাম-পরিচয় নিচে লিঙ্কে দেয়া হলো। জানা গেল যুক্তরাস্ট্রের “ওল্ড ডমিনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয়ের” জনৈক আহমেদ কে নুর এই সেন্ট্রাল ইউরোপিয়ান জার্নালের এডিটর! আনা কয়ালাস্কা নামক জনৈকা ভদ্রমহিলা, যিনি পোল্যান্ডের “রকলাও ইউনিভার্সিটিতে” কাজ করেন, তিনি হচ্ছেন ম্যানেজিং এডিটর। জার্নালটির কোন “ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর” নেই, যা কিনা জার্নালের গুরুত্বের একক হিসেবে পরিচিত। সাইটেশন নেই বললেই চলে। যারা এটা প্রকাশ করেন, সেই কোম্পানির ওয়েব সাইটে গিয়ে জানা গেল শুধু ইঞ্জিনিয়ারিং না, তাদের কোম্পানি জ্ঞান বিজ্ঞানের খুব কম ডিসিপ্লিন বাকি আছে যার উপর জার্নাল প্রকাশ করেন না। অনেকগুলোই “অনলাইন” জার্নাল, যার কোন প্রিন্ট কপি নাই।

জার্নাল কোম্পানিটির লিংক: http://versita.com/serial/ceje/#tabs-editorial

যাই হোক, জাফর স্যার চেতনা বাণিজ্য করার নানা ব্যস্ততার মাঝে , সুদীর্ঘ ২০ বছর পরে “সেন্ট্রাল ইউরোপের” একটি অনলাইন জার্নালে যেহুতু বিজ্ঞান বিষয়ে একটা পেপার লিখেছেন, একারণে বলতে হবে আমি আমার দেয়া বাজিতে টেকনিকালি হেরে গিয়েছি। একারণে বাজির শর্ত অনুসারে আমার আগের দেয়া স্টেটাসটি তুলে নিলাম।

মানী লোকের সম্মান হানি করে কথা বলা আমার স্টাইল না। জাফর স্যারকে কটু কথা বলে যাদের দু:খ দিয়েছি, তাদের কাছে আবার ক্ষমা চেয়ে নিলাম। তবে খুব মজা লেগেছে যখন দেখেছি দেশের যাবতীয় মানুষের নাম বিক্রিতকারী, ড: ইউনুসের অপমানকারী, কাদের সিদ্দিকিকে অপমানকারী–শাহাবাগির দল আমার হাতে তাদের প্রাণ প্রিয় জাফর স্যারের অপমান কোনভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না।

ফ্যানাটিকদের একটা বড় বৈশিস্ট হলো তারা নিজেদের কখনো আয়্নায় দেখে না।

নভেম্বর ২৭, ২০১৩

ন্যান্সির বাসায় পুলিশ ও প্রথম আলোর রিপোর্ট

20131030-082450.jpg
দৈনিক প্রথম আলো মারফত জানা গেল যে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পি, বেগম খালেদা জিয়ার ডাকা আন্দোলনের ফেইসবুক স্ট্যাটাস যোদ্ধা, ন্যান্সির বাসায় পুলিশ গিয়েছিল জামাত শিবির ও ছাত্রদলের সন্ধানে।

বিচার বুদ্ধি প্রয়োগ করলে পরে বুঝা গেল যে, ন্যান্সি ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিবার পর থেকেই ছাত্রদল ও শিবিরের সাথে তার সখ্য নিদারুণ ভাবে বেড়ে যাবার আশংকার কারনেই হয়তো হঠাত এই অভিযান।
Continue Reading

খালেদা ঠিক কি কি বললে ফোনালাপ ফলপ্রসূ হতে পারতো : পলিটিকাল স্যাটায়ার

Image

হাসিনাঃ আপনার রেড ফোনে অনেক বার কল দিয়েছি। আপনি ইচ্ছা করে রেড ফোন নষ্ট করে রেখেছেন। আমার কল ধরেননি।

খালেদাঃ জি, ঠিক বলেছেন। আসলে হয়েছে কি, সাদেক হোসেন খোকা দা-কুড়াল নিয়ে আমার বাসায় এখন লুকিয়ে আছে। তো কোরবানির দিন খোকা আমার রেড ফোনটাকে গরুর মাংসের দলা ভেবে কোপ মেরেছে। তাই ফোনটা এখন নষ্ট। সুস্থ আলোচনার স্বার্থে আমার ফোনটা মেরামত করে দিলেই পারেন।
Continue Reading

প্রশ্ন: সুশীল কত প্রকার ও কি কি?

উত্তর: সুশীল পাঁচ প্রকার। নিম্নে প্রত্যেক প্রকার সুশীলের বিষয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো:

১) ক্যুশীল: সেনাসমর্থিত সরকারের পক্ষে কাজ করা সুশীল। সাধারণত ঘাপটি মেরে থাকেন। রাজনৈতিক অচলাবস্থায় সক্রিয় হয়ে ওঠেন। ক্ষমতা হস্তান্তরের পর থেকে আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে আসেন। সাধারণত প্রায় পাঁচ বছর পরপর টিভিতে এবং মাঝেমধ্যে বাংলা দৈনিকে এদের দেখা যায়। দেশের ৯০% (অনিরপেক্ষ) মানুষ সম্পর্কে ওনাদের কোনও ধারণা নেই। সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করেছেন ভেবে নার্সিসিজমে ভোগেন।

২) ন্যুশীল: নিউ এইজ সুশীল। আর্বান ইয়াপি সম্প্রদায়ের প্রতিভূ। বাংলার চেয়ে ইংরেজিতে স্বচ্ছন্দ। ওয়েল গ্রুমড্‌। সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা ইংরেজি দৈনিকে এদের দেখা মেলে। মোটামুটি সর্বদাই সক্রিয় থাকেন। জাতির ক্রান্তিলগ্নে এরা এডিটোরিয়াল অথবা অপ-এড লিখতে পছন্দ করেন। দেশের ৯০% (দরিদ্র) লোক সম্পর্কে তাদের কোনই ধারণা নেই। আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখে নার্সিসিজমে ভোগেন।Continue Reading